খুঁজুন
সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

‘আমরা টিউলিপ সিদ্দিকের কোনো চিঠি পাইনি’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ৬:০৮ অপরাহ্ণ
‘আমরা টিউলিপ সিদ্দিকের কোনো চিঠি পাইনি’

যুক্তরাজ্য সরকারের মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করা টিউলিপ সিদ্দিকের কোনো চিঠি পাননি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ রবিবার বিকেলে চিঠির বিষয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আমরা টিউলিপ সিদ্দিকের কোনো চিঠি পাইনি। ৫ জুন তারিখ থেকে আমরা ছুটিতে আছি।

আগামীকাল সোমবার (৯ জুন) লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ১৪ জুন দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।

এর মধ্যে আজ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ চেয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক। সাক্ষাতে তিনি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ দূর করতে চান। এ উদ্দেশে ইউনূসের আসন্ন যুক্তরাজ্য সফরে সাক্ষাৎ চেয়ে তিনি একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সরকারের সময় বাংলাদেশে অতিরিক্ত সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ তুলেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। গত বছরের আগস্টে গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয় এবং তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। বর্তমানে বাংলাদেশের আদালতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া চলছে।

গত বছর যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী পর্যায়ের মানদণ্ড বিষয়ক উপদেষ্টা লরি ম্যাগনেস তাকে নির্দোষ ঘোষণা করলেও টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেন। তিনি বলেছিলেন, বিতর্ক কেয়ার স্টারমারের নতুন সরকারের জন্য ‘বিব্রতকর’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গত মাসে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি প্রায় ৯০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের বিলাসবহুল সম্পত্তি জব্দ করে, যা টিউলিপ সিদ্দিকের খালা শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পৃক্ত দুজন ব্যক্তির নামে ছিল।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সোমবার (৯ জুন) লন্ডন সফরে যাচ্ছেন। ব্রিটিশ রাজপরিবারের আয়োজনে তাকে কিং চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ প্রদান করা হবে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক থিংক ট্যাংক চ্যাথাম হাউসের সঙ্গে তার কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়েছে। ড. ইউনূসের এই সফরে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস ও প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।

অ্যাকশন ও রোমাঞ্চে ভরপুর ইউটিউব ফিল্ম

মুক্তি পাচ্ছে মুরতজা পলাশ-সেমন্তি সৌমি’র ‘টাইগার ২’

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ৮:০৮ অপরাহ্ণ
মুক্তি পাচ্ছে মুরতজা পলাশ-সেমন্তি সৌমি’র ‘টাইগার ২’

ঈদের খুশিকে আরও রঙিন করে তুলতে আসছে মাহমুদ হাসান রানা পরিচালিত নতুন ইউটিউব ফিল্ম ‘টাইগার ২’। ঈদুল আযহার ৬ষ্ঠ দিনে জয় পাগল মাল্টিমিডিয়া ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেতে যাচ্ছে এই অ্যাকশন ও রোমাঞ্চে ভরপুর চলচ্চিত্রটি।

‘টাইগার ২’-তে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুরতজা পলাশ, সেমন্তি সৌমি, শিরিন আলম, শিবা শানু সহ আরও অনেকে। ফিল্মটির গল্প রচনা করেছেন পরিচালক নিজেই, সংলাপ ও চিত্রনাট্যে ছিলেন পাপ্পু রাজ।

এর আগে, ‘টাইগার’ নামক প্রথম পর্বটি মুক্তি পেয়েছিল গত ঈদুল ফিতরে, যা দর্শকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবার আসছে সিক্যুয়েল ‘টাইগার ২’।

জেপি ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত এই ফিল্মটি প্রেক্ষাগৃহে নয়, দর্শকদের আরও সহজে পৌঁছাতে মুক্তি পাচ্ছে ইউটিউবে। এজন্য একে ‘ইউটিউব ফিল্ম’ নামেও অভিহিত করা হয়েছে।

প্রযোজক ও পরিচালক জানিয়েছেন, অ্যাকশন, নাটকীয়তা ও চমকে ভরপুর ‘টাইগার ২’ হবে এবারের ঈদের অন্যতম আকর্ষণ।

দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ৬:১৫ অপরাহ্ণ
দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

থাইল্যান্ডে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। রোববার (৮ জুন) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় আসেন।

তাকে বহন করা ফ্লাইটটি (টিজি ৩৩৯) অবতরণের পর আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাত পৌনে তিনটার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন রাগিব সামাদ। তিনি জানান, আবদুল হামিদ সাধারণ যাত্রীর মতোই দেশে এসেছেন। কোনও প্রটোকল চাননি। রাত দেড়টার দিকে ব্যাংকক থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন।

ফ্লাইট থেকে হুইলচেয়ারে করে আবদুল হামিদকে নামিয়ে আনা হয়। বিমানবন্দরে তাকে বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল। তার মুখে মাস্ক ও পরনে ছিল শার্ট-লুঙ্গি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ ও শ্যালক ডা. নওশাদ খান।

এর আগে, গত ৮ মে দিবাগত রাত ৩টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (টিজি ৩৪০) ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন আবদুল হামিদ। পরে বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের পতন হলে দলটির অনেক নেতাকর্মী দেশ ছাড়লেও আবদুল হামিদ দেশে অবস্থান করছিলেন। ৯ মাস পর চিকিৎসার জন্য ব্যাংককের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন তিনি।

আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা থাকার তথ্য রয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের হয়। মামলাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদেরের নাম রয়েছে।

আবদুল হামিদ আওয়ামী লীগের সময় ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

কাদের সুবিধার জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে: আমির খসরু

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ৬:১১ অপরাহ্ণ
কাদের সুবিধার জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে: আমির খসরু

কাদের সুবিধার জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এ প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের মেহেদীবাগে নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করার সময় সাংবাদিকদের সামনে প্রশ্নটি তোলেন তিনি।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কাদের জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে? কাদের জন্য সুবিধা সৃষ্টি করা হচ্ছে? এতে লাভবান কারা হচ্ছে? তাহলে আগামী নির্বাচনও কি যারা আছে, তারা প্রভাবিত করে তাদের দিকে নিয়ে যাবে বা তাদের মতো করে নির্বাচন করবে?

তিনি বলেন, সিংহভাগ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে। ঐকমত্যের বিষয়টিও একেবারে শেষ পর্যায়ে আছে। ইতোমধ্যে বিচারকার্য শুরু হয়েছে। বিচার নিজের গতিতে চলবে। কোনো সরকার বিচার চালাবে না। এসব সিদ্ধান্ত যখন পরিষ্কার, তখন হঠাৎ করে এপ্রিলে নির্বাচন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন তারও আগে করা সম্ভব। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বরেও নির্বাচন করা সম্ভব।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, অনেক ভেবেচিন্তে সবাই মিলে ডিসেম্বরে নির্বাচনের বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। কারণ, এরপর পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে। রমজান মাসে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড করার সুযোগ থাকে না। এরপর আবার পরীক্ষা, আবহাওয়া, কালবৈশাখী মিলিয়ে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনা সম্ভব হবে না। ফলে এপ্রিলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করার পেছনে কী কারণ, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এপ্রিলে নির্বাচন কাদের স্বার্থে, সে প্রশ্ন তুলে আমীর খসরু এরপর বলেন, দেশে যখন একটা নির্বাচিত সরকার থাকে, তখন একটা বিশেষ সময়ে নির্বাচন হয়। একটা সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়। এখন নির্বাচিত সরকার নেই। সংসদ নেই। সেক্ষেত্রে আপনার এটা করতে হলে সবার ঐকমত্যে ও মতামতের ভিত্তিতে করতে হবে। মতামত সৃষ্টি হয়েছে ডিসেম্বরের পক্ষে। সুতরাং যে মতামত সৃষ্টি হয়েছে, সেটির বাইরে গিয়ে এপ্রিলে নির্বাচন কেন—এটিই এখন প্রশ্ন। এটি কাদের স্বার্থে, অন্য কোনো চিন্তা আছে নাকি?