রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এই তিনটি কলেজ সহ পাঁচটি কলেজের শিক্ষার্থী আহত হয়।
আহতদের শিক্ষার্থীদের একজন তাশরিফ (১৭)। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন তিনি। পুরান ঢাকার কবি নজরুল কলেজের পরিচয় দেওয়া এ শিক্ষার্থী ঘটিয়েছেন আশ্চর্যজনক এক ঘটনা।
এক্সরে করার সময় তার কোমরে ধারালো চাকু ও হাতুড়ি পাওয়া যায়। পরে যাচাই-বাছাই করে ওই শিক্ষার্থীকে থানায় হস্তান্তর না করে ছেড়ে দিয়েছে হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক।
সূত্রে জানা গেছে, যাত্রাবাড়ী থেকে আহত অবস্থায় তাশরিফকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মাথায় ব্যান্ডেজসহ তাকে এক্সরে করতে পাঠান। আর এক্সরে রুমেই ঘটে বিপত্তি। টেকনিশিয়ানরা এক্সরে করতে গিয়ে তার কোমড়ে ধারালো চাকু ও হাতুড়ি দেখতে পান। এরপরই তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন সংশ্লিষ্টরা।
তাশরিফকে হেফাজতে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেকের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক।
তিনি বলেন, যাত্রাবাড়ীতে সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের অনেকেই ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন। এ সময় আহতদের এক্সরে করতে পাঠান চিকিৎসকরা। এক্সরে করার সময় এক রোগীর কোমরে গুঁজে রাখা চাকু ও হাতুড়ি দেখতে পান সংশ্লিষ্টরা। পরে তারা জানালে আমরা তাকে হেফাজতে নেই।
তিনি আরও বলেন, ওই শিক্ষার্থীর কাছে কোনো আইডি কার্ড নেই। তবে সে কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দিয়েছে। আমরা কলেজের সিনিয়র শিক্ষার্থীদের বিষয়টি জানায়। এরপর ওই শিক্ষার্থীর সিনিয়র ভাইয়েরা তার আইডি কার্ড নিয়ে আসেন। পরে আমরা কলেজের শিক্ষার্থী নিশ্চিত হয়ে তাকে ছেড়ে দেয়।
তবে ওই শিক্ষার্থী কেন হাতুড়ি এবং ছুরি নিয়ে এসেছিল, সে বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি তিনি। দেশীয় অস্ত্র পাওয়ার পরও কেন তাকে ছেড়ে দেওয়া হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ওই শিক্ষার্থীর পরিচয় পেয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছি। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।