খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ২৫ চৈত্র, ১৪৩১

ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৩:০৪ অপরাহ্ণ
ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র

গাজায় ইসরায়েলি বর্বতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেওয়ায় এক বাংলাদেশি নারী শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করে তাকে গ্রেপ্তার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

নিউইয়র্ক-ভিত্তিক অভিবাসন আইনজীবী মঈন চৌধুরী বলেছেন, বিক্ষোভের কারণে আটক শিক্ষার্থীর মুক্তি নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।

এছাড়া চুরির মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পরও আরেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঈন চৌধুরী বলেন, এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মাস কয়েক আগে দোকান থেকে ৭০ ডলারের পণ্য চুরির সময় ধরা পড়েছিলেন।

তিনি বলেন, ছোটখাটো চুরির সেই মামলায় দোষ স্বীকার করার পর মাননীয় আদালত মামলাটি নিষ্পত্তি করেছেন। তাকেও গত সপ্তাহে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট এজেন্টরা গ্রেপ্তার করেছে এবং তার ভিসা বাতিল করে ডিটেনশন সেন্টারে নিয়েছে বাংলাদশে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য।

এদিকে কাস্টমস কর্মকর্তাদের প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় সম্প্রতি জেএফকে এয়ারপোর্ট থেকে ডজন খানেক বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে গ্রিন কার্ডধারী যেমন রয়েছেন, তেমনই পারিবারিক কোটায় ইমিগ্র্যান্ট ভিসাধারীও আছেন।

এ পরিস্থিতিতে যারা যুক্তরাষ্ট্রে ফিরছেন কিংবা ইমিগ্র্যান্ট ভিসায় আসছেন, তাদেরকে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক মঈন চৌধুরী। তিনি বলেন, “গ্রিন কার্ডধারীরা বছরের বেশির ভাগ সময় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস না করলে প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন এয়ারপোর্টে। সম্প্রতি বেশ ক’জনকে থামানোর পর মুচলেকা নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ তারা বছরের ১০ মাস যুক্তরাষ্ট্রে না থাকলে গ্রিন কার্ড কেড়ে নেওয়া হবে।”

প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশে থাকার আশ্বাস করটেজের:

বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট-১৪ এর প্রতিনিধি আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো-করটেজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসন বিরোধী অভিযানের মধ্যে বাংলাদেশিদের খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন।

ডিস্ট্রিক্ট অফিসে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে করটেজ প্রবাসীদের সবশেষ অবস্থা জানতে চান ব্রঙ্কস কম্যুনিটি বোর্ডের অভিবাসন বিষয়ক কমিটির চেয়ারপারসন শাহজাহান শেখের কাছে।

কংগ্রেসওম্যান করটেজ বলেন, তাৎক্ষণিক সহযোগিতার জন্য তার অফিসের দুয়ার সবসময় খোলা রয়েছে। অভিবাসন বিষয়ক যেকোনো সমস্যা দেখভালে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তার ডিস্ট্রিক্ট অফিসের পরিচালক বাংলাদেশি আমেরিকান নওরীন আকতার।

শাহজাহান শেখ জানান, শুধু কাগজপত্রহীনরাই নন, ট্রাম্পের অভিযানে অনেক গ্রিন কার্ডধারীও ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। কারণ, অবৈধ অভিবাসী ধরতে যখন অভিযান চলছে, তখন সামনে যাকে পাওয়া যাচ্ছে- তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

১১ ব্যাংক বন্ধ করতে সরকারের প্রয়োজন ৫০ হাজার কোটি টাকা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:৩৮ অপরাহ্ণ
১১ ব্যাংক বন্ধ করতে সরকারের প্রয়োজন ৫০ হাজার কোটি টাকা

শেখ হাসিনার শাসনামলে গত দেড় দশকে সীমাহীন লুটপাটের শিকার হয়েছে দেশের ব্যাংক খাত। ঋণের নামে ডজনখানেক ব্যাংক থেকে এস আলম, বেক্সিমকোসহ গুটিকয় শিল্পগোষ্ঠী ও প্রভাবশালী ব্যক্তি হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অনিয়ম, দুর্নীতি আর লুটপাটের মাধ্যমে দেশের ব্যাংক খাতকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়।

লুটপাটের শিকার হওয়া ব্যাংকগুলোর শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রায় এক ডজন ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তীব্র তারল্য সংকটে ভুগতে থাকা ব্যাংকগুলোকে নগদ আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি।

হাতে গোনা দু-একটি ব্যাংক ছাড়া বাকিগুলো সংকট থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি। এসব ব্যাংকের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ কারণে সংকটাপন্ন ব্যাংকগুলো বন্ধ কিংবা অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। এমন ১১টি ব্যাংক নিয়ে বিশ্লেষণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকের ওই বিশ্লেষণী প্রতিবেদন বলছে, এসব ব্যাংক বন্ধ করতে প্রয়োজন হবে ৫০ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংক আমানত বিমা আইন অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোর আমানতের বিপরীতে গ্রাহকদের এ পরিমাণ অর্থ দিতে হবে। তবে এই ১১ ব্যাংকের ২ লাখ টাকা পর্যন্ত আমানত রয়েছে, এমন গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ৯১ শতাংশ। বিমার আওতায় তাদের পুরো আমানতই নিরাপদ।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সংকটাপন্ন ১১ ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক।

প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই ১১ ব্যাংকের আমানতকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো এক লাখ টাকা পর্যন্ত, এক লাখ এক টাকা থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত এবং দুই লাখ টাকার ওপরে। এসব ব্যাংকে মোট আমানত রয়েছে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ২১৫ কোটি টাকা। আমানতকারীর সংখ্যা ৩ কোটি ৯৮ লাখ ৯৯ হাজার ৪৬০ জন। এর মধ্যে এক লাখ টাকা পর্যন্ত আমানতের পরিমাণ ২৫ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা এবং আমানতকারীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৬ হাজার ২৫ জন। এক লাখ এক টাকা থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত আমানতের পরিমাণ ২৫ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা এবং আমানতকারীর সংখ্যা ১৬ লাখ ৯৭ হাজার ২৪৩ জন। এ ছাড়া দুই লাখ টাকার ওপর আমানতের পরিমাণ তিন লাখ ৪৭ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা এবং আমানতকারীর সংখ্যা ৩৬ লাখ ৯৬ হাজার ১৯২ জন।

আমানত বিমার নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংকে যত টাকা জমা রাখেন না কেন, বন্ধ হলে ক্ষতিপূরণ পাবেন সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ‘আমানত সুরক্ষা আইন’-এ এমনটিই বলা হয়েছে। এ আইন অনুযায়ী, একজন গ্রাহক যদি পাঁচ লাখ টাকা আমানত রাখেন এবং অন্য একজন পাঁচ কোটি টাকা আমানত রাখেন, দুজনই কিন্তু ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক লাখ টাকা করেই পাবেন। দুর্বল এই ১১ ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকার যদি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে এসব ব্যাংকের তিন কোটি ৪৫ লাখ ছয় হাজার ২৫ জন আমানতকারী আমানত বিমার আওতায় ২৫ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা পাবেন।

সূত্র: আমার দেশ

ব্রিকস-সমর্থিত ব্যাংক এই বছর বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে

সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:১০ অপরাহ্ণ
ব্রিকস-সমর্থিত ব্যাংক এই বছর বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে

ব্রিকস-প্রতিষ্ঠিত নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এই বছর বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্প গুলিতে ঋণ এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা করেছে। সাংহাই ভিত্তিক বহুপাক্ষিক ঋণদাতার একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এমন তথ্যই জানিয়েছেন।

এনডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির কাজবেকভ বলেছেন, যে ব্যাংকটি সম্প্রসারিত ঢাকা সিটি ওয়াটার সাপ্লাই রেজিলিয়েন্ট প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৩২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করেছে। তবে এ বছর বাংলাদেশের উন্নয়নের চাহিদা বিবেচনা করে তহবিলের পরিমাণ তিনগুণেরও বেশি করতে চায়।

ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎকালে কাজবেকভ এই মন্তব্য করেন।

প্রধান উপদেষ্টা নতুন বহুপাক্ষিক ঋণদাতার ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন যে এটি এর উন্নয়ন অবকাঠামো উন্নীতকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।

কাজবেকভ বলেছেন যে ঋণদাতা বাংলাদেশে গ্যাস খাতের অবকাঠামো উন্নয়নে বড় ধরনের সহায়তা প্রদানেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

কাজবেকভ বলেন, এনডিবি দেশের বেসরকারি খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যথেষ্ট পরিমাণে ঋণ প্রদানে আগ্রহী।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা দেশের উদীয়মান অর্থনৈতিক অঞ্চলে হাজার হাজার কর্মীর জন্য আবাসন সুবিধার মতো সামাজিক অবকাঠামোতে এনডিবি ঋণ প্রদানের উপর জোর দেন।

কাজবেকভ বলেন, ব্যাংকটি বহু-মুদ্রা ঋণ চালু করেছে, যা বাংলাদেশকে উপকৃত করবে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী বলেন, এনডিবির উচিত বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকারের সাথে তার তহবিলকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার জন্য বাংলাদেশের উপর দেশীয় কৌশলগত কর্মসূচি চালু করার উপর মনোযোগ দেওয়া।

বৈঠকে বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ ও ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।

গুজবের কারখানা নাকি ষড়যন্ত্র ?

‘আসতেছি আমি… বিচার করব’ বললেন শেখ হাসিনা, ১ ঘণ্টা ধরে ফোনালাপ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৪৬ অপরাহ্ণ
‘আসতেছি আমি… বিচার করব’ বললেন শেখ হাসিনা, ১ ঘণ্টা ধরে ফোনালাপ

দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা, খুন এবং নির্যাতনের বিচার করবেন; সোমবার রাতে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় দলীয় কর্মীদের সেই আশ্বাস দিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, “চিন্তা করবেন না। আসতেছি আমি।”

গত বছরের ৫ই আগস্ট পালিয়ে দেশত্যাগের পর থেকেই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যোগাযোগ রাখছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুকে পেজ থেকে তা নিয়মিত সরাসরি সম্প্রচারও করা হচ্ছে। অবশ্য যাকে সবাই গুজব ও ষড়যন্ত্রের অংশ বলছেন।

৭ই এপ্রিল, সোমবার রাতে নতুন করে তেমনই এক ভার্চুয়াল আলোচনা ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ওই আলোচনাপর্বে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সমস্যার কথা শোনেন আওয়ামী লীগের নেত্রী। কর্মী-সমর্থকেরা দাবি করেন, তাদের পরিবারের ওপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার চলেছে। তখন নেতাকর্মীদের আশ্বস্ত করে শেখ হাসিনা জানান, তিনি এই সব ঘটনার বিচার করবেন।

শহিদ নেতা-কর্মীদের পরিবার এবং আহতদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি আল্লাহর নামে প্রতিজ্ঞা করছি, খুনিদের বিচার আমি একদিন করবই। হয়তো সেই কারণেই আল্লাহ আমাকে বারে বারে মৃত্যুর মুখ থেকে রক্ষা করে বাঁচিয়ে রেখেছেন।”

এ সময় তিনি বলেন, “খুনের মামলা কখনও তামাদি হয় না।” কর্মী-সমর্থকদেরও বলেছেন, “হামলাবাজদের খুঁজে খুঁজে শাস্তি দিতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “আল্লাহ্ সেই জন্যই বাঁচিয়ে রেখেছেন। চিন্তা করবেন না। আসতেছি আমি।”

১ ঘণ্টা ১১ মিনিটের ওই আলোচনায় আওয়ামী লীগের সরকারের আমলের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা টানেন শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কর্মকাণ্ডের রাজনৈতিক সমালোচনা করেন তিনি।

ভার্চুয়াল আলোচনায় জুলাইয়ে নিহত আবু সাঈদের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “ওরা আসলে ওর লাশটাই চেয়েছিল। শুনেছিলাম, মাথায় আঘাত লেগেছিল। কিন্তু ওকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু দিতে দেয়নি। তার আগেই বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি করে।”

আওয়ামী লীগের এই নেত্রী উল্লেখ করেন, “আমরা আমাদের প্রতিপক্ষের সঙ্গে এমন ব্যবহার করিনি। কিন্তু ইউনূস করছে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য।”

শেখ হাসিনা বলেন, “আমি দেশটাকে যখন উন্নয়নশীল দেশে তুলে ধরলাম। তখনই এমন গভীর চক্রান্ত হয়ে গেল। বাংলাদেশকে জঙ্গিদের দেশে পরিণত করা হল। আর দিনশেষে এমন ব্যক্তি ক্ষমতা দখল করল, যার মানুষের প্রতি কোনও দয়া মায়া নেই আর ছিলও না।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, “মানুষকে ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে মোটা অঙ্কের সুদ নিত। সেই টাকায় উনি বিদেশে পাঠিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন। আমরা ভাবতাম গরীব মানুষের ভাল করছে। তাই একসময় অনেক সহযোগিতা করেছিলাম। পরে সেই মানুষের টাকা নিয়ে তছরুপ করেছে। ওনার ক্ষমতার লোভেই আজ বাংলাদেশ জ্বলছে।”

ড. ইউনূসকে এ সময় ‘সুদখোর’ এবং ‘মানবতাবিরোধী’ বলেও সমালোচনা করেন তিনি। পুরো বক্তৃতায় বার বার উঠে এসেছে হামলাকারীদের বিচারের কথা।

শেখ হাসিনা বলেন, “যারা এই জঘন্য কাজ করেছে, তাদের বিচার বাংলাদেশে হতেই হবে। সেটি আমরা করবই। শহিদ পরিবারগুলোকে বলব, আপনারা ধৈর্য্য ধরুন।”

বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল’-এর মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান-সহ অন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৌঁছে দেওয়ার বার্তাও দেন শেখ হাসিনা।