খুঁজুন
রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০ ফাল্গুন, ১৪৩১

সিরাজগঞ্জে বাংলাদেশ স্কাউটস ৭ম জাতীয় কমডেকা উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯:৩৭ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে বাংলাদেশ স্কাউটস ৭ম জাতীয় কমডেকা উদ্বোধন

‘বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে স্কাউটিং’ শ্লোগানে সিরাজগঞ্জ যমুনা নদীর পশ্চিম পাড়ে সমতল বেষ্টিত মনোরোম প্রাকৃতিক সুন্দর মনোরম পরিবেশে “হার্ডপয়েন্ট” এলাকায় বাংলাদেশ স্কাউটস এর উদ্যোগে 
বাংলাদেশ স্কাউটসের ৭ দিনব্যাপী ৭ম জাতীয় কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ক্যাম্প (কমডেকা) আনুষ্ঠানিক ভাবে  উদ্বোধন করা হয়।

বৃহস্পতিবার  (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪ টায় সিরাজগঞ্জ শহরের হার্ড পয়েন্ট, জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র-২ অনুষ্ঠানে ইউনিটসমূহের এরিনায় উপস্থিতি, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের আগমন, আসন ও অভ্যর্থনা জ্ঞাপন ও মঞ্চে আসন গ্রহণ করা হয়।

আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দকে কমডেকা স্কার্ফ ব্যাজ,টুপি, প্রদান করা হয়। পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে কোরআন তেলওয়াত, পবিত্র গীতাপাঠ৷ পবিত্র গীতা পাঠ,পবিত্র ত্রিপিটক পাঠ, পবিত্র বাইবেল পাঠ করা হয়। কমডেকা পতাকা হস্তান্তর, কমডেকা সংগীত, কমডেকা পতাকা উত্তোলন, পতাকাকে অভিবাদন, এবং পতাকাবাহীদের মাঠ প্রদক্ষিণ করা হয়। রোভার স্কাউটস কর্তৃক ডিস প্লে-১, ডিস প্লে-২ প্রদশর্ন করা হয়। 

দ্বিতীয় দিন ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন  করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস এসময়ে তিনি তার বক্তব্য কালে স্মৃতিচারণ তিনি বলেন, ছাত্রজীবনে আমি একজন সক্রিয় স্কাউট এবং স্কাউট লিডার হিসেবে দেশ- বিদেশে বিভিন্ন স্কাউট ক্যাম্পে কাজ করেছি । দেশ ও  সমাজ উন্নয়ন করার জন্য  স্কাউটস বদলে দেয়। নতুন বাংলাদেশের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। জুলাই বিপ্লবের
শহিদদের রক্ত ব্যথা যেতে দিবোনা । আজ শহিদদেরা  আমাদের নতুন পথ দেখিয়েছে। তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। আমি এ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করছি।  আনুষ্ঠানিক ভাবে  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে   স্বাগত বক্তব্য রাখেন,  কমডেকা চীফ ও সদস্য সচিব, মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। 

আরও বক্তব্যে রাখেন, ৭ম জাতীয় কমডেকা সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া , বাংলাদেশ স্কাউটস এর এডহক কমিটির আহবায়ক ও সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ এহসানুল হক, এডহক কমিটির সদস্য সচিব ও জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব ড.খ.ম. কবিরুল ইসলাম, ফরিদা ইয়াসমিন,অধ্যাপক ফাহমিদা, মুঃ তৌহিদুল ইসলাম, মোঃ রেজাউল করিম, মোঃ শামসুল হক। এছাড়াও কমডেকা কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। 

সম্মেলন সঞ্চালনা করেন, বাংলাদেশ স্কাউটস এর উপ পরিচালক মোঃ হামজার রহমান শামীম। এসময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক গণপতি রায়, পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, অংশগ্রহণকারী রোভার স্কাউট, রোভার লিডার, স্বেচ্ছাসেবক, সাংবাদিকদের উপস্থিতি নাম লেখার মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাতদিনের ৭ম কমডেকা। অংশগ্রহণকারী রোভার স্কাউট, লিডার, স্বেচ্ছাসেবকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি।

বাংলাদেশ স্কাউটসের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত। এই বিশাল আয়োজনে সিরাজগঞ্জবাসীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়। 
 
৭ম জাতীয় কমডেকার সমন্বয়কারী প্রফেসর ড. খান মাঈনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল বলেন, সিরাজগঞ্জের হার্ড পয়েন্টের স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র-২ এ ১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই কমডেকা চলবে। এবারের কমডেকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ৬ হাজার স্কাউট সদস্য ও লিডারেরা অংশগ্রহণ করছে।

৭ দিনব্যাপী কমডেকার বিভিন্ন অংশে উপস্থিত ছিলেন,  অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাংলাদেশ স্কাউটসের নীতি নির্ধারকেরা। 

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে সিরাজগঞ্জে ৩য় জাতীয় কমডেকা ও ৮ম জাতীয় রোভার মুট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সময় থেকেই হার্ট পয়েন্ট এলাকাটি স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

আখাউড়ায় রাতের আঁধারে আইনমন্ত্রীর মুক্তি চেয়ে পোস্টারিং

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:২৫ পূর্বাহ্ণ
আখাউড়ায় রাতের আঁধারে আইনমন্ত্রীর মুক্তি চেয়ে পোস্টারিং

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য আনিসুল হকের মুক্তি চাই পোস্টারে ছেয়ে গেছে আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। এসব ছবির ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে এমন পোস্টার দেখতে পান স্থানীয়রা। এসব পোস্টারে নিচে সৌজন্যে কসবা-আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন লেখা হয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের গাজির বাজার ও আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকায় লাগানো হয় এসব পোস্টার।

পোস্টারগুলোতে লেখা রয়েছে, মৌলবাদী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আপসহীন জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত হাতিয়ার ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি চাই।

উপজেলা দক্ষিণ ইউনিয়নের যুবদলের সভাপতি মো. আল-আমীন ভূঁইয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, থানা পুলিশ নির্বিকার অথচ অপারেশন ডেভিল হান্টের নামে কিছু চুনোপুঁটি ধরে নিয়ে এসে দায় মুক্তি পেতে চাচ্ছে। প্রশাসনের উদাসীন মনোভাব কিংবা ম্যানেজ হয়ে যাওয়া নিয়ে জনমনে বিভিন্ন প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে।

উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. মহসিন ভুঁইয়া বলেন, রাতের আঁধারে যারা এ কাজটি করেছে আমরা প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রকৃত অপরাধীদেরকে ধরার চেষ্টা করছি।

আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. খোরশেদ আলম ভূঁইয়া বলেন, শনিবার সকালের দিকে সাবেক আইনমন্ত্রীর মুক্তি চেয়ে পোস্টার লাগানোর বিষয়টি আমি শুনেছি, যারা রাতের আধারে কাজটি করেছে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, এ কাজ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই করেছে।

এ বিষয়ে আখাউড়া থানার ওসি ছমিউদ্দিন বলেন, পোস্টার লাগানোর বিষয়টি নিয়ে আমাদের পুলিশের একটি দল মাঠে কাজ করছে। কাজটি যেই করে থাকুক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থানের ১০ম দিন

ফ্যাসিবাদী মন্ত্রী উপদেষ্টা এমপিদের তালিকা প্রকাশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:১৮ পূর্বাহ্ণ
ফ্যাসিবাদী মন্ত্রী উপদেষ্টা এমপিদের তালিকা প্রকাশ

জুলাই গণহত্যার পর পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও দোসর রাজনৈতিক দলগুলোর মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও এমপিদের ফ্যাসিবাদী ঘোষণা করে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফ্যাসিবাদ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থানকারী ছাত্রজনতা এ তালিকা প্রকাশ করেন। গণঅবস্থানের দশম দিন উপলক্ষে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকা ঘোষণা করেন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের সদস্য সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফজলুর রহমান।

তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদ বিলোপে আমরা এ গণঅবস্থান থেকে পাঁচ দফা দাবি পেশ করেছি। এর তৃতীয় দফার আলোকে আমরা আজ ফ্যাসিবাদী মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও এমপিদের তালিকা প্রকাশ করছি। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী রেজিমের সব মন্ত্রীসভার সদস্য ও উপদেষ্টাদের ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসী ঘোষণা করছি। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার ও ফ্যাসিস্ট হিসেবে ৭-১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার দাবি জানাই।”

তিনি আরো বলেন, “যারা উগ্র ফ্যাসিস্ট মন্ত্রী ছিলেন, তাদের ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিতে হবে। যারা বিতর্কিত নয় এবং তুলনামুলকভাবে কম খারাপ, তারা স্রেফ হাসিনার মন্ত্রীসভার সদস্য হওয়ায় কারণে সাত বছরের কারাদণ্ড ভোগ করবেন। এরা কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। জনপরিসরে, গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে বক্তৃতা করতে পারবেন না।”

ফজলুর রহমান বলেন, “তালিকায় যেসব মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও উপদেষ্টার নাম রয়েছে, আমরা তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানাই।”

ফ্যাসিবাদীদের তালিকা প্রকাশের সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সাংগঠনিক প্রধান মো. শফিউর রহমান, সদস্য সচিব হাসান মোহাম্মদ আরিফ, যুগ্ম-আহ্বায়ক ডা. মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, সহকারী সদস্য সচিব গালীব ইহসান ও আব্দুস সালাম, সদস্য মাহমুদুল হাসান ফয়সাল, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ, সদস্য সচিব ফজলুর রহমান, সহকারী সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম, সদস্য সচিব মো. ফরহাদ আহমদ আলী প্রমুখ।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুই নেতা মো. ওমর ফারুক ও আবু সাঈদের অনশনের মধ্য দিয়ে রাজু ভাস্কর্যের চলমান কর্মসূচি শুরু হয়। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি অনশনে যোগ দেন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি উত্তরার শহীদ রানা তালুকদারের পরিবার এ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালানোর আহ্বান জানান। তার অনুরোধে অনশন ভেঙে লাগাতার গণঅবস্থান শুরু হয়।

পরে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ। দাবিগুলো হলো- ⁠গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ, তাদের মিত্র ১৪ দল এবং এসব দলের সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে; ⁠সব ফ্যাসিবাদী দল, তাদের কার্যালয় ও সব সম্পদ রাষ্ট্রীয়ভাবে অধিগ্রহণ করে তা ফ্যাসিবাদী আমলে নির্যাতিত অসহায় মজলুমদের পুনর্বাসনে ব্যবহার করতে হবে।

অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-⁠ ⁠২০০৯-২০২৫ পর্যন্ত ফ্যাসিস্ট সরকারগুলোর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সব মন্ত্রীপরিষদ সদস্য, এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যকে ডেজিগনেটেড ফ্যাসিস্ট ঘোষণা করে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি ও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে;⁠ ⁠ফ্যাসিবাদ ধারণ করে গড়ে ওঠা নব্য ফ্যাসিবাদী বা একই চরিত্রের যেকোনে দল ও সংগঠনকেও নিষিদ্ধ করতে হবে; ⁠ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দলকে নিষিদ্ধ করার বিধান সংবিধানে সংযুক্ত করতে হবে।

টগর সিনেমায় দীঘি বাদ, থাকবে পূজা

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:১২ পূর্বাহ্ণ
টগর সিনেমায় দীঘি বাদ, থাকবে পূজা

জানুয়ারির শুরুতে নতুন সিনেমার ঘোষণা দেন পরিচালক আলোক হাসান। সিনেমার নামা রাখা হয় ‘টগর’। নায়ক আদর আজাদের বিপরীতে প্রার্থনা ফারদীন দীঘিকে রেখে তখন সিনেমাটির অ্যানাউন্সমেন্ট টিজার প্রকাশ করা হয়। এবার জানা গেল, সিনেমাটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে দীঘিকে।

সম্প্রতি সিনেমাটির মোশন পোস্টার প্রকাশ পেয়েছে। পোস্টারে দীঘিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তার জায়গায় রাখা হয়েছেন অভিনেত্রী পূজা চেরিকে।

নায়িকা পরিবর্তন প্রসঙ্গে সিনেমার পরিচালক আলোক হাসান বলেন, একাধিক কারণে আমরা নায়িকা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছি। তবে পেছনের বিষয় নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না। আমি মনে করি পূজা চেরিকে এই প্রজেক্টে যুক্ত করতে পারাটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের। এখন দ্রুত কাজটি শেষ করতে চাই।

পূজা চেরি বলেন, অলোক হাসান ও আদর আজাদের সঙ্গে এর আগেও আমার কাজ হয়েছে। এনাউন্সমেন্ট টিজারে ভিন্ন কাস্টিং এর কারণে আমি নিজেও কাজটি করতে চাইনি। তবে পরবর্তীতে টিম আমাকে বুঝাতে সমর্থ্য হয় এবং আমারও গল্পটি পছন্দ হওয়ায় রাজি হয়ে যাই।

সিনেমাটিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন আদর আজাদ। তিনি বলেন, গত চার মাস যাবত আমার এই প্রজেক্টের সঙ্গে ওঠাবসা। মাঝখানে কিছু শুট হয়েছে। অবশেষে ক্যামেরা ওপেন হচ্ছে এবং পুরো প্রোডাকশন ইউনিট কাজটা নিয়ে দারুণ আশাবাদী।

‘টগর’ সিনেমাটির কাহিনী, চিত্রনাট্য ও প্রযোজনায় রয়েছে এ আর মুভি নেটওয়ার্ক। সংলাপ লিখেছেন মামুনুর রশিদ তানিম।

আদর আজাদ ও পূজা চেরি ছাড়াও এতে আরও অভিনয় করবেন আজাদ আবুল কালাম, রোজী সিদ্দিকী, সুমন আনোয়ার, জোযন, এল আর খান সীমান্ত, শরিফুল প্রমুখ।

আগামী ঈদুল আযহায় প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে।