খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, স্বামী পলাতক

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯:১৮ অপরাহ্ণ
স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, স্বামী পলাতক

গাজীপুরের শ্রীপুরে নিজের বাড়িতে স্ত্রীকে অন্য পুরুষের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে দুজনকেই দারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এতে অভিযুক্ত যুবক ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন। স্ত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ দিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত যুবক পলাতক রয়েছেন।

আজ সোমবার দুপুরে শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চন্নাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো বটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নিহতের নাম—আশরাফুল ইসলাম (৩০)। তিনি দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার পলি বটতলী গ্রামের আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এসএস ফ্যাশন নামক একটি কারখানা পরিচালনা করেন।

গুরুতর আহত হয়েছেন তাসলিমা খাতুন (২৮)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের আজিজুল হকের স্ত্রী। তাসলিমা নিহত আশরাফুলের কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন।

এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হলেন আজিজুল হক (৩০)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। আজিজুল হক পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়া গ্রামে জমি কিনে বাড়ি করে বসবাস করছেন।

নিহত আশরাফুল ইসলামের শ্যালক আশরাফুল আলম বলেন, ‘আনুমানিক সাত বছর যাবৎ দুলাভাই আমার বোন ফাতেমাকে নিয়ে শ্রীপুরে থাকেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে আনামনি নামে দুই বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। দুলাভাই চন্নাপাড়া গ্রামে এসএস ফ্যাশন নামে একটি কারখানা পরিচালনা করেন। আজ দুপুরে স্থানীয়রা ফোন করে বিষয়টি আমাকে জানালে আমি ঘটনাস্থলে এসে দেখি-আজিজুল হকের ঘরের মেঝেতে দুলাভাইয়ের গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে। পাশেই পড়ে রয়েছে ধারালো একটি বটি।’

তিনি আরও বলেন, ‘গুরুতর আহত নারী তাসলিমা দুলাভাইয়ের কারখানায় চাকরি করেন। তবে কি কারণে দুলাভাইকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে, সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’

চন্নাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোস্তফা কামাল জানান, আশরাফুলের পোশাক কারখানায় চাকরি করেন আজিজুলের স্ত্রী তাসলিমা। নিজের কারখানায় চাকরির সুবাদে আজিজুল বাড়িতে না থাকলে প্রায়ই কারখানা থেকে তাসলিমাকে নিয়ে বাড়িতে আসতেন আশরাফুল। তাসলিমার স্বামী আজিজুল না থাকায় আজও তার বাড়িতে আসেন আশরাফুল। দুপুরের দিকে আজিজুল বাড়ি এসে ঘরের দরজা বন্ধ পায়। এরপর অনেক ডাকাডাকি করে ঘরের দরজা খোলার পর আশরাফুলকে ঘরে দেখতে পায়।

স্থানীয় বাসিন্দা মনির হোসেন বলেন, ‘আজিজুলের বাড়ি থেকে চিৎকার শুনে আমরা ঘটনাস্থলে দৌড়ে আসি। আসতে আজিজুল দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে দেখি আশরাফুলের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ দেখতে পাই। মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক আঘাতসহ গলাকাটা রয়েছে। তাসলিমাকে রক্তাক্ত আহত অবস্থায় দেখতে পাই। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে তারা এসে মরদেহ নিয়ে যায় এবং তাসলিমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।’

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত এক নারীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত আশরাফুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আশরাফুলের শরীরে বিভিন্ন স্থানে কোপানোর আঘাত রয়েছে। তাঁর অণ্ডকোষ ও পুরুষাঙ্গের বেশির ভাগ অংশ ও গলা কাটা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে একটি ধারালো বটি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই খুনি পলাতক রয়েছে। প্রাথমিকভাবে স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।