খুঁজুন
বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন, ১৪৩১

ফেব্রুয়ারিতে সড়কে ঝরল ৫৭৮ প্রাণ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫, ২:৩৩ অপরাহ্ণ
ফেব্রুয়ারিতে সড়কে ঝরল ৫৭৮ প্রাণ

গত ফেব্রুয়ারি মাসে সারা দেশে ৫৯৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৭৮ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৩২৭ জন।

এরমধ্যে ২৪১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২২৭ জন, যা মোট নিহতের ৩৯.২৭ শতাংশ। এই সময়ে ২টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন। ১৪টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত এবং ৬ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের পাঠানো এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। ফাউন্ডেশনটি ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে—মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২২৭ জন, বাসের যাত্রী ৩৩ জন, ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-ড্রাম ট্রাক আরোহী ৫৬ জন, প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস আরোহী ২২ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা) ৯২ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-মাহিন্দ্র-টমটম-এস্কেভেটর) ২০ জন এবং বাইসাইকেল-রিকশা আরোহী ১৪ জন নিহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ২০৫টি দুর্ঘটনায় ১৯৮ জন নিহত হয়েছেন। বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে কম ৩৪টি দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। একক জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় ৪১টি দুর্ঘটনায় ৪৮ জন নিহত হয়েছে। সবচেয়ে কম মৌলভীবাজার জেলায়। এই জেলায় কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রাণহানি ঘটেনি। এছাড়া রাজধানী ঢাকায় ৩৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত এবং ৩৬ জন আহত হয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়—ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; বেপরোয়া গতি; চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল; তরুণ-যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো; জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা; বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজিকে।

সুপারিশ হিসেবে বলা হয়—দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে; চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে; বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে; পরিবহণ মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্ব রাস্তা (সার্ভিস রোড) তৈরি করতে হবে; পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে; গণপরিবহণে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে; রেল ও নৌ-পথ সংস্কার করে সড়ক পথের ওপর চাপ কমাতে হবে; টেকসই পরিবহণ কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ‘সড়ক পরিবহণ আইন-২০১৮’ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

তথ্য জানতে চাওয়ায় সাংবাদিকদের মারধর

হাতে ইনজুরির চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১:০৪ পূর্বাহ্ণ
হাতে ইনজুরির চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের প্রাইম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে এক রোগীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসা অবহেলার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। কারণ সামান্য হাতে ইনজুরির চিকিৎসায় কারো মৃত্যু হয়- এটা প্রথম দেখলাম।

পরিবারের সদস্য হুমায়ুন আহমেদ জানান, ‘গতকাল রাত ১০টায় হাতের ইনজুরি নিয়ে ওই রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসা চলাকালীন রাত ৪ টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদেরকে মৃত্যুর খবর দেয়। এরপর তারা বিস্তারিত জানতে চাইলে কর্তব্যরত চিকিৎসকের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।’

নিহতের পরিবারের দাবি, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের সমঝোতার প্রস্তাব দেয় এবং ঘটনা মীমাংসার চেষ্টা করে। তবে মৃতের স্বজনরা প্রকৃত তথ্য জানতে চাইলেও কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য দেয়নি।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরা হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে সঠিক তথ্য জানতে চাইলে তাদের তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়। এমনকি দুর্ব্যবহার করে সাংবাদিকদের হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশেও বাধা দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই সময়ে ভেতরে মৃত ব্যক্তির স্বজনদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ আলোচনা চালিয়ে যায় এবং পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে।
এরপর যখন মৃতদেহ এম্বুলেন্সে ওঠানো হচ্ছিল, তখন সাংবাদিকেরা ছবি তুলতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়।

হামলায় আহত গণমাধ্যম কর্মীদের অভিযোগ, হাসপাতালে ওই ঘটনায় ১০-১২ জন ব্যক্তি সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের ক্যামেরা, মোবাইল ফোন ও মাইক্রফোন ভাঙচুর করে।

এ ঘটনায় কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন। তারা হলেন-দৈনিক নিরপেক্ষ’র অনলাইন প্রতিবেদক মিছবাহ উদ্দিন, দৈনিক খোলা কাগজ প্রতিনিধি রেজাউল করিম সোহাগ, মাহবুব আলম, আজকের সংবাদ প্রতিনিধি পবিত্র চন্দ্র সরকার সহ বেশ কয়েকজন।

এবিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে হামলার শিকার গণমাধ্যমকর্মী মিছবাহ উদ্দিন জানান, ‘মৃত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা সেখানে যাই। কিন্তু হাসপাতালের লোকজন ভিতরে যেতে দেয়নি। পরে লাশ বের করার সময় ছবি তুলতে গেলে তারা আমাদের উপর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালায়। এমনকি তারা আমাদের মোবাইল, ক্যামেরা ভাংচুর ও ছিনিয়ে নেয়। তবে হামলার ভিডিও আমাদের কাছে রয়েছে। হাসপাতালের সিসি টিভিতেও থাকতে পারে। পরবর্তীতে সিনিয়রদের পরামর্শে থানায় অভিযোগ করেছি। আমাদের কথা পরিস্কার- আমরা হামলাকারীদের বিচার চাই।’

এ ঘটনায় সাংবাদিকেরা ইতোমধ্যে মোহাম্মদপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। মোহাম্মদপুর থানার ওসি আলী ইফতেখার হাসান জানান, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও বিস্তারিত আসছে…

জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার বহাল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫, ৮:৩০ অপরাহ্ণ
জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার বহাল

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার বহাল রেখেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ২০০৩ সালে দেওয়া স্বাধীনতা পুরস্কার (মরণোত্তর) সুপ্রিম কোর্টের যে রায়ের পটভূমিতে ২০১৬ সালে সরকার বাতিল করে, ওই রায়ে তাকে প্রদত্ত স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের কোনো নির্দেশনা না থাকায় মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অসাধারণ অবদান বিবেচনায় তার স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের এ সিদ্ধান্ত সরকার রহিত করেছে।

২০১৬ সালে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার। পরে জাতীয় জাদুঘর থেকে তার পুরস্কারের মেডেল ও সম্মাননাপত্র সরিয়ে ফেলা হয়।

এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একই বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ২০২৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।

যেসব ব্যক্তিকে এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হবে:

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।

ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫, ৮:২৪ অপরাহ্ণ
ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার সময় ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্লাটফর্ম সদস্যদের লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে একটি মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিতে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ প্লাটফর্ম সদস্যরা। পথে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে তাদের বাধা দেয় পুলিশ।

এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের তীব্র বাকবিতণ্ডা হয় এবং একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের দুই দফা লাঠিপেটা করে পুলিশ। পরে বিক্ষোভকারীরাও পুলিশের ওপর চড়াও হলে তাদের লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হন।

বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বিক্ষোভকারীদের পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্লাটফর্ম সদস্যদের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা তা না করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে রওনা দেন। তবে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের আশেপাশে সভা-সমাবেশের ওপর ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তাদের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে থামানো হয় এবং বলা হয় একটি ছোট প্রতিনিধি দল নিয়ে স্মারকলিপি দিতে।

তিনি বলেন, এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে এবং একজন পুলিশ সদস্যের ওপর চড়াও হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়।

এর আগে, দুপুর আড়াইটার দিকে আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে যমুনা অভিমুখে রওনা হন। মিছিল থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলমের পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান দেন ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সব ধর্ষণকাণ্ডের বিচারের দাবি জানান তারা।