খুঁজুন
সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

বিমানবন্দর দিয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবির

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ
বিমানবন্দর দিয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবির

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবির হোসেন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশ ছেড়েছেন। রোববার সকালের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।

ইমিগ্রেশন পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল একাধিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। শেখ হাসিনার শাসন আমলে আর্থিক খাতসহ বিভিন্ন খাতে অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম ছিল শেখ কবির। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন ২৩টি প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও সংস্থার শীর্ষপর্যায়ের নানা পদে ছিলেন শেখ কবির।

২০১১ সাল থেকে বিমা কোম্পানির মালিকদের সমিতি বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) একটানা সভাপতি ছিলেন শেখ কবির হোসেন। আওয়ামী লীগের শাসনামলে শেখ হাসিনার চাচা হিসেবে শেখ কবিরের পরিচিতির কারণে দুই বছর মেয়াদি বিআইএর কমিটির কোনো স্বাভাবিক নির্বাচন হতো না।

শেখ কবিরের দেশত‍্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ডিআইজি (ইমিগ্রেশন) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, রোববার সকালে একটি ফ্লাইটে তিনি দেশের বাইরে গেছেন। তাঁর বিদেশযাত্রায় কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল কি না জানতে চাইলে এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই ষড়যন্ত্র !

যাদের সহায়তায় দেশ ছাড়লেন হাসিনার চাচা শেখ কবির

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ
যাদের সহায়তায় দেশ ছাড়লেন হাসিনার চাচা শেখ কবির

সাবেক স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা এবং গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন গোপনে দেশ ছেড়েছেন। রবিবার (৮ জুন) সকালে একটি ফ্লাইটে তিনি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন।

হাসিনার ম্যানেজার খ্যাত এই কবিরের বিরুদ্ধে রয়েছে অর্থপাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার, এবং একাধিক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে শীর্ষপদ দখলের গুরুতর অভিযোগ। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তার বিরুদ্ধে তদন্তের প্রস্তুতির কথাও জানা যাচ্ছিল।

শেখ কবির হোসেনের বিদেশ যাত্রা ছিল সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত। ইমিগ্রেশন বিভাগের ডিআইজি মোয়াজ্জেম হোসেন এ বিষয়ে বলেন, সরকারের নির্দেশেই শেখ কবির হোসেন রবিবার সকালে সিঙ্গাপুরে গেছেন। তবে ভিন্নমত রয়েছে অভ্যন্তরীণ সূত্রের।

তাদের মতে, সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রভাবশালী একটি চক্রের সক্রিয় সহযোগিতাতেই তিনি বিমানবন্দর অতিক্রমে সক্ষম হন।

এদিকে এমন বিতর্কিত স্বৈরাচারের দোসরের এই প্রস্থানকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং আইনের প্রয়োগ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।

তথ বলছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে শেখ কবির হোসেন দেশের অন্তত ২৩টি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষপদে ছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে:

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত একাধিক বীমা কোম্পানি
সেবা খাতের গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানি
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
ব্যবসায়ী ও শিল্প সংগঠন
এমনকি কিছু গণমাধ্যমেও তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

অথচ এসব প্রতিষ্ঠানে তিনি নীতিনির্ধারণে সরাসরি সক্রিয় ছিলেন না বরং তার নাম ও রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে একাধিক ব্যবসায়ী ও সুবিধাভোগী গোষ্ঠী বিভিন্ন ধরনের সরকারি সুবিধা আদায় করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিশেষভাবে বিতর্কিত ব্যবসায়ী চৌধুরী নাফিজ সরাফাত ও ক্ষমতাসীন মহলের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার নাম যুক্ত হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা শেখ কবির হোসেনকে ‘মুখপাত্র’ হিসেবে ব্যবহার করে কোম্পানি দখল, সরকারি প্রকল্পে প্রভাব বিস্তার এবং আর্থিক সুবিধা আদায়ে সক্রিয় ছিলেন।

তথ্য অনুযায়ী, শেখ কবির হোসেন একই সময়ে একাধিক তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক এবং একাধিক কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক ছিলেন। যা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এই সাংঘর্ষিক ভূমিকা তাকে শুধু ক্ষমতার অপব্যবহারের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসেনি, বরং সুশাসন ও অর্থনৈতিক স্বচ্ছতার প্রশ্নেও বিতর্ক তৈরি করেছে।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর থেকেই শেখ কবির হোসেন অনেকটা আত্মগোপনে চলে যান। তিনি একে একে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং বোর্ড মিটিংয়ে অনিয়মিত হয়ে পড়েন। তার অনুপস্থিতি এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে স্থবিরতা সৃষ্টি করে।

শেখ কবির হোসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চাচাতো ভাই ও শেখ হাসিনার চাচা হওয়ায় দীর্ঘদিন ক্ষমতাসীন পরিবারের ছায়াতলে ছিলেন। এই পারিবারিক পরিচয়ের জোরেই তিনি একে একে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও শিক্ষাবিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলোতে শীর্ষপদ দখলে রাখেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

তার এই হঠাৎ বিদেশ গমন নিয়ে নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠেছে। সরকারের সরাসরি অনুমতিতে একজন প্রভাবশালী ও বিতর্কিত ব্যক্তির এমন প্রস্থান— বিশেষ করে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হওয়ার আগেই — আইন, প্রশাসন ও নৈতিকতার প্রশ্নে এক গভীর সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। সেই সাথে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থায় নিশ্চিতভাবেই বড় ধাক্কা খেয়েছে।

বেলকুচিতে এসএসসি ২০১০ ব্যাচের ঈদ পূর্নমিলনী অনুষ্ঠিত

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ১১:৩৭ অপরাহ্ণ
বেলকুচিতে এসএসসি ২০১০ ব্যাচের ঈদ পূর্নমিলনী অনুষ্ঠিত

এ যেন এক অভূতপূর্ব দৃশ্য, সুদীর্ঘ ১৫ বছর পর একে অপরের সাথে দেখা। বন্ধু কেমন আছো? কোলাকুলি মোলাকাত। ১৫ বছর আগের স্মৃতিতে ফিরে গেল সবাই। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। কেউ সরকারি বেসরকারি উচ্চ স্থানে কর্মরত আবার ছোট খাটো চাকরি করে কেউবা ব্যবসা করে।

সবাই এক কাতারে একটি দিনের জন্য মিলেমিশে গিয়েছিল সেই ১৫ বছর আগের স্মৃতিতে। এটি সোহাগপুর সরকারি শ্যাম কিশোর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এর ২০১০ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সোহাগপুর সরকারী শ্যাম কিশোর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ২০১০ ব্যাচের ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে সহপাঠীদের পূর্ন মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার (৮ জুন ) সকালে সোহাগপুর সরকারী শ্যাম কিশোর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ পূর্ন মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় একটি র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে বিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়। এ সময় স্কুল জীবনের সহপাঠীদের পেয়ে একে অপরের প্রতি আবেগ আপ্লুত হয়ে কুশল বিনিময় করেন। পরে দিনভর চলে আনন্দ উল্লাস এবং নানারকম মুখরোচক খাবারদাবার পরিবেশন।

এ সময় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি প্রেসক্লাবের সভাপতি গাজী সাইদুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, যমুনা টিভির সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার গোলাম মোস্তফা রুবেল, সোহাগপুর সরকারী শ্যাম কিশোর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শরীর চর্চা শিক্ষক হাজী মোজাফফর হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অজিত সুত্রধর, প্রধান শিক্ষক এসএম শহিদুর রেজা, গনিত শিক্ষক শহিদুল ইসলাম।

এ সময় শিক্ষকদের কাছে পেয়ে তৎকালীন শিক্ষার্থীরা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। পরে তারা প্রাক্তন শিক্ষকের বর্তমান পরিস্থিতি সহ পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর নেন।

এ সময় হাজী মোজাফফর হোসেন বলেন, আজ এ আয়োজনটি করার কারনে শিক্ষার্থীদের সাথে আবারো দেখা হলো। যদি এটি করা না হতো তাহলে কর্মব্যস্ততার কারনে হয়তো একসাথে এত শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা হতো না। আজ সবাইকে একসাথে কাছে পেয়ে অনেক ভালো লাগছে।

ঈদে ফিরতি যাত্রায় সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ৭:৪৯ অপরাহ্ণ
ঈদে ফিরতি যাত্রায় সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ

পবিত্র ঈদুল আজহার পর ঘরমুখো মানুষের ফেরার যাত্রায় ট্রেন ব্যবহারের সময় যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরার অনুরোধ জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার আবারও বাড়তে থাকায় এই আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

আজ রবিবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে নির্দেশনা জারি করেছে। বিশেষ করে বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনার আলোকে ঈদের ছুটির পর ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপদে ফেরার যাত্রা নিশ্চিত করতে ট্রেনযাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ এবং অবশ্যই মাস্ক পরার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ৬ জুন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “কোভিড-১৯ সংক্রমণ হারের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক পরার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে। বিশেষত বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের এ ধরনের স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।” তার আগের দিন, ৫ জুন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু এবং নতুন করে তিনজনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্তের তথ্যও জানানো হয়।

রেলপথ মন্ত্রণালয় মনে করিয়ে দিয়েছে, ঈদের পর ফিরতি যাত্রার সময় ট্রেনের প্রতিটি যাত্রী যেন স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি নিজ ও অন্যদের নিরাপত্তার জন্য সচেতন থাকেন।