খুঁজুন
শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ঢাকার ৩৩৮২ ভবনের অবৈধ অংশ ভাঙা হবে: রাজউক চেয়ারম্যান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৬:৫৬ অপরাহ্ণ
ঢাকার ৩৩৮২ ভবনের অবৈধ অংশ ভাঙা হবে: রাজউক চেয়ারম্যান

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম জানিয়েছেন, নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে ঢাকায় নির্মাণাধীন ৩ হাজার ৩৮২টি ভবনের অবৈধ অংশ চিহ্নিত করে ভাঙা হবে, কাজগুলো শুরুও হয়েছে।

আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ‘সমস্যার নগরী ঢাকা : সমাধান কোন পথে?’ শীর্ষক এক নগর সংলাপে এ কথা জানান তিনি।

রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, অবৈধ ভবনগুলোর কাজ স্থগিত রাখতে নির্দেশ দিয়ে পর্যায়ক্রমে ভবনগুলো আংশিক অংশ ভেঙে ফেলা হবে। প্রথম ধাপে সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ফৌজদারি মামলা দায়ের করা, নকশা বাতিল এবং প্রয়োজনে ভবনগুলো সিলগালা করা হবে।

তিনি জানান, রাজউক এলাকায় নির্মাণাধীন ৩ হাজার ৩৮২টি ভবন চিহ্নিত করেছি, যেগুলো নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে। এই ভবনগুলোর যেটুকু অংশেই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে, সেটুকু ভেঙে ফেলবো। আমি যতদিন দায়িত্বে আছি তার মধ্যে এই কাজ চালিয়েই যাব। এগুলো ভেঙে হোক কিংবা অন্যভাবে হোক, তাদের নিয়মের মধ্যে আনবো। আমরা নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি।

নগর সরকার কিংবা এক ছাতার নিচে আনার মতো ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব উল্লেখ করে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ঢাকাকে এক আমব্রেলার নিচে না আনলে যত পরিকল্পনাই করা হোক না কেন কাজে আসবে না। সবকাজের সিদ্ধান্ত একটি জায়গা থেকে আসতে হবে। সেখানে নগর সরকার হোক কিংবা এক মেয়রের কাছে ক্ষমতা থাকুক, সেটায় সমস্যা নেই। নগরের পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, সেবাসহ সব সেবার বিষয়ে একটি জায়গা থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, এই মুহূর্তে যারা বাড়ি করে ফেলেছে সেগুলোর ব্যবস্থা পরে নেবো। সব কাজ একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। তবে আন্ডার কনস্ট্রাকশন বিল্ডিংয়ে কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না, সেটা নিশ্চিত করছি। আমাদের নতুন করে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা বেদখল হওয়া প্লটগুলো উদ্ধার করে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করবো।

অনুষ্ঠানে সংগঠনের সিনিয়র সদস্য খালেদ সাইফুল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মতিন আব্দুল্লাহ।

অনুষ্ঠানে সংগঠনটির প্রকাশনা ‘ঢাকাই’ ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। একইসঙ্গে সংগঠনের সিনিয়র সদস্য হেলিমুল আলম বিপ্লবের প্রকাশিত ঢাকার খালগুলো নিয়ে প্রকাশিত “Dhaka’s Canals on Their Dying Breath, An In-Depth Look at How the capital’s Waterways Are Being Choked” বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

‘ভাগে’ গরু কোরবানি দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা !

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ৫:৩৫ অপরাহ্ণ
‘ভাগে’ গরু কোরবানি দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা !

রাত পেরোলেই কোরবানির ঈদ; জমজমাট পশুর হাটে চলছে শেষ মুহূর্তের বেচাকেনা। সামর্থ্য অনুযায়ী পছন্দের পশু কেনার জন্য হাটে ছুটছেন ক্রেতারা; অনেকেই কিনে ফেলেছেন ইতোমধ্যে।এর মধ্যেই জানা গেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী কোরবানি দিচ্ছেন কত টাকায়; জানিয়েছেন তিনি নিজেই।

আজ শুক্রবার জাতীয় ঈদগাহ মাঠের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাস্যোজ্জ্বল এক মুহূর্তে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, এবারের ঈদুল আজহায় গরু কোরবানি দিচ্ছেন তিনি, তাও ভাগে। তার কোরবানি দিতে যাওয়া গরুটির দাম পড়েছে ৯৭ হাজার টাকা।

এর আগে, ঈদুল আজহায় রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেন তিনি। লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এবার ঢাকার নিরাপত্তা নিয়ে আমার ১০০ ভাগ কনফিডেন্ট আছি। রাজধানীর নিরাপত্তায় ৫০০ পেট্রোল টিম কাজ করবে। তারা অলিগলিতেও কাজ কাজ করবেন। এই ক্ষেত্রে আমি আপনাদের (গণমাধ্যম কর্মী) সহযোগিতা চাই। কোনো তথ্য থাকলে সঙ্গে সঙ্গে থানায় জানাবেন। অনেক সময় ছোটখাটো কিছু ঘটনা ঘটে যায়, সেটিও যেন না ঘটে, এ জন্য আমরা কাজ করছি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রতি বছর যেভাবে ভালোভাবে হয় এবারও একইভাবে ঈদের নামাজ হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সারাদেশে নিরাপত্তায় কাজ করছে। যারা জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজ পড়বেন তাদের জায়নামাজও আনতে হবে না। সবাই আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন যেন বৃষ্টি না হয়। বৃষ্টি হলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত হবে। আমাদের প্রস্তুতির কোনো অভাব নেই। সারাদেশে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। তারাও ছুটিতে যাননি সবার নিরাপত্তা দিতে।

ঈদের দিন যেমন থাকবে আবহাওয়া

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ৫:৩০ অপরাহ্ণ
ঈদের দিন যেমন থাকবে আবহাওয়া

পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে ৭ জুন (শনিবার)। ওইদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনার পাশাপাশি গরম বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে এ তথ্য।

আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঈদের দিন সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অঞ্চলের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এদিন দেশের অন্যান্য এলাকায় আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, ঈদের দিন সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। ফলে, ভোর বা সকালে কিছুটা আরামদায়ক পরিবেশ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম অনুভূত হতে পারে।

ঈদের পরদিন রোববার (৮ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এ ছাড়া ঈদের তৃতীয় দিন সোমবার (৯ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রাও সামান্য বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আইসিসির ৪ বিচারকের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ৫:২৭ অপরাহ্ণ
আইসিসির ৪ বিচারকের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) চার বিচারকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং এর আগে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরুর সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ওই চার বিচারকের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর রয়টার্সের।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর বিবৃতি অনুসারে, ওই চার বিচারক হলেন উগান্ডার সোলোমি বালুঙ্গি বোসা, পেরুর লুজ দেল কারমেন ইবানেজ কারানজা, বেনিনের রেইনে এদিলেইদে সোফি আলাপিনি গ্যানসো এবং স্লোভেনিয়ার বেটি হোহলার।

রুবিও বলেন, আইসিসির বিচারক হিসেবে এই চার ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্র বা আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিসির অবৈধ ও ভিত্তিহীন কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। আইসিসি একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে তদন্ত, অভিযোগ গঠন এবং বিচারকাজ চালানোর ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতার যে দাবি তারা করে, তা পুরোপুরি মিথ্যা।’

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনে এ পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক বিচারিক প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা বলে উল্লেখ করেছেন আইসিসি। আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আইসিসি হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যা ‘অকল্পনীয় নৃশংসতার’ শিকার কোটি কোটি ভুক্তভোগীর কাছে ন্যায়বিচার ও আশার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

বিচারপতি বোসা এবং ইবানেজ কারানজা দুজনই ২০১৮ সাল থেকে আইসিসির বেঞ্চে আছেন। ২০২০ সালে তারা আপিল চেম্বারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আইসিসির কৌঁসুলিকে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়।

অবশ্য, ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে তদন্তকে অগ্রাধিকার দেওয়া থেকে সরে আসে। এর পরিবর্তে তারা আফগান সরকার ও তালেবান বাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠা অপরাধের অভিযোগগুলোর ওপর গুরুত্ব দিতে শুরু করে।

গত নভেম্বরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সাবেক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা প্রধান ইয়োভ গ্যালান্ট এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের নেতা ইব্রাহিম আল মাসরির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আইসিসির বিচারপতিরা। মার্কো রুবিও বলেন, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনুমোদনের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন বিচারক আলাপিনি গ্যানসৌ এবং হোহলার।

আইসিসির চার বিচারকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার এ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে আদালতের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের বিদ্বেষ আরও গভীরভাবে প্রকাশ পেয়েছে। ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেও তৎকালীন প্রধান কৌঁসুলি ফাতু বেনসৌদা এবং তার একজন শীর্ষ সহযোগীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ওয়াশিংটন। আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে তদন্তকে কেন্দ্র করে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।

এছাড়া, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে চলতি বছরের জানুয়ারিতে আইসিসিকে শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটিও হয়েছিল। ইসরায়েল সরকারের প্রতি রিপাবলিকানদের জোরালো সমর্থন স্পষ্ট হয়েছিল এ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে।