খুঁজুন
শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ১৯ বৈশাখ, ১৪৩২

চাকরির আবেদন ফি কমালো সরকার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:৩২ অপরাহ্ণ
চাকরির আবেদন ফি কমালো সরকার

সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক পরিচালিত বিসিএস ব্যতীত নন-ক্যাডার পদ এবং সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধ-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্বশাসিত, সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন কর্পোরেশনের বিভিন্ন গ্রেডভুক্ত পদের নিয়োগ পরীক্ষা ফি কমিয়েছে সরকার। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে সই করেছেন সিনিয়র সহকারী সচিব আছিয়া খাতুন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন ও পরীক্ষার ফি গ্রহণ করা হবে। পরীক্ষার ফি বাবদ সংগ্রহ করা অর্থের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কমিশন হিসেবে টেলিকম বাংলাদেশকে দিতে হবে এবং কমিশন হিসাবে পাওয়া অর্থের ১৫ শতাংশ ভ্যাট হিসাবে আদায় করা হবে।

এখন থেকে নবম গ্রেড বা তার উপরের গ্রেডে (নন-ক্যাডার) চাকরিপ্রত্যাশীদের আবেদন ফি হবে ২০০ টাকা, যা আগে ছিল ৬০০ টাকা। এই আবেদন ফি’র সঙ্গে আগের মতো টেলিকম বাংলাদেশের সার্ভিস চার্জ ১০ শতাংশ বা ২০ টাকা দিতে হবে। আর ২০ টাকার ওপর ১৫ শতাংশ বা ৩ টাকা ভ্যাট দিতে হবে। অর্থাৎ নবম গ্রেডে চাকরিপ্রত্যাশীদের আবেদন করতে মোট ২২৩ টাকা দিতে হবে। এতদিন ৬৭৫ টাকা দিতে হতো।

একইভাবে দশম গ্রেডে চাকরিপ্রত্যাশীদের আবেদন ফি ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে ২০ টাকা সার্ভিস চার্জ এবং ৩ টাকা ভ্যাট দিতে হবে। অর্থাৎ ১০ম গ্রেডে চাকরিপ্রত্যাশীদের আবেদন করতে মোট ২২৩ টাকা দিতে হবে। আগের এই গ্রেডে আবেদন করতে ৫৫৭ টাকা ৫০ পয়সা দিতে হতো।

১১ ও ১২তম গ্রেডে চাকরিপ্রত্যাশীদের আবেদন ফি ধরা হয়েছে ১৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৩০০ টাকা। এর সঙ্গে ১৫ টাকা সার্ভিস চার্জ ও ২ টাকা ২৫ পয়সা ভ্যাট দিয়ে আবেদনকারীকে মোট ১৬৭ টাকা ২৫ পয়সা দিয়ে আবেদন করতে হবে। আগে এ ক্ষেত্রে খরচ হতো ৩৩৪ টাকা ৫০ পয়সা।

১৩ থেকে ১৬তম গ্রেডে চাকরিপ্রত্যাশীদের আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা, যা আগের ছিল ২০০ টাকা। এর সঙ্গে সার্ভিস চার্জ ১০ টাকা এবং ভ্যাট ১ টাকা ৫০ পয়সা যোগ করে আবেদনকারীকে মোট ১১১ টাকা ৫০ পয়সা দিতে হবে। আগের দিতে হতো ২২৩ টাকা।

আর ১৭ থেকে ২০তম গ্রেডের চাকরিপ্রত্যাশীদের আবেদন ১০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে ৫ টাকা সার্ভিস চার্জ এবং ১ টাকা ৫০ পয়সা ভ্যাট যোগ করে আবেদনকারীকে ১১১ টাকা ৫০ পয়সা দিতে হবে।

এছাড়া অনগ্রসর নাগরিকদের সব গ্রেডে পরীক্ষার আবেদনি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা। এর সঙ্গে ৫ টাকা সার্ভিস চার্জ এবং ১ টাকা ৫০ পয়সা ভ্যাট যোগ করে আবেদনকারীকে ১১১ টাকা ৫০ পয়সা দিতে হবে। আগের এ ধরনের কোনো বিধান ছিল না।

প্রজ্ঞাপনে কয়েকটি শর্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে :
টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন ও পরীক্ষা ফি গ্রহণ করা যাবে এবং পরীক্ষা ফি বাবদ সংগৃহীত অর্থের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কমিশন হিসেবে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডকে দেওয়া যাবে এবং কমিশন হিসাবে পাওয়া অর্থের ১৫ শতাংশ ভ্যাট হিসেবে আদায় করা যাবে।

টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড কর্তৃক পরীক্ষা ফি বাবদ অর্থ গ্রহণের পরবর্তী ৩ কার্যদিবসের দিবসের মধ্যে ব্যাংক চেকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে জমা প্রদানের পর ওই প্রতিষ্ঠান অবিলম্বে চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা করবে, তবে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে উক্ত অর্থ নিজস্ব ব্যাংক হিসেবে জমা করতে পারবে।

অনলাইন আবেদন গ্রহণ না করা হলে পরীক্ষা ফি বাবদ অর্থ চালানের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে। তবে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যাংক ড্রাফট/পে অর্ডারে এ অর্থ নিতে পারবে।

এছাড়া পরীক্ষা ফি বাবদ আদায় করা অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ১৩ ডিজিট প্রাতিষ্ঠানিক কোড এবং ৭ ডিজিট নতুন অর্থনৈতিক কোড ১৪২২৩২৬ এ অটোমেটেড চালানে সরকারি কোষাগারে জমা করতে হবে এবং কোন প্রতিষ্ঠান ম্যানুয়াল চালানে (টিআর ফরম) পরীক্ষা ফি জমা করতে চাইলে ১- প্রাতিষ্ঠানিক কোড (চার অংক বিশিষ্ট) পরিচালনা কোড (চার অংক বিশিষ্ট)- অর্থনৈতিক কোড (২০৩১) এ জমা করতে হবে।

এই পরিপত্রের মাধ্যমে ২০২৩ সালের ১৭ আগস্টে এ বিষয়ে জারি করা পরিপত্র বাতিল করা হয়েছে। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

‘নির্বাচনের দাবি জানানোও যেন অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ৬:২০ অপরাহ্ণ
‘নির্বাচনের দাবি জানানোও যেন অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে’

অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শুক্রবার আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।

তিনি বলেন, বিএনপি সব সময় জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি চেয়ে আসছে। কিন্তু, বর্তমানে এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে যে, নির্বাচনের দাবি জানানোও যেন অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিরাজনীতিকরণ দেশের গণতন্ত্রের জন্য এক গভীর হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। নির্বাচন বিষয়ে কেন সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে? এর ফলে জনগণের মধ্যে উদ্বেগ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে।

তিনি বলেন, দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা উচিত এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের সামনে আনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে।

এ সময় পতিত স্বৈরাচারের পুনরুত্থান নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তারেক রহমান বলেন, সংবিধান লঙ্ঘনের জন্য স্বৈরাচারদের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে? যদি বর্তমান সরকার ব্যবস্থা না নেয়, পরবর্তী নির্বাচিত সরকার অবশ্যই স্বৈরাচারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

৫ আগস্টের পর রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া নতুন ২৫টি দলকে স্বাগত জানিয়ে এরপর তিনি বলেন, আদর্শের ভিন্নতা থাকতে পারে, তবে দেশের স্বার্থে সব দল এক হয়ে কাজ করবে, এমন প্রত্যাশা আমরা রাখি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলই রাজনৈতিক সংস্কারের পক্ষে। তবে, রাজনৈতিক দলগুলোকে অবজ্ঞা করলে তা দেশকে বিরাজনীতিকরণের দিকে ঠেলে দেবে।

তারেক রহমান আরও বলেন, দেশের স্বার্থের প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দলের অবস্থান এক ও অভিন্ন। ব্লেইম গেম দিয়ে এ সরকারের দায়িত্ব এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। নতুন যে সরকার গঠিত হবে, তারা পলাতক স্বৈরাচারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

এ যেনো সাহসিকতার পুনর্জন্ম

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, দুই ভারতীকে আটক করেছে এলাকাবাসী

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ৬:১৪ অপরাহ্ণ
দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, দুই ভারতীকে আটক করেছে এলাকাবাসী

দিনাজপুরের বিরলে সীমান্ত থেকে দুই বাংলাদেশি কৃষককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এই ঘটনার জেরে দুই ভারতীয় নাগরিককে ধরে এনে আটকে রেখেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এ নিয়ে দু’সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আজ শুক্রবার দুপুরের দিকে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ধর্মজৈন সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই দেশের নাগরিক বিনিময়ে পতাকা বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে।

স্থানীয় গ্রামবাসী জানিয়েছেন, বিরলের ধর্মপুর ইউনিয়নের ধর্মজৈন সীমান্তে ধান কাটছিলেন মাসুদ ও এনামুল নামের দুই কৃষক। ধর্মজৈন সীমান্তের ৩২০ মেইন পিলারের সাব পিলার ১০ এর কাছ থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

ঘটনার পর দুই বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী দুই ভারতীয় দুই নাগরিককে ধরে আনে। আটক দুই ভারতীয় নাগরিক হলেন- অবিনাশ টুডু ও ফিলিপ সরেন। তাদেরকে কারুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়।পরে বিজিবি সদস্যরা সেখানে গেলে তাদেরকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন ধর্মপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর ইসলাম ও বিরল থানার এসআই কাওসার।

আটক বাংলাদেশিরা হলেন- ওই এলাকার ইসরাইল ইসলামের ছেলে এনামুল ইসলাম (৫০) ও এনামুল ইসলামের ছেলে মাসুম (১৫)।

এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ হতে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে দুই দেশের নাগরিক বিনিময়ে পতাকা বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।

নতুন সিদ্ধান্ত নিলো পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ৬:১০ অপরাহ্ণ
নতুন সিদ্ধান্ত নিলো পাকিস্তান

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছেই। পেহেলগামে হামলার ঘটনার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সীমান্তে গোলাগুলি হচ্ছে। যুদ্ধের যে আশঙ্কা করা হচ্ছে তা দিনদিন বাস্তবতার দিকে এগোচ্ছে। যেকোনো সময় সামরিক সংঘাতে জড়াতে পারে দুই দেশ। এমন অবস্থায় নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বৃহস্পতিবার (১ মে) এক প্রতিবেদনে জানায়, হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সব মাদরাসা ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

গরম ও তাপপ্রবাহের জন্য মাদরাসা ছুটির কথা বলা হলেও পাকিস্তান কাশ্মীরের ধর্মবিষয়ক দপ্তরের পরিচালক হাফিজ নাজির আহমেদ রয়টার্সকে জানান, হামলার আশঙ্কা থেকেই মূলত প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি আরও জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করে যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে ভারতের সামরিক বাহিনী। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মাদরাসাগুলোকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারে ভারত। আমরা শিশুদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে চাই না।

জানা গেছে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের দুই অঞ্চল আজাদ কাশ্মীর ও গিলগিট-বাল্টিস্তানে মোট ৪৪৫টি ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা মাদরাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৬ হাজারেরও বেশি।

গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে হামলার পর পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। আটারি সীমান্ত বন্ধ করে দিয়ে পাকিস্তানিদের ফিরে যেতে বলা হয়েছে। সব ধরনের বাতিল হয়েছে ভিসা। সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতও করেছে ভারত।

পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে একই ধরনের পদক্ষেপ দিয়েছে পাকিস্তানও। সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতে ভারতের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সিমলা চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তানের আকাশসীমা নিষিদ্ধ, সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ জানান, সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিতের পদক্ষেপকে ‘যুদ্ধের ঘোষণা’ হিসেবে দেখছে পাকিস্তান। তিনি বলেছেন, যেকোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে পাকিস্তান।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের ‘রক্ত ফুটছে’। হামলায় জড়িত প্রত্যেককে কঠিনতম শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। শুধু তাই নয়, সীমান্তে যেকোনো ধরনের হুমকি মোকাবিলায় নিজের তিন বাহিনীকে অভিযানের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে দিয়েছেন মোদি।

বিশ্লেষক এবং কূটনীতিকরা বলছেন, পাকিস্তান যে কাশ্মীরা হামলা চালিয়েছে, তার জোরালো প্রমাণ এখনও দেখাতে পারেনি ভারত। এ অবস্থায় দিল্লি কোনো পদক্ষেপ নিলে বিশ্ব মঞ্চে তার ন্যায্যতা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে, পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চমলান সামরিক সংঘর্ষের আশঙ্কা যদি বাড়তে থাকে তাহলে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে।