খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ৩০ বৈশাখ, ১৪৩২

জানুয়ারিতে ২৭১ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ঝরল ২৬৪ প্রাণ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:৫৮ অপরাহ্ণ
জানুয়ারিতে ২৭১ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ঝরল ২৬৪ প্রাণ

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশে ৬২১টি সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৬০৮ জনের প্রাণ গেছে। এসব দুর্ঘটনায় এক হাজার ১০০ জন আহত হয়েছেন।
নিহত ৬০৮ জনের মধ্যে নারী ৭২ জন, শিশু ৮৪ জন।

জানুয়ারিতে ২৭১ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৬৪ জন, যা মোট নিহতের ৪৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে এমনটি উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) প্রতিবেদনের তথ্য সংবলিত একটি বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। এতে সই করেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জানুয়ারি মাসে প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছেন ১৯ দশমিক ৬১ জন। দেশব্যাপী ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা বেড়েছে। অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে অতিরিক্ত গতির কারণে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে।

দুর্ঘটনায় ১৪৩ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭৩ জন, অর্থাৎ ১২ শতাংশ। এই সময়ে চারটি নৌ-দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহত, দুইজন আহত হয়েছেন। ২২ রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত এবং সাতজন আহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ৯৭১টি। এর মধ্যে বাস ১৪২, ট্রাক ১৯১, থ্রি-হুইলার ১৩৭ ও মোটরসাইকেল ২৭৯টি।

সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভোরের দিকে ৭ দশমিক ০৮ শতাংশ, সকালে ৩১ দশমিক ০৭ শতাংশ, দুপুরে ১৭ দশমিক ২৩ শতাংশ, বিকেলে ১৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ, সন্ধ্যায় ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং রাতে ১৯ দশমিক ১৬ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

দুর্ঘটনার বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ, প্রাণহানি ২৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ; রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৪ দশমিক ৮১ শতাংশ, প্রাণহানি ১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ; চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৫ দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রাণহানি ১৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ, প্রাণহানি ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ; বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৫ শতাংশ, প্রাণহানি ৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ; সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ, প্রাণহানি ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ; রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ১৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ, প্রাণহানি ১১ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ, প্রাণহানি ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ।

দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ-যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি ও গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।

দুর্ঘটনা রোধে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ১০টি সুপারিশ করেছে – দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বাড়াতে হবে; চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে; বিআরটিএর সক্ষমতা বাড়াতে হবে; পরিবহন মালিক, শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে এসবের জন্য আলাদা পার্শ্ব রাস্তা (সার্ভিস রোড) তৈরি করতে হবে।

এ ছাড়া পর্যায়ক্রমে সকল মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে; গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে; রেল ও নৌ-পথ সংস্কার করে সড়ক পথের উপর চাপ কমাতে হবে; টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে এবং সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

দোসরদের চাটুকারিতায় ক্ষমতার অপব্যবহার

আন্দোলন দমনে ফেঁসে যাচ্ছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ৭:৩৯ অপরাহ্ণ
আন্দোলন দমনে ফেঁসে যাচ্ছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা

স্বাধীন বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ছাত্র জনতার আন্দোলনের তোপের মুখে যখন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের পতন হয়। ৫ আগস্টের আগে আওয়ামীলীগের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অসংখ্য নিরীহ ছাত্রদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন যেসকল ম্যাজিস্ট্রেটগণ এবার জুলাই-আগস্টে আন্দোলন দমনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তালিকা চেয়েছে তদন্ত সংস্থা।

ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে দেশের বিভিন্ন স্থানে গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তালিকা চেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এ ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিশ্চিত করতে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে শহিদ ও আহতদের বিষয়ে তথ্য নিশ্চিত করতে এ তালিকা চাওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসককে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠায় তদন্ত সংস্থা। ওই সময়ে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নামের তালিকা নির্ধারিত ছক অনুযায়ী পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে ওই চিঠিতে।

তদন্ত সংস্থা বলেছে, সুষ্ঠু বিচার ও তদন্তের স্বার্থে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, তদন্ত সংস্থার এমন উদ্যোগ অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং আইনসিদ্ধ।

চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করে তদন্ত সংস্থার উপসহকারী পরিচালক আহমেদ নাসির উদ্দিন মোহাম্মদ গণমাধ্যমে বলেন, যেসব এলাকায় অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, সেসব এলাকায় তথ্য চাওয়া হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তথ্য চেয়ে আমরা জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছি, আবার সশরীরে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনের প্রকৃত ঘটনা জানতে তাদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে তারা সাক্ষী হতে পারেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে তথ্য এসেছে।

তদন্ত সংস্থার এমন উদ্যোগকে অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং আইনসিদ্ধ বলে মনে করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তিনি রোববার দেশের শীর্ষ এক গণমাধ্যমে বলেন, আমি মনে করি এটা ভালো উদ্যোগ। কাদের নির্দেশে এই ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করা দরকার। তখন কারা দায়িত্ব পালন করছিলেন সেটা তদন্ত সংস্থা দেখবে।

জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ডায়েরি নং-১৫৫ তারিখ ২৭/১১/২৪ ইং, ডায়েরি নং-০৪ তারিখ ০১/০১/২৫ ইং, ডায়েরি নং-২৮ তারিখ ০৩/১০/২৫ ইং, ডায়েরি নং-১০৯ তারিখ-০৪/১১/২৪ ইং, ডায়েরি নং-১৫৯ তারিখ ০৩/১২/২৪ ইং, ডায়েরি নং-১১০, তারিখ-০৭/১১/২৪ ইং তদন্ত সংস্থায় তদন্তাধীন আছে। মামলা ও ডায়েরির বিষয়গুলো অতীব জরুরি, আলোচিত এবং জনগুরুত্বপূর্ণ বিধায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, তদন্ত সংস্থা কর্তৃক সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তালিকা ছক মোতাবেক প্রেরণ করতে হবে।’ ছকে মোবাইল নম্বর, থানার নাম, তারিখ, সময়, স্থান ও সহযোগী ফোর্সের ধরন (পুলিশ/র্যাব/বিজিবি/সেনাবাহিনী) উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। গত ৬ এপ্রিল তদন্ত সংস্থার উপসহকারী পরিচালক আহমেদ নাসির উদ্দিন মোহাম্মদ (তদন্ত কর্মকর্তা) স্বাক্ষরিত চিঠি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে পাঠানো হয়। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার থেকে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন চলে ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। মাত্র ৩৬ দিনের আন্দোলনে স্বৈরতান্ত্রিক আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এতে সারা দেশে ৮৭৫ জন নিহত হন। গুলিতে বেশির ভাগ মানুষের মৃত্যু ঘটে।

এছাড়া অভ্যুত্থানে আহত হয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি সেখানেই আছেন। জুলাই আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সে লক্ষ্যে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারকে চেয়ারম্যান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হিসাবে আছেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। ইতোমধ্যে বিচার ত্বরান্বিত করতে গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

প্রসিকিউশনের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩৩০টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যেখানে ৩৯টি তদন্ত কার্যক্রম (কমপ্লেইন্ট রেজিস্টার অনুসারে) চলমান। তদন্তের প্রাথমিক সত্যতার আলোকে মিস কেস হয়েছে ২২টি। এসব মিস কেসে সর্বমোট অভিযুক্ত ব্যক্তি ১৪১ জন। এর মধ্যে গ্রেফতার রয়েছেন ৫৪ জন, আর ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক ৮৭ জন। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বেসামরিক ব্যক্তি হচ্ছেন ৭০ জন, পুলিশ ৬২ জন, আর সামরিক হচ্ছেন ৯ জন।

বলা বাহুল্য, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৩৬ দিনের ঐ আন্দোলনে সারা দেশে ৮৭৫ জন নিহত হন এবং ৩০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হন। আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই আন্দোলনের হত্যাকাণ্ডের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। তারই ধারাবাহিকতায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের এই পদক্ষেপ।

সিংড়ায় ফেনসিডিলসহ দুই ভাই গ্রেপ্তার

মোঃ কুরবান আলী, সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ৭:২৬ অপরাহ্ণ
সিংড়ায় ফেনসিডিলসহ দুই ভাই গ্রেপ্তার

নাটোরের সিংড়া উপজেলার শেরকোল এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিএনসি রাজশাহী বিভাগের একটি টিম রবিবার (১১ মে) দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে ৩৬৫ বোতল ফেনসিডিলসহ দুজন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. মুক্তারুল ইসলাম ওরফে দিলদার (২৭) ও মো. শহীদুল ইসলাম ওরফে বাবু (২৫)। তারা দুজনই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার শ্যামপুর গোপাল নগর দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা এবং পরস্পর ভাই। অভিযানকালে তাদের বহনকৃত পাওয়ার টিলারের টুলবক্সে অভিনব কায়দায় লুকানো অবস্থায় ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

জানা যায়, মাদকের এই চালানটি চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহীর তানোর, বাগমারা ও নওগাঁর আত্রাই হয়ে সিংড়া পর্যন্ত পৌঁছায়। আটকদের বিরুদ্ধে নাটোরের সিংড়া থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ওসির দায়িত্বে থাকা সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সিংড়ায় বিএনপির অফিস থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১

মোঃ কুরবান আলী, সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ৭:২৪ অপরাহ্ণ
সিংড়ায় বিএনপির অফিস থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১

নাটোরের সিংড়ায় বিএনপির অফিস থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ কুদ্দুস আকন্দ (৫৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রোববার রাতে সিংড়ার বামিহাল এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান সিংড়া থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম।

এসময় বিপুল পরিমাণে দেশীয় অস্ত্র, টেটা, বল্লম উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওসি।

প্রেপ্তার আব্দুল কুদ্দুস আকন্দ সিংড়া উপজেলার বামিহাল গ্রামের প্রয়াত খোকা আকন্দের ছেলে।

ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিএনপির অফিস খুলে এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করেছেন তিনি এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ব্যক্তিগত উদ্যোগে বামিহালে বিএনপির পার্টি অফিস খুলে এলাকায় চাঁদাবাজি, ভূমি ও পুকুর দখল করে আসছিল কুদ্দুস আকন্দ। সেসব তথ্যের ভিত্তিতে রোববার মাঝরাতে সেই পার্টি অফিসে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দাউদার মাহমুদ বলেন, কুদ্দুস আকন্দ আগে থেকেই চিহ্নিত ও প্রমাণিত সন্ত্রাসী। সে দলের কেউ না, বিগত কয়েক বছর আওয়ামী লীগ করেছে, তার আগে বিএনপি করেছে। আবার ৫ তারিখ থেকে বিএনপি করতেছে। সে সবসময় সরকারি দলের ছত্রছায়ায় থাকতে চায়। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার দায়ে আমরা তার বিরুদ্ধে মানহানি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি বলে জানান দাউদার মাহমুদ।

সিংড়া থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, কুদ্দুস আকন্দের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।