খুঁজুন
রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

নির্বাচনী প্রচারণায় গুলিবিদ্ধ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ
নির্বাচনী প্রচারণায় গুলিবিদ্ধ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী

কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটা শহরে এক নির্বাচনী সমাবেশের সময় গুলিবিদ্ধ হন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মিগুয়েল উরিবে তুরবাই। শনিবার (৭ জুন) এই হামলার ঘটনা ঘটে, যখন তিনি পার্কে একটি ছোট সমাবেশে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলেই পুলিশ এক ১৫ বছর বয়সী সন্দেহভাজন যুবককে আটক করে। এই আক্রমণের কারণে দেশজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

উরিবের উপর হামলার সময় তিনবার গুলি করা হয়—মাথায় দু’বার এবং হাঁটুতেও একবার। তিনি তখন ভোটপ্রচারের অংশ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তার স্ত্রী মারিয়া ক্লাউডিয়া তারাজোনা জাতিকে প্রার্থনা করার আহ্বান জানান এবং বলেন, “মিগুয়েল এখন জীবনযুদ্ধে লিপ্ত। আসুন আমরা চিকিৎসকদের হাত পরিচালনার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি।” এই হামলা কলম্বিয়ার গণতন্ত্রের প্রতি একটি বড় হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

ঘটনার পর থেকে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে উরিবের মাথায় গুলি লাগার মুহূর্ত দেখা যায়। ভিডিওতে উপস্থিতরা আতঙ্কিত হয়ে ছুটে পালিয়ে যায়। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, আহত প্রার্থীকে দ্রুত বিমানযোগে সান্তে ফে ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তার সমর্থকরা জড়ো হয়ে তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছেন। কলম্বিয়ার বামপন্থী প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো এই হামলাকে কঠোর ভাষায় নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি শুধু উরিবের প্রতি নয়, গণতন্ত্রের প্রতি একটি আক্রমণ। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওও এ ঘটনাকে গণতন্ত্রের সরাসরি হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

মিগুয়েল উরিবে তুরবাই আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য গত অক্টোবর মাসে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি কলম্বিয়ার একটি রাজনৈতিক পরিবার থেকে এসেছেন, যাদের ঐতিহাসিকভাবে লিবারেল পার্টির সঙ্গে যোগ রয়েছে। তার পিতা ছিলেন একজন শ্রমিক নেতা ও ব্যবসায়ী। তার মা ডায়ানা তুরবাই ছিলেন একজন সাংবাদিক, যাকে ১৯৯১ সালে মেদেলিন ড্রাগ কার্টেলের অপহরণের সময় মুক্তির চেষ্টার সময় হত্যা করা হয়েছিল। তথ্যসূত্র : বিবিসি

ঈদে ফিরতি যাত্রায় সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ৭:৪৯ অপরাহ্ণ
ঈদে ফিরতি যাত্রায় সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ

পবিত্র ঈদুল আজহার পর ঘরমুখো মানুষের ফেরার যাত্রায় ট্রেন ব্যবহারের সময় যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরার অনুরোধ জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার আবারও বাড়তে থাকায় এই আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

আজ রবিবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে নির্দেশনা জারি করেছে। বিশেষ করে বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনার আলোকে ঈদের ছুটির পর ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপদে ফেরার যাত্রা নিশ্চিত করতে ট্রেনযাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ এবং অবশ্যই মাস্ক পরার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ৬ জুন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “কোভিড-১৯ সংক্রমণ হারের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক পরার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে। বিশেষত বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের এ ধরনের স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।” তার আগের দিন, ৫ জুন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু এবং নতুন করে তিনজনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্তের তথ্যও জানানো হয়।

রেলপথ মন্ত্রণালয় মনে করিয়ে দিয়েছে, ঈদের পর ফিরতি যাত্রার সময় ট্রেনের প্রতিটি যাত্রী যেন স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি নিজ ও অন্যদের নিরাপত্তার জন্য সচেতন থাকেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জনমনে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে: আমীর খসরু

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ৫:৩৫ অপরাহ্ণ
অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জনমনে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে: আমীর খসরু

জাতীয় সংসদ নির্বাচন এপ্রিলে করার ঘোষণা সময়োপযোগী নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, নির্বাচন ইস্যুতে নিরপেক্ষতা হারাচ্ছে সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জনমনে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে বলেও জানান তিনি। সোমবার (৮ জুন) এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘রমজান সংযমের মাস, এ মাসে মানুষ নামাজ কালাম করে, এছাড়া ওই সময় ঘূর্ণিঝডের সময়।

আবার সেই সময়ে পরীক্ষা শুরু হবে। সেই সময়টায় নির্বাচন করাটা তো একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার। বাংলাদেশের সিংহভাগ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার কোনো যুক্তি নেই।

সেপ্টেম্বর বা আগস্টের দিকেও করা যেতে পারে।’
আমীর খসরু বলেন, ‘এপ্রিলে নির্বাচনের সময়টা একেবারেই অযৌক্তিক এবং এটা কাদের স্বার্থে- সেই প্রশ্নও এসে গেছে। আর এই লোকগুলোর স্বার্থ যদি অক্ষুণ্ন থেকে যায়, তবে আগামী নির্বাচন এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।’

ড. ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে দেখা করতে চান টিউলিপ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ৫:৩০ অপরাহ্ণ
ড. ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে দেখা করতে চান টিউলিপ

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে সাক্ষাৎ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। রোববার (৮ জুন) ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান জানায়, এ বিষয়ে ড. ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন টিউলিপ।

চিঠিতে টিউলিপ সিদ্দিক লিখেছেন, বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ অভিযোগ এবং তা ঘিরে তৈরি হওয়া ‘ভুল বোঝাবুঝি’ দূর করতেই তিনি এ বৈঠক চান।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তার খালার (শেখ হাসিনা) শাসনামলে তিনি অবৈধ সুবিধা গ্রহণ করেছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, টিউলিপ ও তার মা প্রভাব খাটিয়ে ঢাকার একটি অভিজাত এলাকায় ৭ হাজার ২০০ বর্গফুটের একটি প্লট নিয়েছেন। যদিও টিউলিপ ও তার আইনজীবীরা এই অভিযোগগুলো ‘ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করেছেন।

চিঠিতে টিউলিপ বলেন, ‘লন্ডনে আপনার সফরকালে যদি সাক্ষাৎ হয়, তাহলে আমার খালার (শেখ হাসিনা) সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নের বিষয়ে আমার বক্তব্য পরিষ্কার করার সুযোগ পাবো।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি লন্ডনে জন্মগ্রহণ করা একজন ব্রিটিশ নাগরিক। গত এক দশক ধরে হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেট থেকে এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। বাংলাদেশের প্রতি আবেগ থাকলেও আমি সেখানে জন্মাইনি, বাস করি না, এমনকি কোনও ব্যবসায়িক স্বার্থও নেই।’

টিউলিপ অভিযোগ করেছেন, তার আইনজীবীরা লন্ডন থেকে দুদকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনও জবাব মেলেনি। বরং দুদক ঢাকা শহরের একটি ‘অজানা ঠিকানায়’ নথিপত্র পাঠাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এই তথাকথিত তদন্তের প্রতিটি ধাপ সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করা হচ্ছে, অথচ আমার আইনজীবীদের সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করা হয়নি।’

চিঠিতে টিউলিপ আরও উল্লেখ করেছেন, ‘আপনি নিশ্চয়ই অনুধাবন করতে পারবেন, এসব অভিযোগ কীভাবে আমার সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালনে এবং দেশের প্রতি আমার অঙ্গীকারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।’

গত বছর যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী পর্যায়ের মানদণ্ড বিষয়ক উপদেষ্টা লরি ম্যাগনেস টিউলিপকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিলেও তিনি নিজে থেকেই পদত্যাগ করেন। তিনি বলেন, এই বিতর্ক লেবার পার্টি নেতা কিয়ার স্টারমারের সরকারের জন্য বিব্রতকর হয়ে উঠতে পারে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ড. ইউনূস ৯ জুন লন্ডন সফরে যাচ্ছেন। সফরে তিনি রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছ থেকে কিং চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ গ্রহণ করবেন। এছাড়া থিংক ট্যাংক চ্যাথাম হাউজে অংশগ্রহণ এবং প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকেরও কথা রয়েছে তার।