গত দেড় দশক জেল-জুলুম, হত্যা, নির্যাতন, মামলা-হামলা সহ্য করে যে দলটি মাথা উচু করে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে একটি ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচার সরকারকে বিতারিত করতে সক্ষ্ম হয়েছে তার নাম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
আর এ দলটির আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিল জাতীয়তাবাদী যুবদল। ২০২৩ সালের ২৮ শে অক্টোবর ম্যাচাকারের পরবর্তী আন্দোলনে এ দলটির নেতাকর্মীরাই ছিল সারা বাংলাদেশে সক্রিয়।বিগত আন্দোলনে নিজেদের উজার করে সক্রিয় থাকার পুরস্কার সরূপ গত ৯ জুলাই/২০২৪ইং গঠিত হওয়া যুবদলের কেন্দ্রীয় আংশিক কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন মুনায়েম মুন্না। তিনি দীর্ঘ ১১ মাস জেলে খেটেছেন।
সাধারন সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন আন্দোলনে সর্বাধিক সক্রিয় থাকার পুরস্কার পেয়েছেন। বিল্লাল হোসেন তারেক ও কামরুজ্জামান জুয়েল আন্দোলনে নিজেদের সক্রিয়তার প্রমান দিয়ে হয়েছেন সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক।
কিন্ত ৫ই আগষ্টের পর বিএনপির পার্টি অফিসের চিত্র সম্পুর্ন ভিন্ন। যাদেরকে কালেভদ্রেও পার্টি অফিস কিংবা আন্দোলনে দেখা যেতো না,তারাই যেন এখন পার্টি অফসের মূল চালিকা শক্তি।
বিগত সরকার বিরোধী আন্দোলনে, বিশেষ করে- গত ২৮ শে অক্টোবরের পর নিয়মিত আন্দোলন করেছেন যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারন সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক- বিল্লাল হোসেন তারেক, সাংগঠনিক সম্পাদক- কামরুজ্জামান জুয়েল, সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক- জিয়াউর রহমান জিয়া, মাহফুজুর রহমান, আঃ জব্বার, কামাল আনোয়ার আহমেদ, সহ সাধারন সম্পাদক- শাহ নাসিরউদ্দিন রুম্মন, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক- মেহবুব মাসুম শান্ত, কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক- খন্দকার আল আশরাফ মামুন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ সম্পাদক- মুসাব্বির শাফি, মানবাধিকার বিষয়ক সহ সম্পাদক- এড. মাহবুবুল আলম আক্তার, সদস্য- মিজানুর রহমান সুমন, হাবীবুর রহমান হাবীব, নাসিরুদ্দিন সরকার শাওন, হেদায়েত হোসেন ভুঁইয়া, মোর্শেদ আলম সহ বেশ কিছু নেতাকর্মী।
আন্দোলনের সময় আন্দোলনে সক্রিয় সকল নেতাকর্মী মুল্যায়িত হবেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের এই আহবান নেতাকর্মীদের আন্দোলনে উজ্জিবীত করে। তাই যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রতিবাদ মিছিল ও লিফলেট বিতরন কর্মসুচীতে যে সকল পদহীন নেতা কর্মী সক্রিয় অংশগ্রহন করেন, তারা হলেন- ফারুক হোসেন পাটওয়ারী, তোফাজ্জল হোসেন কাজল, রেজাউল করীম রিয়ন, শফিকুল ইসলাম ইমন, এড. রফিকুল ইসলাম মীর, এড. আরিফ খান, আইনুল হক রেজা, আল-আমীন হোসাইন ও শুভ।
আন্দোলনে সক্রিয় গত কমিটির পদধারী নেতারা কেউ মুল্যায়িত হয়েছেন, আবার অনেকেই আশ্বস্থ হয়েছেন যে, তারা মুল্যায়িত হবেন। কিন্তু বিপাকে পড়েছেন পদহীন কর্মীরা।
পার্টি অফিসে প্রোটকলের জন্য বসার জায়গা পাননা, আবার তাদের বিগত দিনের কর্মাকান্ড গুলো তুলে ধরার জন্য বর্তমান কমিটির সভাপতি সাধারন সম্পাদকের সাক্ষাত পাননা। ফলে তারা আজ হতাসাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন।
এ বিষয়ে সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন- “আমাদের সাথে যারা মিছিল মিটিং এ অংশ গ্রহন করেছেন, তাদের প্রত্যেকের লিস্ট আমি সভাপতি সাধারন সম্পাদক বরাবর দিয়েছি। নিশ্চয় আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় সকল পদধারী ও পদহীন নেতারা মুল্যায়িত হবেন। তাছাড়া আমি যতটুকু জানি বর্তমান সভাপতি সাধারন সম্পাদক আন্দোলনে সক্রিয়দের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক এবং ফাকিবাজদের ব্যাপারে খুবই সতর্ক।”
সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন- “আমি ও খন্দকার আল আশরাফ মামুন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ব্যানারে ২৮ শে অক্টোবরের পর নিয়মিত মিছিল করেছি। সেখানে যারা অংশগ্রহন করেছে তাদের প্রত্যেকের তালিকা সভাপতি সাধারন সম্পাদক বরাবর দিয়েছি। নিশ্চয় তারা বিষয়টি বিবেচনায় নিবেন।”