খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫, ৫ আষাঢ়, ১৪৩২

শাস্তির মুখে বেসরকারি ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৪ মে, ২০২৫, ৬:০৫ অপরাহ্ণ
শাস্তির মুখে বেসরকারি ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়

স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় ১৬ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নির্দেশনা পেয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা পর্যালোচনা করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এ এস এম কাসেমের সই করা চিঠিতে বলা হয়ে, ১৬ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক অনুমতির মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও শিক্ষা কার্যক্রম স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করেনি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ধারা ১২(১) অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হলো।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- ঢাকার মোহাম্মদপুরের দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, সাতমসজিদ রোডের ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ, সিদ্ধেশ্বরীর স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, রাজারবাগের দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি, গুলশানের প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, বনানীর প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি, শ্যামলীর আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ।

পান্থপথের সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি, মিরপুরের বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস, সিলেটের নর্থ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, কিশোরগঞ্জের ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, ফেনীর ফেনী ইউনিভার্সিটি, কুমিল্লার ব্রিটানিয়া ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রামের পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও চিটাগং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি।

জানতে চাইলে ইউজিসির সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের একটি নির্দেশনা আছে। আমরা আইন মেনে সে নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’

এর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য ১৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়েছিল ইউজিসি। ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে না পারায় চার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ, দুটির অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা এবং বাকি ১২ বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে সময় বাড়ানো হয়েছিল।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ অনুযায়ী- স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে প্রতিষ্ঠার পর প্রথমে সাত বছর, পরে আরও পাঁচ বছর সময় পায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এর মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে না পারলে শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে ইউজিসি।

ইসরাইলের লক্ষ্য খামেনিকে ‘শেষ করে দেওয়া’: প্রতিরক্ষামন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫, ৫:৫০ অপরাহ্ণ
ইসরাইলের লক্ষ্য খামেনিকে ‘শেষ করে দেওয়া’: প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এসরাইল কাৎজ বলেছেন, খামেনির মতো ব্যক্তি সবসময়ই তার এজেন্টদের মাধ্যমে ইসরাইলকে ধ্বংস করতে চেয়েছেন। এই লোকটিকে আমাদের আক্রমণ করছে। তাকে শেষ করে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য। তাকে নির্মূল করা দরকার কারণ এর আগেও তিনি ইসরাইলের ধ্বংসের কথা বলছিলেন। খবর আল-জাজিরার।

ইসরাইল গত সপ্তাহে হামলা শুরুর পর বলেছিল, ইরানে সরকার পরিবর্তন করা তাদের লক্ষ্য এখন বলছে খামেনিকে ‘হত্যা’র কথা।

শুক্রবার ইসরাইল ইরানে হামলা শুরুর পর প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একটি ইংরেজি ভিডিওতে ইরানিদের উদ্দেশে বলেছিলেন, তিনি আশা করেন সামরিক অভিযান ‘তোমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পথ পরিষ্কার করবে’।

ইরানের হামলার ভয়ে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিমান ও যুদ্ধজাহাজ সরাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
এদিকে মঙ্গলবারও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে এক পোস্টে খামেনির প্রতি ইঙ্গিত করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, আমরা জানি তিনি কোথায় লুকিয়ে আছেন। তাকে এখনই বের করে আনতে না (হত্যা) চাই না। তবে আমাদের ধৈর্য দিনদিন ফুরিয়ে যাচ্ছে।

এবার ইসরাইলের হাসপাতালে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫, ১২:৫১ অপরাহ্ণ
এবার ইসরাইলের হাসপাতালে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দক্ষিণ ইসরাইলের বে’র শেভা’র সোরোকা হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।পাশাপাশি পূর্বে তেল আবিব এবং রামাত গান এবং দক্ষিণে হলনেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে বলেও জানা গেছে।

পৃথক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়ছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা ও ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল।

হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত ও ক্ষতির পরিমাপ জানা যায়নি। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিভিন্ন এলাকায় উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে।

১৩ জুন থেকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। এতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৩৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৩২০ জনেরও বেশি। ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস এ তথ্য জানিয়েছে।

হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস আরও বলেছে, নিহতদের মধ্যে ২৬৩ বেসামরিক নাগরিক এবং ১৫৪ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। বাকিদের পরিচয় দেয়নি সংস্থাটি।

যদিও ইরান এখনো পর্যন্ত ইসরাইলি হামলা চলাকালে নিয়মিতভাবে হতাহতের তথ্য দেয়নি। ইরানের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, ইসরাইলি হামলায় ২২৪ জন নিহত ও এক হাজার ২৭৭ জন আহত হয়েছেন।

অবশ্য ইসরাইলের হামলার জবাবে তেলআবিবে পালটা হামলা অব্যাহত রেখেছে তেহরান।

ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে হট্টগোল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫, ১০:৫৬ অপরাহ্ণ
ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে হট্টগোল

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে আজ (বুধবার)। বক্তব্য দিতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে হট্টগোল করে সংলাপ থেকে বের হয়ে যান সিপিবি, গণফোরাম ও বাংলাদেশ এলডিপির নেতারা। পরে কমিশনের সদস্যদের হস্তক্ষেপে ফের সংলাপে যোগ দেন তারা।

বুধবার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল মাল্টিপাস হলে কমিশনের দ্বিতীয় দফা সংলাপের তৃতীয় দিনের আলোচনায় এ ঘটনা ঘটে।

এদিন আলোচনায় অংশ নেয় বিএনপি, জামায়াত ইসলামী, জাতীয় গণফ্রন্ট, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, সিপিবিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল। বিকাল পৌনে ৪টার দিকে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান হৈচৈ করে সংলাপ ‘বয়কট করে’ বের হয়ে যান।

সংলাপ থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের মিজানুর রহমান বলেন, ‘এখানে কিসের সংলাপ হচ্ছে, কার সঙ্গে সংলাপ করব। তারা যা ইচ্ছা তাই করছে। অন্তর্বর্তী সরকার যতদিন নিরপেক্ষ থাকবে না, ততদিনের জন্য আমরা বয়কট করেছি।’

হট্টগোল করে একইভাবে সংলাপ থেকে বের হয়ে যান সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।

তিনি ‘ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বৈষম্য হচ্ছে’ অভিযোগ তুলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘জামায়াত ইসলামীর তিনজনকে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। আরও অনেকে বক্তব্য রাখছেন, অথচ আমাদের কাউকে দেওয়া হচ্ছে না।’

সংলাপ ‘বয়কট করেন’ বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে ঐকমত্য কমিশন। সেই আলোচনা চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এরপর দুপুরের খাবারের বিরতির পর বেলা ৩টায় আবারও সংলাপ শুরু হয়। বিকাল পৌনে ৪টার দিকে তাদের কথা বলতে ‘দেওয়া হচ্ছে না বলে’ দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেন সিপিবি গণফোরাম ও বাংলাদেশ এলডিপির নেতারা। একপর্যায়ে তারা সংলাপ থেকে বের হয়ে যান। তখন ভেতরে অন্যান্য দলের রাজনৈতিক নেতারা বসে ছিলেন। পরে কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার এবং উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার কথাবার্তা বলে তাদের সংলাপস্থলে ফিরিয়ে নিয়ে যান।

সংলাপে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এতে উপস্থিত রয়েছেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, আইয়ুর মিয়া, ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।

এর আগে গতকাল (মঙ্গলবার) দ্বিতীয় দিনের সংলাপ ‘বয়কট’ করেছিল জামায়াতে ইসলামী। তবে একদিন পর কমিশনের সংলাপে যোগ দিয়েছে দলটি।