পর্যটকরা আর ঘুরতে যেতে পারবেন না সুন্দরবন!

সুন্দরবন ব্যাঘ্রপ্রকল্প এলাকায় ৩ মাসের জন্য পর্যটক নিষেধাজ্ঞার খবরে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পর্যটনের উপর নির্ভরশীল মানুষজন। শোনা যাচ্ছে, তিন মাস যেতে পারবেন না সুন্দরবনে? ভরা বর্ষায় সুন্দরবনের ইলিশ উৎসব ও পশু-পাখি দর্শন থেকে বঞ্চিত হতে হবে পর্যটকদের? গত কয়েকদিনে এমনই নানা জল্পনা ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যমে। আসলে প্রকৃত ঘটনা কি ?
বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। IATO-র (ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুর অপারেটর) তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল সুন্দরবন ব্যাঘ্রপ্রকল্প কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। তাঁদের বক্তব্য, ‘আমরা স্পষ্ট করে জানাচ্ছি, সুন্দরবন ব্যাঘ্রপ্রকল্প পর্যটকদের জন্যে জুন থেকে সেপ্টেম্বর-সহ সারা বছরই খোলা থাকে। এই তিন মাসের জন্য এই ব্যাঘ্রপ্রকল্প বন্ধের ব্যাপারে সরকারিভাবে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।’
সাধারণত জুন থেকে অগস্ট মাস পর্যন্ত সুন্দরবনের বিভিন্ন বন্য প্রাণী ও মাছের প্রজননের সময়। এই সময়ে দেশের অন্যান্য জঙ্গল ও অভয়ারণ্যে পর্যটকদের প্রবেশের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে সুন্দরবনের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। সুন্দরবনের কোর এরিয়াতে পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়। সুন্দরবনের জন্য এই নিয়ম শুধু এই তিন মাস নয়। সারা বছরেই সুন্দরবনের কোর এরিয়ায় (দুর্ভেদ্য জঙ্গল এলাকা) যাওয়ার জন্য বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন হয় সাধারণ পর্যটকদের।
সুন্দরবন ব্যাঘ্রপ্রকল্প এলাকায় ৩ মাসের জন্য পর্যটক নিষেধাজ্ঞার খবরে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পর্যটনের উপর নির্ভরশীল মানুষজন। বহু মানুষের জীবিকা নির্ভর করে পর্যটনের উপরেই। বর্ষার সময়ে সুন্দরবন ভ্রমণে বাড়তি আকর্ষণ থাকে পর্যটকদেরও। তবে, বন দপ্তরের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, তিন মাসের জন্য গোটা সুন্দরবন এলাকায় পর্যটক প্রবেশে নিষেধ করা হয়েছে — এমন কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।
উল্লেখ্য, ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান (IRMP)-এর সুপারিশ অনুযায়ী প্রজননের সময় বন্য প্রাণী সংরক্ষিত এলাকায় পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধ করা হয়। এই তিন মাস নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বনজ সম্পদ আহরণ এবং নদী-খালে মাছ ধরার উপরেও।
আপনার মতামত লিখুন