খুঁজুন
রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:১৪ পূর্বাহ্ণ
ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক

বাংলাদেশের ইতিহাসে তুমুল জোড়ালো ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকারের পতনের পর অনেক কিছুই পরিবর্তন হচ্ছে। বের হয়ে আসছে অনেক তথ্য। দীর্ঘদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গোপনে রাজনীতি পরিচালনা করে আসা ইসলামী ছাত্র শিবিরও এবার প্রকাশ্যে রাজনীতির ঘোষণা দিয়েছে।

শনিবার হঠাৎ করে নিজের ফেসবুক আইডিতে বার্তা দিয়ে নিজের পরিচয় প্রকাশ করেন হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠক আবু সাদিক কায়েম। নিজের ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছেন, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি।

সমন্বয়কের তালিকায় তার নাম না থাকলেও জুলাই মাসে চলা ছাত্র আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে ছিলেন সাদিক কায়েম। তালিকায় নাম থাকা সমন্বয়কদের সঙ্গে বিভিন্ন ছবিতেও তাকে দেখা গেছে। উপদেষ্টা পরিষদের শপথ অনুষ্ঠানেও বঙ্গভবনেও উপস্থিত ছিলেন সাদিক।

সাদিক কায়েমের পরিচয় প্রকাশের পর এ নিয়ে ফেসবুকজুড়ে চলছে নানা আলোচনার ঝড়। রোববার এক স্ট্যাটাসে প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান লিখেছেন, ‘ছেলেটাকে আমি চিনতাম সালমান নামে, পরিচয় জুলাইয়ের ২৫ তারিখ থেকে, তারপর নিয়মিতই কথা হতো।’ হঠাৎ সালমানের শিবির পরিচয়ে অবাকও হয়েছেন জুলকারনাইন।

তিনি লেখেন, ‘সালমানের প্রকৃত নাম শাদিক কাঁইয়ূম এবং তার রাজনৈতিক পরিচয়, সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সভাপতি। অবশ্যই অবাক হয়েছি, বেশ অবাক হয়েছি।’

মানবাধিকারকর্মী ডা. পিনাকী ভট্টাচার্য বিষয়টি বেশ ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। ঢাবিতে শিবিরের রাজনীতি প্রকাশ্যে শুরু হলে বিরাজনীতিকরণের পরিকল্পনা ঠেকিয়ে দেয়া যাবে বলে মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম শনিবার এক পোস্ট দিয়ে বলেন, সাদিক কায়েম শিবিরের ঢাবি শাখার সভাপতি। দুয়েকদিনের মধ্যে সেক্রেটারিসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রশিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-রাজনীতি নিষিদ্ধের যে আলোচনা চলছে তা নিয়ে গতকাল শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাবি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ১০টি ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। সেখানে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিনিধি হিসেবে সাদিক কায়েমকে দেখা যায়। তখন তিনি সেখানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ না করে এর ব্যাপক সংস্কারের দাবি জানান।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাদিক কায়েম নিজেকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বলে পরিচয় দেন। পরে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্টও দেন তিনি। এই ঘোষণার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক যুগেরও বেশি সময় পর সরব উপস্থিতি জানান দিলো ইসলামী ছাত্রশিবির।

জানা গেছে, সাদিক কায়েম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি খাগড়াছড়ি শহরের বাজার এলাকায়। তার বাবা জেলা শহরের একজন কাপড় ব্যবসায়ী। তার ছোট ভাইও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে।

সাদিক খাগড়াছড়ি বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া আদর্শ মাদ্রাসা থেকে দাখিল এবং পরবর্তীতে চট্টগ্রামের বায়তুশ শরফ থেকে আলিম পাস করেন। এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ৬:২৩ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। শনিবার (৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেনাপ্রধানের স্ত্রীও সঙ্গে ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে তারা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কিছু সময় অতিবাহিত করেন বলে জানা গেছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি লিখেন, ‘ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও তার স্ত্রী।’

উল্লেখ্য, একই দিনে দুপুরে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসানও তার স্ত্রীসহ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ঈদ উপলক্ষে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের এই সাক্ষাৎ ছিল রাষ্ট্রীয় সৌজন্যের অংশ হিসেবে।

ঈদুল আজহার দিনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অতর্কিত হামলা, নিহত ৪২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ৬:১৯ অপরাহ্ণ
ঈদুল আজহার দিনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অতর্কিত হামলা, নিহত ৪২

ঈদুল আজহার দিনেও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় অতর্কিত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। খবর আল জাজিরার।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে নিহত ১৬ জনের মৃতদেহ নগরীর আল নাসের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ছাড়া গাজার উত্তরাঞ্চলে নিহত ১৬ জনের মৃতদেহ নেওয়া হয় আল-শিফা হাসপাতালে।

নগরীর আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে নিহত পাঁচজনের মৃতদেহ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দাইর আল-বালাহ শহরে নিহত আরও পাঁচজনের মৃতদেহ নেওয়া হয় আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে।

দাইর আল-বালাহ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু-আজৌম বলেন, গাজায় ঈদ এমনই দেখা যাচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, গাজায় এ বছর আনন্দের বদলে বোমাবর্ষণ, বাস্তুচ্যুতি ও প্রাণহানির মধ্যে দিয়ে ঈদের দিনটি পার হচ্ছে।

১৯ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এতে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫২ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে লক্ষাধিক। সেই সঙ্গে ঘর ছাড়া হয়েছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো ইয়েমেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ
ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো ইয়েমেন

অবরুদ্ধ গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরাইল অধিকৃত ভূখণ্ডে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে হুথি আনসারুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী। এ হামলার ফলে দখলকৃত ভূখণ্ডে বসবাসরত ইসরাইলি বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় অনেক ইহুদি বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়ে যান।

ইসরাইলি সূত্র নিশ্চিত করেছে, ইয়েমেন থেকে অন্তত একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দখলদার ভূখণ্ডের দিকে ছোড়া হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ইয়েমেনি নেতারা বারবার ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের এ ধরনের হামলা গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাবে এবং গাজাবাসীদের প্রতি সংহতির অংশ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। এটি বৃহত্তর আঞ্চলিক প্রতিরোধ কৌশলের অংশ।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাসসহ ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো ‘আল আকসা ঝড়’ নামে এক আকস্মিক পাল্টা হামলা চালানোর পর থেকে ইসরাইল গাজায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। সেই থেকে ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ স্পষ্টভাবে ফিলিস্তিনের সংগ্রামের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং একাধিকবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়েছে।