সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদকে রোববার দিবাগত রাতে বনানী থেকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ইমরান আহমেদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এর যেকোন একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে।
এর আগে সিন্ডিকেট করে অর্থ আত্মসাৎ ও মানবপাচারের অভিযোগে সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদের বিরুদ্ধে গত ৩ সেপ্টেম্বর পল্টন থানায় একটি মামলা হয়। এতে আসামি হিসেবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ আরও ১০৩ জনের নাম যুক্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, পল্টন থানায় আলতাফ খান নামে এক ব্যক্তি নিজেকে ভুক্তভোগী দাবি করে মামলাটি করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে ২৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনেন তিনি।
মামলার বাদী আফিয়া ওভারসিজের মালিক আলতাফ খান অভিযোগ করেন, মন্ত্রী নিয়মের বাইরে গিয়ে মালয়েশিয়ায় লোক পাঠাতে চেয়েছিলেন। তাদেরকে জোরপূর্বক জিম্মি করে তারা টাকা নিয়েছেন। তার ব্যক্তিগত ১২ কোটি টাকা জোর করে আদায় করেছেন মন্ত্রী। এই সিন্ডিকেটে তৎকালীন সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন তার ছেলেকে দিয়ে ব্যবসা করেছেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ইমরান আহমদকে জনসমুক্ষে দেখা যায়নি। ইমরান আহমদ ১৯৮৬ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত আছেন। তিনি তৃতীয় (১৯৮৬), পঞ্চম (১৯৯১), উপনির্বাচন (সেপ্টেম্বর ১৯৯৬), নবম (২০০৮), দশম (২০১৪) এবং একাদশ জাতীয় সংসদ (২০১৮) নির্বাচনে সিলেট-৪ (জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানিগঞ্জ) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।