দুই বন্দর দিয়ে ভারতে গেল ৬১ টন ইলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ । ১:২০ পূর্বাহ্ণ

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বেনাপোল ও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বৃহস্পতিবার ২৩টি ট্রাকে ৬১ টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ভারতে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর এটিই ভারতে ইলিশের প্রথম চালান।

এবার মোট ৪৯টি প্রতিষ্ঠান ২৪২০ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে। ১২ অক্টোবর পর্যন্ত এই ইলিশ রপ্তানি চলবে।

সার্বিক তথ্যঃ
বেনাপোল (যশোর): স্থলবন্দর দিয়ে ২০টি ট্রাকে ৫৪ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। বাংলাদেশের ১০টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এই ইলিশ রপ্তানি করে। এরমধ্যে জেএস এন্টারপ্রাইজ রপ্তানি করে ১০ হাজার ৭২০ কেজি, সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ ১১ হাজার কেজি, স্বর্ণালী এন্টারপ্রাইজ ৪ হাজার কেজি, রূপালি সী ফুড লিমিটেড ৫ হাজার কেজি, জেবিএস ফুট প্রোডাক্ট ৩ হাজার কেজি, নোমান এন্টারপ্রাইজ ৮ হাজার কেজি, আহানাফ ট্রেডিং ১ হাজার কেজি, প্যাসিফিক সী ফুড ৪ হাজার ৮শ কেজি ও সুমন ট্রেডার্স ৪ হাজার কেজি ইলিশ রপ্তানি করেছে। প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য পড়েছে ১০ মার্কিন ডলার বা ১১৮০ টাকা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ভারতের কয়েকটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইলিশের এ চালান ভারতে যায়।

বেনাপোল বন্দরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক আসওয়াদুল ইসলাম জানান, রপ্তানি করা ইলিশের গুণগত মান পরীক্ষা করে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

ট্রাকচালক জানান, চাঁদপুর থেকে চার টন ইলিশ নিয়ে আসেন তিনি। কাগজপত্র যাচাই শেষে বেনাপোল কাস্টমস তাকে ভারতে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে।

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৩টি ট্রাকে করে ৭ টন বা ৭ হাজার ৩০০ কেজি ইলিশ ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় পাঠানো হয়েছে। কাস্টমস সূত্র জানায়, বাংলাদেশি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিডিএস করপোরেশন ও স্বর্ণালী ট্রেডার্স এবং আমদানিকারক ভারতীয় প্রতিষ্ঠান হিমপেক্স ইন্টারন্যাশনাল এ বাণিজ্য করে। আখাউড়া কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান খান বলেন, প্রতিবছর পূজা উপলক্ষ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হয়। এ বছরও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পর্যায়ক্রমে ২০০ টন ইলিশ রপ্তানি হওয়ার কথা রয়েছে।

স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মাহমুদুল হাসান বলেন, ইলিশ রপ্তানিতে বন্দর মাশুল পাবে। কাগজপত্রের কাজ শেষে চালান যাতে দ্রুত ভারতে যেতে পারে সেজন্য সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

চাঁদপুরে ইলিশ ঘাটতি:
দেশের উৎপাদিত ইলিশের বিরাট একটি অংশ চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদী থেকে আহরিত হয়। এবার এখানকার নদীতে ইলিশের আহরণ একেবারেই কম। পাশাপাশি বিভিন্ন দাদনদারদের কাছ থেকে এখানকার বেশিরভাগ ব্যবসায়ীর ইলিশ মাছের প্রাপ্তি অনেকটা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ইলিশের ভরা মৌসুমে এখন প্রতিদিন চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে চারশ হতে ছয়শ মন ইলিশ আসছে। যা চাহিদার তুলনায় একেবারেই নগণ্য। অথচ বিগত বছরের এ সময় চাঁদপুর মাছ ঘাটে প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার মন ইলিশ আমদানি হতো।

সম্পাদক: মোঃ শাহ্ আলম খান, বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১০১/বি, (২য় তলা), মালিবাগ চৌধুরীপাড়া, রামপুরা, ঢাকা-১২১৯। মোবাইল ঃ +৮৮-০১৬০১-৫৬৩৯৯৯, ফোনঃ +৮৮০২২২৬৬৬৩৯৯১, ইমেইল ঃ infobdnews999@gmail.com

প্রিন্ট করুন