খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরবেন

লন্ডনে চিকিৎসা শেষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সোমবার (৫ মে) লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন। ওইদিন সকাল ৯টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে প্রথমে তিনি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসবেন।এরপর একই ফ্লাইটে তিনি বেলা ১১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে পৌঁছাবেন। বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেইট দিয়ে বেরিয়ে সরাসরি গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় যাবেন।
শনিবার (৩ মে) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী দলের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীয়ের সকাল ৯টায় বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আগমন ঘিরে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে বিশেষ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটের সিলেটের যাত্রীদের নামিয়ে বিমানটি ঢাকার উদ্দেশে ওসমানী বিমানবন্দর ত্যাগ করবে। এই সময় প্রায় ঘণ্টাখানেক খালেদা জিয়া সিলেট বিমানবন্দরে অবস্থান করবেন। সেখানে অবস্থানকালে সিলেটে অবস্থানরত বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের একটি প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
খালেদা জিয়া সিলেটে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং সিলেটের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন বলেন, খালেদা জিয়া সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরলেও এখানে কোনো সভা কিংবা সমাবেশে অংশ নেবেন না। আমার কাছে যেটুকু তথ্য রয়েছে তাতে বলতে পারি তিনি বিমান থেকে নামবেন না। স্থানীয় শীর্ষ নেতারা দু-একজন তার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করে আসবেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সফরসঙ্গী হিসেবে থাকছেন তার দুই পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান ও শর্মিলা রহমান। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী, এপিএস মাসুদুর রহমান ও দুই গৃহপরিচারিকা ফাতেমা বেগম ও রূপা হক।
২০১৮ সালে খালেদা জিয়া একটি দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। করোনা মহামারির সময় বিগত সরকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দী ছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত।
চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর লন্ডন ক্লিনিক থেকে গত ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে তার ছেলে তারেক রহমানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। অর্ধ যুগের বেশি সময় পর এবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেছেন খালেদা জিয়া।
বর্তমানে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন।
আপনার মতামত লিখুন