খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

আদালতের নির্দেশনা পেলে জামায়াতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত: ইসি সচিব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ১০:১৪ অপরাহ্ণ
আদালতের নির্দেশনা পেলে জামায়াতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত: ইসি সচিব

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, আদালতের নির্দেশনা কমিশনে পৌঁছালে জামায়াতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আজ রবিবার রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন।

পরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, আদালতের নির্দেশনা ইসিতে পৌঁছালে জামায়াতের নিবন্ধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে সাময়িক নিবন্ধন দেওয়া হয়। পরের বছর বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির তৎকালীন মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন।

রিটে জামায়াতের তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, নির্বাচন কমিশনসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়। তারা জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের আর্জি জানান।

এ রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক (পরে প্রধান বিচারপতি) ও বিচারপতি মো. আবদুল হাইয়ের (বর্তমানে অবসর) হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রুল জারি করেন। নিবন্ধন নিয়ে রুল জারির পর ওই বছরের ডিসেম্বরে একবার, ২০১০ সালের জুলাই ও নভেম্বরে দু’বার এবং ২০১২ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে দু’বার তারা গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয় জামায়াত। এসব সংশোধনীতে দলের নাম ‘জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ করা হয়।

২০১৩ সালের ১২ জুন ওই রুলের শুনানি শেষ হয়। একই বছরের ১ আগস্ট জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অবৈধ বলে রায় দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন (বর্তমানে অবসর), বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম (পরে আপিল বিভাগের বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন) ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের (১৯ নভেম্বর পদত্যাগ করেন) সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ।

সে সময় সংক্ষিপ্ত রায়ে আদালত বলেন, এ নিবন্ধন দেওয়া আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত। একইসঙ্গে আদালত জামায়াতে ইসলামীকে আপিল করারও অনুমোদন দিয়ে দেন।

তবে এ রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন একই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। পরে একই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

এরপর ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে টানা চতুর্থ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে। তবে গত বছর জুলাই মাস থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা কোটা প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। এ আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগে ছাত্র-জনতা সরকার পতনের দাবি তোলে। এর মধ্যে ১ আগস্ট সরকার অঙ্গসংগঠনসহ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধের আবেদন বাতিলের উদ্যোগ নেয়।

ইশরাককে মেয়র ঘোষণা: ইসি তার কাজ সম্পন্ন করেছে

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ১:২৬ পূর্বাহ্ণ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা: ইসি তার কাজ সম্পন্ন করেছে

নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব সম্পন্ন করেছে। এখন গেজেট বহাল আছে। গেজেট যেহেতু বহাল আছে বিধায় নির্বাচন কমিশনের কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে ষষ্ঠ নির্বাচন কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো: সানাউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত)। নির্বাচন ভবনে এ সভায় চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ অবজারবেশনসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে যে রায় দিয়েছেন, তা কমিশন সভায় বিশদভাবে আলোচনা হয়েছে। আপিল বিভাগ এখানে আমাদের ইসির স্বাধীনতা এবং সুপ্রিমেসি অন ইলেকশন ম্যাটার্স এস্টাবলিস্ট করেছেন ফারদার এবং এখানে পাঁচটি ডিএলআরের রেফারেন্স দিয়েছেন। আমরা ডিএলআরের রেফারেন্স দেখেছি। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ভারসেস ইলেকশন কমিশনের মামলা। ডিএলআরের আরেকটি রেফারেন্স হচ্ছে- মাহমুদুল হক ভারসেস এনায়েত উল্লাহ দেওয়া হয়েছে। এই ডিএলআর-এর রেফারেন্সগুলোতে যেটা বলা আছে, নির্বাচন প্রসেস শুরু হয় তফশিল ঘোষণার মাধ্যমে এবং সম্পন্ন হয় ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের মাধ্যমে। এজন্য আমরা মনে করি নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব সম্পন্ন করেছে এবং গেজেট বহাল আছে বিধায় নির্বাচন কমিশনের কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।’

ইশরাকের বিষয়টি তাহলে কী হবে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা ইসির পক্ষ থেকে এটুকু বলতে পারি যে, নির্বাচন কমিশনের কাজ হচ্ছে গেজেট পাবলিশ করা। শপথের ব্যাপারটি স্থানীয় সরকারের। সিটি করপোরেশনের আইনে পরিস্কারভাবে বলা আছে কারা এটা বাস্তবায়ন করবে।’

তিনি বলেন, আমরা যেটা বলেছি আমাদের চিঠির মাধ্যমে, এখানে যদি কোনো আইনি জটিলতা না থাকে অপরাপর কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকে তাহলে আমরা তাদের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেছি। যখন আমরা গেজেটটা করেছি, তার কাভার লেটারেই এটা দেয়া আছে।

আবার কি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বা আপিল বিভাগকে কোনো চিঠি দেবেন কি-না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা কোনো প্রয়োজনই অনুভব করছি না। ২৭ এপ্রিল এ বিষয়ে কমিশন ইশরাকের গেজেট প্রকাশ করে।

গালি দিতে দিতে বাংলাদেশে ঢুকে পড়লো মদ্যপ বিএসএফ সদস্য, অতঃপর…

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৮:১৯ অপরাহ্ণ
গালি দিতে দিতে বাংলাদেশে ঢুকে পড়লো মদ্যপ বিএসএফ সদস্য, অতঃপর…

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের জহুরপুর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্যকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। মদ্যপ অবস্থায় গালি দিতে দিতে বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে পড়ে ওই বিএসএফ সদস্য। পরে তাকে বিজিবির হাতে সোপর্দ করা হয়।

বুধবার (৪ জুন) সকালে এ ঘটনা ঘটে। আটক বিএসএফ সদস্য শ্রী গণেশ ভারতের নুরপুর ৭১ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্য।

বিএসএফ সদস্যকে আটকের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, বিএসএফের ওই সদস্যকে আটকে রেখে অনুপ্রবেশের কারণ জানতে চাচ্ছে গ্রামবাসী। এ সময় বিএসএফ সদস্য বলেন, আমি ভয় দেখাতে ঢুকেছি। তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক তরুণ বলে ওঠেন, তুই কি ডন, তুই কি হিরো, দেখ আজকে তোকে কি অবস্থা করি।

স্থানীয় গ্রামবাসী ও নারায়ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাজির আহম্মেদ জানান, জহুরপুর পিলার ১৯-এর সাবপিলার ৫-এর সামনে সাতরশিয়া এলাকায় গরু ও ছাগল চরানো অবস্থায় বিএসএফ সদস্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন এবং পশু ধাওয়া করেন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা তাকে আটক করে বিজিবির হাতে তুলে দেন।

৫৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু জানান, আটক সদস্যকে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে এবং সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

নওফেলের স্ত্রী এমা ক্লেয়ারের বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৮:১৫ অপরাহ্ণ
নওফেলের স্ত্রী এমা ক্লেয়ারের বিরুদ্ধে মামলা

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের স্ত্রী এমা ক্লেয়ার বার্টনের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৪ জুন) দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

দুদকের এ সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এমা ক্লেয়ার বার্টনের বিরুদ্ধে ৮৪ লাখ ৩৫ হাজার ১২৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর নওফেল ও তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকের ৪১টি হিসাব থেকে ১১৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা জমা এবং ৯৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা উত্তোলনের তথ্য পাওয়ার কথা জানায় দুদক। বিপুল পরিমাণ সন্দেহজনক লেনদেন ও দুই কোটি ৯৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওইদিন নওফেলের নামে মামলা করে দুদক।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুদক জানায়, নওফেলের স্ত্রী এমা ক্লেয়ার বার্টনের বিরুদ্ধে ৮৪ লাখ ৩৫ হাজার ১২৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(১) ধারা মোতাবেক সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির সুপারিশ করা হয়।

এমা ক্লেয়ার বার্টন বরাবর সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সম্পদ বিবরণীটি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা তার পক্ষে কেউ গ্রহণ না করায় আদেশসহ মূল সম্পদ বিবরণী গত ২৩ মার্চ লটকিয়ে জারি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্পদ বিবরণী লটকিয়ে জারির পর অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি এবং সময় বাড়ানোর কোনো আবেদনও পাওয়া যায়নি। যেহেতু নির্ধারিত ২১ কার্যদিবসে অর্থাৎ ২৯ এপ্রিলের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি সেহেতু এটি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এতে আরও বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় এবং ৮৪ লাখ ৩৫ হাজার ১২৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।