খুঁজুন
সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলাই ষড়যন্ত্রমূলক ছিল, প্রমাণিত হয়েছে: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯:০১ অপরাহ্ণ
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলাই ষড়যন্ত্রমূলক ছিল, প্রমাণিত হয়েছে: ফখরুল

হাইকোর্ট ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় যে রায় দিয়েছেন, তার মধ্য দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে হওয়া সব মামলাই ষড়যন্ত্রমূলক ছিল বলে প্রমাণিত হয়েছে। তারেক রহমানের খালাসের খবরে এমন মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রবিবার (১ ডিসেম্বর) রায়ের প্রতিক্রিয়ায় লন্ডন থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, মহান আল্লাহর দরবারে আমি শুকরিয়া আদায় করছি, বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে আজ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করায়।

মির্জা ফখরুলের বিবৃতি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই রায়ে প্রমাণ হলো আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এই মামলাতে তারেক রহমানকে অভিযুক্ত করেছিল। আনীত অভিযোগ তিনি আইনগতভাবে মোকাবেলা করে উচ্চ আদালত থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ঐতিহাসিক এ রায়ের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হলো যে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আনীত সব মামলাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক ছিল।

প্রসঙ্গত, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি নিয়ে রোববার (১ ডিসেম্বর) এই রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। সে ঘটনায় ২৪ জন নিহত হন। আওয়ামী লীগের দাবি, এ হামলা ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে ওই হামলা নিয়ে বেশ বিতর্ক ছিলো।

এ ঘটনায় করা মামলায় (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এ ছাড়া ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।

বেলকুচিতে এসএসসি ২০১০ ব্যাচের ঈদ পূর্নমিলনী অনুষ্ঠিত

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ১১:৩৭ অপরাহ্ণ
বেলকুচিতে এসএসসি ২০১০ ব্যাচের ঈদ পূর্নমিলনী অনুষ্ঠিত

এ যেন এক অভূতপূর্ব দৃশ্য, সুদীর্ঘ ১৫ বছর পর একে অপরের সাথে দেখা। বন্ধু কেমন আছো? কোলাকুলি মোলাকাত। ১৫ বছর আগের স্মৃতিতে ফিরে গেল সবাই। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। কেউ সরকারি বেসরকারি উচ্চ স্থানে কর্মরত আবার ছোট খাটো চাকরি করে কেউবা ব্যবসা করে।

সবাই এক কাতারে একটি দিনের জন্য মিলেমিশে গিয়েছিল সেই ১৫ বছর আগের স্মৃতিতে। এটি সোহাগপুর সরকারি শ্যাম কিশোর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এর ২০১০ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সোহাগপুর সরকারী শ্যাম কিশোর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ২০১০ ব্যাচের ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে সহপাঠীদের পূর্ন মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার (৮ জুন ) সকালে সোহাগপুর সরকারী শ্যাম কিশোর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ পূর্ন মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় একটি র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে বিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়। এ সময় স্কুল জীবনের সহপাঠীদের পেয়ে একে অপরের প্রতি আবেগ আপ্লুত হয়ে কুশল বিনিময় করেন। পরে দিনভর চলে আনন্দ উল্লাস এবং নানারকম মুখরোচক খাবারদাবার পরিবেশন।

এ সময় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি প্রেসক্লাবের সভাপতি গাজী সাইদুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, যমুনা টিভির সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার গোলাম মোস্তফা রুবেল, সোহাগপুর সরকারী শ্যাম কিশোর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শরীর চর্চা শিক্ষক হাজী মোজাফফর হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অজিত সুত্রধর, প্রধান শিক্ষক এসএম শহিদুর রেজা, গনিত শিক্ষক শহিদুল ইসলাম।

এ সময় শিক্ষকদের কাছে পেয়ে তৎকালীন শিক্ষার্থীরা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। পরে তারা প্রাক্তন শিক্ষকের বর্তমান পরিস্থিতি সহ পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর নেন।

এ সময় হাজী মোজাফফর হোসেন বলেন, আজ এ আয়োজনটি করার কারনে শিক্ষার্থীদের সাথে আবারো দেখা হলো। যদি এটি করা না হতো তাহলে কর্মব্যস্ততার কারনে হয়তো একসাথে এত শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা হতো না। আজ সবাইকে একসাথে কাছে পেয়ে অনেক ভালো লাগছে।

ঈদে ফিরতি যাত্রায় সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ৭:৪৯ অপরাহ্ণ
ঈদে ফিরতি যাত্রায় সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ

পবিত্র ঈদুল আজহার পর ঘরমুখো মানুষের ফেরার যাত্রায় ট্রেন ব্যবহারের সময় যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরার অনুরোধ জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার আবারও বাড়তে থাকায় এই আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

আজ রবিবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে নির্দেশনা জারি করেছে। বিশেষ করে বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনার আলোকে ঈদের ছুটির পর ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপদে ফেরার যাত্রা নিশ্চিত করতে ট্রেনযাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ এবং অবশ্যই মাস্ক পরার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ৬ জুন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “কোভিড-১৯ সংক্রমণ হারের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক পরার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে। বিশেষত বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের এ ধরনের স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।” তার আগের দিন, ৫ জুন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু এবং নতুন করে তিনজনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্তের তথ্যও জানানো হয়।

রেলপথ মন্ত্রণালয় মনে করিয়ে দিয়েছে, ঈদের পর ফিরতি যাত্রার সময় ট্রেনের প্রতিটি যাত্রী যেন স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি নিজ ও অন্যদের নিরাপত্তার জন্য সচেতন থাকেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জনমনে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে: আমীর খসরু

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ৫:৩৫ অপরাহ্ণ
অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জনমনে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে: আমীর খসরু

জাতীয় সংসদ নির্বাচন এপ্রিলে করার ঘোষণা সময়োপযোগী নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, নির্বাচন ইস্যুতে নিরপেক্ষতা হারাচ্ছে সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জনমনে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে বলেও জানান তিনি। সোমবার (৮ জুন) এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘রমজান সংযমের মাস, এ মাসে মানুষ নামাজ কালাম করে, এছাড়া ওই সময় ঘূর্ণিঝডের সময়।

আবার সেই সময়ে পরীক্ষা শুরু হবে। সেই সময়টায় নির্বাচন করাটা তো একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার। বাংলাদেশের সিংহভাগ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার কোনো যুক্তি নেই।

সেপ্টেম্বর বা আগস্টের দিকেও করা যেতে পারে।’
আমীর খসরু বলেন, ‘এপ্রিলে নির্বাচনের সময়টা একেবারেই অযৌক্তিক এবং এটা কাদের স্বার্থে- সেই প্রশ্নও এসে গেছে। আর এই লোকগুলোর স্বার্থ যদি অক্ষুণ্ন থেকে যায়, তবে আগামী নির্বাচন এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।’