ইরানের তিনটি প্রদেশে সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ইরানের দুই সেনার মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) ইরানের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ইরানের তিনটি প্রদেশে (ইলাম, খোজেস্তান ও তেহরান) সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। ইরানের দাবি, হামলায় সীমিত পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে, ইরানে ইসরায়েলের হামলায় নিন্দা জানিয়েছে মালয়েশিয়া, সৌদি আরব এবং ওমান। সৌদি আরব বলেছে, এটি একটি দেশের সার্বভৌমত্ব, আন্তর্জাতিক আইন ও রীতির লঙ্ঘন।
এর আগে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিমনা হামলা চালিয়ে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনায় ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যু ‘প্রতিশোধহীন’ যাবে না।
এরপর, গত ১ অক্টোবর রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। হামলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলে মিসাইল ছুড়ে ইরান ‘বড় ভুল’ করেছে। এর মূল্য দিতে হবে তাদের। সেই প্রতিশোধ নিতেই শনিবার (২৬ অক্টোবর) ভোরে ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল।
উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মিত্র হামাসের সমর্থনে ইসরায়েলে নানা সময় ছোট আকারে হামলা করেছে হিজবুল্লাহ। বলা হয়, হিজবুল্লাহর প্রধান সমর্থক ও অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ ইরান।
চলতি বছরের মে মাসে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যান। যদিও অনেকের ধারণা এর পেছনে ইসরায়েলের হাত রয়েছে। রাইসির মৃত্যু এক মাস পরই (জুলাই) ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে ‘গুপ্ত হামলা’ চালিয়ে হত্যা করে ইসরায়েল। এরপর থেকেই ইসরায়েলে ধারাবাহিক হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ।