খুঁজুন
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ২৮ চৈত্র, ১৪৩১

ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:১৪ পূর্বাহ্ণ
ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক

বাংলাদেশের ইতিহাসে তুমুল জোড়ালো ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকারের পতনের পর অনেক কিছুই পরিবর্তন হচ্ছে। বের হয়ে আসছে অনেক তথ্য। দীর্ঘদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গোপনে রাজনীতি পরিচালনা করে আসা ইসলামী ছাত্র শিবিরও এবার প্রকাশ্যে রাজনীতির ঘোষণা দিয়েছে।

শনিবার হঠাৎ করে নিজের ফেসবুক আইডিতে বার্তা দিয়ে নিজের পরিচয় প্রকাশ করেন হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠক আবু সাদিক কায়েম। নিজের ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছেন, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি।

সমন্বয়কের তালিকায় তার নাম না থাকলেও জুলাই মাসে চলা ছাত্র আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে ছিলেন সাদিক কায়েম। তালিকায় নাম থাকা সমন্বয়কদের সঙ্গে বিভিন্ন ছবিতেও তাকে দেখা গেছে। উপদেষ্টা পরিষদের শপথ অনুষ্ঠানেও বঙ্গভবনেও উপস্থিত ছিলেন সাদিক।

সাদিক কায়েমের পরিচয় প্রকাশের পর এ নিয়ে ফেসবুকজুড়ে চলছে নানা আলোচনার ঝড়। রোববার এক স্ট্যাটাসে প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান লিখেছেন, ‘ছেলেটাকে আমি চিনতাম সালমান নামে, পরিচয় জুলাইয়ের ২৫ তারিখ থেকে, তারপর নিয়মিতই কথা হতো।’ হঠাৎ সালমানের শিবির পরিচয়ে অবাকও হয়েছেন জুলকারনাইন।

তিনি লেখেন, ‘সালমানের প্রকৃত নাম শাদিক কাঁইয়ূম এবং তার রাজনৈতিক পরিচয়, সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সভাপতি। অবশ্যই অবাক হয়েছি, বেশ অবাক হয়েছি।’

মানবাধিকারকর্মী ডা. পিনাকী ভট্টাচার্য বিষয়টি বেশ ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। ঢাবিতে শিবিরের রাজনীতি প্রকাশ্যে শুরু হলে বিরাজনীতিকরণের পরিকল্পনা ঠেকিয়ে দেয়া যাবে বলে মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম শনিবার এক পোস্ট দিয়ে বলেন, সাদিক কায়েম শিবিরের ঢাবি শাখার সভাপতি। দুয়েকদিনের মধ্যে সেক্রেটারিসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রশিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-রাজনীতি নিষিদ্ধের যে আলোচনা চলছে তা নিয়ে গতকাল শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাবি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ১০টি ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। সেখানে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিনিধি হিসেবে সাদিক কায়েমকে দেখা যায়। তখন তিনি সেখানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ না করে এর ব্যাপক সংস্কারের দাবি জানান।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাদিক কায়েম নিজেকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বলে পরিচয় দেন। পরে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্টও দেন তিনি। এই ঘোষণার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক যুগেরও বেশি সময় পর সরব উপস্থিতি জানান দিলো ইসলামী ছাত্রশিবির।

জানা গেছে, সাদিক কায়েম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি খাগড়াছড়ি শহরের বাজার এলাকায়। তার বাবা জেলা শহরের একজন কাপড় ব্যবসায়ী। তার ছোট ভাইও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে।

সাদিক খাগড়াছড়ি বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া আদর্শ মাদ্রাসা থেকে দাখিল এবং পরবর্তীতে চট্টগ্রামের বায়তুশ শরফ থেকে আলিম পাস করেন। এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে।

গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য

গোপনে ঢাকামুখী হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ
গোপনে ঢাকামুখী হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা

পতিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গোপনে দলবদ্ধভাবে ঢাকামুখী হচ্ছেন! গোয়েন্দা সংস্থার হাতে এসেছে এই তথ্য। ধারণা করা হচ্ছে, তারা রাজধানীতে অস্থিরতা তৈরি কিংবা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরাতে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই প্রেক্ষাপটে নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় পুলিশ প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে গেছে।

সরকার পরিবর্তনের পর চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সুযোগে দেশজুড়ে বাড়ছে হত্যা, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, হামলা ও সহিংসতা। এসব দমনে চট্টগ্রামের প্রতিটি থানাকে বিশেষ নির্দেশনায় দেওয়া হয়েছে অপরাধ দমন ও রাজনৈতিক উত্তেজনা মোকাবিলার কৌশল।

পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর চট্টগ্রামে সহিংসতা, দখল, সংঘর্ষ ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক কর্মকাণ্ডে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। একদিকে রাজনৈতিক শূন্যতা, অন্যদিকে পুলিশের দুর্বল মনোবলের সুযোগে এসব অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

গোয়েন্দা পুলিশের একটি গোপন রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকায় শেখ হাসিনাকে ফেরানোর দাবিতে শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের সমবেত হতে বলা হয়েছে। এই তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রামের সব থানাকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিএসবি) থেকে সব থানায় একটি চিঠি পাঠানো হয়। এতে অস্থির পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ সদস্যদের জন্য ৮ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়, যার মধ্যে রয়েছে— সন্দেহভাজনদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ, যাদের নামে মামলা আছে তাদের মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেপ্তার, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসানো, নৌঘাট, রেলস্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডে নজরদারি বাড়ানো, বিএনপি ও জামায়াতপন্থি স্থানীয় নেতাদের সহায়তায় ঢাকামুখী যাত্রা প্রতিহত করা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি করে উসকানিদাতাদের শনাক্তকরণ, অর্থদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, ভাড়ায় চালিত গাড়ি ও স্ট্যান্ডগুলোর ওপর নজর রাখা।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘সরকার পরিবর্তনের সময় কিছুটা ধাক্কা খেলেও এখন পুলিশের মনোবল পুনরুদ্ধার হয়েছে। আমরা নিয়মিত অভিযানে আছি এবং অপরাধে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।’

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মাহমুদা বেগম বলেন, ‘নগরীতে পুট ও নাইট পেট্রোল, নতুন নতুন চেকপোস্ট, এবং মিনি টিম গঠন করে কাজ করা হচ্ছে। যেসব এলাকা অস্থিরতার ঝুঁকিতে আছে, সেখানে বাড়তি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।’

চট্টগ্রাম জেলা ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জুনায়েত কাউছার বলেন, ‘আমি নির্দিষ্ট কোনো চিঠির বিষয়ে নিশ্চিত নই, তবে হুমকি বা গুজব পেলে আমরা নিয়মমাফিক প্রস্তুতি নিই, যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না ঘটে। পুলিশ সবসময় সচেতন ও সতর্ক রয়েছে।’

সিংড়ায় কসমস সংস্থার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

মোঃ কুরবান আলী, সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ
সিংড়ায় কসমস সংস্থার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

নাটোরের সিংড়ায় কান্দিভিটা সমউন্নয়ন মহিলা (kasmas) CLEAN এবং BWGED এর উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সিংড়া উপজেলা চত্বরে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করে নবায়ন যোগ্য জ্বালানির দিকে অগ্রসর হওয়ার দাবি জানানো হয়।

২০১৬ সালে চট্টগ্রামের বাঁশখালী আন্দোলনে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধিতা করার সময় ৬ জন প্রতিবাদকারী নিহত হয়েছিল। তার স্মরণে আয়োজিত প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনে বক্তব্য দেন কসমস সংস্থা নাটোরের নির্বাহী পরিচালক মেহনাজ পারভীন মালা, মোঃ আমিনুল সরকার, মোহাম্মদ ইয়ারত আলী প্রমুখ

প্রতিবাদকারীরা জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ কর করো নবায়নযোগ্য শক্তি আনো স্লোগান ব্যবহার করেন যা জীবাশ্ম জ্বালানো ভিত্তিক প্রকল্পের পরিবেশগত ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির বিষয়টি তুলে ধরে অনুষ্ঠানে বক্তারা সতর্ক করেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা সতর্ক করেন যে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভর শক্তিনিতি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য হুমকি স্বরূপ ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা বৃদ্ধি ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে তারা সরকারকে সৌর ও বায়ু শক্তিতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান যা আরো টেকসই এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক।

বেলকুচিতে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

রেজাউল করিম, স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৩০ পূর্বাহ্ণ
বেলকুচিতে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

আগামী পহেল বৈশাখ ১৪৩২ খিঃ রোজ সোমবার শুভ বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বেলকুচি উপজেলা প্রশাসনের উদ্দোগে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকাল ৩.০০ ঘটিকায় বেলকুচি উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া সুলতানা কেয়া এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতীক মন্ডল, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা ইমাম আলী, উপজেলা যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা রানা ইসলাম, বেলকুচি প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম,  ছাত্র প্রতিনিধি মুসা হাশেমী এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, শিল্পকলা একাডেমির সেক্রেটারি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানেরগন উপস্থিত ছিলেন। 

সভায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেলকুচির বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সামাজিক সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের শ্রেনিপেশার জনসাধারণ কে আগামী পহেলা বৈশাখ রোজ সোমবার সকাল ৯.০০ ঘটিকায় বেলকুচি উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমবেত হয়ে বৈশাখী শোভাযাত্রায় শরিক হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।