খুঁজুন
বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৫ মাঘ, ১৪৩১

দ্রুত নির্বাচনের কথা বললে আমার অনেক সমালোচনা হয়: ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২:৪৪ অপরাহ্ণ
দ্রুত নির্বাচনের কথা বললে আমার অনেক সমালোচনা হয়: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দ্রুত নির্বাচনের কথা বললে আমার অনেক সমালোচনা হয়। একজন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছি, যদি অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ না থাকে তাহলে একটি নিরপেক্ষ সরকার দরকার হবে নির্বাচনকালীন সময়ে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। শহীদ আসাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করে শহীদ আসাদ পরিবার।

তিনি বলেন, ২৪-এর ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে আমরা একজন ফ্যাসিস্ট শাসককে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি। ৬৯ গণঅভ্যুত্থানের তৎকালীন স্বৈরশাসক আইয়ুব খানকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। কিন্তু আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ করতে পারিনি।

আমরা এখনো একটা নির্বাচনী ব্যবস্থা তৈরি করতে পারিনি উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা একটা সামগ্রিক ব্যাপার। আমরা যারা রাজনীতি করি, তারা বদলানোর চেষ্টা করি। কিন্তু সবসময় সেটা পারি না।

১৫ বছর আমরা ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, অবশেষে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। সেই বিজয়ের মধ্যদিয়ে সামনের দিনগুলোতে প্রত্যাশা-আশা করছি, যারা প্রাণ দিয়েছে তাদের স্বপ্নগুলো যেন বাস্তবায়ন করতে পারি।

মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষ একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চায়। সেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তারা তাদের অধিকার ফিরে পেতে চায়। তারা তাদের মোটা ভাতকাপড় পরে থাকতে পারেন। তবুও ভোটাধিকার ফিরে পেতে চান। কথা বলার অধিকার চান। তাদের সন্তানরা যেন লেখাপড়া শিখতে পারেন সেটা চান। তারা ন্যায়বিচারের সমাজ চান।

তিনি আরও বলেন, একটা কথা আমি সবসময় বলি। যেই কথা বললে আমার অনেক সমালোচনা হয়। আমি বলি নির্বাচনটা দ্রুত হওয়া দরকার। কেন বলি সেটাও অনেক বার বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আমি বিশ্বাস করি বিগত ১৫ বছর নির্বাচন থেকে আমরা বঞ্চিত। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করার সুযোগ পাবে। এখন সেই বিষয়টাকে যদি জোর করে বিতর্কিত করে ফেলা হয়, তাহলে জনগণ আবার সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের অতীত অভিজ্ঞতায় দেখেছি, এই ধরনের নির্বাচন যদি দ্রুত না হয়, তাহলে অন্যান্য শক্তিগুলো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তখন জনগণের যে চাহিদা সেখান থেকে তারা পুরোপুরি বঞ্চিত হয়। আমরা এই কথাটা বারবার বলতে চাই, নির্বাচনে কে ক্ষমতায় আসবে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে, যার জন্য ১৫ বছর আমরা লড়াই করেছি।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক জানিয়ে ফখরুল বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেড়েছে। একটা বিষয়ে সবাই একমত একটা নির্বাচন হওয়া দরকার। সেই নির্বাচন শুধু একটা দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়। নির্বাচন হচ্ছে গণতান্ত্রিক পথে যাওয়ার একটা পথ সৃষ্টি করা।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আজকে সবগুলো সংস্কার শেষ করে নির্বাচনে যাওয়ার কথা আসছে। তাহলে কি এখন আমরা ৪-৫ বছর ধরে অপেক্ষা করব? তাহলে কি যতদিন সংস্কার না হয়, ততদিন জনগণ অপেক্ষা করবে?

আমলাতন্ত্র আগে যে ব্যবস্থায় ছিল, এখন সেই ব্যবস্থায় সচিবায়ল থেকে প্রশাসনে সব জায়গায় দলীয়করণ করা হচ্ছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে লেখাপড়া প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সেই কারণে আমরা বলছি, দ্রুত নির্বাচন হওয়া দরকার।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাকে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেছেন, আমি বলেছি যদি অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ না থাকে, তাহলে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার দরকার হবে। আমি কথা বলেছি, তার কারণ আছে। আমরা দেখছি বেশ কিছু বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা পালন করতে পারছে না। আমরা আশা করবে অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা পালন করবে। দেশে যে সংকট আছে, সেটা থেকে মুক্ত করবে।

শহীদ আসাদ আমাদের ইতিহাসের একটি নাম উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তাকে যতই স্মরণ না করুক কিন্তু ইতিহাস থেকে আসাদকে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। অমর হয়ে থাকবে আসাদ।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়নকারী জোনায়েদ সাকি, বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান, জহির উদ্দিন স্বপন, খায়রুল কবির খোকন।

সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক ছেড়ে উঠে গেলেন নেতারা, বন্ধ থাকবে ট্রেন

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯:১২ অপরাহ্ণ
সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক ছেড়ে উঠে গেলেন নেতারা, বন্ধ থাকবে ট্রেন

মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স (ভাতা) যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধার দাবিতে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। এতে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন রেলের যাত্রীরা। এ অবস্থায় আন্দোলনরত কর্মচারীদের কর্মবিরতি থেকে সরিয়ে আনতে তাদের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। কিন্তু দুই ঘণ্টা আলোচনা করেও কোনও সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক থেকে উঠে গেছেন নেতারা।

আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ভিআইপি রুমে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু দুপুর ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন রানিং স্টাফদের প্রতিনিধি সাইদুর রহমান।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা দীর্ঘক্ষণ রেল সচিব-মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তবে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি বলে ওই বৈঠক চলাকালীনই আমি চলে এসেছি। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যারা আছে, বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করব। তবে আমরা আমাদের কর্মবিরতিতে অনড় আছি।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।

এর আগে, ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখে যাত্রীদের জিম্মি করে আন্দোলন করার বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সকালে কমলাপুর রেল স্টেশনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আসেন মাননীয় উপদেষ্টা।

এদিকে রেল কর্মচারীদের আর কোনো দাবি পূরণ সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, রেলের কর্মচারীদের যে যৌক্তিক দাবি, তা যতটুকু সম্ভব পূরণ করা হয়েছে। এরপরও তারা আন্দোলন করছে কেন? মানবিক কারণে যতটুকু করা দরকার করেছি।

তিনি বলেন, ওভারটাইম ইস্যুর সমাধান করা হয়েছে। এর বাইরের যেসব দাবি তা পূরণ করা সম্ভব নয়। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করতে হবে।

অন্যদিকে আন্দোলনকারী কর্মচারী ও শ্রমিক নেতারা বলছেন, তাদের দাবি মেনে নেওয়া না পর্যন্ত কর্মসূচি থেকে পিছু হটবেন না তারা। অথচ অগ্রীম টিকিট কেটে রীতিমতো নাজেহাল হচ্ছে যাত্রীরা। তবে বিআরটিসি বাস সার্ভিস কতোটুকু সাপোর্ট দিতে পারে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

আন্দোলন প্রত্যাহার করলেন ৭ কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিরা

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮:১১ অপরাহ্ণ
আন্দোলন প্রত্যাহার করলেন ৭ কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিরা

দাবি পূরণের আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন সাত কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এর আগে, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজের শহিদ মিনারের সামনে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) ড. মামুন আহমেদকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনা না হলে এবং প্রত্যাহার করা না হলে নিউমার্কেট থানা ঘেরাওয়েরও ঘোষণা দেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী মইনুল হোসেন বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নেয়া না হলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিউমার্কেট থানা ঘেরাও এবং সাত কলেজের সামনে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো যানবাহন চলতে দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) ড. মামুন আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী এবং ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করিয়েছে।

জনগণের বিপক্ষে যাওয়ার পরিণতি ৫ আগস্ট: তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮:০৩ অপরাহ্ণ
জনগণের বিপক্ষে যাওয়ার পরিণতি ৫ আগস্ট: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের বিপক্ষে কাজ করলে ৫ আগস্টের মতোই পরিণতি হবে। জনগণের বিপক্ষে কাজ করলে কী হয়, তারই প্রমাণ সেদিন হয়েছিল। মানুষ বিএনপির ওপর আস্থা রাখতে চাইছে। এই আস্থা যারা নষ্ট করবে তারা ছাড় পাবে না বলে হুঁশিয়ার করে দিয়ে তিনি বলেন, অন্যায় বা খারাপ কাজ করলে যেকোনো পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে সম্পর্ক রাখবে না বিএনপি। বিএনপি জনপ্রিয় কি না সে সিদ্ধান্ত জনগণ নেবে। ফলে জনগণের সাথে থাকতে হবে এবং সঙ্গে রাখতে হবে। আজ মঙ্গলবার খুলনায় বিএনপির কর্মশালায় দলটির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি।

সবাইকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, কারো পক্ষে একাকী সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। তাইতো বিএনপি দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা চায়।

তিনি বলেন, ধর্ম কোনো পরিচয় নয়, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা বাংলাদেশি। মুসলমানদের জন্য যে আইন, হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্যও সেই আইন বাংলাদেশে।

সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বিএনপির এই ৩১ দফার বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে দেশ ও জাতির সমঅধিকার বাস্তবায়ন করা হবে।

তারেক রহমান আরও বলেন, ৩১ দফা বাস্তবায়ন করা হলে রাষ্ট্রের সব সাংবিধানিক কাঠামো সংস্কারের মাধ্যমে জাতিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যাবে। এতে থাকবে না কোনো রাজনৈতিক বৈষম্য। স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে পতিত স্বৈরাচার দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান যেভাবে ধ্বংস করেছে, তা থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে ৩১ দফা বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব, কাজী আলাউদ্দীন, ডা. শহিদুল আলম, বিএনপির উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব ইসমাইল জাবিউল্লাহ, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, প্রশিক্ষণ কমিটির সদস্য আতিকর রহমান রুমন, সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার বানু, মাহবুবা হাবিবা, বজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী, সদস্য সচিব আব্দুল আলিমসহ অনেকে।