ভোলায় পূজা মণ্ডপের আলোক সজ্জা গেট ভাঙচুরের সময় শিমুল চন্দ্র (৩৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ওই যুবক ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মৃত মধুচন্দ্র দের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) এএসআই মানিক ডিউটিরত অবস্থায় ওই যুবককে ভোলা পৌরসভার (১নং ওয়ার্ড) আবহাওয়া অফিস সংলগ্ন শ্রী শ্রী দুর্গা মাতার মন্দির পূজা মণ্ডপ থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরের গেট ভাঙচুর ও আলোকসজ্জায় ইটের ঢিল নিক্ষেপের সময় ওই যুবককে আটক করেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটওয়ারী। এ ঘটনায় ওই যুবককে আটক করতে সক্ষম হওয়ায় এএসআই মানিককে এক হাজার টাকা পুরস্কার প্রদান করেন ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল হক।
তবে ওই যুবকের পরিবারের দাবি অভিযুক্ত শিমুল চন্দ্র দীর্ঘদিন মানসিক ভারসাম্যহীন। ভারসাম্যহীন হওয়ায় পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে তার মুক্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার। তবে পরিবারের কাছে মানসিক ভারসাম্যহীনের কোন ধরনের প্রমাণাদি চেয়েও পায়নি পুলিশ।
এ বিষয়ে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল হক জানান, ভোলার সব ধরনের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও উৎসব নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে জেলা পুলিশ। বুধবার পূজা মণ্ডপে কোনও স্বেচ্ছাসেবী ও মণ্ডপের দায়িত্বশীলরা না থাকার পরও পুলিশ কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করায় শ্রী শ্রী দুর্গা মাতার মন্দিরের গেট ভাঙচুরের সময় ওই হামলাকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
পূজা উদযাপন পরিষদ ভোলা সদর উপজেলার সভাপতি মনোষ ঘোষ শান্ত জানান, আবহাওয়া অফিস সংলগ্ন শ্রী শ্রী মাতার মন্দির দুর্গাপূজা মণ্ডপের গেট ভাঙচুরের সময় ওই হামলাকারীকে আটক করতে সক্ষম হওয়ায় ও ভোলা সদর উপজেলার সব পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তা জোরদার করায় জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ভোলা সদর উপজেলার সব মণ্ডপের তথ্য নিয়ে দেখেছি, আগের চেয়েও মণ্ডপে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।