খুঁজুন
রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

জুলাই ঘোষণাপত্র চায় জামায়াত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫, ৩:০২ অপরাহ্ণ
জুলাই ঘোষণাপত্র চায় জামায়াত

0-0x0-0-0#

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে দুটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সংস্কার ও নির্বাচন—এই দুই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপের পাশাপাশি জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবিও জানিয়েছে দলটি।

সব সংস্কার এ সরকার করতে পারবে না। তবে মৌলিক পাঁচটি বিষয়ে সংস্কার হতে হবে বলে জানান জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

শনিবার (২৪ মে) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, গত কয়েক দিন ধরে দেশে অস্বাভাবিক অবস্থা অবস্থা বিরাজ করছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর জাতির উদ্দেশে একটি বার্তা দিতে চেয়েছিলেন ড. ইউনূস। কিন্তু তিনি সেই বার্তা না দিলেও তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে আশঙ্কা ও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।

শফিকুর রহমান বলেন, একজন রাজনৈতিক নেতা তার অধিকার পাওয়ার জন্য অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। একই সময় আরেকটা দল গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি জায়গায় তাদের দাবি নিয়ে অবস্থান করছিল। এসব বিষয় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বিরক্ত ছিলেন এবং তিনি তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছিলেন।

’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে পরিবর্তন এসেছে উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, আমাদের প্রত্যাশা, গণ-অভ্যুত্থানের সরকার কোনো দলকে সাপোর্ট করবে না, এটা হওয়া উচিত। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে বিচ্যুতি ঘটেছে। অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

‘আমরা সংস্কার ও বিচারের মধ্য দিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। যে নির্বাচনে সমতল মাঠ থাকবে। প্রার্থীদের ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হতে হবে না। নির্বাচনে কালো টাকা ও পেশিশক্তির প্রভাব থাকবে না। এমনটি হলে মানুষ তার হারানো অধিকার ফিরে পাবে এবং অধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবে। এটাই জনগণের দাবি। ’

জামায়াত আমির আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন—ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। কিন্তু তিনি সুনির্দিষ্ট করে মাস ও তারিখ বলেননি। এ কারণে কিছু দলের দাবি আছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আস্থা রেখে একটি প্রস্তাবনাও দিয়েছি। আমরা আজও এ বিষয়ে কথা বলেছি।

তিনি বলেন, অবশ্যই সংস্কার ও বিচারের প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হতে হবে। আবার সব সংস্কার এ সরকার করতেও পারবে না। তবে মৌলিক পাঁচটি বিষয়ে সংস্কার হতে হবে। এর পাশাপাশি জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে হবে। এ জন্য আমরা দুটি রোডম্যাপ চেয়েছি—এক. সংস্কার, দুই. নির্বাচন।

সালাহউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে পোস্ট, যা লিখলেন প্রেস সচিব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫, ৩:৩৯ অপরাহ্ণ
সালাহউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে পোস্ট, যা লিখলেন প্রেস সচিব

বিএনপির অন্যতম শীর্ষ নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের গুম হওয়া ও ভারতে যাওয়া নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটা স্বার্থান্বেষী মহল। প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনামলে সালাউদ্দিনের লড়াই সংগ্রামের ইতিহাসকে। যা নিয়ে এবার কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে শেখ হাসিনার নিষ্ঠুর শাসনামলে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদের লড়াই সংগ্রামের তথ্য তুলে ধরেন প্রেস সচিব।

সালাউদ্দিন আহমেদের গুম হওয়া ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়ে তার লড়াই নিয়ে প্রেস সচিবের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো—

যেদিন নিরাপত্তা বাহিনী সালাহউদ্দিন আহমেদকে অপহরণ করে, গুম করে সীমান্ত পেরিয়ে পাঠিয়ে দেয় আরও দূরে, তার কয়েক সপ্তাহ আগেই তিনি বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে গোপন একটি জায়গা থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। সেই সময় আওয়ামী লীগ সরকার দলটির ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালাচ্ছিল। খালেদা জিয়াকে গুলশানের কার্যালয়ে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল।

দলের শীর্ষ নেতারা কেউ আত্মগোপনে চলে যান, কেউবা পুলিশের বিশেষ শাখা বা র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন। আমি ও আমার দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান ক্রিস ওটন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসনের সঙ্গে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে গোপনে প্রবেশ করে এএফপির জন্য তার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। সিভিল পোশাকের নিরাপত্তা রক্ষীরা আমাদের ব্রিটিশ হাইকমিশনের সদস্য ভেবে ভেতরে ঢুকতে দেয়।

সেই সময় প্রতিদিন আমরা সালাহউদ্দিন আহমেদের বিবৃতি পেতাম। ক্রিস ও আমি তার বিবৃতিগুলো আমাদের প্রতিবেদনে জোরালোভাবে ব্যবহার করতাম, কারণ সেই বিবৃতির লেখাগুলো ছিল প্রচন্ড শক্তিশালী, নিখুঁত ও ক্ষুরধার ছিল। আমি সব সময়ই মনে করতাম রুহুল কবির রিজভী দেশের অন্যতম আবেগী রাজনৈতিক কর্মী। কিন্তু তার লেখা বিবৃতিগুলো ছিল জটিল ও দুর্বোধ্য। সেখান থেকে শক্তিশালী কোনো উদ্ধৃতি বের করা কঠিন হতো।

কিন্তু যখন রিজভী গ্রেফতার হলেন এবং সালাহউদ্দিন আহমেদ গোপন অবস্থান থেকে মুখপাত্রের দায়িত্ব নিলেন, তিনি বিএনপির ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ও অসাধারণ বিবৃতি পাঠাতে শুরু করলেন। সেগুলো ছিল বোমার মতো, যা সরাসরি শেখ হাসিনার শাসনকে চ্যালেঞ্জ করছিল। সেই বিবৃতিগুলোর ভাষা ছিল কঠোর এবং সবসময় লক্ষ্যভেদী। আমরা নিরাপদ সূত্র থেকে জানতে পারি, শেখ হাসিনা এতটাই ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন যে, তিনি সালাহউদ্দিন আহমেদকে ধরতে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদের পরিণতি কী হতে পারে তা অনুমেয় ছিল। ঠিকই একদিন ২০১৫ সালের শুরুর দিকে সালাহউদ্দিন আহমেদ অপহরণ ও তারপর গুমের শিকার হন। তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ তার মুক্তির দাবিতে একটি সাহসী আন্দোলন শুরু করেন। তার লড়াই ছিল চোখে পড়ার মতো ও দেশের অন্যতম সাহসী প্রচেষ্টা। মায়ের ডাক-এর হাজেরা খাতুন ও তার মেয়েদের সঙ্গে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে।

সম্ভবত হাসিনা আহমেদের তৈরি করা সেই আন্দোলন ও প্রতিবাদ আংশিকভাবে হলেও নিরাপত্তা বাহিনীকে সালাহউদ্দিন আহমেদকে সীমান্ত পেরিয়ে শিলং পাঠাতে বাধ্য করেছিল।

আজ বিএনপির অনেক তরুণ, যারা কিনা দিন দিন আরও অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে, তাদের মতো কিছু কর্মীও এই সাহসী অধ্যায়গুলো ভুলে গেছে। আর গতকাল আমরা তার বিরুদ্ধে কিছু ঘৃণ্য অপপ্রচার দেখলাম। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, এই সংগ্রামগুলোই শেখ হাসিনার সবচেয়ে নিষ্ঠুর শাসনামলে তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, অধিকাংশ মানুষ আমাদের রাজনৈতিক সংগ্রামের সেই গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় ভুলে গেছে। ভালো সময় যেন সব খারাপ স্মৃতিই মুছে দিয়েছে।

‘কাঠামো শক্তিশালী না করলে পুঁজিবাজার ঠিক রাখা অসম্ভব’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫, ৩:৩৬ অপরাহ্ণ
‘কাঠামো শক্তিশালী না করলে পুঁজিবাজার ঠিক রাখা অসম্ভব’

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও কাঠামো শক্তিশালী না করলে পুঁজিবাজার ঠিক রাখা সম্ভব না। শনিবার ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের আয়োজনে পুঁজিবাজার নিয়ে সেমিনারের মূল প্রবন্ধে এসব কথা জানান তিনি।

পুঁজিবাজারের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব কমেছে জানিয়ে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাজারের জন্য পুঁজি সংগ্রহ করে বাজারের গতি বাড়াতে হবে। মোট দেশজ উৎপাদনের সঙ্গে কর্মসংস্থানের সামঞ্জস্য রেখে পুঁজিবাজার এগুচ্ছে কি না, বাজার ব্যবস্থাপনায় যারা সংশ্লিষ্ট তারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছে কি না খেয়াল রাখতে হবে। পুঁজিবাজার একা সঠিকভাবে চলতে পারে না যদি সহায়ক প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকভাবে না চলে।

তিনি আরও বলেন, দেশের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিরা পুঁজিবাজারকে প্রভাবিত করেছিল। পুঁজিবাজার থেকে ২০১০-১১ সালে ২০ হাজার কোটি টাকা বের করে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। তখন যেভাবে আইন দ্বারা কেস ফাইল করা দরকার ছিল সেটা হয়নি, যা করা হয়েছে সেটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল।

লুটপাটের শাস্তি না দিতে পারলে কোনো পদক্ষেপ কাজে আসবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও কাঠামো শক্তিশালী না করলে পুঁজিবাজার ঠিক থাকবে না। দুর্নীতি করলে শাস্তি না পেলে অনিয়ম পুনরাবৃত্তি ঘটে। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে অনেক বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়েছে। বারবার রাজনৈতিক সিন্ডিকেট কাজ করেছে।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এটা ছিল পাপের সূত্রপাত। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়ে গেছেন। কোনও প্রতিষ্ঠান নেই তাদেরও লিস্টিং করেছেন। কারসাজি করে শেয়ারের দাম বাড়িয়েছেন। কারসাজিকারীদের শাস্তি না দেওয়া, এটাই হচ্ছে পুঁজিবাজারের মূল সমস্যা। তাই টোটকা ওষুধ দিয়ে পুঁজিবাজারকে ঠিক করা যাবে না। পুঁজিবাজারের ধাক্কা অর্থনীতিকে দুর্বল করেছে। ওই সময়ে একটি আইপিও আসেনি।

বিনিয়োগকারীর আস্থা ফেরাতে বাজেটে আলাদা প্যাকেজের প্রতিফলন থাকা দরকার মন্তব্য করে ভট্টাচার্য বলেন, পাঁচটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যৌক্তিক কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। অপ্রয়োজনে বিদেশি এক্সপার্টের ওপর নির্ভরতার দরকার নেই। দীর্ঘ মেয়াদী অর্থায়ন করতে হবে। বর্তমান অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে হবে। অংশগ্রহণমূলক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

কানে ইতিহাস গড়ে পুরস্কৃত বাংলাদেশের ‘আলী’

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫, ৩:৩৪ অপরাহ্ণ
কানে ইতিহাস গড়ে পুরস্কৃত বাংলাদেশের ‘আলী’

0-0x0-0-0#

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও মর্যাদাপূর্ণ কান চলচ্চিত্র উৎসবে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। পুরস্কার জিতলো বাংলাদেশের নির্মাতা আদনান আল রাজীবের ‘আলী’।

উৎসবটির ৭৮তম আসরের স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে স্থান করে নিয়েছিল এটি। স্বল্পদৈর্ঘ্যটি স্পেশাল জুরি ম্যানশন পুরস্কার জিতেছে।

পুরস্কারের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে উৎসবের অফিসিয়াল ওয়েব সাইট ও বিভিন্ন সামাজিকমাধ্যম থেকে। উৎসবের প্রাণকেন্দ্র পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে সমাপনী অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের ফেসবুক পেইজের স্টোরিতে এসেছে ‘আলী’র পুরস্কার বিজয়ের বিষয়টি। শনিবার (২৪ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে এবারের কান চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা নামে। সমাপনী অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিজয়ীদের নাম একে একে ঘোষণা করা হয়।

এবারের আসরের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও লা সিনেফ বিভাগের প্রধান বিচারক জার্মান পরিচালক মারেন আদে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ‘আলী’কে স্পেশাল মেনশন দেওয়ার কথা জানান। তখন অতিথি সারিতে বসে থাকা বাংলাদেশের নির্মাতা আদনান আল রাজীব উঠে দাঁড়ালে সবাই করতালি দিয়ে অভিনন্দনে সিক্ত করেন তাকে।

পুরস্কার বিজয়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আদনান আল রাজীব বলেন, ‘এ অর্জন বাংলাদেশের। ’

প্রায় ৪ হাজার ৭৮১টি জমাকৃত চলচ্চিত্রের মধ্য থেকে মাত্র ১১টি স্বল্পদৈর্ঘ্যকে নির্বাচিত করা হয়েছে, যার মধ্যে ছিল বাংলাদেশের ‘আলী’। এ অর্জনকে দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের জন্য এক ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আল আমিন। শুক্রবার (২৩ মে) অনুষ্ঠিত হয়েছে চলচ্চিত্রটির অফিসিয়াল প্রদর্শনী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা, অভিনেতা ও প্রযোজকসহ বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল।

বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের জন্য কান চলচ্চিত্র উৎসব বরাবরই এক স্বপ্নের নাম। সেই স্বপ্নের প্রথম স্পর্শ আসে ২০০২ সালে, তারেক মাসুদের ‘মাটির ময়না’ যখন নির্বাচিত হয় কানের প্যারালাল সেকশন ‘ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট’-এ। এরপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে ২০২১ সালে আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ কানের অফিশিয়াল সেকশন ‘আঁ সার্তে রিগা’-তে জায়গা করে নেয়। এটিই ছিল প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কোনো চলচ্চিত্রের কানের মূল কাঠামোয় প্রবেশ।