খুঁজুন
সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১৫ বৈশাখ, ১৪৩২

৩য় প্রান্তিক শেষে ওয়ালটনের মুনাফা ৬৯৬.৪৪ কোটি টাকা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:৪০ অপরাহ্ণ
৩য় প্রান্তিক শেষে ওয়ালটনের মুনাফা ৬৯৬.৪৪ কোটি টাকা

২০২৪-২৫ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে (জুলাই’২০২৪-মার্চ’২০২৫) ৬৯৬.৪৪ কোটি টাকা মুনাফা অর্জিত হয়েছে পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত দেশের শীর্ষ ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র।

চলতি হিসাব বছরের ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত সময়ে কোম্পানিটির ৩য় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। রবিবার (২৭ এপ্রিল) কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ৪৪তম সভায় আলোচ্য সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, করোনা পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বাণিজ্য অস্থিরতা, জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ইত্যাদি কারণে অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে বৈশ্বিক অর্থনীতি। অধিকন্তু, আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের ব্যাপক মূল্য বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে বাংলাদেশী মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলে কাঁচামালের ব্যয় বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। সেইসঙ্গে কোম্পানির পরিচালন ব্যয়ে প্রভাব ফেলেছে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি।

এদিকে ফাইন্যান্স অ্যাক্ট ২০২৪ অনুযায়ী রেফ্রিজারেটর সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭.৫ শতাংশ করার পাশাপাশি এয়ার কন্ডিশনারের উপর নতুন করে ৭.৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে।

ব্যয় বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে চলতি হিসাব বছরের ৩১ মার্চ, ২০২৫ সমাপ্ত সময়ে কোম্পানির অপারেটিং প্রফিট মার্জিন পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের ২৪.৭৩ শতাংশ থেকে কমে ২২.০৯ শতাংশ হয়েছে। এছাড়াও আলোচ্য সময়ে উচ্চ সুদ হার এবং ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে বিক্রয়ের শতকরা হারের বিপরীতে আর্থিক ব্যয় পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের ৬.১৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭.২৯ শতাংশ হয়েছে।

এসব সার্বিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের প্রতিফলন হিসেবে চলতি হিসাব বছরের জুলাই’২০২৪-মার্চ’২০২৫ পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ে ওয়ালটনের কর পরবর্তী নিট মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৯৬.৪৪ কোটি টাকায়। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির কর পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছিল ৭৬২.৩৪ কোটি টাকা।

আলোচ্য সময়ে (জুলাই’২০২৪-মার্চ’২০২৫) ওয়ালটনের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২২.৯৯ টাকা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিলো ২৫.১৭ টাকা। চলতি হিসাব বছরের ৩য় প্রান্তিকে অর্থাৎ জানুয়ারি-মার্চ’২০২৫ সময়ে ওয়ালটনের ইপিএস হয়েছে ১২.৯৪ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ১৩.৯৩ টাকা ছিলো।

৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত ২৭৭.০৪ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ ৩৭৮.৪১ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি হিসাব বছরের ৯ মাস শেষে (জুলাই’২০২৪-মার্চ’২০২৫) কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো’র (এনওসিএফপিএস) পরিমান দাঁড়িয়েছে ১.৮৩ টাকা নেগেটিভ, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২২.৮৮ টাকা। উল্লেখ্য, বিক্রির প্রধান মৌসুমে পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করার মাধ্যমে বিক্রয় প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে আলোচ্য সময়ে প্রচুর পরিমান কাঁচামাল ক্রয় করা হয়। ফলে আলোচ্য সময়ে বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায় সরকারি কোষাগারে ভ্যাট, ট্যাক্স প্রদান এবং কাঁচামাল সরবরাহকারীদের অর্থ প্রদানের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

মূলত, এসব কারণে ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত সময়ে কোম্পানির এনওসিএফপিএস হ্রাস পায়।

চলতি হিসাব বছরের শেষ প্রান্তিক অর্থাৎ এপ্রিল-জুন’২০২৫ সময় ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিক্রির প্রধান মৌসুম হওয়ায় কোম্পানির মুনাফা আরো সন্তোষজনক অবস্থানে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।

বোর্ড সভায় আর্থিক প্রতিবেদনের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রথম সর্বাধুনিক প্রযুক্তির লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি সেল উৎপাদন প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে। এছাড়াও এ খাতে দেশের আমদানি নির্ভরতা বহুলাংশে হ্রাস পাবে, নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পাবে বলে দৃঢ় আশাবাদী ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

শেখ হাসিনাকে চুপ রাখতে বলায় কী বলেছিলেন মোদী, জানালেন ড. ইউনূস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:৫৭ অপরাহ্ণ
শেখ হাসিনাকে চুপ রাখতে বলায় কী বলেছিলেন মোদী, জানালেন ড. ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে আলাপ হয়েছিল। ভারতে থেকে হাসিনার বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা।

বে হাসিনার চুপ থাকার বিষয়ে নিজের অক্ষমতার কথা জানিয়ে দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আল জাজিরায় এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা জানান।

ওই সাক্ষাৎকারে সংস্কার, নির্বাচন, চীন প্রসঙ্গ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক, ডোনাল্ড ট্রাম্প, হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকসহ নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।

সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানতে চান- শেখ হাসিনা দাবি করছেন, তিনি এখনো বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারতে বসে নানা বক্তব্য দিচ্ছেন। বাংলাদেশ সরকার ভারতে তার উপস্থিতিকে কীভাবে দেখছে?

জবাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানদের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ছিলেন। মোদীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। মোদীকে স্পষ্টভাবে বলে বলেছি, যখন তিনি (হাসিনা) সেখানে আছেন, তখন যেন কোনো উসকানিমূলক বক্তব্য না দেন। কারণ এটি আমাদের দেশে অনেক সমস্যা সৃষ্টি করছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি (হাসিনা) বাংলাদেশের মানুষকে উসকে দেওয়ার জন্য বক্তব্য দিচ্ছেন, আর তার খেসারত আমাদের দিতে হচ্ছে।

সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার জানতে চান, প্রধানমন্ত্রী মোদী কী বলেছিলেন। উত্তরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি যদি ঠিকঠাক মনে করতে পারি, তিনি বলেছিলেন, ‘এটা (ভারত) এমন একটি দেশ, যেখানে সামাজিকমাধ্যম সবার জন্য উন্মুক্ত, আমি এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। ’

প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি মনে করেন কি না, ভারত শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে আশ্রয় দিচ্ছে, যেন দেশে ফিরে তাকে ন্যায়বিচারের সম্মুখীন না হতে হয়। তিনি ভারতের ওপর কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পারবেন কি না?

জবাবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস জানান, বাংলাদেশ এরইমধ্যে ভারত সরকারকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে। কিন্তু তারা এখনো কোনো উত্তর দেয়নি। যখন আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে, তখন আদালত তাকে নোটিশ পাঠাবে এবং তখন দেখা যাবে কীভাবে তাকে ফিরিয়ে আনা যায়।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই থেকে তিনি ভারতেই আছেন। এ নিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে।

দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:৪৮ অপরাহ্ণ
দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা

দেশে ফিরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে অংশগ্রহণ শেষে সোমবার (২৮ এপ্রিল) ভোর ৩টায় তিনি দেশে পৌঁছান।

প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী সচিব ফয়েজ আহম্মদ এ তথ্য জানান।

কাতারের দোহায় আর্থানা সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশ্যে ২১ এপ্রিল তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। দোহায় চারদিনের সফর শেষে তিনি পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগদানের উদ্দেশে ইতালিতে যান।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভ্যাটিকান সিটিতে পোপের শেষকৃত্যে যোগদান শেষে রবিবার (২৭ এপ্রিল) ইতালির রোম থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে সোমবার ভোরে দেশে ফেরেন।

রাখাইনে মানবিক সহায়তায় শর্তসাপেক্ষে করিডোর দিতে রাজি সরকার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:৪৪ অপরাহ্ণ
রাখাইনে মানবিক সহায়তায় শর্তসাপেক্ষে করিডোর দিতে রাজি সরকার

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর জন্য বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে মানবিক করিডোর তৈরি করতে চায় জাতিসংঘ। এ বিষয়ে শর্তসাপেক্ষে নীতিগতভাবে সম্মত আছে অন্তর্বর্তী সরকার।আজ রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী রাখাইনে মানবিক করিডোর দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে সম্মত। এটি একটি মানবিক প্যাসেজ হবে। কিন্তু আমাদের কিছু শর্তাবলি আছে। আমি এর বিস্তারিতে যাচ্ছি না। যদি শর্তাবলি পালিত হয়, তবে অবশ্যই আমরা সহায়তা করবো।’

মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত আমাদের স্বার্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জানিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘কারণ মিয়ানমারের একটি বিরাট জনগোষ্ঠী আমাদের দেশে আশ্রয় নিয়ে আছে এবং আমরা তাদের ফেরত পাঠাতে চাই। ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে আমাদের যা কিছু করার প্রয়োজন, সেটি আমাদের করতে হবে।’

বাংলাদেশ সীমান্তে অধিকার পরিবর্তন হয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে একটি নন-স্টেট অ্যাক্টরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে পুরো সীমান্ত। সেখানে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। কাজেই আমাদের নিজেদের স্বার্থে কোনও না কোনও ধরনের যোগাযোগ—অর্থাৎ নন-স্টেট অ্যাক্টরের সঙ্গে আমরা আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করতে পারি না। কিন্তু আমরা চাইলেও বিচ্ছিন্ন থাকতে পারবো না।’