মিশরে নির্মীয়মান প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এলদাবা এনপিপি’র চতুর্থ ইউনিটে কোর ক্যাচার স্থাপনের কাজ গত ১৯ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে।
৩+ প্রজন্মের পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কোর ক্যাচার অন্যতম একটি অংশ বলে রসাটমের গণমাধ্যম প্রেরীত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বিভিন্ন অংশ নিয়ে গঠিত কোর ক্যাচারের মোট ওজন ৭০০টনের অধিক এবং এর বডির ওজন ১৫৫টন।
রসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ বলেন, “মিশরে যখন নিউকিয়ার এনার্জী দিবস উদযাপিত হচ্ছে, ঠিক তখনই এই কোর ক্যাচার স্থাপনের কাজ শুরুর বিষয়টি বিশেষ অর্থ বহন করে।
সকল আন্তর্জাতিক চাহিদা পূরণ করে মিশরের বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মানের কাজ শিডিউল অনুযায়ী অগ্রসর হচ্ছে। রসাটম তার প্রতিটি প্রকল্পেই নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে এবং মিশরের এলদাবা প্রকল্পটিও এর ব্যাতীক্রম নয়”।
মিশরের বিদ্যুৎ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানী বিষয়ক মন্ত্রী মাহমুদ ইসমাৎ নিশ্চিত করে জানান, এলদাবা প্রকল্পটি প্রতিনয়ত তদারকির অধীনে রয়েছে এবং এর অগ্রগতিও সন্তোষজনক।
দেশের বিদ্যুৎ খাত উন্নয়ন স্ট্রাটেজি ব্যাখ্যা করে বলেন, “এটির মূল লক্ষ্য এনার্জীর ভারসাম্য। এর জন্য আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন উৎসে বৈচিত্র্য আনয়ন করতে চাই এবং একই সঙ্গে জ্বালানীর ব্যয় ও কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের জন্য নতুন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানীর ব্যবহার বৃদ্ধিতে আগ্রহী”।
প্রসংগত: এলদাবা এনপিপি মিশরের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এই কেন্দ্রে মোট চারটি ইউনিট স্থাপিত হচ্ছে, প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১,২০০ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হবে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যাক্টর। প্রকল্পটির জেনারেল ডিজাইনার ও কন্ট্রাকটর রাশিয়ার রাস্ট্রীয় পরমাণু শক্তি সংস্থা রসাটমের প্রকৌশল শাখা।
রাশিয়া ও মিশরের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির অধীনে রাশিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পুরো আয়ুষ্কালজুড়ে পরমাণু জ্বালানী সরবরাহ, মিশরীয় বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রটির অপারেশনের প্রথম দশ বছর রক্ষণাবেক্ষণ করবে। পৃথক একটি চুক্তির অধীনে ব্যবহৃত জ্বালানী সংরক্ষণের জন্য একটি সংরক্ষানাগার নির্মাণ এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষ কন্টেইনারও সরবরাহ করবে রাশিয়া।