খুঁজুন
রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

এবারে কান উৎসবে বিজয়ী হলেন যারা

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫, ৩:২৬ অপরাহ্ণ
এবারে কান উৎসবে বিজয়ী হলেন যারা

0-0x0-0-0#

ফ্রান্সের কান শহরে শেষ হলো বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন আসর ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসব। ভূমধ্যসাগরের তীরে আয়োজিত ১২ দিনের এই জমকালো আয়োজন শুরু হয়েছিল ১৩ মে। এটি শেষ হয়েছে ২৪ মে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।

এবারের মূল প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপাম (পাম দ্য অর) জিতেছেন ইরানি পরিচালক জাফর পানাহি। তার সিনেমা ‘ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাক্সিডেন্ট’ দিয়ে তিনি পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। এই ছবিটি একইসাথে জিতে নিয়েছে সিটিজেনশিপ অ্যাওয়ার্ডও।

মূল প্রতিযোগিতা
স্বর্ণপাম: ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাক্সিডেন্ট (জাফর পানাহি, ইরান)
গ্রাঁ প্রিঁ: সেন্টিমেন্টাল ভ্যালু (ইওয়াকিম ত্রিয়ার, নরওয়ে/ডেনমার্ক)
জুরি পুরস্কার: সিরেত (অলিভার লাসে, স্পেন) ও সাউন্ড অব ফলিং (মাশা শিলিনস্কি, জার্মানি)
বিশেষ পুরস্কার: রেজারেকশন (বাই গান, চীন)
সেরা অভিনেতা: ওয়াগনার মোরা (দ্য সিক্রেট এজেন্ট, ব্রাজিল)
সেরা অভিনেত্রী: নাদিয়া মেলিতি (দ্য লিটল সিস্টার, ফ্রান্স)
সেরা পরিচালক: ক্লেবার মেনদোঙ্কা ফিলো (দ্য সিক্রেট এজেন্ট, ব্রাজিল)
সেরা চিত্রনাট্য: জঁ-পিয়ের ও লুক দারদেন (ইয়াং মাদার’স, বেলজিয়াম)

কারিগরি পুরস্কার
সিএসটি শিল্পী-প্রযুক্তিবিদ পুরস্কার: রুবেন ইমপেন্স (চিত্রগ্রহণ) ও স্টেফান থিবোঁ (শব্দমিশ্রণ), চলচ্চিত্র: আলফা
সিএসটি নবীন নারী প্রযুক্তিবিদ পুরস্কার: এপোনাইন মোমেনসো (শিল্প নির্দেশনা, চলচ্চিত্র: কনেমারা)

আঁ সাঁর্তে রিগা
সেরা চলচ্চিত্র: দ্য মিস্টেরিয়াস গেজ অব দ্য ফ্লামিঙ্গো (দিয়েগো পেসপেদেস, চিলি)
জুরি পুরস্কার: অ্যা পয়েট (সিমন মেসা সোতো, কলম্বিয়া)
সেরা অভিনয়শিল্পী: ক্লিও দিয়ারা (আই অনলি রেস্ট ইন দ্য স্টর্ম), ফ্রাঙ্ক ডিলেন (আর্কিন, যুক্তরাজ্য)
সেরা পরিচালক: আরাব ও টারজান নাসের (ওয়ান্স আপন অ্যা টাইম ইন গাজা, ফিলিস্তিন)
সেরা চিত্রনাট্য: পিলিয়ন (হ্যারি লাইটন, যুক্তরাজ্য)

সম্মানসূচক স্বর্ণপাম
রবার্ট ডি নিরো, ডেনজেল ওয়াশিংটন

গোল্ডেন ক্যামেরা
ক্যামেরা দ’অর: হাসান হাদি (দ্য প্রেসিডেন্ট’স কেক, ইরাক)

বিশেষ উল্লেখ: আকিনোলা ডেভিস জুনিয়র (মাই ফাদার’স শ্যাডো, নাইজেরিয়া)

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
স্বর্ণপাম: আই অ্যাম গ্ল্যাড ইউ আর ডেড নাউ (তৌফিক বারহোম, ইসরায়েল)

বিশেষ উল্লেখ: আলী (আদনান আল রাজীব, বাংলাদেশ)

লা সিনেফ
প্রথম পুরস্কার: ফার্স্ট সামার (হেয়ো গায়ং, কোরিয়ান অ্যাকাডেমি অব ফিল্ম আর্টস, দক্ষিণ কোরিয়া)
দ্বিতীয় পুরস্কার: টুয়েলভ মোমেন্টস বিফোর দ্য ফ্ল্যাগ-রাইজিং সিরিমনি (জু জিজেং, বেইজিং ফিল্ম অ্যাকাডেমি, চীন)
তৃতীয় পুরস্কার: সেপারেটেড (মিকি তানাকা, এনবু সেমিনার, জাপান) ও উইন্টার ইন মার্চ (নাটালি মিরজাইয়ান, এস্টোনিয়ান অ্যাকাডেমি অব আর্টস, এস্টোনিয়া)

ইমারসিভ বিভাগ
সেরা ইমারসিভ কাজ: ফ্রম ডাস্ট (মিশেল ফন দের আ, নেদারল্যান্ডস)

মুক্ত পুরস্কার
ফিপরেসি পুরস্কার
মূল প্রতিযোগিতা: দ্য সিক্রেট এজেন্ট (ক্লেবার মেনদোঙ্কা ফিলো, ব্রাজিল)
আঁ সাঁর্তে রিগা: আর্কিন (হ্যারিস ডিকিনসন, যুক্তরাজ্য)
ক্রিটিকস উইক: ড্যান্ডেলিয়ন’স ওডিসি (মোমোকো সেতো, ফ্রান্স/বেলজিয়াম)

৬৪তম ক্রিটিকস উইক
গ্র্যান্ড প্রাইজ: অ্যা ইউজফুল গোস্ট (রাতচাপুম বুনবুনচাচোক, থাইল্যান্ড)

ফ্রেঞ্চ টাচ জুরি পুরস্কার: ইমাগো (দেনি উমার পিতসেভ, ফ্রান্স)

রাইজিং স্টার অ্যাওয়ার্ড: তিয়োদর পেলেরাঁ (নিনো, ফ্রান্স)

সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য: দ্য মাইন (রান্দা মারুফি, মরক্কো)

গ্যান ফাউন্ডেশন পুরস্কার: লেফট-হ্যান্ডেড গার্ল (শি চিং সু, তাইওয়ান)

এসএসিডি পুরস্কার: গিয়ের্মো গালোয় ও ভিক্তর আলোনসো-বেরবেল (স্লিপলেস সিটি, স্পেন)

ক্যানাল প্লাস পুরস্কার: এরোজেনেসিস (সান্ড্রা পপেস্কু, জার্মানি)

৫৭তম ডিরেক্টরস’ ফোর্টনাইট
অডিয়েন্স চয়েস অ্যাওয়ার্ড: দ্য প্রেসিডেন্ট’স কেক (হাসান হাদি, ইরাক)
সেরা ইউরোপিয়ান সিনেমা: ওয়াইল্ড ফক্সেস (ভ্যালেরি কারনয়, বেলজিয়াম)
সেরা ফরাসি ভাষার সিনেমা: ওয়াইল্ড ফক্সেস (ভ্যালেরি কারনয়)
ক্যারোস দ’অর: টড হেইন্স

সেরা প্রামাণ্যচিত্র (গোল্ডেন আই)
গোল্ডেন আই (৫ হাজার ইউরো): ইমাগো (দেনি উমার পিতসেভ, ফ্রান্স/বেলজিয়াম)
স্পেশাল জুরি প্রাইজ (গোল্ডেন আই পুরস্কারের ১০ম বার্ষিকী): দ্য সিক্স বিলিয়ন ডলার ম্যান (ইউজিন জারেকি, যুক্তরাষ্ট্র)

কান সাউন্ডট্র্যাক অ্যাওয়ার্ড
সেরা সাউন্ডট্র্যাক: কংদিং রে (সিরেত, ফ্রান্স)

প্রিঁ ফ্রঁসোয়া শ্যালে
ফ্রঁসোয়া শ্যালে পুরস্কার: টু প্রসিকিউটরস (সের্গেই লজনিৎজা, ইউক্রেন)

সিটিজেনশিপ অ্যাওয়ার্ড
সিটিজেনশিপ প্রাইজ: ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাক্সিডেন্ট (জাফর পানাহি, ইরান)

আর্টহাউস সিনেমা অ্যাওয়ার্ডস
সেরা চলচ্চিত্র: দ্য সিক্রেট এজেন্ট (ক্লেবার মেনদোঙ্কা ফিলো, ব্রাজিল)

বিশেষ উল্লেখ: সিরেত (অলিভার লাসে, ফ্রান্স/স্পেন)

পাম ডগ সেরা কুকুর অভিনয়শিল্পী
২৫তম পাম ডগ অ্যাওয়ার্ড: পান্ডা (দ্য লাভ দ্যাট রিমেইনস, আইসল্যান্ড)
গ্র্যান্ড জুরি পুরস্কার: পিপা (সিরেত, স্পেন)
মাট মোমেন্ট: হিপ্পো (পিলিয়ন, যুক্তরাজ্য)

কুইয়ার পাম
সেরা চলচ্চিত্র: লিটল সিস্টার (আফসিয়া আর্জি, ফ্রান্স)
সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য: ব্লিট! (অনন্ত বালাসুব্রহ্মণ্যম, মালয়েশিয়া/ফিলিপাইন/ফ্রান্স)

গণতান্ত্রিক সরকার না থাকায় দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি হচ্ছে: তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫, ৮:৫৭ অপরাহ্ণ
গণতান্ত্রিক সরকার না থাকায় দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি হচ্ছে: তারেক রহমান

গণতান্ত্রিক সরকার না থাকায় দেশে বিনিয়োগ থেমে গেছে, দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ার‌ম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায় বিএনপি, প্রধান উপদেষ্টার কাছে সেই দাবিই পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। এ সরকারের অধীনেই একট সুন্দর নির্বাচনের প্রত্যাশা করে বিএনপি।

রোববার (২৫ মে) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে এক সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

তারেক রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদের পথ রুদ্ধ করে রাষ্ট্র, সংস্কার ও রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের জন্য দরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার। সময়ের প্রয়োজনে পুঁথিগত অর্থ্যাৎ সাংবিধানিক ও আইনগত এবং প্রায়োগিক সংস্কারের বিকল্প নেই। অল্প কিংবা সংস্কার বলেও কিছু নেই; রাষ্ট্র ও রাজনীতির প্রয়োজনে সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে আমার কাছে মনে হয় প্রায়োগিক সংস্কারের বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, হাজারো শহীদের রক্তের ওপর প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের হয়তো নৈতিক ও রাজনৈতিক বৈধতার সংকট নেই; তবে অবশ্যই এই সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক নয়। সরকার যেহেতু জবাবদিহিমূলক নয়, সেহেতু নৈতিক কারণেই সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা জনগণের কাছে স্পষ্ট থাকা প্রয়োজন।

জনগণকে অন্ধকারে রেখে ও রাজনৈতিক দলগুলোকে অনিশ্চয়তায় রেখে কোনো পরিকল্পনায় কার্যত টেকসই হয় না, হবেও না বলে মনে করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, নির্বাচিত সরকারের মতো অন্তর্বর্তী সরকার সব দায়িত্ব পালন করবে জনগণ এমনটি আশা করে না। তারপরও সরকারকে নিয়মমাফিক কিছু কাজ করতে হয়।

বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে প্রতিনিয়ত অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, এ কারণে আমরা দেখছি— প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দাবি-দাওয়া নিয়ে রাজপথে নেমে আসছে। যদিও দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাদের দাবি-দাওয়া শোনার কেউ নেই এখন।

জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠায় গড়িমসির সুযোগ নিয়ে পতিত স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠার অপেক্ষায় রয়েছে, এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করে জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তবে ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট তাঁবেদার অপশক্তির পথরোধ করা সম্ভব।

তিনি মনে করেন, দলগুলোর মধ্যে প্রক্রিয়াগত বিরোধ থাকলেও ফ্যাসিবাদের উত্থান মোকাবিলায় বিগত ৫ আগস্টের মতোই ঐক্যবদ্ধ।

বিএনপির দাবি আগামী ডিসেম্বরের ভেতরে জাতীয় নির্বাচন উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কাছে রাজনৈতিক দলগুলো আবারও জাতীয় নির্বাচনের সুস্পষ্ট দিনক্ষণ ও তারিখের দাবি জানিয়েছে। জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংস্কারে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। জনগণও দেশের ইতিহাসে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন দেখতে চায়।

সালাহউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে পোস্ট, যা লিখলেন প্রেস সচিব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫, ৩:৩৯ অপরাহ্ণ
সালাহউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে পোস্ট, যা লিখলেন প্রেস সচিব

বিএনপির অন্যতম শীর্ষ নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের গুম হওয়া ও ভারতে যাওয়া নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটা স্বার্থান্বেষী মহল। প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনামলে সালাউদ্দিনের লড়াই সংগ্রামের ইতিহাসকে। যা নিয়ে এবার কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে শেখ হাসিনার নিষ্ঠুর শাসনামলে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদের লড়াই সংগ্রামের তথ্য তুলে ধরেন প্রেস সচিব।

সালাউদ্দিন আহমেদের গুম হওয়া ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়ে তার লড়াই নিয়ে প্রেস সচিবের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো—

যেদিন নিরাপত্তা বাহিনী সালাহউদ্দিন আহমেদকে অপহরণ করে, গুম করে সীমান্ত পেরিয়ে পাঠিয়ে দেয় আরও দূরে, তার কয়েক সপ্তাহ আগেই তিনি বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে গোপন একটি জায়গা থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। সেই সময় আওয়ামী লীগ সরকার দলটির ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালাচ্ছিল। খালেদা জিয়াকে গুলশানের কার্যালয়ে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল।

দলের শীর্ষ নেতারা কেউ আত্মগোপনে চলে যান, কেউবা পুলিশের বিশেষ শাখা বা র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন। আমি ও আমার দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান ক্রিস ওটন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসনের সঙ্গে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে গোপনে প্রবেশ করে এএফপির জন্য তার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। সিভিল পোশাকের নিরাপত্তা রক্ষীরা আমাদের ব্রিটিশ হাইকমিশনের সদস্য ভেবে ভেতরে ঢুকতে দেয়।

সেই সময় প্রতিদিন আমরা সালাহউদ্দিন আহমেদের বিবৃতি পেতাম। ক্রিস ও আমি তার বিবৃতিগুলো আমাদের প্রতিবেদনে জোরালোভাবে ব্যবহার করতাম, কারণ সেই বিবৃতির লেখাগুলো ছিল প্রচন্ড শক্তিশালী, নিখুঁত ও ক্ষুরধার ছিল। আমি সব সময়ই মনে করতাম রুহুল কবির রিজভী দেশের অন্যতম আবেগী রাজনৈতিক কর্মী। কিন্তু তার লেখা বিবৃতিগুলো ছিল জটিল ও দুর্বোধ্য। সেখান থেকে শক্তিশালী কোনো উদ্ধৃতি বের করা কঠিন হতো।

কিন্তু যখন রিজভী গ্রেফতার হলেন এবং সালাহউদ্দিন আহমেদ গোপন অবস্থান থেকে মুখপাত্রের দায়িত্ব নিলেন, তিনি বিএনপির ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ও অসাধারণ বিবৃতি পাঠাতে শুরু করলেন। সেগুলো ছিল বোমার মতো, যা সরাসরি শেখ হাসিনার শাসনকে চ্যালেঞ্জ করছিল। সেই বিবৃতিগুলোর ভাষা ছিল কঠোর এবং সবসময় লক্ষ্যভেদী। আমরা নিরাপদ সূত্র থেকে জানতে পারি, শেখ হাসিনা এতটাই ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন যে, তিনি সালাহউদ্দিন আহমেদকে ধরতে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদের পরিণতি কী হতে পারে তা অনুমেয় ছিল। ঠিকই একদিন ২০১৫ সালের শুরুর দিকে সালাহউদ্দিন আহমেদ অপহরণ ও তারপর গুমের শিকার হন। তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ তার মুক্তির দাবিতে একটি সাহসী আন্দোলন শুরু করেন। তার লড়াই ছিল চোখে পড়ার মতো ও দেশের অন্যতম সাহসী প্রচেষ্টা। মায়ের ডাক-এর হাজেরা খাতুন ও তার মেয়েদের সঙ্গে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে।

সম্ভবত হাসিনা আহমেদের তৈরি করা সেই আন্দোলন ও প্রতিবাদ আংশিকভাবে হলেও নিরাপত্তা বাহিনীকে সালাহউদ্দিন আহমেদকে সীমান্ত পেরিয়ে শিলং পাঠাতে বাধ্য করেছিল।

আজ বিএনপির অনেক তরুণ, যারা কিনা দিন দিন আরও অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে, তাদের মতো কিছু কর্মীও এই সাহসী অধ্যায়গুলো ভুলে গেছে। আর গতকাল আমরা তার বিরুদ্ধে কিছু ঘৃণ্য অপপ্রচার দেখলাম। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, এই সংগ্রামগুলোই শেখ হাসিনার সবচেয়ে নিষ্ঠুর শাসনামলে তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, অধিকাংশ মানুষ আমাদের রাজনৈতিক সংগ্রামের সেই গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় ভুলে গেছে। ভালো সময় যেন সব খারাপ স্মৃতিই মুছে দিয়েছে।

‘কাঠামো শক্তিশালী না করলে পুঁজিবাজার ঠিক রাখা অসম্ভব’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫, ৩:৩৬ অপরাহ্ণ
‘কাঠামো শক্তিশালী না করলে পুঁজিবাজার ঠিক রাখা অসম্ভব’

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও কাঠামো শক্তিশালী না করলে পুঁজিবাজার ঠিক রাখা সম্ভব না। শনিবার ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের আয়োজনে পুঁজিবাজার নিয়ে সেমিনারের মূল প্রবন্ধে এসব কথা জানান তিনি।

পুঁজিবাজারের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব কমেছে জানিয়ে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাজারের জন্য পুঁজি সংগ্রহ করে বাজারের গতি বাড়াতে হবে। মোট দেশজ উৎপাদনের সঙ্গে কর্মসংস্থানের সামঞ্জস্য রেখে পুঁজিবাজার এগুচ্ছে কি না, বাজার ব্যবস্থাপনায় যারা সংশ্লিষ্ট তারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছে কি না খেয়াল রাখতে হবে। পুঁজিবাজার একা সঠিকভাবে চলতে পারে না যদি সহায়ক প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকভাবে না চলে।

তিনি আরও বলেন, দেশের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিরা পুঁজিবাজারকে প্রভাবিত করেছিল। পুঁজিবাজার থেকে ২০১০-১১ সালে ২০ হাজার কোটি টাকা বের করে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। তখন যেভাবে আইন দ্বারা কেস ফাইল করা দরকার ছিল সেটা হয়নি, যা করা হয়েছে সেটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল।

লুটপাটের শাস্তি না দিতে পারলে কোনো পদক্ষেপ কাজে আসবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও কাঠামো শক্তিশালী না করলে পুঁজিবাজার ঠিক থাকবে না। দুর্নীতি করলে শাস্তি না পেলে অনিয়ম পুনরাবৃত্তি ঘটে। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে অনেক বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়েছে। বারবার রাজনৈতিক সিন্ডিকেট কাজ করেছে।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এটা ছিল পাপের সূত্রপাত। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়ে গেছেন। কোনও প্রতিষ্ঠান নেই তাদেরও লিস্টিং করেছেন। কারসাজি করে শেয়ারের দাম বাড়িয়েছেন। কারসাজিকারীদের শাস্তি না দেওয়া, এটাই হচ্ছে পুঁজিবাজারের মূল সমস্যা। তাই টোটকা ওষুধ দিয়ে পুঁজিবাজারকে ঠিক করা যাবে না। পুঁজিবাজারের ধাক্কা অর্থনীতিকে দুর্বল করেছে। ওই সময়ে একটি আইপিও আসেনি।

বিনিয়োগকারীর আস্থা ফেরাতে বাজেটে আলাদা প্যাকেজের প্রতিফলন থাকা দরকার মন্তব্য করে ভট্টাচার্য বলেন, পাঁচটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যৌক্তিক কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। অপ্রয়োজনে বিদেশি এক্সপার্টের ওপর নির্ভরতার দরকার নেই। দীর্ঘ মেয়াদী অর্থায়ন করতে হবে। বর্তমান অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে হবে। অংশগ্রহণমূলক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।