খুঁজুন
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৫ বৈশাখ, ১৪৩২

২ তারিখের কথা বলে ৬ তারিখে মামলা

মিথ্যা বক্তব্যের জালে ফেঁসে যাচ্ছেন ভেড়ামারা থানা পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪, ৯:০২ অপরাহ্ণ
মিথ্যা বক্তব্যের জালে ফেঁসে যাচ্ছেন ভেড়ামারা থানা পুলিশ

নিরপরাধ পথচারীকে মামলার জালে ফাঁসাতে গিয়ে এবার নিজেই ফেঁসে যাচ্ছেন ভেড়ামারা থানার ওসি শেখ শহিদুল ইসলাম। গত ৬ নভেম্বর রাতে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগ দেখিয়ে কারসাজি করে নিরীহ পথচারীদের আটক করে। সে-সময় তাদের বৈধ মোটরসাইকেলটি জব্দ করে বৈধ কাগজপত্র অবৈধ বলে মিথ্যা মামলার এজাহারে নামভুক্ত করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন ওসি শেখ শহিদুল ইসলাম। যা নিয়ে ১০ নভেম্বর সংবাদ প্রকাশ করা হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। অবশেষে ঘটনার অনুসন্ধানে ভেড়ামারা থানার ৩ অফিসার সহ ওসি নিজেই আটকে গিয়েছেন মিথ্যা বক্তব্যের গেঁড়াকলে।

ঘটনার বিষয়ে ২ নভেম্বর ভেড়ামারা থানা পুলিশ বিভিন্ন গণমাধ্যমকে ব্রিফ করেন। জাতীয় পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদ মোতাবেক ‘বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে। আসামিদের শনাক্ত করতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করে পুলিশ অভিযান শুরু করে।

প্রকাশিত সংবাদের দিন থানার ওসি প্রায় অর্ধশত গণমাধ্যমে বলেন, “গত ৩১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার রাত ২টা ৪০ মিনিটের দিকে ভেড়ামারা থানার ভেতরের গ্যারেজ থেকে তিনটি মোটরসাইকেল চুরি করে চোর চক্রের সদস্যরা। ভেড়ামারা থানা পুলিশের এসআই আলামিন, কনস্টেবল সোহেল ও মাসুদ থানার গ্যারেজে মোটরসাইকেল রেখে কাজ করছিলেন। পরে গ্যারেজে ফিরে দেখতে পান মোটরসাইকেল তিনটি নেই। মোটরসাইকেলের ঘাড় লক করা থাকলেও চোরেরা আনলক করে তাদের ১৫০ সিসির বাজাজ পালসার ব্র্যান্ডের তিনটি মোটরসাইকেল নিয়ে যায়।”

ওসি শেখ শহিদুল ইসলাম তখন আরও বলেন, “এ ঘটনায় থানায় একটি চুরির মামলা হয়েছে। মোটরসাইকেল উদ্ধার ও চোর চক্রের সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

অর্থাৎ থানার ওসির বক্তব্য মোতাবেক ৩১ অক্টোবর থানা থেকে মোটরসাইকেল ৩টি চুরি হলে ২ নভেম্বর থানায় ১টি চুরির মামলা দায়ের হয়। আর সেই অনুযায়ী থানা পুলিশ অভিযান শুরু করে।

কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, ইত্তেফাক, আজকের পত্রিকা, বাংলাদেশ বুলেটিন, ঢাকা ট্রিবিউন, ঢাকা পোস্ট, সময়ের কন্ঠস্বর, যায়যায় দিন, চ্যানেল ২৪, আরটিভি, সময় টিভি, ডিবিসি নিউজ সহ প্রায় অর্ধশত জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত বক্তব্যের সাথে মামলার এজাহারের তারিখের কোনো মিল নেই।

মূলত ২ তারিখে থানায় কোনো চুরির মামলা না হলেও ওসি গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন। অর্থাৎ প্রকৃত ঘটনা গোপন রেখে ওসি ও পুলিশ সদস্যরা ওঁৎ পেতে ছিলেন কখন নিরীহ পথচারী পাওয়া যাবে এবং তাদের থেকে ফায়দা হাসিল করা যাবে। এটাকে বলা যায়, দায়মুক্তির জন্য উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে নিরীহ মানুষকে ফাঁসানো।

ঘটনার বিষয়ে জানতে ভেড়ামারা থানার ওসি শেখ শহিদুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘তাদেরকে সন্দেহভাজন হিসেবে ধরা হয়েছে। তারাই যে মোটরসাইকেল চুরি করেছে, আমরা সেটা বলছি না। গণমাধ্যমে আমি বলিনি যে ২ তারিখে মামলা হয়েছে। তারা হয়তো এমনিতেই লিখেছে।’
মূলত গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের তারিখের বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য না দিয়ে এড়িয়ে যান তিনি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শুভকে ফোন করতে বলেন ওসি।

সেই মোতাবেক ফোন করা হয় এসআই শুভকে। শুরুতে বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে রাজি হননি এসআই শুভ। বারংবার অনুরোধ করলে তিনি বলেন, দেখেন মামলাটি এখনো বিচারাধীন। তদন্তের স্বার্থে আমরা ফোনে কথা বলতে চাচ্ছি না। তাছাড়া যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা মোটরসাইকেল চুরি করেছে কি না, সেটা আদালত দেখবে। আমি সাক্ষাতে আপনাদেরকে যতটুকু পারি তথ্য দেয়ার চেষ্টা করবো।’ এই বলে এসআই শুভ ফোন কেটে দেন।

জাতীয় টেলিভিশন, বাঘা বাঘা পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের তারিখের বিষয়ে ওসি কিভাবে অস্বীকার করেন তা জানতে যোগাযোগ করা হয় সংশ্লিষ্ট কিছু গণমাধ্যমে। ওসির বক্তব্যের বিষয়ে গণমাধ্যমগুলো বলেন, ‘গণমাধ্যম হলো একটি জাতির বিবেগ। আমরা কারো বক্তব্য না নিয়ে কখনোই তা লিখবো না। হয়তো ওসি তার কর্মকান্ড এড়িয়ে যেতেই বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। আমরা ওসির সাথে কথা বলেই সংবাদ প্রকাশ করেছি।’

বলা বাহুল্য,
ঘটনার সূত্রপাত গত ৩০ অক্টোবর ভেড়ামারা থানায় ৩টি মোটরসাইকেল চুরিকে কেন্দ্র করে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, “৩ জন অজ্ঞাতনামা চোর গত ৩০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে রাত ৮টা ৫ মিনিটে থানার কম্পাউন্ডের সেডে প্রবেশ করে এবং ৩১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে রাত ২ টা ৩৯ মিনিটে থানার ৩ টি মটর সাইকেল চুরি করে পালিয়ে যায়।”

অর্থাৎ পুলিশের কারসাজি মোতাবেক, কথিত চোর টানা ৬ ঘন্টা থানায় বিশ্রাম করছিলেন এবং পুলিশ হয়তো নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। যার কারণে ৬ ঘন্টার মধ্যে কেউই চোরদের দেখেনি।

ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর অভিযোগ, ‘যেদিন থানা থেকে মোটরসাইকেল চুরি হয় সেদিন পুলিশ কোথায় ছিলো ? চোর যদি ৬ ঘন্টা থানা কম্পাউন্ডের ভেতরে থাকে, তাহলে পুলিশের কেউ দেখলো না ? আর যখন জানাজানি হলো যে, মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে, তখন থানায় কোনো মামলা হলো না কেনো ? তারমানে পুলিশের মাঝে নিশ্চিত সমস্যা আছে। হয়তো তারা চিন্তা করেই রেখেছিল, এই মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় পথচারীদের আটক করে ইচ্ছামতো ঘুষ, জরিমানা আদায় সহ সুবিধামতো ফায়দা হাসিল করা যাবে।’

ঘটনার অনুসন্ধান ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, থানার বাইক হারিয়েছে ৩১ অক্টোবর। আর সেই রেশ ধরে ৩ জনকে আটক করা হয় ৬ নভেম্বর রাত আনুমাকি ১১টা ৪৫ মিনিটে। মূলত ওমর ফারুকের সাথে থাকা তার নিজস্ব ১৫০ সিসির নিবন্ধিত পালসার মোটরসাইকেলটিকে অনিবন্ধিত বলে চুরির অভিযোগ দেয়। এমনকি মামলার এজাহারে তার নিবন্ধিত বৈধ মোটরসাইকেল অবৈধ বলে জব্দ করে এবং মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে ৭ নভেম্বর কোনোপ্রকার তদন্ত ছাড়াই ওমর ফারুক, জামিল খান এবং হৃদয়কে উক্ত মামলায় ফাঁসানো হয়। তাদের পরিবারকে কোনো কিছু জানতে না দিয়ে তাদেরকে থানায় জিম্মি করে রেখে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, মোঃ ওমর ফারুক (২৯) বাড়িতে মুরগীর খামাড় দেখাশোনা করে। গত ৬ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে তার নিজস্ব রেজিষ্ট্রেশন করা একটি ১৫০ সিসির পালসার বাইক নিয়ে ভেড়ামারায় যান অন্যান্য মুরগির খামারে ভ্যাকসিন দিতে। কাজ শেষ করতে রাত হলে ওমর ফারুক তার ২জন বন্ধুর সহায়তা নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করে। আনুমানিক রাত ১১ টা ৪৫ এর সময় পুলিশ তাদের ২ জন বন্ধু সহ বাইক আটক করে এবং রেজিষ্ট্রেশন করা বাইক টি রেজিষ্ট্রেশন বিহীন বলে থানায় জব্দ করে। এরপর মোটর সাইকেল চুরির মামলায় অজ্ঞাত নামা আসামি করে কৌর্টে চালান করে।

গোপন সূত্রে আরো জানা যায়, আটক করার পর এএসআই আল আমিন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং এএসআই এনামুল একজনকে মারপিট শুরু করে। এরপর থানার মটরসাইকেল চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মোবাবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে মারতে মারতে ওমর ফারুক সহ সবাইকে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে পরিবারের কারো সাথে যোগাযোগ না করে একপ্রকার জিম্মি করে রাখে তাদেরকে।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে একজন অভিযোগ করেন, “এএসআই আলামিন বলে ‘আমাদের চুরি হওয়া মটরসাইকেলের দাম ৬,০০,০০০ (ছয় লক্ষ) টাকা দিয়ে দে। তাহলে তোকে এবং তোদের কে ছেড়ে দিবো। মূলত এএসআই আলামিনকে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আলামিন এবং এএসআই এনামুল বলে শালাদের মামলা দিয়ে শুভ (এসআই শুভ মামলার তদন্তকারী অফিসার) কে দিয়ে রিমান্ডে নিয়ে এসে মারপিট করলেই টাকা এবং গাড়িও পাওয়া যাবে।”

আটককৃতদের এক ভাই বলেন, “যেহেতু থানার মটর সাইকেল চুরির সিসি ফুটেজ আছে। সেহেতু প্রকৃত চোর না ধরে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্যই মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার নিরিহ ভাইকে এসআই শুভ (মামলার তদন্তকারী অফিসার) রিমান্ডের হুমকি দিয়ে জেল হাজতে প্রেরন করে এবং আমার ভাইয়ের বৈধ মটর সাইকেলটি চুরির মটর মাইকেল বলে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধমে ছড়িয়ে দেয়। পরর্বতীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দিয়েই আমি আমার ছোট ভাইয়ের সন্ধান পাই। মূলত আমার ছোট ভাই মোঃ ওমর ফারুক ভেড়ামারা বিভিন্ন মুরগির খামাড়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য এবং মুরগি দেখাশোনার জন্য যায় এবং ফিরতে রাত হলে তার বন্ধুদের সহযোগিতা নেয়। পরে রাস্তায় তাদের আটক করে উল্লেখিত অফিসারেরা এই এঘটনা ঘটায়। তাছাড়া সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী উক্ত মিথ্যা মামলার কোনপ্রকার মিল নেই।”

এবিষয়ে জানতে ভ্যাকসিন দিতে যাওয়া এলাকার বিভিন্ন খামারিদের সাথে কথা হয় গণমাধ্যম কর্মীদের। তারা বলেন, “ওমর ফারুক নিয়মিতই আমাদের এলাকায় মুরগির খামারে ভ্যাকসিন দিতে আসে। অনেক সময় রাত হলে তার পরিচিত বা বন্ধুদের নিয়ে বাসায় ফিরে। তাছাড়া তার নিজেরই একটা পালসার বাইক আছে। এটা করেই ফারুক নিয়মিত যাতায়াত করে। সেখানে অন্যের বাইক চুরির প্রশ্নই ওঠে না। পুলিশ তাদেরকে কেনো আটক করলো এবং কেনো মামলা দিয়ে জেলে পাঠালো তা আমাদের মাথায় ঢুকছে না।”

খামারিরা অভিযোগ করে বলেন, “খবর শুনে আমরা থানায় যায় এবং ওসি মহোদয়ের সাথে কথা বলি। আমরা বিস্তারিত বলে ওসি সাহেবকে বোঝায় যে, ওমর ফারুক নিয়মিত এই ভ্যাকসিনের কাজ করে এবং প্রায়শই তার ফিরতে রাত হয়। তাছাড়া এই মোটরসাইকেলও ওমর ফারুকের। তাই বাইকের কাগজপত্র যাচাই করে তাদেরকে ছেড়ে দিন। কিন্তু ওসি সাহেব মোটরসাইকেলের কাগজপত্র চেক না করেই বলেন এটা চোরাই, অবৈধ এবং রেজিষ্ট্রেশন বিহীন গাড়ি। আমরা তাদেরকে আটক করেছি, এখন ছাড়বো না। আগামীকাল আদালতে গিয়ে তাদেরকে ছাড়িয়ে আনবেন।”

সিরাজগঞ্জে র‍্যাব-১২ এর অভিযানে গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:৪৪ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে র‍্যাব-১২ এর অভিযানে গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জে র‌্যাব-১২ এর অধিনায়কের দিকনির্দেশনায় এবং র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় অদ্য ১৭ এপ্রিল ২০২৫ খ্রিঃ, রাত্রী ০৪.২০ ঘটিকায় র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল “সিরাজগঞ্জ জেলার যমুনা সেতু পশ্চিম থানাধীন গোলচত্বর এলাকায় পাকা রাস্তার উপর” একটি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১৭ কেজি গাঁজাসহ ০২ জন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

এছাড়াও তাদের সাথে থাকা গাঁজা ক্রয়-বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত ০২টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয় ১। মোঃ আবুল হাসান পূর্বনাম শ্রী প্রান্তনাথ (২৭), পিতা- শ্রী সুনীল চন্দ্রনাথ, স্থায়ী সাং- জিরি, থানা- পটিয়া, জেলা- চট্রগ্রাম, বর্তমান সাং- রসুলপুর, থানা- মাধবপুর, জেলা- হবিগঞ্জ, ২। মোঃ আশরাফুল ইসলাম (৩৪), পিতা- মৃত নুরুল ইসলাম, সাং- মোরোলো আজাপাড়া, থানা- ধামইরহাট, জেলা- নওগাঁ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামিদ্বয় দীর্ঘদিন যাবৎ লোকচক্ষুর আড়ালে নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য গাঁজা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করে বিভিন্ন জেলায় ক্রয় বিক্রয় করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয়ের বিরুদ্ধে যমুনা সেতু পশ্চিম থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বেলকুচি শ্রীমন্মহাপ্রভূর আখড়ার নব গঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:০৮ অপরাহ্ণ
বেলকুচি শ্রীমন্মহাপ্রভূর আখড়ার নব গঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত

সিরাজগঞ্জের বেলকুচির পৌর সদরে অবস্থিত বেলকুচি শ্রীমন্মাহাপ্রভুর আখড়ার নব গঠিত মূল কমিটির অভিষেক, সংবর্ধনা ও শপথ পাঠ এবং প্রভূপাদ রঞ্জন গোস্বামীর পরলোক গমন হেতু স্বরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকালে অত্র কেন্দ্রীয় মন্দির প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বেলকুচি শ্রীমন্মহাপ্রভূর আখড়ার সাধারন সম্পাদক শ্রী দুলাল চন্দ্র মজুমদারের সঞ্চালনায় ও সভাপতি শ্রী হেমেন্দ্র নাথ চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জের বাহুকা কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পরম বৈষ্ণব সমর কুমার মন্ডল।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, বেলকুচি শ্রীমন্মহাপ্রভূর আখড়ার সহ-সভাপতি নিমাই চন্দ্র সাহা, সুব্রত পাল (এস পাল), বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বেলকুচি উপজেলা শাখার সভাপতি জয় শংকর সাহা, সাধারণ সম্পাদক রনি কুমার মিত্র, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বেলকুচি উপজেলা শাখার সভাপতি বৈদ্য নাথ রায়, সাধারণ সম্পাদক অমৃত নারায়ন দে, বেলকুচি শ্রীমন্মহাপ্রভূর আখড়ার সহ-সভাপতি অসিত ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক নিখিল সাহা, কোষাধ্যক্ষ নিতাই সাহা প্রমূখ।

এসময় প্রভূপাদ রঞ্জন গোস্বামীর পরলোক গমন হেতু স্বরণ সভায় তার আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন ও দেশ ও সমাজের কল্যাণ ও শান্তি কামনায় প্রার্থনা করা হয়।

সিরাজগঞ্জে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয়দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:০৫ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয়দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ

সিরাজগঞ্জ শহরে ছয় দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রায় ৭’শতাধিক শিক্ষার্থী।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বেলা ১১ থেকে পৌনে ১২ টা পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র বাজার স্টেশন এলাকার  নিউ ঢাকা রোডের রেলগেট এলাকা এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এতে ওই এলাকায় সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরমভাবে  জনদূর্ভোগের সৃষ্টি হয়। 

এ সময় শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। পরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনোয়ার হোসেন ও সদর আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মারুফ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন।

বিক্ষোভ রত শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১৮ মার্চ হাইকোর্টের নির্দেশে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা প্রয়োগ করে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে পদোন্নতির আদেশ দেন।  এতে কারিগরি শিক্ষায় ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ন্যায্য অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং পেশাগত বৈষম্য আরও গভীর হয়েছে। এজন্য আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছে।

তাদের ৬ দফা দাবিগুলো হলো—- ৩০ শতাংশ কোটা বাতিল; কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিতদের দিয়েই কারিগরি পদে নিয়োগ; বিভাগীয় শহরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন; প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ; প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে আবেদন করতে সুযোগ দেয়া এবং জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদের যোগ্যতা হিসেবে বাধ্যতামূলকভাবে ডিপ্লোমা ডিগ্রি নির্ধারণ।

সিরাজগঞ্জ আর্মি ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুনায়েদ বিন কবির জানান, এত ছাত্রের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের এই সড়ক অবরোধের বিষয়টি পূর্বে থেকে আমাদের জানা ছিল না। যে কারণে ওই সড়কে চলাচল কারীদের  দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। পরে আর্মি ক্যাম্পের একটি পেট্রোল টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং পুলিশের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করে।