কক্সবাজার থেকে ফেরার পথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলমের গাড়িবহরে থাকা একটি গাড়িকে ধাক্কা দিয়েছে একটি ট্রাক। এতে গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায় নি।
জানা যায়, বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড় এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ঢাকা মেট্রো-ঢ ১২-১৮৫৪ নম্বরের ট্রাক এবং এর চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ছাত্র-জনতা। চালক তাদের চাপা দেওয়ার চেষ্টার কথা অস্বীকার করেছেন।
জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা গণমাধ্যমকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কক্সবাজার থেকে ফিরছিলেন। একটি গাড়িতে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম ছিলেন। আরেকটি গাড়িতে ছিলেন চট্টগ্রামের সমন্বয়কেরা। যে গাড়িতে চট্টগ্রামের লোকজন ছিলেন, সেই গাড়িটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। ট্রাক চালককে ধরা হয়েছে। তিনি চাপা দেওয়ার কথা স্বীকার করেননি।
এদিকে এক ফেইসবুক পোস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ লিখেছেন, ‘নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত করে ফেরার পথে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের গাড়িবহরে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টা করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে চালক ময়মনসিংহ থেকে কক্সবাজারে মালামাল খালাস করে আসার কথা বললেও মালামাল খালাসের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অতীতে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ কর্তৃক বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অনেক ব্যক্তিকে হত্যা করার নজির রয়েছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম এ ঘটনায় একই বক্তব্য ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘মারবা? পারবা না। আমরা আবরার ও আলিফের উত্তরসূরী। মনে রেখো- শহীদেরা মরে না।’