খুঁজুন
রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ডিসেম্বরে চালু হচ্ছে না রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭:০৫ অপরাহ্ণ
ডিসেম্বরে চালু হচ্ছে না রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

২০২৪ সালের ডিসেম্বরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর কথা থাকলেও গ্রীড (সঞ্চালন) লাইন প্রস্তুত না হওয়ায় বিদ্যুত উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রথম দফায় পেছানোর পর ২০২৩ সালে বলা হয়েছিল চলতি ডিসেম্বরে প্রথম ইউনিটে উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হবে। কিন্তু ৫ অগাস্ট পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতায় কয়েক মাস সঞ্চালন লাইনের নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ঠরা। সকল প্রস্তুতি শেষ করে পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যেতে আরও ছয় মাস সময় লাগবে বলে শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

প্রকল্প সূত্র জানায়, বছরখানেক আগেই চুল্লিসহ মূল অবকাঠামোর নির্মাণ শেষ হয়েছে। বিগত বছরের অক্টোবরে পাঁচ দফায় রাশিয়া থেকে জ্বালানির (ইউরেনিয়াম) প্রথম চালানও রূপপুরে পৌঁছেছে। কিন্তু গ্রিড লাইন প্রস্তুত না হওয়ায় বিদ্যুতের উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যান্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো নয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এটি একবার চালু করা হলে পরে চাইলেই সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করা যায় না।

নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী বছরের মার্চে প্রথম ইউনিটের গ্রিড লাইনের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও উৎপাদনে যেতে কয়েক মাস অপক্ষা করতে হবে। রূপপুর এনপিপি’র প্রকল্প পরিচালক ড. জাহেদুল হাছান জানান, গ্রীড লাইন রেডি হওয়ার পর উৎপাদনে যাওয়ার আগে প্রয়োজনীয় বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে হবে। সব ধরনের প্রস্তুতি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হলে পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যাওয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক বিভিন্ন পরীক্ষা শেষ করে জ্বালানি লোড করতে দুই মাসের মত সময় প্রয়োজন হবে। এরপর পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যেতে আরো এক মাস সময় লাগবে। আগামী বছরের মার্চের মধ্যে গ্রিড রেডি হলে থার্ড কোয়ার্টারে অর্থাৎ আগস্টে হয়তো টেস্ট ট্রায়ালে যাওয়া সম্ভব হবে। প্রথম ইউনিট চালুর এক বছর পর অর্থাৎ ২০২৬ সালের শেষ দিকে দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লি চালু করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা পোষণ করেন।

জানা গেছে, বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির অধীনে সঞ্চালন লাইন তৈরি করছে ভারতের তিনটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কেইসি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ট্রান্সরেল লাইটিং লিমিটেড এবং লারসেন অ্যান্ড টুব্রো লিমিটেড। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সঞ্চালন লাইনের নির্মাণকাজ শেষ করে ডিসেম্বরে পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল।

পিজিসিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুর রশিদ খান জানান, প্রথম ছয় মাসে কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক ছিল। কিন্তু পরে গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে আন্দোলনের কারণে সারা দেশে অস্থিরতা তৈরি হয়। সেজন্য সঞ্চালন লাইনের নির্মাণকাজে ধীরগতি দেখা দেয়। আর পাঁচই অগাস্টের পর কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

পাওয়ার গ্রিডের উপ-স্কিম পরিচালক দেলোয়ার হোসেন জানান, ভারত, সিঙ্গাপুর, তুরস্কসহ অন্য দেশের যেসব নাগরিকরা সঞ্চালন লাইন নির্মাণের মূল কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, নিরাপত্তা শঙ্কায় তারা সকলে নিজ নিজ দেশে ফিরে যান। এজন্য পরের তিন মাস গ্রিড লাইনের নির্মাণকাজ পুরোপুরি বন্ধ ছিল।

এমডি আবদুর রশিদ খান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে যোগাযোগ করে আসছিলাম। নিরাপত্তা ইস্যু নিশ্চিত হওয়ার পর অক্টোবরের শেষের দিকে তারা আবারও কাজে যোগ দিয়েছে। টানা তিন মাস কোনো কাজ না হওয়ায় আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি। যার ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গ্রিড লাইন পুরোপুরি রেডি করা সম্ভব হয়নি।

এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি বাজেটের রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে তৃতীয় প্রজন্মের ভিভিইআর ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম দু’টি ইউনিট রয়েছে। প্রথম ইউনিটটি চালুর লক্ষ্যে রূপপুর-গোপালগঞ্জ রুটে প্রায় দেড়শ’ কিলোমিটার দীর্ঘ গ্রিড লাইন নির্মাণ করছে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ। যার মধ্যে প্রায় দুই কিলো মিটার পড়েছে পদ্মা নদীতে। নদীর দু’পাশে স্থলভাগে লাইনের প্রায় ৯৬ শতাংশের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। বাকি অংশের কাজ আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন এমডি আব্দুর রশিদ খান।

তিনি বলেন, আগামী ৩১শে মার্চের মধ্যে প্রথম ইউনিটের সঞ্চালন লাইনের কাজ পুরোপুরি শেষ করার টার্গেট রয়েছে। আমরা এখন পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আশাকরি ওই সময়ের মধ্যেই লাইন রেডি হয়ে যাবে।

রিভার ক্রসিং সঞ্চালন লাইনের দায়িত্ব থাকা উপ-স্কিম পরিচালক দেলোয়ার হোসেন নদী অংশের কাজ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে জানিয়ে বলেন, নদী অংশে এখনও প্রায় ৪৫ শতাংশের কাজ বাকি। তীব্র স্রোত ও পলিমাটির কারণে কাজ এগিয়ে নিতে বেগ পেতে হচ্ছে। পদ্মার উপর দিয়ে গ্রিড লাইন নেওয়ার জন্য মূলত চারটি টাওয়ার নির্মাণ হচ্ছে।

এরমধ্যে দু’টি নির্মাণ হচ্ছে দুই তীরে। বাকি দু’টো নদীর ভেতরে। সার্বিকভাবে নদীর দু’পাশের তীরের টাওয়ারের পাইলিংয়ের কাজ ৭৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। আর নদীর ভেতরে দুই টাওয়ারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৫০ শতাংশ। পুরো নির্মাণ কাজ শেষ করতে আরও অন্তত চার মাস সময় লাগতে পারে।

অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জনমনে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে: আমীর খসরু

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ৫:৩৫ অপরাহ্ণ
অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জনমনে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে: আমীর খসরু

জাতীয় সংসদ নির্বাচন এপ্রিলে করার ঘোষণা সময়োপযোগী নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, নির্বাচন ইস্যুতে নিরপেক্ষতা হারাচ্ছে সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জনমনে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে বলেও জানান তিনি। সোমবার (৮ জুন) এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘রমজান সংযমের মাস, এ মাসে মানুষ নামাজ কালাম করে, এছাড়া ওই সময় ঘূর্ণিঝডের সময়।

আবার সেই সময়ে পরীক্ষা শুরু হবে। সেই সময়টায় নির্বাচন করাটা তো একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার। বাংলাদেশের সিংহভাগ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার কোনো যুক্তি নেই।

সেপ্টেম্বর বা আগস্টের দিকেও করা যেতে পারে।’
আমীর খসরু বলেন, ‘এপ্রিলে নির্বাচনের সময়টা একেবারেই অযৌক্তিক এবং এটা কাদের স্বার্থে- সেই প্রশ্নও এসে গেছে। আর এই লোকগুলোর স্বার্থ যদি অক্ষুণ্ন থেকে যায়, তবে আগামী নির্বাচন এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।’

ড. ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে দেখা করতে চান টিউলিপ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ৫:৩০ অপরাহ্ণ
ড. ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে দেখা করতে চান টিউলিপ

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে সাক্ষাৎ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। রোববার (৮ জুন) ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান জানায়, এ বিষয়ে ড. ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন টিউলিপ।

চিঠিতে টিউলিপ সিদ্দিক লিখেছেন, বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ অভিযোগ এবং তা ঘিরে তৈরি হওয়া ‘ভুল বোঝাবুঝি’ দূর করতেই তিনি এ বৈঠক চান।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তার খালার (শেখ হাসিনা) শাসনামলে তিনি অবৈধ সুবিধা গ্রহণ করেছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, টিউলিপ ও তার মা প্রভাব খাটিয়ে ঢাকার একটি অভিজাত এলাকায় ৭ হাজার ২০০ বর্গফুটের একটি প্লট নিয়েছেন। যদিও টিউলিপ ও তার আইনজীবীরা এই অভিযোগগুলো ‘ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করেছেন।

চিঠিতে টিউলিপ বলেন, ‘লন্ডনে আপনার সফরকালে যদি সাক্ষাৎ হয়, তাহলে আমার খালার (শেখ হাসিনা) সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নের বিষয়ে আমার বক্তব্য পরিষ্কার করার সুযোগ পাবো।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি লন্ডনে জন্মগ্রহণ করা একজন ব্রিটিশ নাগরিক। গত এক দশক ধরে হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেট থেকে এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। বাংলাদেশের প্রতি আবেগ থাকলেও আমি সেখানে জন্মাইনি, বাস করি না, এমনকি কোনও ব্যবসায়িক স্বার্থও নেই।’

টিউলিপ অভিযোগ করেছেন, তার আইনজীবীরা লন্ডন থেকে দুদকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনও জবাব মেলেনি। বরং দুদক ঢাকা শহরের একটি ‘অজানা ঠিকানায়’ নথিপত্র পাঠাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এই তথাকথিত তদন্তের প্রতিটি ধাপ সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করা হচ্ছে, অথচ আমার আইনজীবীদের সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করা হয়নি।’

চিঠিতে টিউলিপ আরও উল্লেখ করেছেন, ‘আপনি নিশ্চয়ই অনুধাবন করতে পারবেন, এসব অভিযোগ কীভাবে আমার সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালনে এবং দেশের প্রতি আমার অঙ্গীকারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।’

গত বছর যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী পর্যায়ের মানদণ্ড বিষয়ক উপদেষ্টা লরি ম্যাগনেস টিউলিপকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিলেও তিনি নিজে থেকেই পদত্যাগ করেন। তিনি বলেন, এই বিতর্ক লেবার পার্টি নেতা কিয়ার স্টারমারের সরকারের জন্য বিব্রতকর হয়ে উঠতে পারে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ড. ইউনূস ৯ জুন লন্ডন সফরে যাচ্ছেন। সফরে তিনি রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছ থেকে কিং চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ গ্রহণ করবেন। এছাড়া থিংক ট্যাংক চ্যাথাম হাউজে অংশগ্রহণ এবং প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকেরও কথা রয়েছে তার।

আমার পাশে একবার বসলেই টের পাবে সব, প্রীতিকে পন্টিং

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ৫:২৭ অপরাহ্ণ
আমার পাশে একবার বসলেই টের পাবে সব, প্রীতিকে পন্টিং

প্রীতি জিন্টা জিজ্ঞাসা করেন, ‘মাঠে যিনি এতটা আগ্রাসী ছিলেন, তিনি কোচ হিসেবে ডাগআউটে এত শান্ত ও ঠান্ডা মাথার কীভাবে থাকতে পারেন?’ প্রীতির এই প্রশ্নে পন্টিং বেশ মজার উত্তর দেন এবং বলেন, আসলে বিষয়টা মোটেই তেমন নয়। বরং তা উপলব্ধি করতে হলে তাঁকে (প্রীতিকে) গ্যালারি থেকে নেমে ডাগআউটে বসতে হবে।

তাঁর সময়ের অন্যতম সফল অধিনায়ক রিকি পন্টিং, বর্তমানে ক্রিকেট বিশ্বের একজন আইকন তিনি। বর্তমানে কোচ ও পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছেন এই অস্ট্রেলীয় কিংবদন্তি। আইপিএল ২০২৫-এ পঞ্জাব কিংসকে ফাইনালে পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন রিকি পন্টিং। যদিও শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে পঞ্জাব হার মানে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (RCB) কাছে, তবুও কোচ হিসেবে পন্টিংয়ের কৃতিত্ব প্রশংসিত হয়েছে ক্রিকেটমহলে।

তবে কোচ রিকি পন্টিংয়ের কিছু স্বভাব এখনও পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেননি ফ্র্যাঞ্চাইজির সহ-মালিক ও বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিন্টা।

এক খোলামেলা আলোচনায় রিকি পন্টিংকে প্রীতি জিন্টা জিজ্ঞাসা করেন, ‘মাঠে যিনি এতটা আগ্রাসী ছিলেন, তিনি কোচ হিসেবে ডাগআউটে এত শান্ত ও ঠান্ডা মাথার কীভাবে থাকতে পারেন?’ প্রীতির এই প্রশ্নে পন্টিং বেশ মজার উত্তর দেন এবং বলেন, আসলে বিষয়টা মোটেই তেমন নয়। বরং তা উপলব্ধি করতে হলে তাঁকে (প্রীতিকে) গ্যালারি থেকে নেমে ডাগআউটে বসতে হবে।

প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক বলেন, ‘তোমার আমার পাশে এসে ডাগআউটে বসা উচিত, কারণ তখন তুমি দেখতে পাবে আমি কতটা শান্ত বা অশান্ত। আমি স্বভাবগতভাবে আগ্রাসী, বিশেষ করে যখন ক্রিকেটের সময় আসে।’ পন্টিং আরও বলেন, কোচ হিসেবে তিনি নিজের সেরা সংস্করণটিই তুলে ধরতে চান, এবং তাঁর দলের প্রতিটি খেলোয়াড়কে তাঁদের সেরাটা দিতে অনুপ্রাণিত করতে চান।

রিকি পন্টিং বলেন, ‘ক্রিকেটের বাইরে আমি যেকোনো বিষয়ে মজা করে কথা বলি, কফি খাই, হাসি-ঠাট্টা করি। কিন্তু যখন ক্রিকেটের সময় আসে, তখন আমার দায়িত্ব দলের পারফরম্যান্সকে শিখরে পৌঁছে দেওয়া। আমি এক মিনিট, একদিন বা একটাও ট্রেনিং সেশন নষ্ট করতে চাই না, যেখানে আমি সেরা কোচ হয়ে ওঠার চেষ্টা করব না, এবং আমার প্রতিটি খেলোয়াড়কে তাঁদের সেরা পারফরম্যান্স দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করব।’