খুঁজুন
শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

আইসিসির ৪ বিচারকের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ৫:২৭ অপরাহ্ণ
আইসিসির ৪ বিচারকের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) চার বিচারকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং এর আগে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরুর সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ওই চার বিচারকের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর রয়টার্সের।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর বিবৃতি অনুসারে, ওই চার বিচারক হলেন উগান্ডার সোলোমি বালুঙ্গি বোসা, পেরুর লুজ দেল কারমেন ইবানেজ কারানজা, বেনিনের রেইনে এদিলেইদে সোফি আলাপিনি গ্যানসো এবং স্লোভেনিয়ার বেটি হোহলার।

রুবিও বলেন, আইসিসির বিচারক হিসেবে এই চার ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্র বা আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিসির অবৈধ ও ভিত্তিহীন কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। আইসিসি একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে তদন্ত, অভিযোগ গঠন এবং বিচারকাজ চালানোর ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতার যে দাবি তারা করে, তা পুরোপুরি মিথ্যা।’

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনে এ পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক বিচারিক প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা বলে উল্লেখ করেছেন আইসিসি। আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আইসিসি হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যা ‘অকল্পনীয় নৃশংসতার’ শিকার কোটি কোটি ভুক্তভোগীর কাছে ন্যায়বিচার ও আশার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

বিচারপতি বোসা এবং ইবানেজ কারানজা দুজনই ২০১৮ সাল থেকে আইসিসির বেঞ্চে আছেন। ২০২০ সালে তারা আপিল চেম্বারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আইসিসির কৌঁসুলিকে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়।

অবশ্য, ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে তদন্তকে অগ্রাধিকার দেওয়া থেকে সরে আসে। এর পরিবর্তে তারা আফগান সরকার ও তালেবান বাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠা অপরাধের অভিযোগগুলোর ওপর গুরুত্ব দিতে শুরু করে।

গত নভেম্বরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সাবেক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা প্রধান ইয়োভ গ্যালান্ট এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের নেতা ইব্রাহিম আল মাসরির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আইসিসির বিচারপতিরা। মার্কো রুবিও বলেন, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনুমোদনের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন বিচারক আলাপিনি গ্যানসৌ এবং হোহলার।

আইসিসির চার বিচারকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার এ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে আদালতের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের বিদ্বেষ আরও গভীরভাবে প্রকাশ পেয়েছে। ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেও তৎকালীন প্রধান কৌঁসুলি ফাতু বেনসৌদা এবং তার একজন শীর্ষ সহযোগীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ওয়াশিংটন। আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে তদন্তকে কেন্দ্র করে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।

এছাড়া, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে চলতি বছরের জানুয়ারিতে আইসিসিকে শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটিও হয়েছিল। ইসরায়েল সরকারের প্রতি রিপাবলিকানদের জোরালো সমর্থন স্পষ্ট হয়েছিল এ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ৬:২৩ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। শনিবার (৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেনাপ্রধানের স্ত্রীও সঙ্গে ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে তারা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কিছু সময় অতিবাহিত করেন বলে জানা গেছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি লিখেন, ‘ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও তার স্ত্রী।’

উল্লেখ্য, একই দিনে দুপুরে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসানও তার স্ত্রীসহ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ঈদ উপলক্ষে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের এই সাক্ষাৎ ছিল রাষ্ট্রীয় সৌজন্যের অংশ হিসেবে।

ঈদুল আজহার দিনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অতর্কিত হামলা, নিহত ৪২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ৬:১৯ অপরাহ্ণ
ঈদুল আজহার দিনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অতর্কিত হামলা, নিহত ৪২

ঈদুল আজহার দিনেও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় অতর্কিত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। খবর আল জাজিরার।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে নিহত ১৬ জনের মৃতদেহ নগরীর আল নাসের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ছাড়া গাজার উত্তরাঞ্চলে নিহত ১৬ জনের মৃতদেহ নেওয়া হয় আল-শিফা হাসপাতালে।

নগরীর আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে নিহত পাঁচজনের মৃতদেহ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দাইর আল-বালাহ শহরে নিহত আরও পাঁচজনের মৃতদেহ নেওয়া হয় আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে।

দাইর আল-বালাহ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু-আজৌম বলেন, গাজায় ঈদ এমনই দেখা যাচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, গাজায় এ বছর আনন্দের বদলে বোমাবর্ষণ, বাস্তুচ্যুতি ও প্রাণহানির মধ্যে দিয়ে ঈদের দিনটি পার হচ্ছে।

১৯ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এতে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫২ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে লক্ষাধিক। সেই সঙ্গে ঘর ছাড়া হয়েছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো ইয়েমেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ
ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো ইয়েমেন

অবরুদ্ধ গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরাইল অধিকৃত ভূখণ্ডে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে হুথি আনসারুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী। এ হামলার ফলে দখলকৃত ভূখণ্ডে বসবাসরত ইসরাইলি বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় অনেক ইহুদি বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়ে যান।

ইসরাইলি সূত্র নিশ্চিত করেছে, ইয়েমেন থেকে অন্তত একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দখলদার ভূখণ্ডের দিকে ছোড়া হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ইয়েমেনি নেতারা বারবার ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের এ ধরনের হামলা গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাবে এবং গাজাবাসীদের প্রতি সংহতির অংশ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। এটি বৃহত্তর আঞ্চলিক প্রতিরোধ কৌশলের অংশ।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাসসহ ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো ‘আল আকসা ঝড়’ নামে এক আকস্মিক পাল্টা হামলা চালানোর পর থেকে ইসরাইল গাজায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। সেই থেকে ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ স্পষ্টভাবে ফিলিস্তিনের সংগ্রামের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং একাধিকবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়েছে।