খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ২৭ চৈত্র, ১৪৩১

google_news ডিবি হারুনের ‘ক্যাশিয়ার’ মোকাররম ফতুল্লায় গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৪, ১:০৫ অপরাহ্ণ
google_news ডিবি হারুনের ‘ক্যাশিয়ার’ মোকাররম ফতুল্লায় গ্রেপ্তার

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদের ‘ক্যাশিয়ার’ মোকাররম সর্দার আটক হয়েছে। কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা পরিষদের সাবেক এই চেয়ারম্যানকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।

রোববার রাতে ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আলীগঞ্জের সর্দার ভিলা থেকে ডিবি হারুনের এই ক্যাশিয়ারকে গ্রেপ্তার করার পর সোমবার স্থানীয় থানায় সোপর্দ করা হয়।

নিকলী থানার দামপাড়ার মরহুম নুরুল ইসলামের ছেলে মোকাররম সর্দার নিকলী উপজেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান। তিনি ডিএমপির সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদের ‘ক্যাশিয়ার’ হিসেবে পরিচিত।

ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। সাবেক ডিএমপি ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে ২ অক্টোবর দায়ের হওয়া চাঁদাবাজি ও মারধরের মামলায় তিনি এজাহারভুক্ত আসামি। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি এক সময় নিকলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

নারায়ণগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে গত ২ অক্টোবর শাহ আলম নামে এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন। আদালতের নির্দেশে ফতুল্লা থানায় চাঁদা দাবি ও মারধরের ঘটনায় সাবেক ডিএমপি ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। মামলার আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগ নেতা কাউসার আহমেদ পলাশ, মোকাররম, শাহাদৎ হোসেন সেন্টু ও হারুন অর রশীদ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়িক কাজে যাওয়ার সময় পিস্তল ঠেকিয়ে বাদীর সঙ্গে থাকা নগদ ২০ লাখ টাকাসহ জরুরি কাগজপত্র ছিনিয়ে নেন অভিযুক্তরা। এ সময় তারা তাকে অপহরণ করে আলীগঞ্জে মোকাররমের অফিসে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মারধর করে ১০টি অলিখিত চেকের পাতা ও স্ট্যাম্পে সই নেয়া হয়। এ ছাড়া আসামিরা অজ্ঞাত আরও অনেকের সহায়তায় প্রায় সাত কোটি পাঁচ লাখ টাকার সম্পত্তি আত্মসাৎ করে নেন বলে বাদী জানান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোকাররম সর্দারের বাবা নূরুল ইসলাম জীবিকার তাগিদে ৯০ দশকের দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার আলীগঞ্জ এলাকায় আসেন। সেখানে তিনি বড় ছেলে মোকাররমকে সঙ্গে নিয়ে দিনমজুরের কাজ করতেন। এক সময় শ্রমিক লীগ নেতা কাউছার আহম্মেদ পলাশের হাত ধরে লোড-আনলোড শ্রমিক হিসেবে নাম লেখান মোকাররম। এরপর লোড-আনলোডের শ্রমিকদের সর্দার হন তিনি।

ওয়ান-ইলেভেনের সময় কয়েকটি কোম্পানি জাহাজের মালামাল রেখে চলে যায়। ফতুল্লার প্রভাবশালী শ্রমিক লীগ নেতা কাউছার আহম্মেদ পলাশের সহযোগিতায় চাঁদাবাজিসহ জাহাজের মালামাল লুট করে প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক হন মোকাররম।

তথ্য মতে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে হারুন অর রশীদ নারায়ণগঞ্জের এসপি হয়ে এলে মোকাররম সর্দার তার আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে ওঠেন। সেখানে মোকাররম সর্দারের মাধ্যমে হারুন পাথর ও কয়লার ব্যবসার পাশাপাশি জাহাজের পণ্য চোরাইয়ের সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ নেন। এসব থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক হন হারুন।

এ ছাড়া অবৈধ বিভিন্ন সিন্ডিকেটের কাছ থেকে হারুনের হয়ে বিপুল অঙ্কের চাঁদা আদায় করতেন মোকাররম সর্দার। এসব অর্থের একটা বড় অংশ রাখা হতো মোকাররম সর্দারের কাছে। হারুনের এসব টাকা বিভিন্ন ব্যবসায় খাটাতেন মোকাররম। নিজ জেলা কিশোরগঞ্জ সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় মোকাররম সর্দারের মাধ্যমে নামে-বেনামে অন্তত সাতটি ইটভাটা রয়েছে হারুনের। এর বাইরে জেলার বিভিন্ন ইটভাটায় কয়লা সরবরাহের অন্তত শত কোটি টাকার ব্যবসা রয়েছে।

জানা গেছে, সম্প্রতি মোকাররম সর্দারের মাধ্যমে হারুনের ওপর একটি সিনেমা বানানোর প্রজেক্ট হাতে নেয়া হয়েছিল। সিনেমাটির নাম দেয়া হয়েছিল ‘হাওরের মানিক’। সেখানে পুলিশ অফিসার হারুনকে হাওরের মানিক হিসেবে চিত্রায়িত করার কথা ছিল।

গত ২১ মে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোকাররম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ডিবি হারুন কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশকে ব্যবহার করে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে তাকে বিজয়ী করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সিংড়ায় ইসরায়েলী পণ্য বর্জনের আহ্বানে সমাবেশ

মোঃ কুরবান আলী সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৪১ অপরাহ্ণ
সিংড়ায় ইসরায়েলী পণ্য বর্জনের আহ্বানে সমাবেশ

নাটোরের সিংড়ায় ইসরায়েলী পণ্য বর্জনের আহ্বানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার বিকেলে সিংড়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের তৌহিদী জনতার উদ্যোগে চলনবিল গেট এলাকায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সিংড়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুফতি জাকারিয়া মাসউদ এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন সিংড়া পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব তায়েজুল ইসলাম, সিংড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. এমরান আলী রানা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক রবিউল করিম খোকন, হাফেজ ওমর ফারুক, মাওলানা রুহুল আমিন প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে ইসরায়েলী পণ্য বর্জনের লক্ষ্যে জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

পাইকগাছায় রাশেদুজ্জামানের উপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

মোঃ রেজাউল ইসলাম, খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:৩৮ অপরাহ্ণ
পাইকগাছায় রাশেদুজ্জামানের উপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

আজ খুলনার পাইকগাছায় গদাইপুর ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র নতুন বাজার নামক স্থানে রাশেদুজ্জামান রাশেদের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও আওয়ামী দোসরদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন পাইকগাছায় ১ এপ্রিল রাড়ুলী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের দোসর ও কতিপয় চিহিৃত সন্ত্রাসীরা গদাইপুর ইউনিয়নের রাশেদুজ্জামান রাশেদ সহ ছাত্রদের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্যেশ্যে মারাত্মক জখম করে।

বুধবার বিকালে গদাইপুর ইউনিয়নের ব্যানারে পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র নতুন বাজারে পাইকগাছা – খুলনা সড়কে হাজার হাজার নারী পুরুষের উপস্থিতে উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ফসিয়ার রহমান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোঃ শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মোঃ বদিউজ্জামান সরদার, পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হোসেন, সদস্য সরদার ফারুক আহমেদ, শেখ বেনজীর আহমেদ লাল, মোঃ আয়ুব আলী,প্রভাষক আবু সালেহ মোঃ ইকবাল, মাষ্টার বাবর আলী গোলদার,মোঃ জামিলুর রহমান রানা, মোঃ মোস্তফিজুর রহমান লিপটন,মোঃ মোখলেছুর রহমান কাজল।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ সোহেল রাশেদ জনি, ইউপি সদস্য আবু হাসান,মোঃ সুজায়েত গাজী, মোঃ নাজমুল হাসান, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,মোঃ আল আমিন, মোঃ মিজানুর রহমান, জবেদ আলী গাজী, মোঃ জসিম প্রমুখ।

মাফিয়া তাপসের সন্ধান দিলেন ডিবি হারুন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ২:৪৪ অপরাহ্ণ
মাফিয়া তাপসের সন্ধান দিলেন ডিবি হারুন

সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিতর্কিত মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের অবস্থান নিয়ে জনমনে চরম কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে তিনি দেশে আছেন না কি বিদেশে গা ঢাকা দিয়েছেন, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে।

অনেক মন্ত্রী, এমপি এবং রাজনীতিবিদরা সরকারের পতনের আগে থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন। কিছুদিন আগেও এমন কিছু ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হলেও বেশিরভাগই আত্মগোপন করেছে, এবং কেউ কেউ বিদেশে চলে গেছে। এর মধ্যে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, শেখ ফজলে নূর তাপস কোথায় আছেন।

সম্প্রতি কানাডার নাগরিক টিভির বার্তা প্রধান নাজমুস সাকিব তার একটি প্রতিবেদনে ডিবি পুলিশের হারুন এর একটি কল রেকর্ড প্রচার করেছেন, যেখানে ডিবি হারুন দাবি করেছেন, শেখ ফজলে নূর তাপস বর্তমানে সিঙ্গাপুরে আছেন।

এই পরিস্থিতির মধ্যে, শেখ ফজলুর রহমান তাপসের বিরুদ্ধে কিছু বিতর্কিত অভিযোগও রয়েছে। ১৫ বছর আগে পিলখানা বিদ্রোহে রাজনীতি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দায়ী করার দাবি করেছেন মেজর শাকিলের ছেলে রাকিন আহমেদ। এ ছাড়া ২০২৩ সালে তিনি ১০০ কোটি টাকা মানহানি মামলা করেছিলেন।

শেখ ফজলুর রহমান তাপসের বিরুদ্ধে গাছ কাটা নিয়ে নানা সমালোচনা এবং বেওয়ারিশ কুকুর অপসারণ পরিকল্পনা নিয়ে বিপুল বিতর্কও ছিল। এর আগে ২০২১ সালে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন তাপসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন যে, তিনি দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের শত শত কোটি টাকা তার ব্যক্তিগত ব্যাংক, মধুমতী ব্যাংকে স্থানান্তর করেছেন।

এছাড়া, ২০২৩ সালে, তাপস একটি প্রধান বিচারপতিকে নামানোর বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন, যা ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করে।

এসব বিতর্কের মধ্যেই, তাপসের অবস্থান এবং তার ভবিষ্যত নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা চলছে।