খুঁজুন
রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫, ১ আষাঢ়, ১৪৩২

সব পথ হারিয়ে ড. ইউনূস এখন তারেক রহমানের কাছে গেছেন: ফজলুর রহমান

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ
সব পথ হারিয়ে ড. ইউনূস এখন তারেক রহমানের কাছে গেছেন: ফজলুর রহমান

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেছেন, ‘ইউনূস সাহেব যখন বাংলাদেশের সমস্ত পথ হারাইয়া ফেলছেন। উনি পথ পাওয়ার জন্য আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেবর কাছে ১২ ঘণ্টা প্লেন চালাইয়া লন্ডন পর্যন্ত গেছেন। বলছেন আমাকে একটু কথা বলার সুযোগ দেন।’

বুধবার (১১ জুন) বিকালে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার বড়িবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একটি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ফজলুর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমানের দেশ চালানোর ব্যাপারে সমস্ত ক্ষমতা আছে। আমি ওই দিন বলেছিলাম বাপ ডাইকা ইলেকশন দেওন লাগবো। আমার বক্তব্যটা শোনেন নাই আপনারা? আমি বলেছিলাম সাপ গর্তে যাওয়ার সময় সোজা হইয়া যায়। ১৫ দিন আগেও যে ইউনূস সাহেব ছয়দিন পর্যন্ত বিএনপি সময় চাওয়া পরেও ১ ঘণ্টা সময় দেয় না, এখন লন্ডন ১২ ঘণ্টা ফ্লাইট চালাইয়া গেছে আমাদের নেতার সঙ্গে কথা বলার জন্য।’

তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানের সঙ্গে সে বৈঠকটা হবে শুক্রবার। আশা করব ইউনূস সাহেব সৎভাবে-সত্যভাবে কথা বলবেন। ইউনূস সাহেব আপনি আমার চেয়ে নয় বছরের বড়, আপনি আমার মুরুব্বি। আপনি নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত। আমি আশা করবো তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা মধ্যে দিয়ে এ দেশকে আপনারা রক্ষা করবেন। আর আন্দোলন করতে চাই না। এখন বাংলাদেশের মানুষ একটা ভোট দিতে চায়।’

উপজেলার বড়িবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ফজলুর রহমানের স্ত্রী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম রেখা, ইটনা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রতন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এসএম কামাল হোসেন, মিঠামইন উপজেলা বিএনপির সভাপতি এএইচএম জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীর, অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সায়েদ আহমেদ, ইটনা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুজ্জামান ঠাকুর স্বপন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মনির উদ্দিন, সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন মীর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পলাশ রহমান, বড়িবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মাখন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

খুলনায় আ’লীগ নেতাকে বেধড়ক পেটানোর পর পুলিশে সোপর্দ

খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫, ৯:০৪ অপরাহ্ণ
খুলনায় আ’লীগ নেতাকে বেধড়ক পেটানোর পর পুলিশে সোপর্দ

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বেগ লিয়াকত আলীকে (৭০) স্থানীয় জনতা আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।

শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী থানাধীন ফুলবাড়ীগেট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন মামলার আসামি হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন লিয়াকত আলী। তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে মামলা রয়েছে।

এ ছাড়াও স্থানীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ও ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি তিনি একটি মামলায় জামিনে মুক্তি পান।

স্থানীয়দের ভাষ্য, ফুলবাড়ীগেট বাজারে আসার পর জনসাধারণের একাংশ ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে ঘিরে ফেলে। একপর্যায়ে তাকে মারধর করে থানায় সোপর্দ করে।

খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন সময় সংবাদকে বলেন, ‘স্থানীয়রা লিয়াকত আলীকে গণধোলাই দিয়ে আমাদের হেফাজতে দেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সম্প্রতি তিনি একটি মামলায় জামিনে বের হয়েছেন। বর্তমানে তিনি থানায় হেফাজতে আছেন।’

ড. ইউনূসকে যে উপহার দিলেন তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ
ড. ইউনূসকে যে উপহার দিলেন তারেক রহমান

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১ ঘন্টা ৩৫ মিনিট বৈঠক করেছেন। এ সময় ড. ইউনূসকে একটি কলম ও দুইটি বই উপহার দিয়েছেন জনাব তারেক রহমান।

শুক্রবার (১৩ জুন) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে উপহারের ছবি প্রকাশ করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

এর আগে, যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠকটি শুরু হয়।

সকাল সাড়ে ১০টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টা) বৈঠক শেষ হয়। বৈঠক শেষে তারেক রহমান ডরচেস্টার হোটেল ত্যাগ করেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, তাদের মধ্যে একান্তে এই বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন বলেও জানিয়েছেন শফিকুল আলম।

ক্লাসের অন্ধকার কোনায় নিয়ে স্যার জড়িয়ে ধরতেন, চু’মুও খেতেন

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫, ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ
ক্লাসের অন্ধকার কোনায় নিয়ে স্যার জড়িয়ে ধরতেন, চু’মুও খেতেন

মাত্র ১২ বছর বয়সে বাবার হাত ধরে নাটক শিখতে কলকাতার বিখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ব রাজা ভট্টাচার্যের কাছে ভর্তি হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মঞ্জুরী কর নামে এক ছাত্রী। কিন্তু যে স্বপ্ন নিয়ে নাটকের ক্লাসে ভর্তি হয়েছিলেন সে স্বপ্ন তার অচিরেই ভেঙে যায়। সরলতার সুযোগ নিয়ে ভট্টাচার্য নিয়মিত যৌ*ন হেনস্থা করতেন বলে অভিযোগ করেন মঞ্জুরী কর। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

২০১৭ সালে ‘ব্ল্যাক ভার্স’ নামে এক নাটকের দলে অভিনয় শেখার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে মঞ্জুরী করের বয়স ১৮। ৬ বছর আগে যে হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন তিনি এবার সেই বিষয়ে মুখ খুলেন ফেসবুকে।

গত রোববার ফেসবুকে তিনি জানান ২০১৭ সালে ১২ বছর বয়সে ‘ব্ল্যাঙ্ক ভার্স’ নামক নাটকের দলে ভর্তি হন রাজা ভট্টাচার্যের কাজে নাটক শিখবেন বলে। কিন্তু গিয়ে মুখোমুখি হন সম্পূর্ণ অন্য ঘটনার। এই যুবতীর কথায়, ‘ক্লাসের অন্ধকার কোনায় নিয়ে গিয়ে আমায় নিয়মিত জড়িয়ে ধরতেন, চুমু খেতেন। বাবা মায়েদের সামনে আমাদের বলতেন ওর মাথা টিপে দিতে। মাথা টিপতে গেলে আমাদের বুকে পেটে ওর মাথা ঘষতেন। তখন বুঝতাম না। আর বাড়ির লোকের সামনে এমন ভান করতেন যেন আমাদের কত স্নেহ করেন।’

এরপর তিনি আরও বড় এবং বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতি শনিবার ক্লাসের আধাঘণ্টা আগে আমাকে ক্লাসে ডাকতেন। এরপর আমার সারা গায়ে বিশ্রীভাবে হাত দিতেন। কখনও কখনও নিজের ঠোঁট আমার মুখে …। পুরো বিষয় নিয়ে কখনও তার মুখে কোনও অপরাধবোধ দেখিনি। এমন ভাব করতেন যেন আমি সম্মতি জানিয়েছি এসবের জন্য।’

তিনি একইসঙ্গে তার পোস্টে লিখেন, ‘প্রথমদিন বাবা আমায় ক্লাসে দিতে গিয়েছিল। তারপর থেকে উনি আমায় বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। আমি প্রথম না বুঝেই রাজি হই। রাস্তার অন্ধকার জায়গায় বাইক দাঁড় করিয়ে অসভ্যতা করতেন। পরে বুঝতে শুরু করি যখন বিরক্ত লাগত। ঘেন্না করতে শুরু করি তাকে। কিন্তু কখনও সাহস করে বলতে পারিনি। ওর কলকাতায় অনেক জানা শোনা। ভেবেছিলাম কেউ বিশ্বাস করবে না। কিন্তু আর নয়। টানা ৪ বছর তারপর থেকে অনেক অত্যাচার সয়েছি। ২০২০ সালে আমি ক্লাস ছেড়ে দিই। এবার মুখ খুললাম।’

ওই ছাত্রী জানান তারা প্রথম ক্লাসে গিয়ে রাজা ভট্টাচার্যের মুখোমুখি হন। জানান এবার তার আসল মুখ সবার সামনে নিয়ে আসবেন মুখোশ খুলে। তখন তিনি হাতে পায়ে ধরেন যাতে এই ঘটনা না ঘটান সেই যুবতী। যদিও তাতে বিশেষ পাত্তা দেননি তিনি। নিজে যে আতঙ্ক, বিভীষিকার মধ্যে দিয়ে গেছেন যাতে আর কাউকে সেটার শিকার না হতে হয় তার জন্য সমস্ত স্ক্রিনশট সহ ফেসবুকে পোস্ট করেন।