খুঁজুন
শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, স্বামী পলাতক

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯:১৮ অপরাহ্ণ
স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, স্বামী পলাতক

গাজীপুরের শ্রীপুরে নিজের বাড়িতে স্ত্রীকে অন্য পুরুষের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে দুজনকেই দারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এতে অভিযুক্ত যুবক ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন। স্ত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ দিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত যুবক পলাতক রয়েছেন।

আজ সোমবার দুপুরে শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চন্নাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো বটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নিহতের নাম—আশরাফুল ইসলাম (৩০)। তিনি দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার পলি বটতলী গ্রামের আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এসএস ফ্যাশন নামক একটি কারখানা পরিচালনা করেন।

গুরুতর আহত হয়েছেন তাসলিমা খাতুন (২৮)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের আজিজুল হকের স্ত্রী। তাসলিমা নিহত আশরাফুলের কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন।

এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হলেন আজিজুল হক (৩০)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। আজিজুল হক পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়া গ্রামে জমি কিনে বাড়ি করে বসবাস করছেন।

নিহত আশরাফুল ইসলামের শ্যালক আশরাফুল আলম বলেন, ‘আনুমানিক সাত বছর যাবৎ দুলাভাই আমার বোন ফাতেমাকে নিয়ে শ্রীপুরে থাকেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে আনামনি নামে দুই বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। দুলাভাই চন্নাপাড়া গ্রামে এসএস ফ্যাশন নামে একটি কারখানা পরিচালনা করেন। আজ দুপুরে স্থানীয়রা ফোন করে বিষয়টি আমাকে জানালে আমি ঘটনাস্থলে এসে দেখি-আজিজুল হকের ঘরের মেঝেতে দুলাভাইয়ের গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে। পাশেই পড়ে রয়েছে ধারালো একটি বটি।’

তিনি আরও বলেন, ‘গুরুতর আহত নারী তাসলিমা দুলাভাইয়ের কারখানায় চাকরি করেন। তবে কি কারণে দুলাভাইকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে, সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’

চন্নাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোস্তফা কামাল জানান, আশরাফুলের পোশাক কারখানায় চাকরি করেন আজিজুলের স্ত্রী তাসলিমা। নিজের কারখানায় চাকরির সুবাদে আজিজুল বাড়িতে না থাকলে প্রায়ই কারখানা থেকে তাসলিমাকে নিয়ে বাড়িতে আসতেন আশরাফুল। তাসলিমার স্বামী আজিজুল না থাকায় আজও তার বাড়িতে আসেন আশরাফুল। দুপুরের দিকে আজিজুল বাড়ি এসে ঘরের দরজা বন্ধ পায়। এরপর অনেক ডাকাডাকি করে ঘরের দরজা খোলার পর আশরাফুলকে ঘরে দেখতে পায়।

স্থানীয় বাসিন্দা মনির হোসেন বলেন, ‘আজিজুলের বাড়ি থেকে চিৎকার শুনে আমরা ঘটনাস্থলে দৌড়ে আসি। আসতে আজিজুল দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে দেখি আশরাফুলের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ দেখতে পাই। মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক আঘাতসহ গলাকাটা রয়েছে। তাসলিমাকে রক্তাক্ত আহত অবস্থায় দেখতে পাই। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে তারা এসে মরদেহ নিয়ে যায় এবং তাসলিমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।’

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত এক নারীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত আশরাফুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আশরাফুলের শরীরে বিভিন্ন স্থানে কোপানোর আঘাত রয়েছে। তাঁর অণ্ডকোষ ও পুরুষাঙ্গের বেশির ভাগ অংশ ও গলা কাটা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে একটি ধারালো বটি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই খুনি পলাতক রয়েছে। প্রাথমিকভাবে স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ৬:২৩ অপরাহ্ণ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক সাক্ষাৎ

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। শনিবার (৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেনাপ্রধানের স্ত্রীও সঙ্গে ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে তারা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কিছু সময় অতিবাহিত করেন বলে জানা গেছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি লিখেন, ‘ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও তার স্ত্রী।’

উল্লেখ্য, একই দিনে দুপুরে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসানও তার স্ত্রীসহ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ঈদ উপলক্ষে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের এই সাক্ষাৎ ছিল রাষ্ট্রীয় সৌজন্যের অংশ হিসেবে।

ঈদুল আজহার দিনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অতর্কিত হামলা, নিহত ৪২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ৬:১৯ অপরাহ্ণ
ঈদুল আজহার দিনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অতর্কিত হামলা, নিহত ৪২

ঈদুল আজহার দিনেও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় অতর্কিত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। খবর আল জাজিরার।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে নিহত ১৬ জনের মৃতদেহ নগরীর আল নাসের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ছাড়া গাজার উত্তরাঞ্চলে নিহত ১৬ জনের মৃতদেহ নেওয়া হয় আল-শিফা হাসপাতালে।

নগরীর আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে নিহত পাঁচজনের মৃতদেহ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দাইর আল-বালাহ শহরে নিহত আরও পাঁচজনের মৃতদেহ নেওয়া হয় আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে।

দাইর আল-বালাহ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু-আজৌম বলেন, গাজায় ঈদ এমনই দেখা যাচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, গাজায় এ বছর আনন্দের বদলে বোমাবর্ষণ, বাস্তুচ্যুতি ও প্রাণহানির মধ্যে দিয়ে ঈদের দিনটি পার হচ্ছে।

১৯ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এতে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫২ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে লক্ষাধিক। সেই সঙ্গে ঘর ছাড়া হয়েছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো ইয়েমেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ
ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো ইয়েমেন

অবরুদ্ধ গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরাইল অধিকৃত ভূখণ্ডে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে হুথি আনসারুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী। এ হামলার ফলে দখলকৃত ভূখণ্ডে বসবাসরত ইসরাইলি বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় অনেক ইহুদি বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়ে যান।

ইসরাইলি সূত্র নিশ্চিত করেছে, ইয়েমেন থেকে অন্তত একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দখলদার ভূখণ্ডের দিকে ছোড়া হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ইয়েমেনি নেতারা বারবার ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের এ ধরনের হামলা গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাবে এবং গাজাবাসীদের প্রতি সংহতির অংশ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। এটি বৃহত্তর আঞ্চলিক প্রতিরোধ কৌশলের অংশ।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাসসহ ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো ‘আল আকসা ঝড়’ নামে এক আকস্মিক পাল্টা হামলা চালানোর পর থেকে ইসরাইল গাজায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। সেই থেকে ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ স্পষ্টভাবে ফিলিস্তিনের সংগ্রামের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং একাধিকবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়েছে।