খুঁজুন
শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১৯ বৈশাখ, ১৪৩২

রমজানে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৪:১৯ অপরাহ্ণ
রমজানে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য ও পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খল স্বাভাবিক রাখার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চারটি বিভাগের ৩১টি জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় যুক্ত হয়ে এ নির্দেশ দেন তিনি।

ভিডিও কনফারেন্সে তিনি কর্মকর্তাদের নিজ নিজ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা, কৃষি পণ্য সংরক্ষণ, সার সরবরাহ ও শিল্প এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য নিবিড়ভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কর্মকর্তারা এ ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন। কনফারেন্সে ১৯ জন বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ পুলিশ প্রধান, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার পর্যায়ের কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।

কনফারেন্সর সমাপনী বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কর্মকর্তাদের বক্তব্য ও মতামত আগামীদিনে সরকারকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করবে।

এটা আমার জন্য প্রথম সুযোগ ছিল আপনাদের সঙ্গে কথা বলার। অনেক কিছু শিখলাম, অনেক বিষয়ে নিজেকে অবহিত করলাম। এটা আমাদের কাজে সহায়ক হবে- বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

‘সামনেই রমজান আসছে, রমজানকে কেন্দ্র করে বাজার মূল্যের দিকে আপনারা বিশেষভাবে নজর রাখবেন। শুধু বাজার মূল্য নয়, জিনিসপত্র আনা-নেওয়া আরও কীভাবে সহজ করা যায় সে বিষয়েও কাজ করবেন। ’

তিনি আরও বলেন, সংস্কারের লক্ষ্যে সরকার যে ১৫টি কমিশন গঠন করেছে তার মধ্যে বেশ কয়েকটি কমিশন খুব শিগগিরই তাদের রিপোর্ট দেবে। এসব প্রতিবেদনের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে, নাগরিকদের সঙ্গেও আলোচনা হবে। এর মধ্য দিয়ে দেশে নির্বাচনের একটি আবহও তৈরি হবে।

রিপোর্টের প্রতিক্রিয়া কী হবে সে বিষয়ে সচেতন থাকার জন্য মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা, যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করা যায়।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ।

তিনি জানান, শিগগিরই প্রধান উপদেষ্টা বাকি চার বিভাগের ৩৩টি জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে একই ধরনের ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেবেন।

‘নির্বাচনের দাবি জানানোও যেন অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ৬:২০ অপরাহ্ণ
‘নির্বাচনের দাবি জানানোও যেন অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে’

অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শুক্রবার আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।

তিনি বলেন, বিএনপি সব সময় জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি চেয়ে আসছে। কিন্তু, বর্তমানে এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে যে, নির্বাচনের দাবি জানানোও যেন অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিরাজনীতিকরণ দেশের গণতন্ত্রের জন্য এক গভীর হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। নির্বাচন বিষয়ে কেন সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে? এর ফলে জনগণের মধ্যে উদ্বেগ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে।

তিনি বলেন, দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা উচিত এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের সামনে আনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে।

এ সময় পতিত স্বৈরাচারের পুনরুত্থান নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তারেক রহমান বলেন, সংবিধান লঙ্ঘনের জন্য স্বৈরাচারদের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে? যদি বর্তমান সরকার ব্যবস্থা না নেয়, পরবর্তী নির্বাচিত সরকার অবশ্যই স্বৈরাচারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

৫ আগস্টের পর রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া নতুন ২৫টি দলকে স্বাগত জানিয়ে এরপর তিনি বলেন, আদর্শের ভিন্নতা থাকতে পারে, তবে দেশের স্বার্থে সব দল এক হয়ে কাজ করবে, এমন প্রত্যাশা আমরা রাখি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলই রাজনৈতিক সংস্কারের পক্ষে। তবে, রাজনৈতিক দলগুলোকে অবজ্ঞা করলে তা দেশকে বিরাজনীতিকরণের দিকে ঠেলে দেবে।

তারেক রহমান আরও বলেন, দেশের স্বার্থের প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দলের অবস্থান এক ও অভিন্ন। ব্লেইম গেম দিয়ে এ সরকারের দায়িত্ব এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। নতুন যে সরকার গঠিত হবে, তারা পলাতক স্বৈরাচারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

এ যেনো সাহসিকতার পুনর্জন্ম

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, দুই ভারতীকে আটক করেছে এলাকাবাসী

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ৬:১৪ অপরাহ্ণ
দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, দুই ভারতীকে আটক করেছে এলাকাবাসী

দিনাজপুরের বিরলে সীমান্ত থেকে দুই বাংলাদেশি কৃষককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এই ঘটনার জেরে দুই ভারতীয় নাগরিককে ধরে এনে আটকে রেখেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এ নিয়ে দু’সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আজ শুক্রবার দুপুরের দিকে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ধর্মজৈন সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই দেশের নাগরিক বিনিময়ে পতাকা বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে।

স্থানীয় গ্রামবাসী জানিয়েছেন, বিরলের ধর্মপুর ইউনিয়নের ধর্মজৈন সীমান্তে ধান কাটছিলেন মাসুদ ও এনামুল নামের দুই কৃষক। ধর্মজৈন সীমান্তের ৩২০ মেইন পিলারের সাব পিলার ১০ এর কাছ থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

ঘটনার পর দুই বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী দুই ভারতীয় দুই নাগরিককে ধরে আনে। আটক দুই ভারতীয় নাগরিক হলেন- অবিনাশ টুডু ও ফিলিপ সরেন। তাদেরকে কারুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়।পরে বিজিবি সদস্যরা সেখানে গেলে তাদেরকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন ধর্মপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর ইসলাম ও বিরল থানার এসআই কাওসার।

আটক বাংলাদেশিরা হলেন- ওই এলাকার ইসরাইল ইসলামের ছেলে এনামুল ইসলাম (৫০) ও এনামুল ইসলামের ছেলে মাসুম (১৫)।

এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ হতে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে দুই দেশের নাগরিক বিনিময়ে পতাকা বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।

নতুন সিদ্ধান্ত নিলো পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ৬:১০ অপরাহ্ণ
নতুন সিদ্ধান্ত নিলো পাকিস্তান

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছেই। পেহেলগামে হামলার ঘটনার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সীমান্তে গোলাগুলি হচ্ছে। যুদ্ধের যে আশঙ্কা করা হচ্ছে তা দিনদিন বাস্তবতার দিকে এগোচ্ছে। যেকোনো সময় সামরিক সংঘাতে জড়াতে পারে দুই দেশ। এমন অবস্থায় নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বৃহস্পতিবার (১ মে) এক প্রতিবেদনে জানায়, হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সব মাদরাসা ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

গরম ও তাপপ্রবাহের জন্য মাদরাসা ছুটির কথা বলা হলেও পাকিস্তান কাশ্মীরের ধর্মবিষয়ক দপ্তরের পরিচালক হাফিজ নাজির আহমেদ রয়টার্সকে জানান, হামলার আশঙ্কা থেকেই মূলত প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি আরও জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করে যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে ভারতের সামরিক বাহিনী। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মাদরাসাগুলোকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারে ভারত। আমরা শিশুদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে চাই না।

জানা গেছে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের দুই অঞ্চল আজাদ কাশ্মীর ও গিলগিট-বাল্টিস্তানে মোট ৪৪৫টি ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা মাদরাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৬ হাজারেরও বেশি।

গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে হামলার পর পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। আটারি সীমান্ত বন্ধ করে দিয়ে পাকিস্তানিদের ফিরে যেতে বলা হয়েছে। সব ধরনের বাতিল হয়েছে ভিসা। সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতও করেছে ভারত।

পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে একই ধরনের পদক্ষেপ দিয়েছে পাকিস্তানও। সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতে ভারতের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সিমলা চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তানের আকাশসীমা নিষিদ্ধ, সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ জানান, সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিতের পদক্ষেপকে ‘যুদ্ধের ঘোষণা’ হিসেবে দেখছে পাকিস্তান। তিনি বলেছেন, যেকোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে পাকিস্তান।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের ‘রক্ত ফুটছে’। হামলায় জড়িত প্রত্যেককে কঠিনতম শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। শুধু তাই নয়, সীমান্তে যেকোনো ধরনের হুমকি মোকাবিলায় নিজের তিন বাহিনীকে অভিযানের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে দিয়েছেন মোদি।

বিশ্লেষক এবং কূটনীতিকরা বলছেন, পাকিস্তান যে কাশ্মীরা হামলা চালিয়েছে, তার জোরালো প্রমাণ এখনও দেখাতে পারেনি ভারত। এ অবস্থায় দিল্লি কোনো পদক্ষেপ নিলে বিশ্ব মঞ্চে তার ন্যায্যতা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে, পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চমলান সামরিক সংঘর্ষের আশঙ্কা যদি বাড়তে থাকে তাহলে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে।