পুলিশের দাবি
চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে উত্তরবঙ্গগামী চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন টাঙ্গাইলের জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বাসে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।
পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তার তিনজনই আন্তঃজেলার ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। শুক্রবার রাতে সাভার এলাকা থেকে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় লুণ্ঠিত ৩টি মোবাইল ফোন, একটি ছুরি ও ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে একজনের নাম মুহিত। তার বাড়ি মানিকগঞ্জে। অন্যরা হলেন শরীয়তপুরের সবুজ ও ঢাকার শরীফ।
গ্রেপ্তার তিনজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বারত দিয়ে মিজানুর রহমান বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন প্রাথমিকভাবে অপরাধ স্বীকার করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত। তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে দ্রুত।’
এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সুপার বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। তবে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা-পয়সা নেওয়ার সময় শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটতে পারে।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘বাসের নারী যাত্রীদের সঙ্গে এরই মধ্যে কথা হয়েছে। তারাও আমাদের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। আশা করি দ্রুতই পুরো ঘটনা আমরা জানতে পারব।’
গত বৃহস্পতিবার রাতে ওমর আলী নামে এক বাসযাত্রী বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় এই ঘটনায় একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
এর আগে সোমবার রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলসের’ একটি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। চলন্ত বাসে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতি শেষে একই জায়গায় বাসটি ঘুরিয়ে নিয়ে গিয়ে ভোর ৪টার দিকে ডাকাতরা নেমে যায়। এ সময় ডাকাতি ছাড়াও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলেন যাত্রীরা।
ডাকাতির ঘটনায় বাসের সুপারভাইজার, চালক ও চালকের সহকারীকে আটক করে পুলিশ। পরে ৫৪ ধারায় আদালতে তোলা হলে তারা জামিনে মুক্তি পান।
আপনার মতামত লিখুন