রায়পুরাতে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুই ইউপি সদস্য নিহত ও আহত প্রায় দশ জনের বেশি। আজ (৭ ডিসেম্বর) শনিবার ভোরে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন, চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মানিক মিয়া (৫৫), ও একই ইউনিয়নের সাবেক নারী ইউপি সদস্য কল্পনা বেগম (৩২) এবং আহত ব্যক্তিরা হলো আমির (২৫), রাসেল (৩০), সাব্বির (২৮), জুয়েল (৩০) ও রাব্বি (২২)। আহতদেরকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাদের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। অন্যান্য আহতদের স্থানীয় হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলেও জানা যায়।
এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও গোষ্ঠীগত দ্বন্ধের কারণে রায়পুরা উপজেলা আবিদ হাসান রুবেল ও রায়পুরা পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হারুন আর রশিদ সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে আজ শনিবার ভোরে উভয় পক্ষ আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে এক পর্যায়ে রুবেলের চাচা মানিক মিয়া পার্শ্ববর্তী সাবেক ইউপি সদস্য বশির উদ্দিনের বাড়িতে আশ্রয় নিলে প্রতিপক্ষ হারুন অর রশিদের সমর্থকরা মানিক মিয়াকে ধরে তার বাম পায়ের হাটু থেকে কেটে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে ঘটনাস্থলে মানিক মিয়ার মৃত্যু হয়। অপর দিকে অন্য এক বাড়ীতে সাবেক ইউপি সদস্য কল্পনা বেগমকে ধরে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে।
এ বিষয়ে জানতে রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল জব্বার এর সরকারি নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এই ঘটনার খবর পেয়ে নরসিংদীতে দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনী ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্বক্ষম হয়।