খুঁজুন
শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৩ পৌষ, ১৪৩১

নববর্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:০৩ অপরাহ্ণ
নববর্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে থার্টি ফার্স্ট নাইটে জনস্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর এ ধরনের বিধিবহির্ভূত কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, থার্টি ফার্স্ট নাইটে দেশব্যাপী আতশবাজি ও পটকা ফোটানো হয়ে থাকে, যা বিদ্যমান শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। ইতোপূর্বে থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজির শব্দে ভয় পেয়ে হৃদরোগে ভুগতে থাকা এক শিশুর মৃত্যু হয় বলে খবরে প্রকাশিত হয়েছে।

এছাড়াও অতিরিক্ত শব্দের কারণে শ্রবণশক্তি ও স্মরণশক্তি হ্রাস, ঘুমের ব্যাঘাত, দুশ্চিন্তা, উগ্রতা, উচ্চ রক্তচাপ, কান ভোঁ ভোঁ করা, মাথা ঘোরা, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়া, মানসিক অস্থিরতা, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াসহ মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে বলে জানানো হয়।

শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬-এর ৭ বিধি লঙ্ঘন করে অননুমোদিতভাবে ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের সময় আতশবাজি ও পটকা ফোটালে তা বিধিমালার ১৮ বিধি অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

এ আইনের ব্যত্যয় হলে বা ভঙ্গ করলে প্রথম অপরাধের জন্য অনধিক এক মাস কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড এবং পরবর্তী অপরাধের জন্য অনধিক ছয় মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড প্রদানের বিধান রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বেলকুচিতে রজনীকান্ত সেন স্মৃতি সার্বজনীন পূজা মন্দির উন্নয়নে মতবিনিময়

রেজাউল করিম, স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৫:৩০ অপরাহ্ণ
বেলকুচিতে রজনীকান্ত সেন স্মৃতি সার্বজনীন পূজা মন্দির উন্নয়নে মতবিনিময়

“বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই,/‘কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই,/আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে/তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে।’/ বাবুই হাসিয়া কহে, ‘সন্দেহ কি তাই?/কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়।/পাকা হোক, তবু ভাই, পরের ও বাসা,/নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর, খাসা’।”

কবি রজনীকান্ত সেনের বিখ্যাত কবিতা এটি। যে কবি পরজীবী না হয়ে আত্মনির্ভরশীলতায় এতটা জোড় দিয়েছিলেন, আজ তারই বাড়ির পাশে মন্দির ও শ্মশানের বেহাল দশা। নতুন প্রজন্ম ভুলতে বসেছে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার গর্ব কবি রজনীকান্ত সেনের নামে তৈরি এই পূজা মন্দির। 

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের সেন ভাঙ্গাবাড়ী ও দেলুয়াকান্দি গ্রামের সনাতন ধর্মালম্বীদের আয়োজনে কবি রজনীকান্ত স্মৃতি সার্বজনীন পূজা মন্দির এবং সেন ভাঙ্গাবাড়ী শ্মশান -এর উন্নয়ন করার নিমিত্তে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। 

শ্যামল সরকার ও সনজিৎ কুমার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পূজা মন্দির ও শ্নশান কমিটির সভাপতি বাবু বিমল বন্ধু সরকারের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- এ্যাডভোকেট ইন্দ্রজিত সাহা সম্মানিত ট্রাষ্ট বাংলাদেশ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্ট।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী অধ্যাপক বাবু সুব্রত পাল।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘রজনীকান্ত সেন ও তার বোন সুচিত্রা সেন আমাদের বেলকুচির গর্ব। রজনীকান্ত সেনের কবিতা সারা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে আছে। তার সৃতি পরের প্রজন্মের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য আমরা কবি রজনীকান্ত সৃতি সার্বজনীন পূজা মন্দির এবং সেন ভাঙ্গাবাড়ি শ্নশান ঘাট-এর উন্নয়ন করার লক্ষে কাজ করবো।’

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বেলকুচি সরকারি কলেজ বাবু মানচিত্র পাল সহকারী অধ্যাপক সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ, ডাঃ বিদ্যুৎ কুমার সূত্রধর সিরাজগঞ্জ কমিউনিটি হাসপাতাল, বাবু রনি মিত্র সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খিস্টান ঐক্য পরিষদ বেলকুচি উপজেলা শাখা। 

আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বেলকুচি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নুরুল ইসলাম গোলাম, বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব বনী আমিন,বেলকুচি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম।

সোহাগপুর মদন মোহন সেবা সনদের সভাপতি বাবু বৈদ্যনাথ রায়, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খিস্টান ঐক্য পরিষদ বেলকুচি উপজেলা শাখার সভাপতি বাবু জয় শংকর সাহা, মুকুন্দগাঁতী গৌর-গোবিন্দ ভজন মন্দিরের সভাপতি ডা: অমৃত নারায়ণ দে। এছাড়াও আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন, বানছারাম সূত্রধর, দীন বন্ধু সরকার, বাবু জিতেন্দ্রনাথ সূত্রধর ও বাবু সন্তোষ সূত্রধর।

বেলকুচিতে আ,লীগ নেতার প্রভাবে প্রতিবেশীর রাস্তা বন্ধ করে ঘর নির্মাণ

বেলকুচি ( সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৪:৪৩ অপরাহ্ণ
বেলকুচিতে আ,লীগ নেতার প্রভাবে প্রতিবেশীর রাস্তা বন্ধ করে ঘর নির্মাণ

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ১৫ বছর যে রাস্তা দিয়ে পায়ে হেটে চলাচলের রাস্তা ছিলো। সেই রাস্তা বন্ধ করে এক আ,লীগ নেতার প্রভাবে রাস্তা নির্মান করার কারণে একটি পরিবার ঘর বন্দি হয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। বাড়ি নির্মাণকালে রাস্তা থাকলেও হঠাৎ করে রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে পরিবারটি।

পরিবারটি অভিযোগ- তাদের ১৫ বছরের পায়ে হাটা পুরোনো রাস্তায় দেয়াল নির্মাণ করে চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছে এলাকার প্রভাবশালী একটি পরিবার। এব্যাপারে  উপজেলা নির্বাহী বরাবর অভিযোগ দিলেও কোন সুরাহা হয়নি। সুধু তাই নয় কিছুদিন পূর্বে শয়ন ঘরে এসিড নিক্ষেপ করে প্রতিবেশি। তাই কষ্টের টাকায় তিল তিল করে গড়ে তোলা নিজ বাড়িই যেন এখন জেলখানা। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বেলকুচি পৌর এলাকার গাড়ামাসী দক্ষিনপাড়া এলাকায় পায়ে হাটা রাস্তাটির মাথায় উঁচু দেয়াল। মই বেয়ে সেই উঁচু দেয়াল পার হয়ে বাড়িতে আসা-যাওয়া করছেন বাড়িটির বাসিন্দারা। শিশু থেকে বৃদ্ধা বাড়ির বাইরে বের হতে হলেই দেয়াল টপকানো ছাড়া কোনো পথ নেই। নানা অসুবিধায় বাধ্য হয়ে ইতোমধ্যে বাড়িতে তালা মেরে থাকছেন ভাড়া বাড়িতে। 

ভুক্তভোগী জুয়েল আহম্মেদ জানান, প্রতিবেশি মৃত হবিবর রহমানের ছেলে আ,লীগ নেতা  আজাহার সরকার ও জাফর সরকার বাড়ির পাশ দিয়ে ১৫ বছরের পায়ে হাটা রাস্তাটি দেয়াল দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। এখন আমরা বাড়িতে যেতে বা বের হতে দেয়ালের ওপড় দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। ইতিপূর্বে  বাড়ির শয়ন ঘরের ভেড়ায় এসিড নিক্ষেপ করে টিন নষ্ট করেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েও এর সমাদান পাইনি। আমি এর সমাধান চাই। আমার বাড়িতে আমি শান্তিতে বসবাস করতে চাই। 

প্রতিবেশীরা বলেন, রাস্তাঘাট প্রতিটি মানুষের নাগরিক অধিকার। পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে এই বাড়িতেই বসবাস করে আসছে। হঠাৎ রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া অন্যায় কাজ হয়েছে। আমরা চাই তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক।

এদিকে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া আজাহার সরকার বলেন, বাড়িটি আমারনা, আমার প্রবাসী ভাই মোহাম্মদ এর সেই দেয়াল দিয়েছে। আপনি মোহাম্মদের সাথে কথা বলেন? মোহাম্মদ প্রবাসে অবস্থানের কারণে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্বব হয়নি। 

বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া সুলতানা কেয়া বলেন, ‘এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তবে জমি সংক্রান্ত ব্যাপার সেই জন্য আদালতে আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আদালত যে নির্দেশনা দিবে সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঘাটাইলে ইসলামী ব্যাংকের ৪০০তম শাখার উদ্বোধন

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৪:০৫ অপরাহ্ণ
ঘাটাইলে ইসলামী ব্যাংকের ৪০০তম শাখার উদ্বোধন

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র ৪০০তম শাখা উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মুনসুর। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) উপজেলার অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নতুন শাখাটির উদ্বোধন হয়।

ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড অব ডাইরেক্টরের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মনিরুল মওলা। এছাড়া এক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ।

অনুষ্ঠানে ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সালাম, রিক্সা ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, সাবালিয়া সমাজকল্যাণ পরিষদের সহ-সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক ও এইম সিটি রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হোসনি মোবারক বাবুল বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শাখার কর্মী, স্থানীয় ব্যবসায়ী, শুভানুধ্যায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।