খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ২৫ চৈত্র, ১৪৩১

বিগত দিনে ভোট দেওয়ার কোন সুযোগ ছিলো না: আমিরুল ইসলাম আলিম

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৫১ অপরাহ্ণ
বিগত দিনে ভোট দেওয়ার কোন সুযোগ ছিলো না: আমিরুল ইসলাম আলিম

পুনঃ সংস্করণ

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সন্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহব্বায়ক আমিরুল ইসলাম খান আলিম বলেছেন আপনারা বিগত তিনটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি একই ভাবে আমটদও ভোট দিতে পারিনি।

উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ও সাবেক কাউন্সিলর আলম প্রমানিক পৌর শেরনগর গ্রামের অসহায় মানুষের মাঝে প্রায় ৫ শত পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। 

ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি রাজশাহী বিভাগের বিএনপির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সন্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহব্বায়ক আমিরুল ইসলাম খান আলিম তার বক্তব্যে বলেন উপজেলা যুবদলের  সদস্য সচিব আলম প্রামাণিক এর  প্রশংসা করে বলেন, এই গ্রামে আপনাদের প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা রয়েছে আলমের। আলমের আর কোন স্বপ্ন নেই স্বপ্ন শুধু আপনাদের নিয়ে আপনারা আলমকে ভালোবাসেন এই কারণে আপনাদের ভুলতে পারে না। ওই উপজেলায় আরোও অনেক গ্রাম আছে কিন্তু ওর মত কাউকে এভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাড়াঁনো দেখিনি। সে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়েও যে ভাবে মানুষের পাশে থাকে সত্যি প্রশংসনীয়। 

রবিবার (৩০ মার্চ)  সকালে পৌর শেরগনর গ্রামে অক্সফোর্ড স্কলার স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে ঈদ সামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিগত ১৭ বছর নির্যাতন মধ্যে ছিলাম ভোট আপনারাও দিতে পারেননি আমরাও দিতে পারেনি আগামীতে যদি মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরে আসে। আর আপনাদের ভোটে যদি দেশ নেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে যদি সরকার গঠন করে তাহলে আজ যতটুকু সহযোগিতা করছে আগামীতে আমি নিজে থেকে আপনাদের আরো বেশি সহযোগিতা করবো। অসহায় মানুষের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ইতি মধ্যে সংস্কার নিয়ে আলোচনা হচ্ছে আমাদের দল একটি সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে সেখানে মা বোনদের কিভাবে আত্ননির্ভরশীল ও স্বাবলম্বী করা যায়। আমরা যদি সরকার গঠন করনি তাহলে ওই উপজেলা ১০ হাজার ফ্যামেলি কার্ড করে দেওয়া হবে জাতে আমার মা বোনেরা সেই ফ্যামেলি কার্ড ব্যবহার করে তাতের সন্তানদের চিকিৎসা ও শিক্ষা খাতে অর্থ ব্যয় করতে পারে। 

পরে শেষে বিভ্রান্তে যেনো না হয় এই উদ্দেশে মা বোনদের বলেন, অনেকে বেহেস্তের টিকিট বিক্রি করছেন আমার জানা মতে আল্লাহ্ দশজনকে বেহেস্তের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। তা ছাড়া আর কাউকে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। যারা বেহেস্তের নীতি বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে আমি তাদের অনুরোধ করবো এমন বিভ্রান্ত না ছড়ানো। 

উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ও সাবেক কাউন্সিলর আলম প্রমানিকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএমপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ার চৌধুরী বাবু, বেলকুচি প্রেসক্লাবের সাধরণ সম্পাদক রেজাউল করিম, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শামীম সরকার,  সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক গোলাম কিবরিয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক নুর আলম, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক হোসেন আলী,  যুবদলের  সদস্য বাবু শেখ প্রমুখ।

বিদেশ ভ্রমণে সরকারি কর্মকর্তাদের জরুরি নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১:০২ অপরাহ্ণ
বিদেশ ভ্রমণে সরকারি কর্মকর্তাদের জরুরি নির্দেশনা

সরকারি কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে একটি নির্দেশনা জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। যেখানে কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের দিকনির্দেশনায় বেশকিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। সফরের প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত করতে, প্রক্রিয়াটি সহজ করার উদ্দেশ্যে এটি করা হয়েছে।

গত ২৩ মার্চে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের জারি করা একটি পরিপত্র অনুযায়ী, কোনো বিদেশ সফরের অনুমতি নেওয়ার আগে কর্মকর্তাদের ওই সফরের প্রাসঙ্গিকতা ও গুরুত্ব সম্পর্কে আগে নিশ্চিত করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, সরকারিভাবে বিদেশ সফরে কর্মকর্তাদের স্বামী/স্ত্রী ও সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।

এছাড়া, ঠিকাদার/ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে বিদেশ ভ্রমণ অবশ্যই পরিহার করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, জরুরী কারণ ব্যতীত মাননীয় উপদেষ্টা বা সিনিয়র সচিব/ সচিবদের একান্ত সচিব/ সহকারী একান্ত সচিবদেরও বিদেশ সফরে যাওয়া পরিহার করতে হবে।

ভাঙচুরের পর ক্রেতাদের উদ্দেশে বাটার একটি বার্তা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৫৭ অপরাহ্ণ
ভাঙচুরের পর ক্রেতাদের উদ্দেশে বাটার একটি বার্তা

জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক জুতা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাটা সম্প্রতি বাংলাদেশে তাদের কয়েকটি আউটলেটে হামলার ঘটনাকে ‘ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্যের ফল’ বলে দাবি করেছে।

সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে ফেসবুক ভেরিফাইড পেইজে এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বাটা কোনো ইসরায়েলি মালিকানাধীন কোম্পানি নয় এবং চলমান ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাতের সঙ্গে তাদের কোনো রাজনৈতিক সংযোগ নেই।

বাটা জানায়, ‘বাটা গ্লোবালি একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন পারিবারিক প্রতিষ্ঠান, যার মূল সূচনা হয়েছিল চেক রিপাবলিকে। আমাদের কোনো রাজনৈতিক সংঘাতের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রশ্নই ওঠে না।’

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশের কিছু আউটলেটে যে ভাঙচুর হয়েছে, তা মিথ্যা তথ্য দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ঘটেছে—যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

প্রতিষ্ঠানটি সব ধরনের সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘আমরা সব ধরনের সহিংসতা দৃঢ়ভাবে নিন্দা করি।’

উল্লেখ্য, বাটা ১৯৬২ সাল থেকে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তারা সবসময় মানসম্মত পণ্য সরবরাহ এবং সব সম্প্রদায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশকে তার মানচিত্র নতুনভাবে আঁকতে হতে পারে: রিজওয়ানা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:১০ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশকে তার মানচিত্র নতুনভাবে আঁকতে হতে পারে: রিজওয়ানা

জলবায়ু পরিবর্তন এখন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা, ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য এক গভীর হুমকি। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, উপকূল ধ্বংস এবং জলবায়ুজনিত বাস্তুচ্যুতির ফলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে বাংলাদেশকে তার মানচিত্র নতুনভাবে আঁকতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সোমবার (০৭ এপ্রিল) ঢাকার ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে ‘জাতীয় নিরাপত্তার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব’ শীর্ষক এক সেশনে বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মানে শুধু মিঠা পানি লবণাক্ত হয়ে যাওয়া নয—এটা মানে আমাদের ভূখণ্ড হারানো, জনগোষ্ঠী নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া এবং সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়া।’

তিনি বলেন, শতকের মাঝামাঝি এক মিটার সমুদ্রপৃষ্ঠ উচ্চতা বৃদ্ধি হলে ২১টি উপকূলীয় জেলা ডুবে যেতে পারে। এতে কোটি মানুষ গৃহহীন হবে। কৃষি ও মাছ চাষে ব্যবহৃত নদীগুলোর লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়বে।

রিজওয়ানা বলেন, ২১০০ সালের মধ্যে ৫২টি ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র, যেমন মালদ্বীপ সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের অবস্থা আরো সংকটাপন্ন। দেশের ৬৫ শতাংশ মানুষ প্রোটিনের জন্য মিঠা পানির মাছের ওপর নির্ভরশীল। লবণাক্ততা এই জীবনরেখা ধ্বংস করে দিতে পারে।

উপদেষ্টা সতর্ক করে বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবছর বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও খরার কারণে জিডিপির ১ শতাংশ ক্ষতি হারাচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে এ হার দ্বিগুণ হতে পারে। ফসলহানি, পানির সংকট ও গণবাস্তুচ্যুতি সংঘাত সৃষ্টি করবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ ডুবে গেলে, বাকি দুই-তৃতীয়াংশে প্রচণ্ড চাপ পড়বে। অস্থিরতা তখন স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।