খুঁজুন
বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২২ মাঘ, ১৪৩১

সংবিধানে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ রাখার পক্ষে যে যুক্তি দিলেন আলী রীয়াজ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:৩১ অপরাহ্ণ
সংবিধানে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ রাখার পক্ষে যে যুক্তি দিলেন আলী রীয়াজ

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সংবিধান সংস্কারের দাবি উঠেছে। যা সামনে রেখে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক আলী রীয়াজকে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১৫ জানুয়ারি বিভিন্ন প্রস্তাবনা রেখে কমিশন তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।

সংবিধানের প্রস্তাবনায় গণতন্ত্রকে মৌলিক নীতিরূপে বজায় রেখে কমিশন সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও বহুত্ববাদ অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে। পাশাপাশি তিনটি নীতি বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। কমিশনের অন্যতম সুপারিশ ছিল ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’কে মৌলিক নীতির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া। তবে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে রাখার পক্ষে কমিশন। যা নিয়ে নানা মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এবার সেই বিষয় নিয়েই কথা বলেছেন আলী রীয়াজ।

সম্প্রতি জাপানভিত্তিক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সাময়িকী দ্য ডিপ্লোম্যাটের সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা বলেছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দ্য ডিপ্লোম্যাটের দক্ষিণ এশিয়া সম্পাদক সুধা রামাচন্দ্রন। সাক্ষাৎকারে আলী রীয়াজ যুক্তি দেন, শেখ হাসিনা সরকারের ঘোষিত ও চর্চিত ধর্মনিরপেক্ষতা ছিল শুধু ধর্মীয় বৈচিত্র্যের সহনশীলতার মধ্যে সীমাবদ্ধ। তার মতে, কমিশন যে বহুত্ববাদের সুপারিশ করেছে তার পরিধি অনেক বিস্তৃত ও ব্যাপক।

আলী রীয়াজের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বর্তমান সংবিধানে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ সহাবস্থান করছে। কমিশনের প্রস্তাবে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দেওয়া হয়েছে এবং ইসলামকে আগের জায়গাতেই রাখা হয়েছে। তাহলে রাষ্ট্রের সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক কেমন হবে?

আলী রীয়াজ বলেন, ‘১৯৮৮ সালে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলাম সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি একাধিকবার ক্ষমতায় এসেছে এবং ৮ বার সংবিধান সংশোধন করেছে, কিন্তু তারা কখনোই এটি বাতিলের উদ্যোগ নেয়নি। ২০২৪ সালের এপ্রিলে হাইকোর্টের এক রায়ে বলা হয়, ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম বহাল রাখা সংবিধানিক স্ববিরোধ সৃষ্টি করে না। আমরা যখন সমাজের বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শ করেছি, তখন বিপুলসংখ্যক ব্যক্তি ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বহালের পক্ষে মত দিয়েছেন। আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ৫০ হাজারেরও বেশি মতামত গ্রহণ করা হয়েছে, যার মধ্যে বিপুলসংখ্যক মত ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে সংবিধানে বহাল রাখার পক্ষে ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের পর্যালোচনা প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ১২১টি দেশের সংবিধান পর্যালোচনা করেছি, যার মধ্যে বাংলাদেশের সংবিধানও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই পর্যালোচনা থেকে আমরা দেখেছি যে-১৯টি দেশে রাষ্ট্রধর্ম আছে এবং ৭৫টি দেশের সংবিধানে “পরমেশ্বরের প্রতি বিশ্বাস”–এর কথা উল্লেখ আছে। অনেক পশ্চিমা দেশেও একটি রাষ্ট্রধর্ম বা একক ধর্মের সরকারি স্বীকৃতি রয়েছে।’

এ সময় তিনি বিশ্বজুড়ে রাষ্ট্রধর্মের অবস্থান নিয়ে পরিচালিত এক গবেষণার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘২০১৭ সালে ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টার জানিয়েছিল, ৮০ টিরও বেশি দেশ একটি নির্দিষ্ট ধর্মকে সমর্থন করে, যা সরকারিভাবে অনুমোদিত ধর্ম হিসেবে অথবা এক ধর্মকে অন্য ধর্মের তুলনায় অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। সমীক্ষায় তারা দেখেছে, ১৯৯টি দেশের মধ্যে ২২ শতাংশ দেশের একটি রাষ্ট্রধর্ম রয়েছে এবং ২০ শতাংশ দেশ একটি ধর্মকে প্রাধান্য দেয়। সুতরাং, বাংলাদেশ কোনোভাবেই অনন্য নয়।’

রাষ্ট্র অনুমোদিত একটি ধর্ম থাকলেও রাষ্ট্র এবং ধর্মের সম্পর্ক আলাদা হতে পারে বলে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘ইসরায়েলের বার ইলান ইউনিভার্সিটির ধর্ম ও রাষ্ট্র (আরএসএস) সংক্রান্ত গবেষণার তথ্য–উপাত্তের ভিত্তিতে জনাথন ফক্স বলেছিলেন যে, এ ধরনের পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে ভিন্ন হতে পারে। তিনি যুক্তরাজ্য এবং ইরানকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। উভয় দেশেই রাষ্ট্রধর্ম বা সরকারি গির্জা আছে, তবে এই দুই রাষ্ট্রের কার্যক্রমে ধর্মের ভূমিকা একেবারে বিপরীত।’

আলী রীয়াজ বলেন, ‘(প্রস্তাব অনুযায়ী) সংশোধিত সংবিধানে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও ধর্মের সম্পর্ক গত কয়েক দশকের মতোই থাকবে। যতক্ষণ না ধর্ম আইনগত ব্যবস্থার উৎস হিসেবে কাজ করছে অথবা রাজনৈতিক–আইনি প্রতিষ্ঠানগুলোকে চ্যালেঞ্জ করছে, ততক্ষণ উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। অনেক সময় রাষ্ট্রধর্মগুলো প্রতীকীভাবে বেশি দেখা যায়, এর বাস্তবিক প্রভাব থাকে কম।’

হত্যাচেষ্টা মামলায় আ’লীগের সাবেক এমপি আব্দুল আজিজ কারাগারে

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,, সিরাজগঞ্জঃ
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:০০ অপরাহ্ণ
হত্যাচেষ্টা মামলায় আ’লীগের সাবেক এমপি আব্দুল আজিজ কারাগারে

হত্যাচেষ্টা মামলায় সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল আজিজকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ২টার দিকে ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজকে সিরাজগঞ্জ তাড়াশ আমলি  আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তাঁর আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন।

এ সময় মামলার মূল নথিপ্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী সময়ে জামিনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক মো. ওবায়দুল হক রুমি। 
আদালতের জিআরও শিউলী খাতুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মান্নান তালুকদারের গাড়িবহরে হামলা চালায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ বাদী হয়ে ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজসহ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের নামে মামলা করেন।

এই মামলায় গত সোমবার (৩ জানুয়ারি -২০২৫ খ্রিঃ) রাতে রাজধানীর কলাবাগান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সদস্যরা। 

মঙ্গলবার ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ’কে সিরাজগঞ্জ আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে তাঁকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ শিশু সার্জন হিসেবে ঢাকা শিশু হাসপাতালে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হোন। ২০১৮ সালে তিনি শিশু হাসপাতালে পরিচালক পদে নিয়োগ পান এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতৃত্ব দেন। পাশাপাশি সে সময়ের সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের অটিজম বোর্ডের একজন মেম্বার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের (তাড়াশ-রায়গঞ্জ) সংসদ সদস্য পদে আওয়ামীলীগের প্রার্থী  হিসেবে মনোনয়ন পেয়ে বিজয়ী হন। ওই নির্বাচনে প্রচারণা চালানোর সময় বিএনপির প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল মান্নান তালুকদারের গাড়ি বহরে হামলা চালানো হয়।

এ ঘটনায় বাংলাদেশ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র পক্ষ থেকে মদদদাতা হিসেবে  আওয়ামীলীগের প্রার্থী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজকে দায়ী করা হয়। পরবর্তীতে ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও তিনি আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য হন। 

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর, ২০১৮ সালের বিএনপির প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান তালুকদারের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায়, তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ বাদী হয়ে হত্যা চেষ্টা ও বিষ্ফোরক আইনে সাবেক এমপি অধ্যাপক ডা. মো.আজিজসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পর থেকে সাবেক এমপি অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ আত্মগোপনে চলে যান।

পাইকগাছার গদাইপুরের গর্ভস্থ পানি পাইপ লাইনের মাধ্যমে পৌরসভায় সরবরাহের বিরোধ নিয়ে আলোচনা

মোঃ রেজাউল ইসলাম, পাইকগাছা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:৫৭ অপরাহ্ণ
পাইকগাছার গদাইপুরের গর্ভস্থ পানি পাইপ লাইনের মাধ্যমে পৌরসভায় সরবরাহের বিরোধ নিয়ে আলোচনা

খুলনার পাইকগাছায় আজ (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় ৭ নং গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে উপজেলা প্রশাসনের পানি সরবরাহ বিরোধ নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন ও পাইকগাছার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সবজেল হোসেন।

উপস্থিত ছিলেন পাইকগাছা উপজেলা জাতীয় সম্পদ রক্ষা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মুহাঃ আমিনুল ইসলাম (কাজল)।

আরো উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য মাওঃ আমিনুল ইসলাম। ৭ নং গদাইপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওঃ আব্দুল মজিদ।

উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি মোঃ আসলাম পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবুল হোসেন,বিএনপি নেতা তুষার কান্তি মন্ডল, পৌর বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা লাকী, সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজান,সাবেক চেয়ারম্যান গাজী জুনায়েদুর রহমান,প্রধান শিক্ষক মোঃ বদিউজ্জামান সরদার, জামাত নেতা মোমিন মোড়ল, মোঃ আসাদুল ইসলাম, কাজী সিফাত উল্লাহ,উপজেলা নার্সারি মালিক সমিতির সম্পাদক মোঃ কামাল সরদার, ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবর আলী গোলদার সহ জেলা দপ্তর থেকে আগত প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

সিরাজগঞ্জে ব্র্যাকের উদ্যোগে প্রতিবন্ধীদের সহায়ক উপকরণ বিতরণ

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:৫৫ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে ব্র্যাকের উদ্যোগে প্রতিবন্ধীদের সহায়ক উপকরণ বিতরণ

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা অফিসে ব্র্যাক দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির সহযোগিতায় প্রতিবন্ধি ব্যক্তিদের সহায়ক উপকরণ বিতরণ করা হয়। উপকরণের মধ্যে দেওয়া হয় হেয়ারিং এইড ৪টি, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য ১টি চশমা এবং হুইলচেয়ার ১টি।
  
ব্র্যাক সিরাজগঞ্জের উদ্যোগে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০টায় ব্র্যাক অফিস হতে উক্ত উপকরণ বিতরণকালে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ সোহেল রানা, ব্র্যাক জেলা সমন্বয়ক মোঃ রইসউদ্দিন, ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা কর্মসূচি অফিসার (সেলপ) মোঃ মাসুদ রানা, দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির কর্মসূচি সংগঠক রিপন কুমার মন্ডল, আবদুল সামাদসহ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অভিভাবকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।