খুঁজুন
শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

রাজধানীতে জমে উঠছে পশু বেচাকেনা

ভারতীয় গরু না থাকায় স্বস্তি, ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ১১:২২ অপরাহ্ণ
ভারতীয় গরু না থাকায় স্বস্তি, ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি

কয়েকদিনের বৃষ্টিতে শুরুতে আশঙ্কা থাকলেও জমে উঠছে রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটগুলো। ধীরে ধীরে বাড়ছে বেচাকেনা। আগের দু-তিনদিনের তুলনায় বুধবারও বৃহস্পতিবার (৪-৫ জুন) ঢাকার অধিকাংশ হাটেই পশু বেচাকেনা বেড়েছে। এদু’দিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সরেজমিনে গাবতলী, ইস্টার্ন হাউজিং, যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, দনিয়া ও রায়েরবাগের হাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতা উপস্থিতি বেশ ভালো। যারা কোরবানির পশু কিনতে হাটে আসছেন তাদের অনেকে পছন্দের পশু কিনে ফিরছেন। রাত থেকে বেচাকেনা আরও জমে উঠবে বলে আশা করছেন হাট সংশ্লিষ্টরা।

অন্যান্য বছরের মতো এবারও কোরবানির পশুর হাটে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, আগামী দুদিন হাটে ক্রেতা আরও বাড়তে পারে। এদিন বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতার পাশাপাশি উৎসুক মানুষেরা অনেকেই হাটে ভিড় করছেন। তারা হাট ঘুরে বিভিন্ন গরু দেখছেন। ক্রেতা-বিক্রেতাদের দরদাম শুনছেন। অতিরিক্ত দর্শনার্থীর কারণে কোথাও কোথাও কিছুটা গাদাগাদিও তৈরি হচ্ছে।

মূলত রাজধানীর হাটগুলোতে গত শনিবার ও রবিবার দুপুরের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কোরবানির পশু আসতে শুরু করে। সোমবার পর্যন্ত গত তিনদিন বেচাকেনা তেমন ছিল না। সে তুলনায় আজ গরু-ছাগল বেশ বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাট সংশ্লিষ্টরা। ক্রেতাদের কারও কারও সঙ্গে কথা হলে তারাও এবার দরদাম নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন।

হাটগুলোতে দেখা যায়, গাবতলী, দনিয়া ও যাত্রাবাড়ী হাটের নির্ধারিত স্থান রাস্তার দুই পাশ ও আশপাশের বাজার ছাড়িয়ে ত্রিপলের ছাউনি ও প্যান্ডেল টানিয়ে গরু-ছাগল রাখা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গরু নিয়ে আসা পাইকার, ব্যবসায়ী ও খামারিরা নিজেদের গরু এসব ছাউনির নিচে বেঁধে রেখেছেন। হাটে প্রবেশের মূল গেটে দেখা গেছে ক্রেতা সমাগম। কেউ পছন্দের গরু কিনে বাড়ি ফিরছেন, কেউ পশু কিনতে হাটে ঢুকছেন।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতা-বিক্রেতাদের পাশাপাশি উৎসুক জনতার ভিড়ও একেবারে কম নেই। হাট কমিটির পক্ষ থেকে বারবার সতর্কতা জারি করার পরও হাটে আসা দর্শকদের সরিয়ে নেওয়া যাচ্ছে না।

এবছর হাটগুলোতে ছোট ও মাঝারি আকারের গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে ৪৫-৫০ হাজার থেকে শুরু করে দেড়-দুই-আড়াই লাখ টাকা দামের গরুও বিক্রি হচ্ছে। তবে যেসব গরুর দাম লাখ টাকার আশপাশে সেগুলোর চাহিদা বেশি দেখা গেছে।

রাজধানীর গাবতলী হাটে কথা হয় জোনায়েদ মোল্লা নামের একজনের সাথে। ঈদে কোরবানির জন্য পশুর হাট থেকে মাঝারি আকারের একটি গরু কেনেন তিনি। হাসিল আদায় কেন্দ্রের সামনে কথা হলে এই ক্রেতা বলেন, ‘বিক্রেতা ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দাম চেয়েছিলেন। গরুটি পছন্দ হওয়ায় ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দাম বলি। পরে আরও বাড়িয়ে ১ লাখ ৪৩ হাজার টাকায় বনিবনা হয়।

ছোট সাইজের একটি গরু ৭৫ হাজার টাকায় কিনেছেন রবি শেখ। জানতে চাইলে তিনি বলেন, গরুর দাম মোটামুটি নাগালের মধ্যে। বাজেট কম, তাই আগেভাগে গরু কিনে নিলাম। তাহলে আর শেষের দিকে ঝামেলা হবে না।

বাজার ঘুরে পাইকার ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত শনিবার থেকে হাটে গরু-ছাগল আসা শুরু হলেও মঙ্গলবার টুকটাক বেচাকেনা হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে বুধবার ও বৃহস্পতিবার বেচাকেনা বেড়েছে। তবে বেচাকেনার পরিমাণ তুলনামূলক কম। পাইকাররা আশা করছেন, বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার পশু বিক্রি বাড়বে।

ঝিনাইদহের শৈলকূপা থেকে ঢাকার হাটে গরু নিয়ে আসা এক খামারি বলেন, মঙ্গলবার ছোট সাইজের ২৫টি গরু নিয়ে এসেছি। বুধবার বিকেল পর্যন্ত বিক্রি করতে পেরেছি মাত্র তিনটা। যার মধ্যে একটি ৫০ হাজার, একটি ৭৪ হাজার এবং অন্যটি বিক্রি হয়েছে ৮০ হাজার টাকায়। আর আজ বৃহস্পতিবার বিক্রি করেছি ৪টা। আগের তুলনায় দাম ভালো পেয়েছি।

তিনি বলেন, কোরবানির পশু বিক্রি এখনো পুরোদমে শুরু হয়নি। আজ রাত থেকে বিক্রি বাড়তে পারে। এখন ছোট ও মাঝারি আকারের গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। বড় গরুর দরদাম চললেও বিক্রি কম।

কুষ্টিয়ার মিরপুর থেকে আসা পাইকার রেজওয়ান মিয়া বলেন, শনিবার বিকেলে ২০টি গরু নিয়ে এসেছি। লাখ টাকার কম দামের গুরুর পাশাপাশি দুই-আড়াই লাখ টাকা দামের গুরুও এনেছি। বুধবার বিকেল পর্যন্ত তিনটি গরু বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে একটি গরু ৭০ হাজার, একটি ১ লাখ ৪ হাজার এবং অন্যটি ৯৪ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।

তিনি বলেন, এবার গরুর দাম তেমন চড়া না হলেও পরিবহন খরচ অনেক বেড়েছে। তবে রাস্তায় কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি। তাছাড়া এতোদিন ভারত থেকে নিয়মিত ও চুরি করে ভারতীয় গরু বাংলাদেশে জমজমাট থাকতো। ফলে এদেশের গরু ব্যবসায়ী ও খামারিদের সবমিলিয়ে লোকসান গুনতে হতো। কিন্তু এবার কোনো ভারতীয় গরু বাংলাদেশে ঢোকেনি। এজন্য আমরা এবার একটু বেশিই আশাবাদী।’

রাজধানীর গাবতলী, ইস্টার্ন হাউজিং, দিয়া বাড়ি, যাত্রাবাড়ী সহ সকল হাটেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শক্ত অবস্থান দেখা গেছে। সেই সাথে পুলিশের পাশাপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, হাট, মোড়, ওভার ব্রিজের নিচে সেনাবাহিনীর সক্রিয় অবস্থান নিশ্চিন্ত নিরাপত্তার বিষয়ই জানান দিচ্ছে। সবমিলিয়ে এবারের কুরবানির হাটগুলো বেশ জমে উঠেছে- একথা বলাই যায়।

‘ভাগে’ গরু কোরবানি দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা !

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ৫:৩৫ অপরাহ্ণ
‘ভাগে’ গরু কোরবানি দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা !

রাত পেরোলেই কোরবানির ঈদ; জমজমাট পশুর হাটে চলছে শেষ মুহূর্তের বেচাকেনা। সামর্থ্য অনুযায়ী পছন্দের পশু কেনার জন্য হাটে ছুটছেন ক্রেতারা; অনেকেই কিনে ফেলেছেন ইতোমধ্যে।এর মধ্যেই জানা গেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী কোরবানি দিচ্ছেন কত টাকায়; জানিয়েছেন তিনি নিজেই।

আজ শুক্রবার জাতীয় ঈদগাহ মাঠের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাস্যোজ্জ্বল এক মুহূর্তে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, এবারের ঈদুল আজহায় গরু কোরবানি দিচ্ছেন তিনি, তাও ভাগে। তার কোরবানি দিতে যাওয়া গরুটির দাম পড়েছে ৯৭ হাজার টাকা।

এর আগে, ঈদুল আজহায় রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেন তিনি। লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এবার ঢাকার নিরাপত্তা নিয়ে আমার ১০০ ভাগ কনফিডেন্ট আছি। রাজধানীর নিরাপত্তায় ৫০০ পেট্রোল টিম কাজ করবে। তারা অলিগলিতেও কাজ কাজ করবেন। এই ক্ষেত্রে আমি আপনাদের (গণমাধ্যম কর্মী) সহযোগিতা চাই। কোনো তথ্য থাকলে সঙ্গে সঙ্গে থানায় জানাবেন। অনেক সময় ছোটখাটো কিছু ঘটনা ঘটে যায়, সেটিও যেন না ঘটে, এ জন্য আমরা কাজ করছি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রতি বছর যেভাবে ভালোভাবে হয় এবারও একইভাবে ঈদের নামাজ হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সারাদেশে নিরাপত্তায় কাজ করছে। যারা জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজ পড়বেন তাদের জায়নামাজও আনতে হবে না। সবাই আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন যেন বৃষ্টি না হয়। বৃষ্টি হলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত হবে। আমাদের প্রস্তুতির কোনো অভাব নেই। সারাদেশে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। তারাও ছুটিতে যাননি সবার নিরাপত্তা দিতে।

ঈদের দিন যেমন থাকবে আবহাওয়া

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ৫:৩০ অপরাহ্ণ
ঈদের দিন যেমন থাকবে আবহাওয়া

পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে ৭ জুন (শনিবার)। ওইদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনার পাশাপাশি গরম বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে এ তথ্য।

আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঈদের দিন সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অঞ্চলের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এদিন দেশের অন্যান্য এলাকায় আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, ঈদের দিন সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। ফলে, ভোর বা সকালে কিছুটা আরামদায়ক পরিবেশ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম অনুভূত হতে পারে।

ঈদের পরদিন রোববার (৮ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এ ছাড়া ঈদের তৃতীয় দিন সোমবার (৯ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রাও সামান্য বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আইসিসির ৪ বিচারকের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ৫:২৭ অপরাহ্ণ
আইসিসির ৪ বিচারকের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) চার বিচারকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং এর আগে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরুর সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ওই চার বিচারকের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর রয়টার্সের।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর বিবৃতি অনুসারে, ওই চার বিচারক হলেন উগান্ডার সোলোমি বালুঙ্গি বোসা, পেরুর লুজ দেল কারমেন ইবানেজ কারানজা, বেনিনের রেইনে এদিলেইদে সোফি আলাপিনি গ্যানসো এবং স্লোভেনিয়ার বেটি হোহলার।

রুবিও বলেন, আইসিসির বিচারক হিসেবে এই চার ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্র বা আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিসির অবৈধ ও ভিত্তিহীন কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। আইসিসি একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে তদন্ত, অভিযোগ গঠন এবং বিচারকাজ চালানোর ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতার যে দাবি তারা করে, তা পুরোপুরি মিথ্যা।’

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনে এ পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক বিচারিক প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা বলে উল্লেখ করেছেন আইসিসি। আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আইসিসি হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যা ‘অকল্পনীয় নৃশংসতার’ শিকার কোটি কোটি ভুক্তভোগীর কাছে ন্যায়বিচার ও আশার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

বিচারপতি বোসা এবং ইবানেজ কারানজা দুজনই ২০১৮ সাল থেকে আইসিসির বেঞ্চে আছেন। ২০২০ সালে তারা আপিল চেম্বারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আইসিসির কৌঁসুলিকে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়।

অবশ্য, ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে তদন্তকে অগ্রাধিকার দেওয়া থেকে সরে আসে। এর পরিবর্তে তারা আফগান সরকার ও তালেবান বাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠা অপরাধের অভিযোগগুলোর ওপর গুরুত্ব দিতে শুরু করে।

গত নভেম্বরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সাবেক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা প্রধান ইয়োভ গ্যালান্ট এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের নেতা ইব্রাহিম আল মাসরির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আইসিসির বিচারপতিরা। মার্কো রুবিও বলেন, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনুমোদনের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন বিচারক আলাপিনি গ্যানসৌ এবং হোহলার।

আইসিসির চার বিচারকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার এ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে আদালতের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের বিদ্বেষ আরও গভীরভাবে প্রকাশ পেয়েছে। ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেও তৎকালীন প্রধান কৌঁসুলি ফাতু বেনসৌদা এবং তার একজন শীর্ষ সহযোগীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ওয়াশিংটন। আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে তদন্তকে কেন্দ্র করে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।

এছাড়া, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে চলতি বছরের জানুয়ারিতে আইসিসিকে শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটিও হয়েছিল। ইসরায়েল সরকারের প্রতি রিপাবলিকানদের জোরালো সমর্থন স্পষ্ট হয়েছিল এ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে।