খুঁজুন
সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫, ১২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

‘কাঠামো শক্তিশালী না করলে পুঁজিবাজার ঠিক রাখা অসম্ভব’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫, ৩:৩৬ অপরাহ্ণ
‘কাঠামো শক্তিশালী না করলে পুঁজিবাজার ঠিক রাখা অসম্ভব’

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও কাঠামো শক্তিশালী না করলে পুঁজিবাজার ঠিক রাখা সম্ভব না। শনিবার ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের আয়োজনে পুঁজিবাজার নিয়ে সেমিনারের মূল প্রবন্ধে এসব কথা জানান তিনি।

পুঁজিবাজারের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব কমেছে জানিয়ে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাজারের জন্য পুঁজি সংগ্রহ করে বাজারের গতি বাড়াতে হবে। মোট দেশজ উৎপাদনের সঙ্গে কর্মসংস্থানের সামঞ্জস্য রেখে পুঁজিবাজার এগুচ্ছে কি না, বাজার ব্যবস্থাপনায় যারা সংশ্লিষ্ট তারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছে কি না খেয়াল রাখতে হবে। পুঁজিবাজার একা সঠিকভাবে চলতে পারে না যদি সহায়ক প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকভাবে না চলে।

তিনি আরও বলেন, দেশের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিরা পুঁজিবাজারকে প্রভাবিত করেছিল। পুঁজিবাজার থেকে ২০১০-১১ সালে ২০ হাজার কোটি টাকা বের করে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। তখন যেভাবে আইন দ্বারা কেস ফাইল করা দরকার ছিল সেটা হয়নি, যা করা হয়েছে সেটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল।

লুটপাটের শাস্তি না দিতে পারলে কোনো পদক্ষেপ কাজে আসবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও কাঠামো শক্তিশালী না করলে পুঁজিবাজার ঠিক থাকবে না। দুর্নীতি করলে শাস্তি না পেলে অনিয়ম পুনরাবৃত্তি ঘটে। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে অনেক বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়েছে। বারবার রাজনৈতিক সিন্ডিকেট কাজ করেছে।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এটা ছিল পাপের সূত্রপাত। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়ে গেছেন। কোনও প্রতিষ্ঠান নেই তাদেরও লিস্টিং করেছেন। কারসাজি করে শেয়ারের দাম বাড়িয়েছেন। কারসাজিকারীদের শাস্তি না দেওয়া, এটাই হচ্ছে পুঁজিবাজারের মূল সমস্যা। তাই টোটকা ওষুধ দিয়ে পুঁজিবাজারকে ঠিক করা যাবে না। পুঁজিবাজারের ধাক্কা অর্থনীতিকে দুর্বল করেছে। ওই সময়ে একটি আইপিও আসেনি।

বিনিয়োগকারীর আস্থা ফেরাতে বাজেটে আলাদা প্যাকেজের প্রতিফলন থাকা দরকার মন্তব্য করে ভট্টাচার্য বলেন, পাঁচটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যৌক্তিক কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। অপ্রয়োজনে বিদেশি এক্সপার্টের ওপর নির্ভরতার দরকার নেই। দীর্ঘ মেয়াদী অর্থায়ন করতে হবে। বর্তমান অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে হবে। অংশগ্রহণমূলক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

ড. ইউনুস ৩০ জুনের পর একদিনও থাকবেন না: প্রেস সচিব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ
ড. ইউনুস ৩০ জুনের পর একদিনও থাকবেন না: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ড. ইউনুস ৩০ জুনের পর একদিনও থাকবেন না। রোববার (২৫ মে) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ২০ জন নেতার সাক্ষাৎ ও বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রফেসর ইউনূসকে সবাই সমর্থন জানিয়েছেন। আমরা যে সংস্কার করছি, আমরা যে বিচার কাজ শুরু করেছি, নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু করেছি, সেটাতে তারা সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।

‘তারা বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও প্রধান উপদেষ্টার পাশে থাকবেন।’

শফিকুল আলম বলেন, আরও অনেকগুলো বিষয়ে কথা হয়েছে, নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে, সংস্কারের বিষয়ে কথা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা আবারও জানিয়েছেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন করবেন। ৩০ জুনের ওই পাড়ে যাবে না। এতে সবাই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

গণতান্ত্রিক সরকার না থাকায় দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি হচ্ছে: তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫, ৮:৫৭ অপরাহ্ণ
গণতান্ত্রিক সরকার না থাকায় দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি হচ্ছে: তারেক রহমান

গণতান্ত্রিক সরকার না থাকায় দেশে বিনিয়োগ থেমে গেছে, দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ার‌ম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায় বিএনপি, প্রধান উপদেষ্টার কাছে সেই দাবিই পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। এ সরকারের অধীনেই একট সুন্দর নির্বাচনের প্রত্যাশা করে বিএনপি।

রোববার (২৫ মে) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে এক সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

তারেক রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদের পথ রুদ্ধ করে রাষ্ট্র, সংস্কার ও রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের জন্য দরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার। সময়ের প্রয়োজনে পুঁথিগত অর্থ্যাৎ সাংবিধানিক ও আইনগত এবং প্রায়োগিক সংস্কারের বিকল্প নেই। অল্প কিংবা সংস্কার বলেও কিছু নেই; রাষ্ট্র ও রাজনীতির প্রয়োজনে সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে আমার কাছে মনে হয় প্রায়োগিক সংস্কারের বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, হাজারো শহীদের রক্তের ওপর প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের হয়তো নৈতিক ও রাজনৈতিক বৈধতার সংকট নেই; তবে অবশ্যই এই সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক নয়। সরকার যেহেতু জবাবদিহিমূলক নয়, সেহেতু নৈতিক কারণেই সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা জনগণের কাছে স্পষ্ট থাকা প্রয়োজন।

জনগণকে অন্ধকারে রেখে ও রাজনৈতিক দলগুলোকে অনিশ্চয়তায় রেখে কোনো পরিকল্পনায় কার্যত টেকসই হয় না, হবেও না বলে মনে করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, নির্বাচিত সরকারের মতো অন্তর্বর্তী সরকার সব দায়িত্ব পালন করবে জনগণ এমনটি আশা করে না। তারপরও সরকারকে নিয়মমাফিক কিছু কাজ করতে হয়।

বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে প্রতিনিয়ত অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, এ কারণে আমরা দেখছি— প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দাবি-দাওয়া নিয়ে রাজপথে নেমে আসছে। যদিও দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাদের দাবি-দাওয়া শোনার কেউ নেই এখন।

জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠায় গড়িমসির সুযোগ নিয়ে পতিত স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠার অপেক্ষায় রয়েছে, এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করে জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তবে ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট তাঁবেদার অপশক্তির পথরোধ করা সম্ভব।

তিনি মনে করেন, দলগুলোর মধ্যে প্রক্রিয়াগত বিরোধ থাকলেও ফ্যাসিবাদের উত্থান মোকাবিলায় বিগত ৫ আগস্টের মতোই ঐক্যবদ্ধ।

বিএনপির দাবি আগামী ডিসেম্বরের ভেতরে জাতীয় নির্বাচন উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কাছে রাজনৈতিক দলগুলো আবারও জাতীয় নির্বাচনের সুস্পষ্ট দিনক্ষণ ও তারিখের দাবি জানিয়েছে। জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংস্কারে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। জনগণও দেশের ইতিহাসে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন দেখতে চায়।

সালাহউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে পোস্ট, যা লিখলেন প্রেস সচিব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫, ৩:৩৯ অপরাহ্ণ
সালাহউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে পোস্ট, যা লিখলেন প্রেস সচিব

বিএনপির অন্যতম শীর্ষ নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের গুম হওয়া ও ভারতে যাওয়া নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটা স্বার্থান্বেষী মহল। প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনামলে সালাউদ্দিনের লড়াই সংগ্রামের ইতিহাসকে। যা নিয়ে এবার কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে শেখ হাসিনার নিষ্ঠুর শাসনামলে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদের লড়াই সংগ্রামের তথ্য তুলে ধরেন প্রেস সচিব।

সালাউদ্দিন আহমেদের গুম হওয়া ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়ে তার লড়াই নিয়ে প্রেস সচিবের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো—

যেদিন নিরাপত্তা বাহিনী সালাহউদ্দিন আহমেদকে অপহরণ করে, গুম করে সীমান্ত পেরিয়ে পাঠিয়ে দেয় আরও দূরে, তার কয়েক সপ্তাহ আগেই তিনি বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে গোপন একটি জায়গা থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। সেই সময় আওয়ামী লীগ সরকার দলটির ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালাচ্ছিল। খালেদা জিয়াকে গুলশানের কার্যালয়ে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল।

দলের শীর্ষ নেতারা কেউ আত্মগোপনে চলে যান, কেউবা পুলিশের বিশেষ শাখা বা র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন। আমি ও আমার দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান ক্রিস ওটন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসনের সঙ্গে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে গোপনে প্রবেশ করে এএফপির জন্য তার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। সিভিল পোশাকের নিরাপত্তা রক্ষীরা আমাদের ব্রিটিশ হাইকমিশনের সদস্য ভেবে ভেতরে ঢুকতে দেয়।

সেই সময় প্রতিদিন আমরা সালাহউদ্দিন আহমেদের বিবৃতি পেতাম। ক্রিস ও আমি তার বিবৃতিগুলো আমাদের প্রতিবেদনে জোরালোভাবে ব্যবহার করতাম, কারণ সেই বিবৃতির লেখাগুলো ছিল প্রচন্ড শক্তিশালী, নিখুঁত ও ক্ষুরধার ছিল। আমি সব সময়ই মনে করতাম রুহুল কবির রিজভী দেশের অন্যতম আবেগী রাজনৈতিক কর্মী। কিন্তু তার লেখা বিবৃতিগুলো ছিল জটিল ও দুর্বোধ্য। সেখান থেকে শক্তিশালী কোনো উদ্ধৃতি বের করা কঠিন হতো।

কিন্তু যখন রিজভী গ্রেফতার হলেন এবং সালাহউদ্দিন আহমেদ গোপন অবস্থান থেকে মুখপাত্রের দায়িত্ব নিলেন, তিনি বিএনপির ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ও অসাধারণ বিবৃতি পাঠাতে শুরু করলেন। সেগুলো ছিল বোমার মতো, যা সরাসরি শেখ হাসিনার শাসনকে চ্যালেঞ্জ করছিল। সেই বিবৃতিগুলোর ভাষা ছিল কঠোর এবং সবসময় লক্ষ্যভেদী। আমরা নিরাপদ সূত্র থেকে জানতে পারি, শেখ হাসিনা এতটাই ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন যে, তিনি সালাহউদ্দিন আহমেদকে ধরতে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদের পরিণতি কী হতে পারে তা অনুমেয় ছিল। ঠিকই একদিন ২০১৫ সালের শুরুর দিকে সালাহউদ্দিন আহমেদ অপহরণ ও তারপর গুমের শিকার হন। তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ তার মুক্তির দাবিতে একটি সাহসী আন্দোলন শুরু করেন। তার লড়াই ছিল চোখে পড়ার মতো ও দেশের অন্যতম সাহসী প্রচেষ্টা। মায়ের ডাক-এর হাজেরা খাতুন ও তার মেয়েদের সঙ্গে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে।

সম্ভবত হাসিনা আহমেদের তৈরি করা সেই আন্দোলন ও প্রতিবাদ আংশিকভাবে হলেও নিরাপত্তা বাহিনীকে সালাহউদ্দিন আহমেদকে সীমান্ত পেরিয়ে শিলং পাঠাতে বাধ্য করেছিল।

আজ বিএনপির অনেক তরুণ, যারা কিনা দিন দিন আরও অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে, তাদের মতো কিছু কর্মীও এই সাহসী অধ্যায়গুলো ভুলে গেছে। আর গতকাল আমরা তার বিরুদ্ধে কিছু ঘৃণ্য অপপ্রচার দেখলাম। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, এই সংগ্রামগুলোই শেখ হাসিনার সবচেয়ে নিষ্ঠুর শাসনামলে তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, অধিকাংশ মানুষ আমাদের রাজনৈতিক সংগ্রামের সেই গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় ভুলে গেছে। ভালো সময় যেন সব খারাপ স্মৃতিই মুছে দিয়েছে।