খুঁজুন
শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

অনৈতিকভাবে হাতিয়েছেন অর্ধশত কোটি টাকা

টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ যেন অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন মিয়ার টাকা কামানোর মেশিন !

মোঃ কামরুল ইসলাম
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:০৫ অপরাহ্ণ
টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ যেন অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন মিয়ার টাকা কামানোর মেশিন !

গাজীপুরে টঙ্গীর আউচপাড়া এলাকা অবস্থিত টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজকে চরম অনিয়ম, দূর্নীতি ও ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের নিপীড়নের প্রতীক বানিয়ে তুলেছেন প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান বিতর্কিত অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন মিয়া।

এ বিষয়ে সাম্প্রতিক অনুসন্ধান ও নথি পর্যালোচনা এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সূত্রে উঠে এসেছে আলাউদ্দিন মিয়ার ভয়াবহ দূর্নীতি ও অপতৎপরতার চিত্র।

অনুসন্ধানে জানা গেছে- ২০০৯ সালে স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা ও প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের পৃষ্ঠপোষকতায় বিধিবহির্ভূতভাবে স্কুল কমিটির অভিভাবক সদস্য থেকে টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজের অধ্যক্ষের পদ বাগিয়ে নেন আলাউদ্দিন মিয়া৷

এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানটিতে দেদারসে চালিয়ে গেছেন একের পর এক জালিয়াতি, দূর্নীতি, ও অনিয়মের। অদ্যবধি হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় ৫০ কোটি টাকা।

২০১৩ সালে বিদ্যালয়টিতে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিয়োগবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিলো সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ। কিন্ত তাদের অনেককেই প্রভাষক পদে নিয়োগ প্রদান করেন আলাউদ্দিন। বেতন স্কেলও দেয়া হয় প্রভাষক সমমানের। কিন্ত ক্লাস নেয়ানো হয় বিদ্যালয়টির স্কুল শাখার।

ওদিকে ২০১৮ সালের পরে বিদ্যালয়টিতে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিয়োগের কোন বিজ্ঞপ্তিই প্রকাশ করেননি অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন। তাদের দেয়া হয়নি কোন নিয়োগপত্র। জানা গেছে এসব নিয়োগে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়েছেন তিনি। এই অনিয়ম প্রকাশ্যে আসার ভয়ে রেজুলেশন বইও রেখেছেন গায়েব করে৷

সম্প্রতি গাজীপুর জেলা প্রশাসন নোটিশ জারী করে টঙ্গী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের, নিয়োগবিজ্ঞপ্তি, রেজুলেশন ও নিয়োগপত্র তলব করলেও তা দেখাতে পারেননি আলাউদ্দিন। ফলে গত ২ মাস ধরে প্রতিষ্ঠানটির সকল শিক্ষকদের বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে।

অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসা অধ্যক্ষ আলাউদ্দিনের অন্যতম বড় জালিয়াতি হলো- টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ থেকে এমপিওভুক্ত যেসব শিক্ষক চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন বা মারা গেছেন তাদের নাম এমপিও শীট থেকে কেটে না দিয়ে সরকারের সাথে জালিয়াতি করে নিজের মত করে নিয়োগ দিচ্ছেন।

এমন অন্তত ২৫ জন শিক্ষকের নাম এখনও এমপিও শীটে তুলে রেখেছেন আলাউদ্দিন যার মধ্যে মারা গেছেন এমন শিক্ষকও আছেন। সরকারি বিধি অনুযায়ী এমপিও ভুক্ত কোন শিক্ষক চাকরি ছেড়ে দিলে তার বদলে সরকারিভাবে সে পদে নতুন শিক্ষক আসবে। কিন্ত জালিয়াতি করে অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন এমপিও শীট থেকে বিদায়ী শিক্ষকদের নাম না কেটে সেখানে অর্থ বাণিজ্যের বিনিময়ে নিজের মতো করে নিয়োগ দেন৷

এছাড়া আলাউদ্দিন মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে- স্কুল মাঠের জমিতে মার্কেট নির্মাণ করে ৪৪ টি দোকানের প্রতিটি দোকান মূলত বিক্রি করেছেন ৩০-৩৫ লক্ষ টাকায়। কিন্ত দলিল করেছেন ১০/১২ লক্ষ টাকার। এভাবে তিনি ভয়াবহ জালিয়াতি করেছেন স্কুল ও সরকার উভয়ের সাথেই৷ এ খাতে তিনি হাতিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা৷

ওদিকে সরকারি খরচে নির্মিত স্কুলের মোজাইক করা কয়েকটি ভবন অপ্রয়োজনীয়ভাবে ভেঙ্গে নিজ স্বার্থে টাইলস বসিয়ে নিজের মন মতো বিল বানিয়ে অর্থ হাতিয়েছেন বলেও অভিযোগ আসে। শুধু তাই নয়, নিজের জন্য বানিয়েছেন রাজদরবার সমতূল্য সুবিশাল অফিস কক্ষ। সেই অফিস কক্ষের সাথে রয়েছে একটি গোপন ঘর যা আয়নাঘর হিসেবে খ্যাত। সেই আয়না ঘরেই নিজের যাবতীয় দূর্নীতির বৈঠকসহ বিভিন্ন অপকর্মের নীলনকশা করেন তিনি৷

মহামারী করোনাকালে স্কুল কলেজ যখন বন্ধ ছিলো তখন শিক্ষকদের বেতন না দিয়ে স্কুলের সৌন্দর্য বর্ধনের নামে সকল ক্লাসকক্ষে রং করিয়েছেন নিজের মত বিল বানিয়ে, যদিও তখন ক্লাসই হচ্ছিলো না।

ওদিকে উন্নয়নের নামে এসব কাজে কোন রকম টেন্ডার না দিয়ে নিজেই গায়ের জোরে বিধিবহির্ভূতভাবে ঠুনকো কাজ দেখিয়ে বিদ্যালয় ফান্ডের মোটা অংকের টাকা সরিয়েছেন। এসব কাজে প্রায় ৮ কোটি টাকা গায়েব করার অভিযোগ আছে আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে।

অধ্যক্ষ আলাউদ্দিনের ভয়াবহ দূর্নীতি ও অপতৎপরতা থেকে রেহাই পায়নি কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও। প্রতি বছর দশম শ্রেনীর প্রায় ১০০ পরীক্ষার্থীকে পরিকল্পিতভাবে ৫ থেকে ৮ বিষয়ে ফেল করিয়ে প্রত্যেককে একপ্রকার জিম্মি করে জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা করে কোচিং ফি আদায় করেন জালিয়াত অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন।

এমনকি ২০ হাজার টাকা না দেয়ায় ফেল করানো হয়েছে এমন অসংখ্য শিক্ষার্থীর আবেদনের নথিও এসেছে প্রতিবেদকের হাতে। এছাড়া গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বরাতে জানা গেছে, অধ্যক্ষ আলাউদ্দিনের সহযোগিতায় ও তাকে মাসোয়ারা দিয়ে আবু জাফর আহমেদ ও আমজাদ হোসেন নামের ২জন শিক্ষক সনদ জালিয়াতি করেও স্কুলটিতে বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছেন।

আর এভাবেই বছরের পর বছর ধরে গোটা টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজকে নিজের জালিয়াতি, দূর্নীতি, ও অনিয়মের আখড়ায় পরিণত করেছেন অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন মিয়া। অনৈতিকভাবে নিজের প্রভাব খাটিয়ে এভাবেই হাতিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।

তাই এ ব্যাপারে অতিদ্রুত তদন্তপূর্বক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজকে আলাউদ্দিনের রাহু মুক্ত করার দাবি সচেতন মহলের৷

ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো ইয়েমেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ
ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করলো ইয়েমেন

অবরুদ্ধ গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরাইল অধিকৃত ভূখণ্ডে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে হুথি আনসারুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী। এ হামলার ফলে দখলকৃত ভূখণ্ডে বসবাসরত ইসরাইলি বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় অনেক ইহুদি বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়ে যান।

ইসরাইলি সূত্র নিশ্চিত করেছে, ইয়েমেন থেকে অন্তত একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দখলদার ভূখণ্ডের দিকে ছোড়া হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ইয়েমেনি নেতারা বারবার ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের এ ধরনের হামলা গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাবে এবং গাজাবাসীদের প্রতি সংহতির অংশ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। এটি বৃহত্তর আঞ্চলিক প্রতিরোধ কৌশলের অংশ।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাসসহ ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো ‘আল আকসা ঝড়’ নামে এক আকস্মিক পাল্টা হামলা চালানোর পর থেকে ইসরাইল গাজায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। সেই থেকে ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ স্পষ্টভাবে ফিলিস্তিনের সংগ্রামের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং একাধিকবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়েছে।

ছেলের মুখে হাসি ফোটাতে ২১ ঘণ্টায় সাইকেলে ২০০ কিমি পাড়ি দিলেন বাবা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ
ছেলের মুখে হাসি ফোটাতে ২১ ঘণ্টায় সাইকেলে ২০০ কিমি পাড়ি দিলেন বাবা

গাইবান্ধার রাজু মিয়া ঢাকায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। ছেলে রেজওয়ান ইসলাম স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাকে মানুষের মত মানুষ করতে রাজু মিয়া অনেক কষ্ট করেন। কলেজে যাতায়াতের জন্য ছেলের একটা বাইসাইকেল খুব প্রয়োজন ছিল। ঢাকায় কষ্টার্জিত টাকায় একটি পুরাতন সাইকেলও কিনেছেন। কিন্তু গাড়ি ভাড়া দিয়ে সাইকেলটি গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার হরিনাথপুর গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার সামর্থ্য তার ছিল না। তাই ওই সাইকেল চালিয়ে তিনি ঢাকা থেকে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছিলেন। প্রায় ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বগুড়ায় পৌঁছেন।

সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে বাড়িতে পৌঁছার সকল ব্যবস্থা করেন। তাকে কিছু খাবারও সাথে দেন। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাতে বগুড়া মহাসড়কের এ ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

জানা গেছে, গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার হরিনাথপুর গ্রামের রাজু মিয়া প্রায় দেড় দশক ঢাকার মহাখালীতে রিকশা চালান। আয়ের টাকা বাড়িতে পাঠান। তার ছেলে রেজওয়ান ইসলাম মাধ্যমিক পাশ করে কলেজে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু কলেজে যাতায়াতের জন্য তার একটা বাইসাইকেল খুব প্রয়োজন। তাই তিনি দরিদ্র রিকশা চালক বাবার কাছে সাইকেল বায়না করেছিলেন।

ছেলে লেখাপড়া করে একদিন অনেক বড় হবে এ আশায় রাজু মিয়া গত এক মাস আগে মহাখালী থেকে দেড় হাজার টাকায় একটি পুরাতন বাইসাইকেল কেনেন। ঈদের ছুটিতে বাইসাইকেল ছেলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু সাইকেলটি বাড়ি নিয়ে যেতে তার বাস ভাড়াসহ প্রয়োজন ছিল তিন হাজার টাকার। রাজু মিয়ার কাছে ঈদ খরচসহ সবমিলিয়ে ছিল মাত্র আড়াই হাজার টাকা।

সাইকেল বাড়িতে নিতে গাড়ি ভাড়া না থাকায় তিনি প্রথমে হতাশ হন। পরবর্তীতে ওই সাইকেল চালিয়ে ঢাকা থেকে গাইবান্ধা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর ৫টার দিকে সাইকেল চালিয়ে ঢাকার মহাখালী থেকে গাইবান্ধার দিকে রওনা দেন। প্রায় ২১ ঘন্টা সাইকেল চালিয়ে মধ্যরাতে বগুড়ায় পৌঁছান।

রাতে মহাসড়কে একা সাইকেল চালাতে দেখে সেনাবাহিনীর চেকপোস্টে তাকে থামানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার সব কষ্টের কথা সেনা সদস্যের অবহিত করেন। তারা রিকশা চালক রাজু মিয়ার সংসারে অভাব ও ছেলের কলেজে যাতায়াতের জন্য পুরাতন বাইসাইকেল কেনার কথা শুনে আবেগাপ্লুত হন। বাড়ি পৌঁছাতে সেনা সদস্যরা তাকে সাইকেলসহ একটি ট্রাকে তুলে দেন। এছাড়া তাকে কিছু শুকনো খাবার দিয়ে সহায়তা করেন।

যাওয়ার আগে রাজু মিয়া জানান, গাড়ি ভাড়া দিয়ে ছেলের শখের সাইকেল বাড়িতে পৌঁছানো তার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছিল। তাই তিনি একটি ব্যাগ নিয়ে ঢাকার মহাখালী থেকে সাইকেল চালিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেন। পথে তিন বার ৫০ টাকা করে ভ্যানে করে কিছুদূর এগিয়েছেন। যমুনা সেতুতে বাইসাইকেল নিয়ে ওঠার নিয়ম না থাকায় তিনি ১০০ টাকা ভাড়ায় মিনিট্রাকে উঠেন। কিন্তু ট্রাকটি গাইবান্ধা পর্যন্ত না যাওয়ায় তাকে বগুড়ায় নামিয়ে দেয়।

রাজু মিয়া আরও জানান, বাইসাইকেলে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে বাড়িতে পৌঁছার কথা কখনো চিন্তা করেননি। সেনা সদস্যদের সহযোগিতায় ছেলের সাইকেল পৌঁছাতে পারছেন এতেই তিনি অনেক খুশি। তারা সহযোগিতা না করলে তার খুব কষ্ট হতো। তিনি সেনা সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, তাদের কারণেই তিনি সহজে বাড়ি ফিরতে পারছেন।

দেশে ফিরতে হবে কাদের ও কারা পাবেন স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, জানাল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১১:১১ পূর্বাহ্ণ
দেশে ফিরতে হবে কাদের ও কারা পাবেন স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, জানাল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস

ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, অনুমোদিত ভ্রমণকাল শেষ হওয়ার পরও যদি কেউ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেন তবে তাকে ফেরত পাঠানো হবে।

গত বৃহস্পতিবার সকালে দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজের পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

পোস্টে বলা হয়, আপনার অনুমোদিত ভ্রমণকাল শেষ হওয়ার পরও যদি আপনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেন, তাহলে আপনাকে দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে এবং ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।

এদিকে স্থানীয় সময় বুধবার নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ দেখিয়ে বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

প্রতিবেদন বলছে, ১২টি দেশের নাগরিকদের প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। আর সাতটি দেশের নাগরিকেরা থাকবেন আংশিক নিষধাজ্ঞার আওতায়। ৯ জুন থেকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর।

এরআগে গত ২৩ মে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানায়, এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের উদ্দেশে যারা ভিসার জন্য আবেদন করবেন, তাদের তথ্য আরও গভীরভাবে যাচাই-বাছাই করা হবে। সন্দেহজনক মনে হলে আবেদন সরাসরি বাতিল করে দেবেন কনস্যুলার কর্মকর্তারা।

বিবৃতিতে দূতাবাস জানায়, যদি কর্মকর্তাদের মনে হয়, কারও যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের প্রধান উদ্দেশ্য সেখানে সন্তান জন্ম দিয়ে নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা, তবে তার পর্যটন ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে। এ ধরনের উদ্দেশ্যকে ‘অননুমোদিত’ বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।