তুমুল বিতর্কিত অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন তাঁর সৎ মা নিশি ইসলাম-কে নিয়ে দায়ের করা এক প্রতারণা মামলায় বিপাকে পড়তে যাচ্ছেন। পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একইসঙ্গে, মামলার বাদী মাহিন আফরোজ শিঞ্জন (শাওনের বোন)-এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
২০২৪ সালের ৫ এপ্রিল, মাহিন আফরোজ শিঞ্জন বাড্ডা থানায় অভিযোগ করেন- নিশি ইসলাম ও আল মাহফুজ খান তাঁর বাবাকে প্রতারণার মাধ্যমে জোর করে বিয়ে করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা পরিচয়, ভয়ভীতি ও অর্থ আদায়ের অভিযোগ তোলেন তিনি।
তদন্তে উঠে আসে, নিশি ইসলাম ও আল মাহফুজ খান একসময় দাম্পত্য সম্পর্কে আবদ্ধ থাকলেও ২০২৩ সালের মে মাসে তাদের বিচ্ছেদ হয়। পরে ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী (শাওনের বাবা) নিজের ইচ্ছায় ম্যারেজ মিডিয়ার মাধ্যমে নিশি ইসলামের সঙ্গে পরিচিত হন এবং পরস্পরের সম্মতিতে ২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিয়েটি ছিল “হাস্যোজ্জ্বল পরিবেশে, স্বেচ্ছায় সম্পন্ন” এবং অর্থ আদায়ের অভিযোগও অসত্য। এ মামলায় পুলিশ নিশি ইসলামকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
এছাড়া, মামলার সাক্ষীরা শাওনের বোন ও বন্ধুবান্ধব হওয়ায়, তারা নিরপেক্ষ ছিলেন না বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, চলতি বছরের ১৩ মার্চ নিশি ইসলাম হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে শাওনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় শাওনের বাবা, বোন, স্বামীসহ পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা ও আত্মীয়-স্বজনকেও আসামি করা হয়।
২২ এপ্রিল আদালত এই মামলার শুনানি গ্রহণ করে দুই পুলিশ সদস্যকে জামিন দেন এবং বাকি ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে আদালত অভিনেত্রী শাওন ও সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
প্রতারণা মামলার পরবর্তী শুনানি: ১০ জুলাই ২০২৫, নিশি ইসলামের মামলার পরবর্তী তারিখ: ১ জুলাই ২০২৫
নিশি ইসলাম জানান, “আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। আমি বিচার চাই।”
অন্যদিকে, শাওনের বোন মাহিন আফরোজ সাংবাদিকদের বলেন, “বিষয়টি এখন আদালতের বিবেচনায়। এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না।”
আপনার মতামত লিখুন