খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ২৭ চৈত্র, ১৪৩১

পাহাড়ের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে যা জানাল আইএসপিআর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০:৪৪ অপরাহ্ণ
পাহাড়ের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে যা জানাল আইএসপিআর

তিন পার্বত্য জেলায় উচ্ছৃঙ্খল জনসাধারণের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের কারণ এবং সর্বশেষ পরিস্থিতি গণমাধ্যমকে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আইএসপিআর জানায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি জেলা সদরে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল লোকের পিটুনিতে মো. মামুন (৩০) নামে এক যুবক নিহত হন।

পরে সদর থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধারপূর্বক ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরদিন (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দীঘিনালা কলেজ হতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি দীঘিনালার বোয়ালখালী বাজার অতিক্রম করার সময় ইউপিডিএফের (মূল) কতিপয় সন্ত্রাসী মিছিলের ওপর হামলা করে ও ২০-৩০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এর প্রেক্ষিতে বিক্ষুব্ধ জনতা বোয়ালখালী বাজারের কয়েকটি দোকানে অগ্নিসংযোগ করে।

সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষের ছয়জন আহত হলে তাদের চিকিৎসার জন্য দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পরে সেনাবাহিনীর টহল দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ফায়ার ব্রিগেড ও স্থানীয় জনসাধারণের সহায়তায় আগুন নেভায়।

ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে খাগড়াছড়ি জেলা সদর, দীঘিনালা, পানছড়ি ও আশেপাশের এলাকাসমূহে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে ক্রমেই পরিস্থিতিকে আরও উত্তেজনাকর করে তোলে।

দ্রুততার সঙ্গে খাগড়াছড়ি জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে জরুরি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর, দীঘিনালা ও পানছড়িসহ সকল উপজেলায় যৌথভাবে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে টহল দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

পাশাপাশি বিভিন্ন কমিউনিটি লিডারদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সব পক্ষকে সহিংস কার্যকলাপ হতে বিরত থাকার পরামর্শ প্রদান করতে বলা হয়।

খাগড়াছড়ি জোনের একটি টহল দল রাত সাড়ে ১০টায় একজন মুমূর্ষ রোগীকে স্থানান্তরের সময় খাগড়াছড়ি শহরের স্বনির্ভর এলাকায় পৌঁছালে অবস্থানরত উত্তেজিত জনসাধারণ ইউপিডিএফের (মূল) নেতৃত্বে বাধা সৃষ্টি করে। এক সময় ইউপিডিএফের (মূল) সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর টহল দলের সদস্যদের ওপর গুলি করে এবং আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনী পাল্টা গুলি চালায়। ওই গোলাগুলির ঘটনায় তিনজন নিহত এবং কয়েকজন আহত হয় বলে জানা যায়।

একই ঘটনার ধারাবাহিকতায় খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়িতে স্থানীয় উচ্ছৃঙ্খল জনসাধারণ কয়েকজন যুবকের মোটরসাইকেল থামিয়ে তাদের ওপর হামলা ও লাঠিপেটা করে। সেই সঙ্গে উত্তেজিত জনসাধারণ ইউপিডিএফের (মূল) নেতৃত্বে ফায়ার ব্রিগেডের অফিসে ভাঙচুর করে।

আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে পিসিজেএসএস সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা সদরে ‘সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন’র ব্যানারে স্থানীয় জনসাধারণ রাঙ্গামাটি জিমনেশিয়াম এলাকায় সমবেত হয়।

এ সময় ৮০০-১০০০ জন উত্তেজিত লোক একটি মিছিল বের করে বনরুপা এলাকার দিকে অগ্রসর হয় এবং বনরুপা বাজার মসজিদ, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, সিএনজি-অটোরিক্সা, মোটরসাইকেল এবং বেশকিছু দোকানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে করে উভয় পক্ষের বেশকিছু লোকজন আহত হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে রাঙামাটি জেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

উল্লিখিত ঘটনাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে চলমান উত্তেজনা তিন পার্বত্য জেলায় ভয়াবহ দাঙ্গায় রূপ নিতে পারে উল্লেখ করে আইএসপিআর থেকে বলা হয়, অনতিবিলম্বে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে চলমান উত্তেজনা প্রশমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। যথাযথ তদন্ত কার্যক্রম সম্পাদনের মাধ্যমে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের শনাক্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিন পার্বত্য জেলায় শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সর্বসাধারণকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

সিংড়ায় ইসরায়েলী পণ্য বর্জনের আহ্বানে সমাবেশ

মোঃ কুরবান আলী সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৪১ অপরাহ্ণ
সিংড়ায় ইসরায়েলী পণ্য বর্জনের আহ্বানে সমাবেশ

নাটোরের সিংড়ায় ইসরায়েলী পণ্য বর্জনের আহ্বানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার বিকেলে সিংড়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের তৌহিদী জনতার উদ্যোগে চলনবিল গেট এলাকায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সিংড়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুফতি জাকারিয়া মাসউদ এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন সিংড়া পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব তায়েজুল ইসলাম, সিংড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. এমরান আলী রানা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক রবিউল করিম খোকন, হাফেজ ওমর ফারুক, মাওলানা রুহুল আমিন প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে ইসরায়েলী পণ্য বর্জনের লক্ষ্যে জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

পাইকগাছায় রাশেদুজ্জামানের উপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

মোঃ রেজাউল ইসলাম, খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:৩৮ অপরাহ্ণ
পাইকগাছায় রাশেদুজ্জামানের উপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

আজ খুলনার পাইকগাছায় গদাইপুর ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র নতুন বাজার নামক স্থানে রাশেদুজ্জামান রাশেদের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও আওয়ামী দোসরদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন পাইকগাছায় ১ এপ্রিল রাড়ুলী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের দোসর ও কতিপয় চিহিৃত সন্ত্রাসীরা গদাইপুর ইউনিয়নের রাশেদুজ্জামান রাশেদ সহ ছাত্রদের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্যেশ্যে মারাত্মক জখম করে।

বুধবার বিকালে গদাইপুর ইউনিয়নের ব্যানারে পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র নতুন বাজারে পাইকগাছা – খুলনা সড়কে হাজার হাজার নারী পুরুষের উপস্থিতে উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ফসিয়ার রহমান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোঃ শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মোঃ বদিউজ্জামান সরদার, পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হোসেন, সদস্য সরদার ফারুক আহমেদ, শেখ বেনজীর আহমেদ লাল, মোঃ আয়ুব আলী,প্রভাষক আবু সালেহ মোঃ ইকবাল, মাষ্টার বাবর আলী গোলদার,মোঃ জামিলুর রহমান রানা, মোঃ মোস্তফিজুর রহমান লিপটন,মোঃ মোখলেছুর রহমান কাজল।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ সোহেল রাশেদ জনি, ইউপি সদস্য আবু হাসান,মোঃ সুজায়েত গাজী, মোঃ নাজমুল হাসান, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,মোঃ আল আমিন, মোঃ মিজানুর রহমান, জবেদ আলী গাজী, মোঃ জসিম প্রমুখ।

মাফিয়া তাপসের সন্ধান দিলেন ডিবি হারুন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ২:৪৪ অপরাহ্ণ
মাফিয়া তাপসের সন্ধান দিলেন ডিবি হারুন

সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিতর্কিত মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের অবস্থান নিয়ে জনমনে চরম কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে তিনি দেশে আছেন না কি বিদেশে গা ঢাকা দিয়েছেন, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে।

অনেক মন্ত্রী, এমপি এবং রাজনীতিবিদরা সরকারের পতনের আগে থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন। কিছুদিন আগেও এমন কিছু ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হলেও বেশিরভাগই আত্মগোপন করেছে, এবং কেউ কেউ বিদেশে চলে গেছে। এর মধ্যে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, শেখ ফজলে নূর তাপস কোথায় আছেন।

সম্প্রতি কানাডার নাগরিক টিভির বার্তা প্রধান নাজমুস সাকিব তার একটি প্রতিবেদনে ডিবি পুলিশের হারুন এর একটি কল রেকর্ড প্রচার করেছেন, যেখানে ডিবি হারুন দাবি করেছেন, শেখ ফজলে নূর তাপস বর্তমানে সিঙ্গাপুরে আছেন।

এই পরিস্থিতির মধ্যে, শেখ ফজলুর রহমান তাপসের বিরুদ্ধে কিছু বিতর্কিত অভিযোগও রয়েছে। ১৫ বছর আগে পিলখানা বিদ্রোহে রাজনীতি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দায়ী করার দাবি করেছেন মেজর শাকিলের ছেলে রাকিন আহমেদ। এ ছাড়া ২০২৩ সালে তিনি ১০০ কোটি টাকা মানহানি মামলা করেছিলেন।

শেখ ফজলুর রহমান তাপসের বিরুদ্ধে গাছ কাটা নিয়ে নানা সমালোচনা এবং বেওয়ারিশ কুকুর অপসারণ পরিকল্পনা নিয়ে বিপুল বিতর্কও ছিল। এর আগে ২০২১ সালে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন তাপসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন যে, তিনি দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের শত শত কোটি টাকা তার ব্যক্তিগত ব্যাংক, মধুমতী ব্যাংকে স্থানান্তর করেছেন।

এছাড়া, ২০২৩ সালে, তাপস একটি প্রধান বিচারপতিকে নামানোর বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন, যা ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করে।

এসব বিতর্কের মধ্যেই, তাপসের অবস্থান এবং তার ভবিষ্যত নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা চলছে।