খুঁজুন
শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

বিতর্কিত মেয়ের অশ্লীল কান্ড

একসাথে দুই স্বামীকে ম্যানেজ করেই সংসার করতো জান্নাতুল

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৯:৫৭ অপরাহ্ণ
একসাথে দুই স্বামীকে ম্যানেজ করেই সংসার করতো জান্নাতুল

সম্প্রতি রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নে একই সময় দুই স্বামীর সঙ্গে সংসার করা নিয়ে বিতর্কিত জান্নাতুল ফেরদৌসের ঘটনা এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। জান্নাতুল প্রথম স্বামী ইউটিউবার সাগর শেখের সঙ্গে গোপনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। পরে পরিবারের চাপে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। প্রায় দুই বছর বিষয়টি গোপন রাখলেও সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসায় তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা।

জানা গেছে, চার বছর প্রেম করে ২০২২ সালে রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখকে গোপনে বিয়ে করেন জান্নাতুল। পরিবারের সবাই বিদেশে থাকায় বাড়িতে একাই বসবাস করতেন তিনি। জান্নাতুলের বাড়ি নিয়মিত যাতায়াত করতেন সাগর। সংসার জীবন ভালোই চলছিল তাদের। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের।

এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল। স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেওয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী।

তবে প্রথম স্বামী সাগরের সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল। স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেওয়ায় সাগর তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন তারা। তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর দ্বিতীয় স্বামী ও ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর।

এ বিষয়ে সাগর জানতে চাইলে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ অভিযোগ করেন, জান্নাতুলের মা ও বোন তার বিয়ের বিষয়টি জানতেন। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবন সুখেই চলছিল। তবে জান্নাতুলের বাবা দেশে ফেরার পর তাদের সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরে। আমার স্ত্রী বলেছিল, সে পরিবার চাপে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। তবে আমার কাছেই থাকবে। কিন্তু এখন সে আর যোগাযোগ করছে না।

অন্যদিকে, জান্নাতুলের মা হাছিনা বেগম বলেন, সাগরের সঙ্গে জান্নাতুলের বিয়ে হয়েছিল। তবে দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। জান্নাতুল তখন ছোট ছিল এবং কিছু বুঝতে পারেনি। পরে তারা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলে। কয়েক মাস পর জান্নাতুল আবার বিয়ে করে।

এদিকে জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

এ বিষয়ে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বক্কার ছিদ্দিক জানান, সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোনও কপি কখনও পাননি তারা।

ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো ইয়েমেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ
ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো ইয়েমেন

অবরুদ্ধ গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরাইল অধিকৃত ভূখণ্ডে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে হুথি আনসারুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী। এ হামলার ফলে দখলকৃত ভূখণ্ডে বসবাসরত ইসরাইলি বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় অনেক ইহুদি বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়ে যান।

ইসরাইলি সূত্র নিশ্চিত করেছে, ইয়েমেন থেকে অন্তত একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দখলদার ভূখণ্ডের দিকে ছোড়া হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ইয়েমেনি নেতারা বারবার ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের এ ধরনের হামলা গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাবে এবং গাজাবাসীদের প্রতি সংহতির অংশ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। এটি বৃহত্তর আঞ্চলিক প্রতিরোধ কৌশলের অংশ।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাসসহ ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো ‘আল আকসা ঝড়’ নামে এক আকস্মিক পাল্টা হামলা চালানোর পর থেকে ইসরাইল গাজায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। সেই থেকে ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ স্পষ্টভাবে ফিলিস্তিনের সংগ্রামের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং একাধিকবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়েছে।

ছেলের মুখে হাসি ফোটাতে ২১ ঘণ্টায় সাইকেলে ২০০ কিমি পাড়ি দিলেন বাবা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ
ছেলের মুখে হাসি ফোটাতে ২১ ঘণ্টায় সাইকেলে ২০০ কিমি পাড়ি দিলেন বাবা

গাইবান্ধার রাজু মিয়া ঢাকায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। ছেলে রেজওয়ান ইসলাম স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাকে মানুষের মত মানুষ করতে রাজু মিয়া অনেক কষ্ট করেন। কলেজে যাতায়াতের জন্য ছেলের একটা বাইসাইকেল খুব প্রয়োজন ছিল। ঢাকায় কষ্টার্জিত টাকায় একটি পুরাতন সাইকেলও কিনেছেন। কিন্তু গাড়ি ভাড়া দিয়ে সাইকেলটি গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার হরিনাথপুর গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার সামর্থ্য তার ছিল না। তাই ওই সাইকেল চালিয়ে তিনি ঢাকা থেকে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছিলেন। প্রায় ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বগুড়ায় পৌঁছেন।

সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে বাড়িতে পৌঁছার সকল ব্যবস্থা করেন। তাকে কিছু খাবারও সাথে দেন। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাতে বগুড়া মহাসড়কের এ ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

জানা গেছে, গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার হরিনাথপুর গ্রামের রাজু মিয়া প্রায় দেড় দশক ঢাকার মহাখালীতে রিকশা চালান। আয়ের টাকা বাড়িতে পাঠান। তার ছেলে রেজওয়ান ইসলাম মাধ্যমিক পাশ করে কলেজে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু কলেজে যাতায়াতের জন্য তার একটা বাইসাইকেল খুব প্রয়োজন। তাই তিনি দরিদ্র রিকশা চালক বাবার কাছে সাইকেল বায়না করেছিলেন।

ছেলে লেখাপড়া করে একদিন অনেক বড় হবে এ আশায় রাজু মিয়া গত এক মাস আগে মহাখালী থেকে দেড় হাজার টাকায় একটি পুরাতন বাইসাইকেল কেনেন। ঈদের ছুটিতে বাইসাইকেল ছেলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু সাইকেলটি বাড়ি নিয়ে যেতে তার বাস ভাড়াসহ প্রয়োজন ছিল তিন হাজার টাকার। রাজু মিয়ার কাছে ঈদ খরচসহ সবমিলিয়ে ছিল মাত্র আড়াই হাজার টাকা।

সাইকেল বাড়িতে নিতে গাড়ি ভাড়া না থাকায় তিনি প্রথমে হতাশ হন। পরবর্তীতে ওই সাইকেল চালিয়ে ঢাকা থেকে গাইবান্ধা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর ৫টার দিকে সাইকেল চালিয়ে ঢাকার মহাখালী থেকে গাইবান্ধার দিকে রওনা দেন। প্রায় ২১ ঘন্টা সাইকেল চালিয়ে মধ্যরাতে বগুড়ায় পৌঁছান।

রাতে মহাসড়কে একা সাইকেল চালাতে দেখে সেনাবাহিনীর চেকপোস্টে তাকে থামানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার সব কষ্টের কথা সেনা সদস্যের অবহিত করেন। তারা রিকশা চালক রাজু মিয়ার সংসারে অভাব ও ছেলের কলেজে যাতায়াতের জন্য পুরাতন বাইসাইকেল কেনার কথা শুনে আবেগাপ্লুত হন। বাড়ি পৌঁছাতে সেনা সদস্যরা তাকে সাইকেলসহ একটি ট্রাকে তুলে দেন। এছাড়া তাকে কিছু শুকনো খাবার দিয়ে সহায়তা করেন।

যাওয়ার আগে রাজু মিয়া জানান, গাড়ি ভাড়া দিয়ে ছেলের শখের সাইকেল বাড়িতে পৌঁছানো তার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছিল। তাই তিনি একটি ব্যাগ নিয়ে ঢাকার মহাখালী থেকে সাইকেল চালিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেন। পথে তিন বার ৫০ টাকা করে ভ্যানে করে কিছুদূর এগিয়েছেন। যমুনা সেতুতে বাইসাইকেল নিয়ে ওঠার নিয়ম না থাকায় তিনি ১০০ টাকা ভাড়ায় মিনিট্রাকে উঠেন। কিন্তু ট্রাকটি গাইবান্ধা পর্যন্ত না যাওয়ায় তাকে বগুড়ায় নামিয়ে দেয়।

রাজু মিয়া আরও জানান, বাইসাইকেলে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে বাড়িতে পৌঁছার কথা কখনো চিন্তা করেননি। সেনা সদস্যদের সহযোগিতায় ছেলের সাইকেল পৌঁছাতে পারছেন এতেই তিনি অনেক খুশি। তারা সহযোগিতা না করলে তার খুব কষ্ট হতো। তিনি সেনা সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, তাদের কারণেই তিনি সহজে বাড়ি ফিরতে পারছেন।

দেশে ফিরতে হবে কাদের ও কারা পাবেন স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, জানাল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১১:১১ পূর্বাহ্ণ
দেশে ফিরতে হবে কাদের ও কারা পাবেন স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, জানাল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস

ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, অনুমোদিত ভ্রমণকাল শেষ হওয়ার পরও যদি কেউ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেন তবে তাকে ফেরত পাঠানো হবে।

গত বৃহস্পতিবার সকালে দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজের পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

পোস্টে বলা হয়, আপনার অনুমোদিত ভ্রমণকাল শেষ হওয়ার পরও যদি আপনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেন, তাহলে আপনাকে দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে এবং ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।

এদিকে স্থানীয় সময় বুধবার নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ দেখিয়ে বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

প্রতিবেদন বলছে, ১২টি দেশের নাগরিকদের প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। আর সাতটি দেশের নাগরিকেরা থাকবেন আংশিক নিষধাজ্ঞার আওতায়। ৯ জুন থেকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর।

এরআগে গত ২৩ মে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানায়, এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের উদ্দেশে যারা ভিসার জন্য আবেদন করবেন, তাদের তথ্য আরও গভীরভাবে যাচাই-বাছাই করা হবে। সন্দেহজনক মনে হলে আবেদন সরাসরি বাতিল করে দেবেন কনস্যুলার কর্মকর্তারা।

বিবৃতিতে দূতাবাস জানায়, যদি কর্মকর্তাদের মনে হয়, কারও যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের প্রধান উদ্দেশ্য সেখানে সন্তান জন্ম দিয়ে নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা, তবে তার পর্যটন ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে। এ ধরনের উদ্দেশ্যকে ‘অননুমোদিত’ বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।