খুঁজুন
সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ১ বৈশাখ, ১৪৩২

ঐতিহাসিক মার্চ ফর গাজা

গণহত্যা বন্ধ, স্বাধীন ফিলিস্তিন ও স্বীকৃতি দাবি

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৫২ অপরাহ্ণ
গণহত্যা বন্ধ,  স্বাধীন ফিলিস্তিন ও স্বীকৃতি দাবি

শান্তিকামী ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার পথ উন্মুক্ত করতে হবে। পবিত্র পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী ভূমি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বাধ্যবাধকতা তৈরি; গণহত্যা বন্ধে কার্যকর ও সম্মিলিত পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ছাড়া জায়নবাদী বর্বর ইসরায়েলের গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে ঐতিহাসিকভাবে।

আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট’ আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ সমাবেশে এসব দাবির কথা জানানো হয়েছে। ঘোষণাপত্রে এসব দাবির কথা জানান আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

ঐতিহাসিক এই ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, মুসলিম উম্মাহ, বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি চার স্তরে তাঁদের দাবি ও অবস্থান তুলে ধরা হয়।

দখলদার ইসরায়েলের গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে নিশ্চিত করতে হবে জানিয়ে ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামায় মাহমুদুর রহমান বলেন, ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার পথ উন্মুক্ত করতে হবে; কারণ, এই মুহূর্তে বিশ্বব্যবস্থা যে ন্যায়ের মুখোশ পরে আছে, গাজার ধ্বংসস্তূপে সেই মুখোশ খসে পড়েছে।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘যেহেতু জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সব জাতির অধিকার রক্ষার, দখলদারত্ব ও গণহত্যা রোধের সংকল্প প্রকাশ করে এবং আমরা দেখেছি, গাজায় প্রতিদিন যে রক্তপাত, যে ধ্বংস চলছে, তা কোনো একক সরকারের ব্যর্থতা নয়, বরং এটি একটি আন্তর্জাতিক ব্যর্থতার ফল এবং এই ব্যর্থতা শুধু নীরবতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং পশ্চিমা শক্তিবলয়ের অনেক রাষ্ট্র সরাসরি দখলদার ইসরায়েলকে অস্ত্র, অর্থ ও কূটনৈতিক সহায়তা দিয়ে এই গণহত্যাকে দীর্ঘস্থায়ী করেছে। এই বিশ্বব্যবস্থা দখলদার ইসরায়েলকে প্রশ্নবিদ্ধ না করে বরং রক্ষা করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে।’

বর্বর ইসরায়েলের সঙ্গে অর্থনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সব সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়ে মুসলিম উম্মাহর নেতাদের উদ্দেশে ঘোষণাপত্রে বলা হয়, জায়নবাদী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে; গাজার জনগণের পাশে চিকিৎসা, খাদ্য, আবাসন, প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা নিয়ে দাঁড়াতে হবে; আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইসরায়েলকে একঘরে করতে সক্রিয় কূটনৈতিক অভিযান শুরু করতে হবে এবং জায়নবাদের দোসর ভারতের হিন্দুত্ববাদী শাসনের অধীনে মুসলিমদের অধিকার হরণ; বিশেষ করে, ওয়াক্‌ফ আইনে হস্তক্ষেপের মতো রাষ্ট্রীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ওআইসি ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে দৃঢ় প্রতিবাদ ও কার্যকর কূটনৈতিক অবস্থান নিতে হবে।

এদিনের সমাবেশ থেকে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘Except Israel’ শর্ত পুনর্বহাল; ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পাদিত সব চুক্তি বাতিল, রাষ্ট্রীয়ভাবে গাজায় ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা পাঠানো; জায়নবাদী কোম্পানির পণ্য বর্জনের নির্দেশনা দিতে আহ্বান জানানো হয়।

এ ছাড়া ভারতের কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদী সরকারের অধীনে মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ এবং পাঠ্যবই ও শিক্ষানীতিতে আল-আকসা, ফিলিস্তিন ও মুসলিমদের সংগ্রামী ইতিহাসকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে জোরালো আহ্বান জানানো হয়।

সমাবেশে অঙ্গীকারনামায় মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে বয়কট করব সেই পণ্য, কোম্পানি ও শক্তিকে—যারা ইসরায়েলের দখলদারত্বকে টিকিয়ে রাখে। আমরা আমাদের সমাজ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রস্তুত করব—যারা ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সব প্রতীক ও নিদর্শনকে সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার করবে।’

মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের সন্তানদের এমনভাবে গড়ে তুলব, যারা নিজেদের আদর্শ ও ভূখণ্ড রক্ষায় জান ও মালের সর্বোচ্চ ত্যাগে প্রস্তুত থাকবে; আমরা বিভাজিত হব না। কারণ, আমরা জানি, বিভক্ত জনগণকে দখল করতে দেরি হয় না।’ এ ছাড়া বাংলাদেশ কখনো কোনো হিন্দুত্ববাদী প্রকল্প পরবর্তী গাজায় যাতে পরিণত না হয়, সে জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

স্বাধীনতাকামী গাজার সাহসী জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে সমাবেশ থেকে বলা হয়, ‘আপনারা ইমান, সবর আর কোরবানির মহাকাব্য রচনা করেছেন। দুনিয়াকে দেখিয়েছেন, ঈমান আর তাওয়াক্কুলের শক্তি আমরা, বাংলাদেশের মানুষ শাহজালাল আর শরীয়তুল্লাহর ভূমি থেকে আপনাদের শহীদদের প্রতি ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানাই। হে আল্লাহ, গাজার এই সাহসী জনপদকে তুমি সেই পাথর বানিয়ে দাও, যার ওপর গিয়ে ভেঙে পড়বে জায়োনিস্টদের সব ষড়যন্ত্র।’

“মার্চ ফর গাজা” সমাবেশের অন্যতম আয়োজক আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশের সব দল, মত, চিন্তা-দর্শনের মানুষ মজলুম ফিলিস্তিন ও মজলুম গাজার পাশে আছে, সহাবস্থান করছে। এক কাতারে দাঁড়িয়ে আজ বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিতে চাই, আমাদের মধ্যে বিভিন্ন চিন্তা, মতগত পার্থক্য, ভিন্নতা থাকতে পারে; কিন্তু মজলুম ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা, ভূমির অধিকারের দাবিতে আমরা বাংলাদেশের মানুষ ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে প্রত্যেকে তাঁদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি।’

শুরু থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের সতেজ রাখার অগ্রনায়ক, বিশিষ্ট আলেম ও স্বনামধন্য ধর্মীয় আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, ‘আজকের এই মহাসমুদ্র, জনসমুদ্র ফিলিস্তিনের প্রতি, আল-আকসার প্রতি বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। ভৌগোলিকভাবে আমরা ফিলিস্তিন থেকে অনেক দূরে হতে পারি, কিন্তু আজকের এই জনসমুদ্র প্রমাণ করে আমাদের হৃদয়ে বাস করে একেকটা ফিলিস্তিন, আমাদের হৃদয়ে বাস করে একেকটা গাজা, আমাদের হৃদয়ে বাস করে একেকটা আল-কুদস।’

সবশেষ ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য দোয়া করে মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আব্দুল মালেক। বিকেল ৪টা নাগাদ সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করেন তিনি।

এদিনের ঐতিহাসিক সমাবেশে সংহতি জানিয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিঞা গোলাম পরওয়ার, জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক, বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার ও বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী, বিশিষ্ট আলেম শায়খ আহমাদুল্লাহ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির ফয়জুল করীম, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সহ অনেক।

মাকে অপমান করায় ম্যানচেস্টারের বাড়ি বিক্রি করে দিচ্ছেন ফোডেন

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:১৮ অপরাহ্ণ
মাকে অপমান করায় ম্যানচেস্টারের বাড়ি বিক্রি করে দিচ্ছেন ফোডেন

গেল ৬ এপ্রিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মুখোমুখি হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। এই ম্যানচেস্টার ডার্বিতে মাঠে খুব বেশি উত্তেজনা ছিল না, গোলশূন্য ড্র-তে ম্যাচ শেষ হয়েছিল।

উত্তেজনা না থাকলেও ওল্ড ট্রাফোর্ডের ওই ম্যাচ নিয়ে আলোচনা হয় ভিন্ন কারণে। ম্যাচ শেষে ম্যানসিটি তারকা ফিল ফোডেনের মা ক্লেয়ার রোল্যান্ডসকে স্লোগানের মাধ্যমে অপমান করেন ম্যানইউ সমর্থকরা। এ ঘটনার জেরে রাগে-ক্ষোভে ম্যানচেস্টারের বাড়িটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফোডেন।

ইংলিশ মিডফিল্ডারকে লক্ষ্য করে গ্যালারির একাংশের দর্শকরা তার মাকে ‘স্ল্যাগ’ বলে অপমান করেন। এরপর ম্যাচের ৫৮ মিনিটে বদলি হয়ে মাঠ ছাড়েন ফোডেন।

ফোডেন এই বাড়িটি চার বছর আগে কিনেছিলেন এবং সেসময় থেকে মা ক্লেয়ার ও বাবা ফিল সিনিয়রের সঙ্গে এখানে থাকতেন। পরে ২৪ বছর বয়সী ফোডেন এই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান এবং কাছাকাছি একটি বাড়িতে তার বাগদত্তা রেবেকা কুক ও তিন সন্তানের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন।

চেশায়ারের প্রেস্টবুরির অভিজাত এলাকায় অবস্থিত বাড়িটি ৩ মিলিয়নের বেশি মূল্যে বিক্রির জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে। প্রাসাদসদৃশ বাড়িটিতে রয়েছে বিলাসবহুল সুবিধা— সুইমিং পুল, সিনেমা রুম, জিম, ওয়াইন সেলার এবং গল্ফ সিমুলেটর।

এই বাড়িতে থাকা অবস্থায় ফোডেনের মায়ের বিরুদ্ধে আগে একবার অভিযোগ করেছিলেন প্রতিবেশীরা। সে সময় বাড়ির পিছনের বাগানে একটি প্রচণ্ড শব্দ করে পার্টি আয়োজন করেন তিনি।

আচমকা শুরু হওয়া আতশবাজির শব্দে বাচ্চা ও পোষা প্রাণীরা ভয় পেয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ফোডেনের মা কোনো পূর্বে সতর্কতা না দিয়েই এই আয়োজন করেন।

পরবর্তীতে প্রতিবেশীরা একটি খোলা চিঠিতে ফোডেন পরিবারের এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সব মিলিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের কারণে বাড়িটিতে দিন ভালো যাচ্ছিলো না ফোডেনের পরিবারের।

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে প্যারিসে বিক্ষোভ সমাবেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:১৫ অপরাহ্ণ
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে প্যারিসে বিক্ষোভ সমাবেশ

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন, নিপীড়ন ও গণহত্যার প্রতিবাদে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ‘সলিডারিতে আজি ফ্রান্স’ (সাফ)। গতকাল রবিবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঐতিহাসিক প্লেস দে লা রিপাবলিক চত্বরে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেন।

সমাবেশে গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞ ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান, পোস্টার, প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার প্রদর্শনের মাধ্যমে সংহতি জানান অংশগ্রহণকারীরা। তারা দ্রুত যুদ্ধ বন্ধ এবং ফিলিস্তিনিদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান।

সাফ প্রেসিডেন্ট নয়ন এনকে’র পরিচালনায় আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের পাশাপাশি ফরাসিসহ বিভিন্ন দেশের মানবতাবাদী ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, ‘গাজায় অব্যাহত গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। ফিলিস্তিনিদের তাদের আবাসভূমি ফিরিয়ে দিতে হবে। ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে।’

তারা আরও বলেন, ‘আমেরিকাসহ বিশ্বে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মদদেই ইসরায়েল বারবার এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। এই নৃশংসতা বন্ধে মুসলিম দেশসহ সব মানবিক রাষ্ট্রকে দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে এবং ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।’

সাফ প্রেসিডেন্ট নয়ন এনকে বলেন, ‘গাজায় যে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চলছে, তা দেখে একজন মানুষ হিসেবে ঘরে বসে থাকা যায় না। আমরা চাই বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হোক, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবাই রুখে দাঁড়াক। প্যারিসের হৃদয়ে গাজার জন্য আয়োজিত এই বিক্ষোভ ছিল মানবতার পক্ষে এক সাহসী উচ্চারণ। ফিলিস্তিনে চলমান হত্যাযজ্ঞ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তোলার প্রয়াস হিসেবেই এই সমাবেশকে দেখা যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই কর্মসূচি প্রমাণ করে—জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আজ বিশ্ববাসী একত্রিত হচ্ছে। গাজার শান্তি ও ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক মহলের কার্যকর ভূমিকা এখন সময়ের দাবি।’

ঢাকাসহ ১৪ অঞ্চলে ঘণ্টায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ৯:১১ অপরাহ্ণ
ঢাকাসহ ১৪ অঞ্চলে ঘণ্টায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

রাতের মধ্যে ঢাকাসহ ১৪ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব অঞ্চলের উপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, ফেনী, কক্সবাজার, বান্দরবান ও পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা কিছু কিছু জায়গা থেকে তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে।