খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ঐতিহাসিক মার্চ ফর গাজা

গণহত্যা বন্ধ, স্বাধীন ফিলিস্তিন ও স্বীকৃতি দাবি

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৫২ অপরাহ্ণ
গণহত্যা বন্ধ,  স্বাধীন ফিলিস্তিন ও স্বীকৃতি দাবি

শান্তিকামী ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার পথ উন্মুক্ত করতে হবে। পবিত্র পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী ভূমি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বাধ্যবাধকতা তৈরি; গণহত্যা বন্ধে কার্যকর ও সম্মিলিত পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ছাড়া জায়নবাদী বর্বর ইসরায়েলের গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে ঐতিহাসিকভাবে।

আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট’ আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ সমাবেশে এসব দাবির কথা জানানো হয়েছে। ঘোষণাপত্রে এসব দাবির কথা জানান আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

ঐতিহাসিক এই ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, মুসলিম উম্মাহ, বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি চার স্তরে তাঁদের দাবি ও অবস্থান তুলে ধরা হয়।

দখলদার ইসরায়েলের গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে নিশ্চিত করতে হবে জানিয়ে ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামায় মাহমুদুর রহমান বলেন, ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার পথ উন্মুক্ত করতে হবে; কারণ, এই মুহূর্তে বিশ্বব্যবস্থা যে ন্যায়ের মুখোশ পরে আছে, গাজার ধ্বংসস্তূপে সেই মুখোশ খসে পড়েছে।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘যেহেতু জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সব জাতির অধিকার রক্ষার, দখলদারত্ব ও গণহত্যা রোধের সংকল্প প্রকাশ করে এবং আমরা দেখেছি, গাজায় প্রতিদিন যে রক্তপাত, যে ধ্বংস চলছে, তা কোনো একক সরকারের ব্যর্থতা নয়, বরং এটি একটি আন্তর্জাতিক ব্যর্থতার ফল এবং এই ব্যর্থতা শুধু নীরবতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং পশ্চিমা শক্তিবলয়ের অনেক রাষ্ট্র সরাসরি দখলদার ইসরায়েলকে অস্ত্র, অর্থ ও কূটনৈতিক সহায়তা দিয়ে এই গণহত্যাকে দীর্ঘস্থায়ী করেছে। এই বিশ্বব্যবস্থা দখলদার ইসরায়েলকে প্রশ্নবিদ্ধ না করে বরং রক্ষা করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে।’

বর্বর ইসরায়েলের সঙ্গে অর্থনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সব সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়ে মুসলিম উম্মাহর নেতাদের উদ্দেশে ঘোষণাপত্রে বলা হয়, জায়নবাদী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে; গাজার জনগণের পাশে চিকিৎসা, খাদ্য, আবাসন, প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা নিয়ে দাঁড়াতে হবে; আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইসরায়েলকে একঘরে করতে সক্রিয় কূটনৈতিক অভিযান শুরু করতে হবে এবং জায়নবাদের দোসর ভারতের হিন্দুত্ববাদী শাসনের অধীনে মুসলিমদের অধিকার হরণ; বিশেষ করে, ওয়াক্‌ফ আইনে হস্তক্ষেপের মতো রাষ্ট্রীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ওআইসি ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে দৃঢ় প্রতিবাদ ও কার্যকর কূটনৈতিক অবস্থান নিতে হবে।

এদিনের সমাবেশ থেকে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘Except Israel’ শর্ত পুনর্বহাল; ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পাদিত সব চুক্তি বাতিল, রাষ্ট্রীয়ভাবে গাজায় ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা পাঠানো; জায়নবাদী কোম্পানির পণ্য বর্জনের নির্দেশনা দিতে আহ্বান জানানো হয়।

এ ছাড়া ভারতের কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদী সরকারের অধীনে মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ এবং পাঠ্যবই ও শিক্ষানীতিতে আল-আকসা, ফিলিস্তিন ও মুসলিমদের সংগ্রামী ইতিহাসকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে জোরালো আহ্বান জানানো হয়।

সমাবেশে অঙ্গীকারনামায় মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে বয়কট করব সেই পণ্য, কোম্পানি ও শক্তিকে—যারা ইসরায়েলের দখলদারত্বকে টিকিয়ে রাখে। আমরা আমাদের সমাজ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রস্তুত করব—যারা ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সব প্রতীক ও নিদর্শনকে সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার করবে।’

মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের সন্তানদের এমনভাবে গড়ে তুলব, যারা নিজেদের আদর্শ ও ভূখণ্ড রক্ষায় জান ও মালের সর্বোচ্চ ত্যাগে প্রস্তুত থাকবে; আমরা বিভাজিত হব না। কারণ, আমরা জানি, বিভক্ত জনগণকে দখল করতে দেরি হয় না।’ এ ছাড়া বাংলাদেশ কখনো কোনো হিন্দুত্ববাদী প্রকল্প পরবর্তী গাজায় যাতে পরিণত না হয়, সে জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

স্বাধীনতাকামী গাজার সাহসী জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে সমাবেশ থেকে বলা হয়, ‘আপনারা ইমান, সবর আর কোরবানির মহাকাব্য রচনা করেছেন। দুনিয়াকে দেখিয়েছেন, ঈমান আর তাওয়াক্কুলের শক্তি আমরা, বাংলাদেশের মানুষ শাহজালাল আর শরীয়তুল্লাহর ভূমি থেকে আপনাদের শহীদদের প্রতি ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানাই। হে আল্লাহ, গাজার এই সাহসী জনপদকে তুমি সেই পাথর বানিয়ে দাও, যার ওপর গিয়ে ভেঙে পড়বে জায়োনিস্টদের সব ষড়যন্ত্র।’

“মার্চ ফর গাজা” সমাবেশের অন্যতম আয়োজক আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশের সব দল, মত, চিন্তা-দর্শনের মানুষ মজলুম ফিলিস্তিন ও মজলুম গাজার পাশে আছে, সহাবস্থান করছে। এক কাতারে দাঁড়িয়ে আজ বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিতে চাই, আমাদের মধ্যে বিভিন্ন চিন্তা, মতগত পার্থক্য, ভিন্নতা থাকতে পারে; কিন্তু মজলুম ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা, ভূমির অধিকারের দাবিতে আমরা বাংলাদেশের মানুষ ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে প্রত্যেকে তাঁদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি।’

শুরু থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের সতেজ রাখার অগ্রনায়ক, বিশিষ্ট আলেম ও স্বনামধন্য ধর্মীয় আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, ‘আজকের এই মহাসমুদ্র, জনসমুদ্র ফিলিস্তিনের প্রতি, আল-আকসার প্রতি বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। ভৌগোলিকভাবে আমরা ফিলিস্তিন থেকে অনেক দূরে হতে পারি, কিন্তু আজকের এই জনসমুদ্র প্রমাণ করে আমাদের হৃদয়ে বাস করে একেকটা ফিলিস্তিন, আমাদের হৃদয়ে বাস করে একেকটা গাজা, আমাদের হৃদয়ে বাস করে একেকটা আল-কুদস।’

সবশেষ ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য দোয়া করে মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আব্দুল মালেক। বিকেল ৪টা নাগাদ সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করেন তিনি।

এদিনের ঐতিহাসিক সমাবেশে সংহতি জানিয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিঞা গোলাম পরওয়ার, জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক, বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার ও বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী, বিশিষ্ট আলেম শায়খ আহমাদুল্লাহ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির ফয়জুল করীম, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সহ অনেক।

ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরকীয়া; গুঞ্জন নিয়ে যা বললেন সারিকা

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ১১:৫৯ অপরাহ্ণ
ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরকীয়া; গুঞ্জন নিয়ে যা বললেন সারিকা

ব্যবসায়ী মাহিম করিম খানের সঙ্গে প্রথম বিয়ে ভাঙার পর জি এস বদরুদ্দিন আহমেদ (রাহী) কে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল সারিকা সাবরিন। কিন্তু বিয়ের তিন বছর পেরোতেই আবারও বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন উঠেছে তার জীবনে। আর এজন্য দায়ী করা হয়েছে পরকীয়াকে। গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খোলামেলা কথা বলেন অভিনেত্রী।

শোবিজ পাড়ায় গুঞ্জন উঠেছে, গুলশানের এক কেমিক্যাল ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন সারিকা। স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহ বেড়ে যাওয়ায় নতুন এক ব্যবসায়ীকে মন দিয়েছেন।

ভক্তমহল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরকীয়ার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন সারিকা। সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে টুকটাক বনিবনা না হওয়া বা ন্যাচারাল ১৯-২০ যেমন ঝগড়া হয়, ওটাই হয়েছে। ৩ বছর পেরিয়ে ৪ বছরের সংসার জীবনে আছি। দীর্ঘ সময়ে আমরা এক রাতও আলাদা থাকিনি।’

পরকীয়া-বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘এমন তথ্য একেবারেই ভিত্তিহীন। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি আমার স্বামী-সন্তানের সঙ্গে গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলাম। ঘুরতে যেয়েই ভুয়া খবরটি পেলাম। এমন খবর কে বা কারা ছড়ায় জানতে পারলে সমাধান বলতে পারতাম।’

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ব্যবসায়ী মাহিম করিম খানকে ভালোবেসে বিয়ে করেন সারিকা। পরের বছরই তাদের ঘর আলো করে আসে একমাত্র কন্যাসন্তান। কন্যা সন্তানের বয়স ১ বছর হতেই ২০১৬ সালে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তারা। এরপর ৬ বছর একাই ছিলেন। ২০২২ সালে দুই পরিবারের সম্মতিতে জি এস বদরুদ্দিন আহমেদ (রাহী) কে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন অভিনেত্রী।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার-আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি বরাদ্দ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ১১:৫৪ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার-আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি বরাদ্দ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৪০৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সোমবার বিকেলে বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সময় তিনি এই বরাদ্দ দেওয়ার কথা জানান।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস ও চেতনাকে রাষ্ট্রীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে নানা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শহীদ পরিবার ও আহতদের ভাতা, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের বিষয়টি এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

তিনি বলেন, শিগগির জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ভাতা প্রদানের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। এছাড়া, তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যাপ্তি এবং গুরুত্ব বিবেচনায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি। এক্ষেত্রে পেনশন ব্যতীত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়াবে ৯১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা।

তিনি আরও বলেন, সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় দরিদ্র, প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য কমানোর বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে।

বৈঠকে অনুমোদন পাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি একটি অধ্যাদেশ জারি করে বাজেটটি কার্যকর করবেন, যা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধের দাবি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ১১:৫২ অপরাহ্ণ
ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধের দাবি

ঈদযাত্রায় যাত্রী দুর্ভোগ, দুর্ঘটনা, যানজট ও মানুষের ভোগান্তি কমাতে সব পথে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধের দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। আজ সোমবার সকালে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান সমিতির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জকরিয়া ও মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর।

এতে বলা হয়, প্রতিবছর ঈদে ফিটনেসবিহীন, লক্কড়-ঝক্কড় বাস, ট্রাক, লেগুনা, টেম্পু, মাইক্রোবাস, কার, নছিমন-করিমন ও সিটি সার্ভিসের বাস-মিনিবাস দূরপাল্লার বহরে যাত্রীপরিবহনে নেমে পড়ে। মেয়াদ উত্তীর্ণ নৌযান দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করে। রেলপথেও মেয়াদ উত্তীর্ণ কোচ, ইঞ্জিন, রেলপথের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ও লাইনচ্যুতির ঘটনায় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি যানজট ও ভোগান্তি তৈরি করে। এবারের ঈদে সকলপথে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

সারাদেশে প্রায় ৫ লক্ষাধিক যানবাহনের ফিটনেস নেই। ৫ লাখ ইজিবাইক, ৬০ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৭ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা, ১ লাখ নছিমন করিমন, ২০ লাখ মোটরসাইকেল প্রতিদিন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচল করছে। এছাড়াও মহাসড়কের পাশে পশুরহাট, পশুবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে যানবাহন দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসের গতি কমানোর পাশাপাশি যানজটের সৃষ্টি করছে। এসব যানবাহন জাতীয় মহাসড়ক থেকে জরুরি ভিত্তিতে উচ্ছেদ করতে হবে। সড়ক-মহাসড়কের প্রতি ইঞ্চি বেদখলমুক্ত করে বাধাহীন যানবাহন চলাচলে উদ্যোগ নিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।

এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ আনফিট নৌযানের চলাচল বন্ধ করা, প্রতিটি নৌযানের লোডলাইন অনুযায়ী অতিরিক্ত যাত্রীবহন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। সবপথের প্রতিটি রুটে যাত্রীসাধারণের নিরাপত্তা বিধান করা, বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল, ও রেলস্টেশনে অপেক্ষমান যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা করা, ব্যবহার উপযোগী প্রয়োজনীয় শৌচাগারের ব্যবস্থা করা, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বিধান নিশ্চিত করা জরুরি। বাসা থেকে বের হলেই পথে পথে ছিনতাই, অজ্ঞানপাটি, মলমপাটি, টানাপাটিসহ যে কোনও দুষ্কৃতিকারীদের নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো, গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হচ্ছে।