ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের নারী চিকিৎসক মানার হাফিজকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত সম্পা(৩৯) নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার(২২ ডিসেঃ)দিবাগত রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের ২০০ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক(এসআই) আমিনুল ইসলাম। তিনি বলে,
ঢাকা মেডিকেলের একজন চিকিৎসকে রোগীর স্বজন মারপিট করার অভিযোগে শম্পা নামে এক নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এই ঘটনা হাসপাতালের একজন ওয়ার্ড মাস্টার শাহবাগ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বর্তমানে ওই নারী শাহবাগ থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এসআই আরও বলেন,
আটককৃত নারীর গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায় তার স্বামীর নাম জাকির হোসেন শামীম।
হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদসসের পিসি মোঃ বাবুল জানান, ২০০ নম্বর ওয়ার্ডে ডিউটি করছিলেন মানার হাফিজ নামে নিউরো সার্জারি বিভাগের একজন চিকিৎসক। শম্পা নামে ওই নারীর বোন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। পরে ডাক্তার মানার হাফিজের কাছে গেলে সামান্য বিষয় নিয়ে সম্পা নামে ওই নারী চিকিৎসকের গায়ে হাত তোলেন।
পরে বিষয়টি হাসপাতালের পরিচালক কে জানানো হয়। পরে তিনি হাসপাতালে আসেন এবং রোগীর স্বজন সম্পাকে আটক করে পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করেছে পুলিশ ক্যাম্প। আহত নারী চিকিৎসক মানার হাফিজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন চিকিৎসক বলেন, গত ৩১ আগঃ বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজির (বিইউবিটি)শিক্ষার্থী আহসানুল হক দীপ্তর অবহেলাজনিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে(ওটি)ঢুকে চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনা ঘটে।হামলায় নিউরো সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ইমরান, মাশরাফি ও জুবায়ের আহত হয়।পরে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকে এবং হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবিতে তারা বিক্ষোভ মিছিল এবং কর্ম বিরতি পালন করে।
সে সময় চিকিৎসকদের নিরাপত্তা বেশ কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়। এর মধ্যে অন্যতম ছিল হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দেওয়া।পরে হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী বিজিবি পুলিশ মোতায়ন করা হয়।এর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরে সেনাবাহিনী ও বিজেপিকে ঢামেক হাসপাতাল থেকে প্রত্যাহার করা হয়। প্রায় চার মাস পরে ফের এ ধরনের ঘটনা ঘটলো। ডাক্তাররা চিকিৎসা দেবে নাকি রোগীদের মারপিটের শিকার হবে। যে নারী আমাদের চিকিৎসকের উপরে হামলা করেছে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।