খুঁজুন
রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

চলছে অবাধ মাদক সেবন ও হানিট্রাপ, টার্গেট উচ্চবিত্তরা

অশ্লীল অসুখে ভুগছে ঝিনাইদহ, পাড়ায় মহল্লায় মিনি পতিতালয়

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:১০ অপরাহ্ণ
অশ্লীল অসুখে ভুগছে ঝিনাইদহ, পাড়ায় মহল্লায় মিনি পতিতালয়

ঝিনাইদহের বিভিন্ন পাড়ায় মহল্লায় গড়ে উঠেছে অভিজাত মিনি পতিতালয়। আবাধ, অবৈধ যৌনতা, মাদক কেনা বেচাসহ হানিট্রাপের স্বীকার হচ্ছে টার্গেট করা উচ্চবিত্তরা। শহরের অভিজাত বাসা বাড়ীতে পরিবার পরিচয়ে ভাড়া নিয়ে একাধিক নারীদের দিয়ে করানো হচ্ছে দেহ ব্যবসা। যে সকল স্পট গুলো মাদক কেনা বেচার অভয়ারণ্যে।

প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের অদৃশ্য নিয়ন্ত্রণে অনেকটা প্রকাশ্যই চলছে এই তাদের দৌরাত্ম। ঝিনাইদহের মর্ডান মোড়, মাস্টার পাড়া, ব্যাপারী পাড়া, আদর্শপাড়া, আরাপপুরে একাধিক স্পটে, টিভি সেন্টার সংলগ্ন, চাকলাপাড়া,উপশহর পড়াসহ শহরের বিভিন্ন মহল্লাতে চলছে তাদের এই অবৈধ মাদকের ও যৌনতার হটা।

অনুসন্ধানে যানা যায়, ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে একাধিক দালাল চক্র সক্রিয় ভাবে কাজ করছে। যারা মাঠ পর্যায়ে কাস্টমারদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে এবং সাথে করে স্পটে নিয়ে যায়। দালাল চক্রের হাত ধরে ছাড়া কোনো ভাবেই এদের অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যাবে না। প্রায় শতাধিক অভিযোগ রয়েছে শহরের বিভিন্ন সম্মানিত ও উচ্চবিত্ত বেক্তিদের হানিট্রাপের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই সিন্ডিকেট।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভুক্তভোগী জানান, আমি একজন ইউনিয়ন পরিষদের কর্মচারী। আমার পরিবার পরিজন রয়েছে। আমাকে বিভিন্ন মোহে আকৃষ্ট করে ফেল্লে আমিও তাদের ফাদে পা দিই। সেদিন ওই মেয়ের সাথে ঘরে ঢোকার দুই তিন মিনিটের মধ্যে একদল মানুষ এসে আমাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও করে পরবর্তীতে প্রায় দুই লক্ষ টাকা দিলে আমাকে ছেড়ে দেয়, কিন্তু এখানেই থেমে থাকে না। কিছুদিন পর পর টাকা চাইতে লাগলো, সব মিলিয়ে প্রায় দশ লক্ষ টাকা নিয়েছে আমার কাছ থেকে।

ঝিনাইদহের উচ্চবিত্ত নামকরা ব্যবসায়ীর ছেলে পরিচয় না প্রকাশের শর্তে জানান, আমি আমার একটা বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারি একটা বাসা আছে যেখানে নিরাপদে বসে ইয়াবা সেবন করা যায়,তার সাথে সেখানে দুই দিন যাবার পরে, তৃতীয় দিনের দিন একটা মেয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়, সেও আমার সাথে ইয়াবা সেবন করে, তার পরেই আমরা দুই জন পাশের রুমে ঘনিষ্ঠ হয় আর ঠিক সেই মুহুর্তেই ডিবি পুলিশ পরিচয়ে একদল লোকজন আসে, ভিডিও করে, মারধর করে, তারা সব মিলিয়ে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা আমার বাবার কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে। এদের সাথে তখনকার প্রশাসন জড়িত ছিলো।

একজন স্কুল মাস্টার জানান, আমাকে শেষ করে দিয়েছে। মানসম্মানের ভয়ে সারা জীবনের পুজি দিয়ে দিছি এখনো মাঝেমধ্যে টাকা চাই,বা বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে। শহরের মুন্সি মার্কেটের একজন কাপড়ের ব্যবসায়ীকে ফাদে ফেলে একাধিকবার ব্লাকমেইল করে নাস্তানাবুদ করে অবশেষে ফেক আইডি দিয়ে ভিডিও ভাইরাল করা হয়। এরকমই অসংখ্য ছোট বড়ো অভিযোগ পাওয়া যায় অনুসন্ধানের সময়। প্রতিটি পাড়া মহল্লার মাস্তান থেকে প্রশাসনের অনেকেই নিয়মিত মাসোহারা নিচ্ছেন, এমন কি ঝিনাইদহের একাধিক সাংবাদিক জড়িত থাকার বিষয়ে অনেক তথ্য প্রমান বের হয়ে আসে।

এমতাবস্থায়, ঝিনাইদহের সুশীল সমাজের মানুষেরা তাদের সন্তানদের নিয়ে রয়েছেন দুঃশ্চিন্তায়, মাদক আর যৌনতার মতো বিষয় যেখানে সহজলভ্য সেখানে সন্তান লালনপালন অসম্ভব হয়ে পড়ছে। নিষিদ্ধ সবকিছুর উপরেই ছেলেদের আকর্ষন থাকে। তাই ঝিনাইদহের সর্বসাধারণ জনগণের চাওয়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্মুল অভিযান পরিচালিত করা হোক। অন্ধকার অশ্লীল ও ভয়ংকর মাদকের অভয়ারণ্যে থেকে রক্ষা করা হোক ঝিনাইদহের আজ ও আগামীর প্রজন্মকে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ৬:২৩ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। শনিবার (৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেনাপ্রধানের স্ত্রীও সঙ্গে ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে তারা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কিছু সময় অতিবাহিত করেন বলে জানা গেছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি লিখেন, ‘ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও তার স্ত্রী।’

উল্লেখ্য, একই দিনে দুপুরে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসানও তার স্ত্রীসহ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ঈদ উপলক্ষে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের এই সাক্ষাৎ ছিল রাষ্ট্রীয় সৌজন্যের অংশ হিসেবে।

ঈদুল আজহার দিনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অতর্কিত হামলা, নিহত ৪২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ৬:১৯ অপরাহ্ণ
ঈদুল আজহার দিনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অতর্কিত হামলা, নিহত ৪২

ঈদুল আজহার দিনেও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় অতর্কিত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। খবর আল জাজিরার।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে নিহত ১৬ জনের মৃতদেহ নগরীর আল নাসের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ছাড়া গাজার উত্তরাঞ্চলে নিহত ১৬ জনের মৃতদেহ নেওয়া হয় আল-শিফা হাসপাতালে।

নগরীর আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে নিহত পাঁচজনের মৃতদেহ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দাইর আল-বালাহ শহরে নিহত আরও পাঁচজনের মৃতদেহ নেওয়া হয় আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে।

দাইর আল-বালাহ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু-আজৌম বলেন, গাজায় ঈদ এমনই দেখা যাচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, গাজায় এ বছর আনন্দের বদলে বোমাবর্ষণ, বাস্তুচ্যুতি ও প্রাণহানির মধ্যে দিয়ে ঈদের দিনটি পার হচ্ছে।

১৯ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এতে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫২ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে লক্ষাধিক। সেই সঙ্গে ঘর ছাড়া হয়েছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো ইয়েমেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ
ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো ইয়েমেন

অবরুদ্ধ গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরাইল অধিকৃত ভূখণ্ডে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে হুথি আনসারুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী। এ হামলার ফলে দখলকৃত ভূখণ্ডে বসবাসরত ইসরাইলি বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় অনেক ইহুদি বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়ে যান।

ইসরাইলি সূত্র নিশ্চিত করেছে, ইয়েমেন থেকে অন্তত একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দখলদার ভূখণ্ডের দিকে ছোড়া হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ইয়েমেনি নেতারা বারবার ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের এ ধরনের হামলা গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাবে এবং গাজাবাসীদের প্রতি সংহতির অংশ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। এটি বৃহত্তর আঞ্চলিক প্রতিরোধ কৌশলের অংশ।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাসসহ ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো ‘আল আকসা ঝড়’ নামে এক আকস্মিক পাল্টা হামলা চালানোর পর থেকে ইসরাইল গাজায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। সেই থেকে ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ স্পষ্টভাবে ফিলিস্তিনের সংগ্রামের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং একাধিকবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়েছে।