খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

‘দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনের জন্য ব্যাপক সংস্কার জরুরি’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:৫৮ অপরাহ্ণ
‘দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনের জন্য ব্যাপক সংস্কার জরুরি’

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতের ওপর শ্বেতপত্র প্রস্তুতি কমিটির একটি প্রতিবেদনে শেখ হাসিনা সরকারের নজিরবিহীন দুর্নীতির বিষয়টি উন্মোচিত হয়েছে এবং দেশের আর্থিক খাতের গুরুতর অবস্থা উঠে এসেছে। আজ রবিবার বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সামাজিকমাধ্যম এক্সে একটি স্ট্যাটাস এসব কথা লেখেন।

তারেক রহমান লেখেন, এই প্রতিবেদনটি একটি অন্ধকারের ছবি এঁকেছে, যা শেখ হাসিনার প্রশাসনকে একটি কিপটোক্রেসি হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যেখানে জনগণের সম্পদ সিস্টেম্যাটিকভাবে লুট করা হয়েছে।

তারেক রহমান আরও লেখেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে আনুমানিক ২৪০ বিলিয়ন ডলার পাচার করা হয়েছে। এই লুণ্ঠনের সবচেয়ে বড় উদাহরণ হিসেবে ২৯টি বড় আকারের উন্নয়ন প্রকল্প তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে ৮ বিলিয়ন ডলার বাজেট বাড়ানোর নামে অপব্যয় হয়েছে। ‘কুইক রেন্টাল’ বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর কথা বলা হয়েছিল অবকাঠামোগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সমাধান হিসেবে, কিন্তু সেগুলো প্রমাণিত হয়েছে দ্রুত মুনাফা অর্জনের কৌশল হিসেবে, যা জনগণের টাকায় করা হয়েছে। বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে ব্যাংকিং খাতে গভীর তদন্ত করলে আরও ভয়াবহ বাস্তবতা সামনে আসবে।

এই প্রতিবেদন নিশ্চিত করেছে যে দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনের জন্য ব্যাপক সংস্কার জরুরি মন্তব্য করে তারেক রহমান লেখেন, আমাদের দল, বিএনপি, এবং আমাদের সহযোগী দলগুলো একটি ৩১-দফা সংস্কার প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছে, যা এই সিস্টেমিক ব্যর্থতা মোকাবেলা করবে। এই প্রস্তাবনার ১৩তম পয়েন্টে কার্যকর দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে এটি জনগণের অর্থের অপব্যয় বন্ধ করতে এবং সকল খাতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া আমাদের প্রস্তাবনার ১৫তম পয়েন্টে একটি অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই উদ্যোগটি অর্থনৈতিক শাসনে স্বচ্ছতা আনবে, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করবে এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে সাহায্য করবে; যা যোগ্য এবং দায়বদ্ধ নেতাদের দ্বারা পরিচালিত হবে।

সরকারকে অবিলম্বে stolen wealth (চুরিকৃত সম্পদ) পুনরুদ্ধার এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে হবে দাবি জানিয়ে বিএনপির এই কর্ণধার লেখেন, ন্যায়বিচার দ্রুত এবং কঠোরভাবে হওয়া উচিত, যাতে জনগণের সরকারে আস্থা ফিরে আসে এবং এমন কোনো অপব্যবহারের পুনরাবৃত্তি না ঘটে। বিএনপি একটি স্বচ্ছ, দায়বদ্ধ, এবং ন্যায়ভিত্তিক ব্যবস্থা গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পরিবর্তনের সময় এখনই—আমাদের দেশ আর কোনোভাবেই আরও অদক্ষতার ভার নিতে পারে না।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।