খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

দুদকের জালে সাবেক সেনাপ্রধান সহ ১০ সামরিক কর্মকর্তা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫, ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ
দুদকের জালে সাবেক সেনাপ্রধান সহ ১০ সামরিক কর্মকর্তা

গত ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার পরিবর্তনের পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করে জোরালো অভিযান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এবার তাদের অভিযানের আওতায় এসেছে সামরিক বাহিনীর সাবেক ১০ জন শীর্ষ কর্মকর্তা। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুস গ্রহণ, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিপুল অঙ্কের অর্থপাচারের। এ ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে অনুসন্ধান ও তদন্ত শুরু হয়েছে। কয়েকজনের ব্যাংক হিসাব ও সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, যেসব অভিযোগ এখন অনুসন্ধানাধীন, সেগুলোর কার্যক্রম নিয়মমাফিক এগোচ্ছে। অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করছেন। যাদের জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করছেন।

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ:
জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সেনাপ্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ২০১৮ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত সেনাপ্রধান ছিলেন। ২০১২-১৬ মেয়াদে বিজিবির মহাপরিচালক ছিলেন। সরকার পতনের পর তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং হুন্ডি ও ব্যাংক চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থপাচার করে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ব্যবসা পরিচালনা ও বাড়ি কেনার অভিযোগ ওঠে। তার বিরুদ্ধে তদন্তের দায়িত্বভার পড়ছে দুদকের উপপরিচালক মো. জাকারিয়ার কাঁধে।

বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান শেখ আব্দুল হান্নান:
এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান ২০২১ সালের ১২ জুন বিমানবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন। মেয়াদ শেষ হয় ২০২৪ সালের ১১ জুন। রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয়, ঘুস ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার ও স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব ও ফ্ল্যাটসহ কয়েক কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে তার বিরুদ্ধে চলা অনুসন্ধানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দুদকের উপপরিচালক তানজীর সরকার।

মেজর জেনারেল টি এম জোবায়ের, সাবেক এনএসআই মহাপরিচালক:
তার বিরুদ্ধে চাকরিতে ঘুস গ্রহণ, ভয়ভীতি দেখিয়ে সম্পদ অর্জন এবং লন্ডনে অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে। ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ এবং দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান:
ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন– তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান পরিচালনার জন্য দুদকের পরিচালক আবুল হাসনাতকে প্রধান করে একটি তিন সদস্যের দল গঠন করা হয়েছে। অন্য দুই সদস্য হলেন- সহকারী পরিচালক বিষাণ ঘোষ ও উপসহকারী পরিচালক আফিয়া খাতুন।

মেজর জেনারেল (অব.) সালাউদ্দিন মিয়াজী, সাবেক সামরিক সচিব:
জমি দখল করে পার্ক নির্মাণ ও দুর্নীতির মাধ্যমে জমি অধিগ্রহণের অভিযোগে তাকে যশোর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত আছেন। সালাউদ্দিন মিয়াজী ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে এমপি হন।

ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধান হামিদুল হক:
১৯৭০ সালে কক্সবাজারে জন্মগ্রহণ করেন হামিদুল হক। সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ১৯৮৮ সালে। প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৯০ সালের ২২ জুন সেনাবাহিনীর ইনফ্যান্ট্রি কোরে তিনি কমিশন পান। সবশেষ সিলেটে ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং সিলেটের এরিয়া কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ এবং নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করছে দুদক। এজন্য দুদকের উপপরিচালক আজিজুল হককে দলনেতা করে দুই সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। দলের অপর সদস্য হলেন মো. মিজানুর রহমান।

এসএসএফের সাবেক ডিজি মুজিবুর রহমান:
ক্ষমতার পালাবদলের পর চাকরি খোয়ানো শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের অন্যতম মো. মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী তাসরিন মুজিবের ‘অবৈধ’ সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক। অনুসন্ধানে নেমে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের সম্পদ জব্দ করতে আদালতের অনুমতিও পেয়েছে দুদক। পাশাপাশি তাদের ১৬টি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুসন্ধানে দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হককে দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক এমপি:
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে দুর্নীতি ও অবৈধ ব্যবসার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা রয়েছে। তিনি ফেনীর সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। মাসুদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুসন্ধানে দুদকের উপপরিচালক মোহা. নূরুল হুদাকে দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছেন উপপরিচালক ওমর ফারুক ও সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম।

মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, সাবেক এনটিএমসি মহাপরিচালক:
১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন পাওয়া জিয়াউল সেনাবাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও প্যারাট্রুপার ছিলেন। ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে তিনি র‌্যাব-২-এর উপঅধিনায়ক হন। ওই বছরই তিনি পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হন এবং র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালকের দায়িত্ব পান। র‌্যাবে দায়িত্ব পালনের সময় থেকেই জিয়াউল আহসান হয়ে উঠেছিলেন সংবাদমাধ্যমে পরিচিত নাম।

কর্নেল পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক করে তাকে র‌্যাবেই রেখে দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে জিয়াউল আহসানকে পাঠানো হয় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) পরিচালকের দায়িত্বে। ৪০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৩৪২ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে দুদক তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে। বিদেশে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকার প্রমাণও মিলেছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

বিজিবির সাবেক ডিজি সাফিনুল:
বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে দুদক।

মাদক নিয়ে কোন্দলের অভিযোগ

রাজধানীর পল্লবীতে পেপার সানিকে গলা কেটে হত্যা

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫, ৯:২২ অপরাহ্ণ
রাজধানীর পল্লবীতে পেপার সানিকে গলা কেটে হত্যা

রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী এলাকায় রাকিবুল হাসান সানি ওরফে পেপার সানি (২৯) নামের এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। তাকে সকালে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মৃত হিসেবে পাওয়া যায়।

মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে পল্লবী মিল্লাত ক্যাম্পের তিন নম্বর লাইনের বি-ব্লকের ১১ নম্বর সেকশনে সানিকে হত্যা করা হয়। নিহত পেপার সানিকে অনেকেই ইয়াবা সানি নামেও জানতো। তবে এ নিয়ে নানা বিতর্কও রয়েছে।

জানা যায়, নিহত সানি কালশীর মোহাম্মদ সোহেলের ছেলে। তিনি স্ত্রীসহ মা-বাবার সঙ্গে ওই এলাকায় বসবাস করতেন।

নিহতের বাবা মোহাম্মদ সোহেল অভিযোগ করে বলেন, ‘সকালে জিন্দা ও টানা আকাশ নামে দুইজন আমার ছেলেকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ডেকে নিয়ে যায়। পরে মিল্লাত ক্যাম্পের ১১ নম্বর সেকশনে নিয়ে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়।

তিনি বলেন- জিন্দা, টানা আকাশ, রুবেল, বোমা কাল্লু, কাসরা সোহেলসহ কিশোর গ্যাং গ্রুপের সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করেছে। পরে ঘটনাস্থলেই মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায় ওরা।’

নিহতের বাবার দাবি, ওই কিশোর গ্যাং গ্রুপকে এলাকার সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক কারবারে বাধা দেওয়ার কারণে ওরা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদক কারবার ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সানির সঙ্গে ওই কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসীদের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। এই কারণে সকালে হত্যাকাণ্ডে ঘটনাটি ঘটায়। নিহত সানি দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা কারবারির সাথে জড়িত। সম্ভবত কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ এবং মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই সে খুন হয়েছে। কারণ মিরপুরের প্রতিটি বিহারি ক্যাম্পেই মাদকের রমরমা ব্যবসা চলছে। এসব নিয়ে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব নিত্যদিনের ঘটনা।

পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিউল আলম বলেন, হত্যার কারণ কি এবং কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। আইনি প্রক্রিয়ার শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পর্যটকরা আর ঘুরতে যেতে পারবেন না সুন্দরবন!

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫, ৭:৩০ অপরাহ্ণ
পর্যটকরা আর ঘুরতে যেতে পারবেন না সুন্দরবন!

সুন্দরবন ব্যাঘ্রপ্রকল্প এলাকায় ৩ মাসের জন্য পর্যটক নিষেধাজ্ঞার খবরে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পর্যটনের উপর নির্ভরশীল মানুষজন। শোনা যাচ্ছে, তিন মাস যেতে পারবেন না সুন্দরবনে? ভরা বর্ষায় সুন্দরবনের ইলিশ উৎসব ও পশু-পাখি দর্শন থেকে বঞ্চিত হতে হবে পর্যটকদের? গত কয়েকদিনে এমনই নানা জল্পনা ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যমে। আসলে প্রকৃত ঘটনা কি ?

বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। IATO-র (ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুর অপারেটর) তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল সুন্দরবন ব্যাঘ্রপ্রকল্প কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। তাঁদের বক্তব্য, ‘আমরা স্পষ্ট করে জানাচ্ছি, সুন্দরবন ব্যাঘ্রপ্রকল্প পর্যটকদের জন্যে জুন থেকে সেপ্টেম্বর-সহ সারা বছরই খোলা থাকে। এই তিন মাসের জন্য এই ব্যাঘ্রপ্রকল্প বন্ধের ব্যাপারে সরকারিভাবে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।’

সাধারণত জুন থেকে অগস্ট মাস পর্যন্ত সুন্দরবনের বিভিন্ন বন্য প্রাণী ও মাছের প্রজননের সময়। এই সময়ে দেশের অন্যান্য জঙ্গল ও অভয়ারণ্যে পর্যটকদের প্রবেশের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে সুন্দরবনের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। সুন্দরবনের কোর এরিয়াতে পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়। সুন্দরবনের জন্য এই নিয়ম শুধু এই তিন মাস নয়। সারা বছরেই সুন্দরবনের কোর এরিয়ায় (দুর্ভেদ্য জঙ্গল এলাকা) যাওয়ার জন্য বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন হয় সাধারণ পর্যটকদের।

সুন্দরবন ব্যাঘ্রপ্রকল্প এলাকায় ৩ মাসের জন্য পর্যটক নিষেধাজ্ঞার খবরে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পর্যটনের উপর নির্ভরশীল মানুষজন। বহু মানুষের জীবিকা নির্ভর করে পর্যটনের উপরেই। বর্ষার সময়ে সুন্দরবন ভ্রমণে বাড়তি আকর্ষণ থাকে পর্যটকদেরও। তবে, বন দপ্তরের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, তিন মাসের জন্য গোটা সুন্দরবন এলাকায় পর্যটক প্রবেশে নিষেধ করা হয়েছে — এমন কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।

উল্লেখ্য, ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান (IRMP)-এর সুপারিশ অনুযায়ী প্রজননের সময় বন্য প্রাণী সংরক্ষিত এলাকায় পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধ করা হয়। এই তিন মাস নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বনজ সম্পদ আহরণ এবং নদী-খালে মাছ ধরার উপরেও।

ভারতে পালানোর সময় গোপালগঞ্জ জেলা আ’লীগের সেক্রেটারি গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫, ৬:১৬ অপরাহ্ণ
ভারতে পালানোর সময় গোপালগঞ্জ জেলা আ’লীগের সেক্রেটারি গ্রেফতার

বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি.এম. শাহাবুদ্দিন আজমকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।

মঙ্গলবার (১০ জুন) বেলা ১১টার দিকে তাকে আটক করা হয়।

শাহাবুদ্দিন আজমকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন মুন্সি।

তিনি জানান, আগেই তাদের কাছে তথ্য ছিল শাহাবুদ্দিন আজম ভারতে যেতে পারেন। সে অনুযায়ী ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়। পরে তিনি ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট (নং B00073948) জমা দিলে যাচাই বাছাই শেষে তাকে আটক করা হয়।

শাহাবুদ্দিন আজমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরমধ্যে রয়েছে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দায়ের করা একটি হত্যা মামলা এবং গোপালগঞ্জ সদর থানায় ১৭ সেপ্টেম্বর দায়ের করা আরেকটি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল মিয়া বলেন, আসামিকে ইমিগ্রেশন থেকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জে মামলা থাকায় তাকে সেখানকার থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।